করতোয়া এক্সপ্রেস (Korotoa Express )ট্রেনের সময়সূচী, টিকিটের মূল্য, ভাড়ার তালিকা ও ছুটির দিন
করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের একটি আন্তঃনগর ট্রেন সান্তাহার রেল ষ্টেশন থেকে বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করে। এই ট্রেনটি নাম্বার 713 514। ইউটিউব উত্তরবঙ্গের একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এই তিনটি উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা যেমন নওগাঁ বগুড়া গাইবান্ধা রংপুর লালমনিরহাট জেলা কে স্পর্শ করে। রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ সরকার বাংলাদেশের সর্বপ্রথম এ আন্তঃনগর ট্রেন চালু করেন এবং করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটির প্রথম উদ্বোধন হয় 17 ই মার্চ ১৯৮৬ সালে। এই তিনটি মোট তিনটি রুটে চলাচল করে এবং বর্তমান রুটগুলো হচ্ছে সান্তাহার জংশন গাইবান্ধা লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম রুটি।
সুতরাং করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের বিস্তারিত তথ্য অর্থাৎ ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, ছুটির দিন, খাবার তালিকা সহ বিস্তারিত জানতে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন।
করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অনেকে করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ অর্থাৎ তিনটি সম্পর্কে জানতে চান। যারা জানতে চান তাদের জন্য আমরা তিনটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে তুলে ধরেছি।
- পরিষেবা ধরন: আন্তঃনগর ট্রেন
- প্রথম পরিষেবা: ১৭ জানুয়ারি ১৯৮৬; ৩৬ বছর আগে
- বর্তমান পরিচালক: পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে
- যাত্রাপথ শুরু: সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন
- বিরতি: ১৫টি
- শেষ: বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন
- পরিষেবার হার: দৈনিক
- রেল নং: ৭১৩/৭১৪
- আসন বিন্যাস: আছে
- খাদ্য সুবিধা: আছে
- বিনোদন সুবিধা: আছে
- মালপত্রের সুবিধা: আছে
- কারিগরি পরিচালন গতি : ৮০
করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল করেন এবং ট্রেনটি সান্তাহার থেকে ছেড়ে ৯:১৫ মিনিটে এবং বুড়িমারীতে পৌঁছান 15:35 । অপরদিকে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে যান ১৬:০০ এবং সান্তাহারে পৌঁছান 22:20।
ট্রেন নাম্বার | উৎস স্থান | ছাড়ার সময় | পৌঁছানোর স্থান | পৌঁছানোর সময় | সাপ্তাহিক ছুটি
|
৭১৩ | সান্তাহার | ০৯:১৫ | বুড়িমারী | ১৫:৩৫ | নেই |
৭১৪ | বুড়িমারী | ১৬:০০ | সান্তাহার | ২২:২০ |
করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের মূল্য
করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার থেকে বুড়িমারী এবং বুড়িমারী থেকে সান্তাহার পর্যন্ত চলাচল করেন। এই ট্রেনটি দুইটা আসন রয়েছে যথা: শোভন ও শোভন চেয়ার। প্রতিটি আসনের জন্য আলাদা আলাদা করা হয়েছে। আপনি যদি ভাড়া গুলো সম্পর্কে জানতে চান নিচের তালিকা থেকে সংগ্রহ করুন.
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫%ভ্যাট) |
শোভন | ১৪৫ টাকা |
শোভন চেয়ার | ১৭৫ টাকা |
করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল কালে কতিপয় স্থানে বিরোধী প্রদান করেন এবং কতটুকু সময় বিরোধী প্রদান করেন তা বিস্তারিত জানতে নিচের সারণির দিকে তাকান এবং বিস্তারিত দেখুন।
বিরতি স্টেশন নাম | সান্তাহার থেকে (৭১৩) | বুড়িমারী থেকে (৭১৪) |
বগুড়া | ০৯:৫৫ | ২১ঃ২১ |
সোনাতলা | ১০ঃ৩০ | ২০ঃ৪৫ |
মহিমাগঞ্জ | ১০ঃ৪০ | ২০ঃ৩৫ |
বোনারপাড়া | ১১ঃ০৫ | ২০ঃ২৩ |
গাইবান্ধা | ১১ঃ৩০ | ১৯ঃ৫৭ |
বামনডাঙ্গা | ১২ঃ২২ | ১৯ঃ২৫ |
পীরগাছা | ১২ঃ৪০ | ১৯ঃ০৬ |
কাউনিয়া | ১২ঃ৫৭ | ১৮ঃ৪৭ |
লালমনিরহাট | ১৩ঃ২৫ | ১৮ঃ০০ |
আদিতমারী | ১৩ঃ৪৮ | ১৭ঃ৩৮ |
কাকিনা | ১৪ঃ০৭ | ১৭ঃ২০ |
তুষভান্ডার | ১৪ঃ১৫ | ১৭ঃ১৩ |
হাতিবান্ধা | ১৪ঃ৪২ | ১৬ঃ৪৬ |
বারকাঁথা | ১৪ঃ৫৬ | ১৬ঃ৩৪ |
পাটগ্রাম | ১৫ঃ১৮ | ১৬ঃ১২ |
খাওয়ার ব্যবস্থা
এই আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাওয়ার ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে. সুতরাং ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি খাবারের কেবিন রেখেছেন যেখানে যাত্রীগণ সহজে খেতে পারবেন. তবে যে সমস্ত খাওয়ার এই ট্রেনের কেবিনে পাওয়া যায় তা হল: বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, পেটিস, রোল, পারুটি, চা-কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, চিকেন কাবাব, নানা ধরনের পানি ও মিনারেল ওয়াটার. সুতরাং এখান থেকে আপনি এছাড়াও আরও সুবিধা পাবেন দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন.
