ট্রেন

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, ছুটির দিন ও বিস্তারিত

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন বাংলাদেশের একটি আন্তঃনগর ট্রেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত। এই ট্রেনটি 1986 সালের 17 জানুয়ারি উৎপাদন শুরু করেন। উপকূল ট্রেন এর নাম্বার 711 ও 712। তিনটি নোয়াখালী রেল স্টেশন থেকে ঢাকা রেল স্টেশন পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করেন। ট্রেনটির প্রথম যাত্রা শুরু হয় নোয়াখালী রেল স্টেশন এবং সেযাত্রা কমলাপুর রেলস্টেশন। ইটিটি নোয়াখালী থেকে ঢাকা রেল স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে যাত্রীদের জন্য একটি ভালো সময়োপযোগী হিসেবে পরিচিত।

সুতরাং আপনি যদি উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সংক্ষিপ্ত বিবরন, সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, যাত্রাবিরতি, ছুটির দিন ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানার সুযোগ রয়েছে। আসুন আমরা ট্রেনটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করব যা আপনি এখান থেকে জানতে পারবেন।

উপকূল এক্সপ্রেস এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ইন্দ্রনগর ট্রেন এবং এই তিনটি নোয়াখালী টু ঢাকা রেল স্টেশন চলাচল করেন। এটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো।

  • পরিষেবা ধরন:                আন্তঃনগর ট্রেন
  • প্রথম পরিষেবা:               ১৭ জানুয়ারি ১৯৮৬; ৩৬ বছর আগে
  • বর্তমান পরিচালক: পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে
  • যাত্রাপথ শুরু:               নোয়াখালী রেলওয়ে স্টেশন
  • বিরতিz;                    ১৩টি
  • শেষ:                        কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
  • পরিষেবার হার:              সপ্তাহে ৬ দিন
  • আসন বিন্যাস:              হ্যাঁ
  • খাদ্য সুবিধা:              আছে
  • বিনোদন সুবিধা: আছে
  • কারিগরি ট্র্যাক গেজ: মিটারগেজ

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী

উপকূল এক্সপ্রেস বাংলাদেশের একটি আন্তঃনগর ট্রেন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী যা 2020 সালের 10 জানুয়ারি থেকেই সময়সূচী কার্যকর হয়। ট্রেনটি নোয়াখালীতে ছেড়ে যান 6 টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে বুনছেন 11:45 এবং কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যান তিনটা বিশ মিনিটে এবং নোয়াখালীতে পৌঁছান ২১:২০.

ট্রেন নাম্বার উৎস স্থান ছাড়ার সময় পৌঁছানোর স্থান পৌঁছানোর সময় সাপ্তাহিক ছুটি

 

১১ নোয়াখালী ০৬:০০ কমলাপুর ১১:৪৫ বুধবার
৭১২ কমলাপুর ১৫:২০ নোয়াখালী ২১:২০ মঙ্গলবার

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের মূল্য ও আসনের নাম

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি সিট রয়েছে যা সাধারণ, শোভন চেয়ার ও প্রথম সেট। প্রতিটি আসনের জন্য আলাদা আলাদা করা হয়েছে। প্রতিটি আসনের ভাড়া কত এবং বিস্তারিত জানতে নিচের সারণির থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন.

গন্তব্যস্থল শো: সাধারণ শো: চেয়ার ১ম সিট
নোয়াখালী ২১০ ২৫০ ৩৩৫
চৌমুহনী
বজরা
সোনাইমুড়ি
নাথেরপেটুয়া
লাকসাম ১৭৫ ২১০ ২৮০
কুমিল্লা ১৬০ ১৯০ ২৫০
আখাউড়া ১২৫ ১৪৫ ১৯৫
ব্রাহ্মনবাড়ীয়া ১১০ ১৩৫ ১৭৫
কসবা ১৩৫ ১৬০ ২১৫
আশুগঞ্জ ১০০ ১২০ ১৬০

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের কোথায় কোথায় থামেন এবং সময়সূচী

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে নোয়াখালী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল কালে মাঝপথেই কতিপয় রেলস্টেশনে বিরতি প্রদান করেন এবং কত সময় কতটুকু সময় প্রতি প্রদান করেন এবং রেল স্টেশন গুলোর নাম জানতে নিচে থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন.

 

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ঠিকানা ও যোগাযোগ নাম্বার

আপনি যদি এই ট্রেন কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চান তাহলে নিচের নাম্বারগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন এবং বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এর ঠিকানা জানতে চান তাহলে নিচের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার এ যোগাযোগ করতে পারেন.

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন

  • ফোন নম্বর: ৯৩৫৮৬৩৪,৯৩৩১৮২২
  • মোবাইল নম্বর: ০১৭১১৬৯১৬১২

বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন

  • ফোন নম্বর: ৮৯২৪২৩৯
  • ওয়েবসাইটrailway.gov.bd

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের মালামাল বহনের কুলির চাজ ও বিস্তারিত তথ্য

এই ট্রেনের স্টেশন থেকে প্রকৃতি কিংবা বগি থেকে স্টেশনের বাইরে মালামাল বহনের জন্য কুলের ব্যবস্থা রয়েছে এবং মালামালের বিবরণ অনুযায়ী চার্জ প্রযোজ্য আছে। তবে দরকষাকষির করেও চার্জের কমবেশি হতে পারে সুতরাং নিজে সার্চ গুলোর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো

লাগেজের পরিমাণ চার্জ (টাকা)
অনধিক ২৮ কেজি (১টি ব্যাগ) ৩০/-
অনধিক ২৮ কেজি (২টি ব্যাগ) ৪০/-
অনধিক ৩৭ কেজি (১টি ব্যাগ) ৪০/-
অনধিক ৩৭ কেজি (২টি ব্যাগ) ৫০/-
অনধিক ৫৬ কেজি (১টি ব্যাগ) ৬০/-
অনধিক ৫৬ কেজি (২টি ব্যাগ) ৮০/-

উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের অনলাইনে টিকিট কাটার পদ্ধতি

ধরুন আপনি যদি উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট সরাসরি কাউন্টারে গিয়ে না কেটে অনলাইনের মাধ্যমে করতে চান তাহলে পারবেন তবে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে আমরা কি টিকিট কাটতে হবে

  • প্রথমে আপনাকে রেলওয়ে রেল সেবা অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে
  • তারপর আপনি অনলাইনে টিকিট কাটার যৌন রেলওয়ে অ্যাপস মাধ্যমিক টিকিট কাটতে হবে
  • তারপর আপনার টিকিট কাটার রুট, তারিখ, প্যাসেঞ্জার নেম ও বিস্তারিত তথ্য পূরণ করে ফাইন্ড এ ক্লিক করতে হবে
  • তারপর বিকাশ রকেট বানানো মাধ্যমে পেমেন্ট করে টিকিট কনফার্ম করতে হবে
  • Upakul Express online Ticket Price 2022

খাওয়ার ব্যবস্থা

এই আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাওয়ার ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে. সুতরাং ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি খাবারের কেবিন রেখেছেন যেখানে যাত্রীগণ সহজে খেতে পারবেন. তবে যে সমস্ত খাওয়ার এই ট্রেনের কেবিনে পাওয়া যায় তা হল: বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, পেটিস, রোল, পারুটি, চা-কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, চিকেন কাবাব, নানা ধরনের পানি ও মিনারেল ওয়াটার. সুতরাং এখান থেকে আপনি এছাড়াও আরও সুবিধা পাবেন দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন.

ট্রেনের টিকিট কাটার স্থান

আন্তঃনগর ট্রেনটির ট্রেনের টিকিট যেখান থেকে পাওয়া যাবে তার একটি বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:

  • দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে
  • টেনের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে (www.esheba.cnsbd.com)
  • *১৩১# নম্বরে ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যাবে.
  • টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে, তা যাত্রা ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে
  • তবে যাত্রা দশদিন পূর্ব থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দেশের যেকোন কম্পিউটারাইজড টিকিট কাউন্টারে এবং ওয়েবসাইটে.

ট্রেনের বগি সংখ্যা

আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব এই ট্রেনের মোট বগি সংখ্যা এবং কি কি বগি রয়েছে.

  • এই ট্রেনটিতে মোট বগি রয়েছে ১৬টি.
  • একটি খাবার বগি রয়েছে
  • একটি পাওয়ার কার বগি রয়েছে
  • ট্রেনটিতে খাবারের বগির মধ্যে নামাজের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ রয়েছে
  • এবং ট্রেনের মাঝামাঝি জায়গায় খাবারের বগিটি রয়েছে

অন্যান্য সুবিধাদি

  • আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে নামাজের জন্য ব্যবস্থা আছে
  • প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে কর্তব্যরত গার্ডের কাছে
  • প্রত্যেক বগিতে একজন করে গাইড থাকার ব্যবস্থা আছে। তবে তারা যাত্রীদের সেবা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
  • যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে জানালার পাশে এ্যালুমিনিয়ামের শাটার। ট্রেনে ভ্রমণকালে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন – ট্রেনের দরজা-জানালায় না বসা, ট্রেনের ছাদে না ওঠা, ইঞ্জিনে না চড়া। ঘনবসতি বা বস্তি এলাকাতে ট্রেন চলার সময় জানালার শাটার লাগিয়ে দেয়া।
  • এসি কেবিন ছাড়া শোভন বগিতে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটার সুবিধা রয়েছে। মোট বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হয়। স্ট্যান্ডিং টিকিটের মূল্য সিটিং টিকেটের সমান এবং সাথে সাধারণ টিকেটের মতই পণ্য নেয়া যায়।

মালামাল পরিবহন

  • একজন শীতাতপ শ্রেণীর যাত্রী ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ৩৭.৫ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি এবং সুলভ ২য় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বিনা ভাড়ায় সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
  • অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তা লাগেজ হিসেবে তার নিজ গন্তব্যে নিতে পারেন। বড় স্টেশনগুলোতে লাগেজ বুকিংয়ের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
  • লাগেজ বহনের জন্য ট্রলির ব্যবস্থা আছে।
  • অসুস্থ ব্যাক্তিদের বহনের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা আছে

উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকে এবং বাকি দিন ঢাকা থেকে নোয়াখালী রেল স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করেন এবং এটি একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এই তিনটির বিস্তারিত তথ্য তথা ভাড়ার তালিকা সময়সূচী মালামাল পরিবহন খাওয়ার ব্যবস্থা রেলওয়ে স্টেশনের নাম ও বিরোধী স্থান বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেন এবং নিয়মিত আপডেট তথ্য পেতে ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন

Related Articles

Back to top button