ট্রেন

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, টিকিট, বিরতি স্থান ও সাপ্তাহিক বন্ধ

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত একটি আন্তঃনগর ট্রেন যেটি ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করে এবং এটি একটি জনপ্রিয়, দ্রুতগামী  ও বিলাস বহুল আন্তঃনগর ট্রেন. কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি মিটারগেজ রেল লাইনে চলে এবং এর উদ্বোধন হয় পয়লা ডিসেম্বর ২০১৩.

 খ্রিস্টাব্দ. ট্রেনটি ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ ছাত্রপতি বিপন্ন রেল স্টেশনে বিরতি প্রদান করে যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং এই তিনটি যাত্রীদের অধিক সেবা প্রদান করে যেমন: খাবার ব্যবস্থা প্রদান, নামাজের ঘর ব্যবস্থা সহ আরো অনেক কিছু. আপনি যদি একজন নিয়মিত ট্রেন ভ্রমণকারী হয়ে থাকেন তাহলে এই রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে অতি আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন. তবে আপনি যদি এই ট্রেনটি সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, বিরতি স্টেশন, সাপ্তাহিক ছুটি ও টিকিট কাটার পদ্ধতি সহ বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন.

সুতরাং আজ আমরা যাত্রীদের সুবিধার্থে কিশোরকুমার এক্সপ্রেস ট্রেনটির সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, বিরাটি স্টেশন, সাপ্তাহিক ছুটি ও টিকিট কাটার পদ্ধতি সহ বিস্তারিত তথ্য এখানে সংযুক্ত করব যাতে যে কোনো যাত্রী যেকোনো সময় আমাদের ওয়েবসাইটে সহযোগিতা নিয়ে যে কোন তথ্য জানতে পারে এবং নিশ্চিন্তে  ও নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রা সময়সূচী

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ চলাচল করে তার সময়সূচী নিচে তুলে ধরা হলো:

ট্রেনটি ঢাকা থেকে যাত্রার উদ্দেশ্যে ছাড়ে সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে এবং কিশোরগঞ্জ পৌঁছায় দুপুর ০৩.০০ আবার কিশোরগঞ্জ থেকে যাত্রা উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় দুপুর ২ টা ৪০ মিনিটে এবং ঢাকায় পৌঁছে সন্ধ্যা ছয়টা ৫০ মিনিট.

স্টেশনের নাম প্রস্থান আগমন
ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ সকালঃ ১০.৪৫ দুপুরঃ ০৩.০০
কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা বিকালঃ ০৪.০০ রাতঃ ০৮.১০

কিশোরগঞ্জ আন্তঃনগর ট্রেনের বিরতি স্থান ও সময়সূচী

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন চলাকালে মাঝে পথে যে সকল রেল স্টেশনে বিরতি প্রদান করেন এবং সময় প্রদান করেন তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা নিচের সারণিতে প্রদান করা হলো এখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন

স্টেশন নাম আগমন টাইম ছাড়ার সময়
বিমান বন্দর স্টেশন 11:12 19:32
নরসিংদী স্টেশন 12:00 18:43
মেথিকান্দা স্টেশন 12:20 18:22
ভৈরব বাজার স্টেশন 12:40 17:45
কুলিয়ারচর স্টেশন 13:25 17:14
বাজিতপুর স্টেশন 13:35 17:04
সরারচর স্টেশন 13:45 16:54
মানিক ঢালী স্টেশন 14:13 16:35
গাছিহাটা স্টেশন 14:25 16:18

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটির প্রতিটি আসনের ভাড়ার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা নিচে প্রদান করা হল সেখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন. স্নিগ্ধা আসনের ভাড়া ২৮৮ টাকা, প্রথম চেয়ার প্রতি আসনের ভাড়া ২০০ টাকা, শোভন চেয়ার এর ভাড়া ১৫০ টাকা এবং শোভন প্রতি আসনের ভাড়া ১২৫ টাকা.

ট্রেনের সিট টিকিটের মূল্য (15% ভ্যাট)
শেভন সিট 120/=( টাকা)
শেভন চেয়ার সিট 140 /=( টাকা)
প্রথম আসন সিট 185 /=( টাকা)
স্নিগ্ধা সিট 240 /=( টাকা)
এসি সিট 400 /=( টাকা)
এসি বার্থ সিট 700 /=( টাকা)

তবে শূন্য থেকে তিন বছর পর্যন্ত শিশুদের টিকিটের প্রয়োজন হবেনা কিন্তু তিন বছর থেকে চার বছর বাচ্চাদের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক টিকিট ক্রয় করতে হবে

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত একটি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করেন. এই ট্রেনটির ভ্রমণ দূরত্ব 135 কিলোমিটার, যার ভ্রমণ সময় লাগে চার ঘণ্টা ১০ মিনিট এবং সপ্তাহে ছয়দিন পরিষেবা প্রদান করেন শুক্রবার বাদে. ট্রেনটির নাম্বার ৭৮১/৭৮২ এবং ট্রেনটিতে বসার জন্য যেসব সিট রয়েছে তা হচ্ছে সিনিকদা, প্রথম চেয়ার, শোভন চেয়ার ও শোভন.

কিশোরগঞ্জ ট্রেনের বগি সংখ্যা

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনের বগি রয়েছে চৌদ্দটি তার মধ্যে একটি খাবার বগি একটি পাওয়ার কার বগি রয়েছে. তাছাড়াও খাবারের বগিতে নামাজের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে, পাওয়ারের বগিতে ট্রেনের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত এবং মালামাল পরিবহনের জন্য বড় বড় স্টেশনগুলোতে ফুলের ব্যবস্থা রেখেছে কর্তৃপক্ষ.

কিশোরগঞ্জ ট্রেনের খাবারের ব্যবস্থা

ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাবারের গাড়ি সংযোজন এর ব্যবস্থা রেখেছেন. এখানে যাত্রীগণ

বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, পেটিস, রোল, পারুটি চা-কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, চিকেন কাবাব, নানা ধরনের কোমলপানীয় মিনারেল ওয়াটার এখান থেকে পাওয়া যাবে. তা ছাড়াও রয়েছে যাত্রীদের জন্য দৈনিক পত্রিকা  ও ম্যাগাজিন পড়ে সময় অতিবাহিত করবেন.

কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের সিট সংখ্যা

কিশোরগঞ্জ আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চার ধরনের সিট রয়েছে. ঢাকা আমি ঢাকা গামী ৭৮২ এর আসন শ্রেণি রয়েছে চারটি: স্নিগ্ধা, প্রথম শেয়ার, শোভন চেয়ার ও শোভন.

কিশোরগঞ্জ গামী ৭৮১ এর আসন  রয়েছে চারটি যেমন: স্নিকধা, প্রথম শেয়ার, শোভন চেয়ার ও শোভন.

ট্রেনের টিকিট কাটার স্থান

আন্তঃনগর ট্রেনটির ট্রেনের টিকিট যেখান থেকে পাওয়া যাবে তার একটি বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:

  • দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে
  • টেনের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে (www.esheba.cnsbd.com)
  • *১৩১# নম্বরে ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যাবে.
  • টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে, তা যাত্রা ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে
  • তবে যাত্রা দশদিন পূর্ব থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দেশের যেকোন কম্পিউটারাইজড টিকিট কাউন্টারে এবং ওয়েবসাইটে.

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ, জনপ্রিয় ও বিলাসবহুল ট্রেন এবং এর ভাড়া ও সস্তা. তবে ট্রেনটি সঠিক সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে এবং যাত্রাপথে ছেড়ে যায়. অনেক যাত্রী রয়েছেন যারা এই ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, বিরোধী স্থান, সাপ্তাহিক ছুটি ও টিকিট কাটার পদ্ধতি জানতে চান তাদের সুবিধার্থে আজ আমরা এখানে ট্রেনটির সকল তথ্য সংযুক্ত করেছি এখান থেকে বিস্তারিত জেনে নিন

Related Articles

Back to top button