ট্রেনের টিকিট কাটার স্থান
আন্তঃনগর ট্রেনটির ট্রেনের টিকিট যেখান থেকে পাওয়া যাবে তার একটি বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
- দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে
- টেনের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে (www.esheba.cnsbd.com)
- *১৩১# নম্বরে ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যাবে.
- টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে, তা যাত্রা ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে
- তবে যাত্রা দশদিন পূর্ব থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দেশের যেকোন কম্পিউটারাইজড টিকিট কাউন্টারে এবং ওয়েবসাইটে.
ট্রেনের বগি সংখ্যা
আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব এই ট্রেনের মোট বগি সংখ্যা এবং কি কি বগি রয়েছে.
- এই ট্রেনটিতে মোট বগি রয়েছে ১৬টি.
- একটি খাবার বগি রয়েছে
- একটি পাওয়ার কার বগি রয়েছে
- ট্রেনটিতে খাবারের বগির মধ্যে নামাজের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ রয়েছে
- এবং ট্রেনের মাঝামাঝি জায়গায় খাবারের বগিটি রয়েছে
অন্যান্য সুবিধাদি
- আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে নামাজের জন্য ব্যবস্থা আছে
- প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে কর্তব্যরত গার্ডের কাছে
- প্রত্যেক বগিতে একজন করে গাইড থাকার ব্যবস্থা আছে। তবে তারা যাত্রীদের সেবা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
- যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে জানালার পাশে এ্যালুমিনিয়ামের শাটার। ট্রেনে ভ্রমণকালে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন – ট্রেনের দরজা-জানালায় না বসা, ট্রেনের ছাদে না ওঠা, ইঞ্জিনে না চড়া। ঘনবসতি বা বস্তি এলাকাতে ট্রেন চলার সময় জানালার শাটার লাগিয়ে দেয়া।
- এসি কেবিন ছাড়া শোভন বগিতে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটার সুবিধা রয়েছে। মোট বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হয়। স্ট্যান্ডিং টিকিটের মূল্য সিটিং টিকেটের সমান এবং সাথে সাধারণ টিকেটের মতই পণ্য নেয়া যায়।
মালামাল পরিবহন
- একজন শীতাতপ শ্রেণীর যাত্রী ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ৩৭.৫ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি এবং সুলভ ২য় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বিনা ভাড়ায় সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
- অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তা লাগেজ হিসেবে তার নিজ গন্তব্যে নিতে পারেন। বড় স্টেশনগুলোতে লাগেজ বুকিংয়ের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
- লাগেজ বহনের জন্য ট্রলির ব্যবস্থা আছে।
- অসুস্থ ব্যাক্তিদের বহনের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা আছে
উপসংহারে বলা যায় করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করেন এবং এটি একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এই তিনটি নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট বাহারা অনুযায়ী চলাচল করেন। আপনি যদি ট্রেনের এর মাধ্যমে চলাচল করতে চান এবং ট্রেন ছাড়ার সময়সূচী এবং কোন আসনের এর ভাড়া কত জানতে চান তাহলে আমাদের এই কন্টেন থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাছাড়া আমরা এখানে ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা ছাড়াও ট্রেনের বিরোধী স্থান ও সময় সূচি খাবার ব্যবস্থা অন্যান্য সুবিধা সহ বিস্তারিত তথ্য সংযুক্ত করেছি। আপনি যদি এটি সম্পর্কে বিস্তারিত ও আপডেট তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলের সাথে থাকুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন।