মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকিটের মূল্য, ছুটির দিন ও বিরতি স্থান
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের একটি আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন যেটি চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ঢাকা জেলার কমলাপুর রেলস্টেশনের মধ্যে নিয়মিত চলাচল করে থাকেন। হাজার 985 সালের চৌঠা ডিসেম্বর দিনটি শুভ উদ্বোধন হয় এবং ট্রেন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নিয়মিত চলাচল করেন। এটি বাংলাদেশ রেলওয়ে টিটি আন্তঃনগর ট্রেন এবং এই তিনটি কমলাপুর স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং শেষ করেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে।
আপনি যদি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী একজন ট্রেন আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে সঠিক সময় চলাচল করতে পারেন। আর ট্রেনটির বিস্তারিত তথ্য যদি আপনি জানতে চান তাহলে আমাদের এই নিবন্ধ থেকে নিচে ধারাবাহিকভাবে বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে নিতে পারবেন। আসুন আমরা মহানগর আন্তঃনগর ট্রেনটির সময়সূচি, ভাড়ার তালিকা, বিরোধী স্থান ও ছুটির দিনসহ বিস্তারিত তথ্য প্রদান করব।
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন একটি আন্তঃনগর ট্রেন যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ যদি জানতে চান তাহলে নিচের ট্রেনটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে এখান থেকে জেনে নিতে পারেন.
পরিষেবা ধরন: | আন্তঃনগর ট্রেন |
প্রথম পরিষেবা: | ৪ ডিসেম্বর ১৯৮৫; ৩৬ বছর আগে |
বর্তমান পরিচালক: | পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে |
যাত্রাপথ শুরু: | চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি: | ১২টি |
শেষ: | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ দূরত্ব: | ৩২০ কিলোমিটার (২০০ মাইল) |
পরিষেবার হার: | সপ্তাহে ৬ দিন (রবিবার বন্ধ) |
রেল নং: | ৭২১/৭২২ |
যাত্রাপথের সেবা শ্রেণী | এসি, ননএসি, শোভন চেয়ার |
আসন বিন্যাস | আছে |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | আছে |
খাদ্য সুবিধা | আছে |
বিনোদন সুবিধা | আছে |
কারিগরি ট্র্যাক গেজ | মিটারগেজ |
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
মহানগর এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে কমলাপুর এবং কমলাপুর থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করেন। চট্টগ্রাম সময় ১২:৩০ এ ছাড়েন এবং কমলাপুরে ১৯:১০ মিনিটে। এবং কমলাপুর স্টেশন থেকে ছাড়ে ২১:১০ এবং চট্টগ্রামে পৌঁছেছে ০৪ঃ৫০.
ট্রেন নাম্বার | উৎস স্থান | ছাড়ার সময় | পৌঁছানোর স্থান | পৌঁছানোর সময় | সাপ্তাহিক ছুটি
|
৭২১ | চট্টগ্রাম | ১২:৩০ | কমলাপুর | ১৯:১০ | রবিবার |
৭২২ | কমলাপুর | ২১:২০ | চট্টগ্রাম | ০৪:৫০ | রবিবার |
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
মহানগর এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটির কয়েকটি শ্রেণীবিন্যাস রয়েছে যাদের টিকিটের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন রয়েছে। আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যে আসোনি যেতে চান সে আসনের মূল্য তালিকা নির্বাচন করুন এবং সমস্ত আসনের নাম ও টিকিটের মূল্য নিচে থেকে জেনে নিতে পারবেন.
সিরিয়াল | আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
১. | শোভন চেয়ার | ২৬৫ টাকা |
২. | প্রথম সিট | ৪৮০ টাকা |
৩. | স্নিগ্ধা | ৬৭৫ টাকা |
৪. | এসি সিট | ৮০৮ টাকা |
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সময়সূচী এবং বিরতি স্থান
মহানগর এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াত কালে অনেক স্টেশনে বিরতি প্রদান করে থাকে এবং এই বিরতি স্টেশনগুলোতে কিছুসময় অপেক্ষা করেন। নিচে সারণিতে বিরল স্থান গুলোর নাম ও সময়সূচী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রদান করা হলো
১. | স্টেশন নাম | পৌছানোর সময় |
২. | ঢাকা | ২১:২০ |
৩. | বিমান বন্দর | ২১:৪৭ |
৪. | ভৈরব বাজার | ২৩:০৫ |
৫. | ব্রাহ্মণ বড়িয়া | ২৩;৩৩ |
৬. | আখাউড়া | ০০:০৫ |
৭. | কুমিল্লা | ০১:৪৭ |
৮. | লাকসাম | ০২;১৫ |
৯. | ফেনী | ০৩:০৩ |
১০. | চট্টগ্রাম | ০৪:৫০ |
চট্টগ্রাম টু ঢাকা সময়সূচী এবং বিরতি স্থান
মহানগর এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন চট্টগ্রাম টু ঢাকা চলাচল পথে অনেক স্টেশনে বিরতি প্রদান করে এবং এই বৃহতী স্টেশনগুলোতে কিছু সময় ব্যয় করেন। নিচে বিরতি স্থান এবং সময়সূচী সম্পর্কে একটু ধারনা প্রদান করা হলো:
১. | স্টেশন নাম | পৌছানোর সময় |
২. | চট্টগ্রাম | ১২ঃ৩০ |
৩. | ফেনী | ১৪ঃ০৪ |
৪. | লাকসাম | ১৪ঃ৫৩ |
৫. | কুমিল্লা | ১৫ঃ২০ |
৬. | আখাউড়া | ১৬ঃ২০ |
৭. | ব্রাহ্মণ বড়িয়া | ১৬ঃ৪২ |
৮. | ভৈরব বাজার | ১৭ঃ১০ |
৯. | বিমান বন্দর | ১৮ঃ৩২ |
১০. | ঢাকা | ১৯ঃ১০ |
মহানগর এক্সপ্রেস খাওয়ার ব্যবস্থা
এই আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাওয়ার ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে. সুতরাং ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি খাবারের কেবিন রেখেছেন যেখানে যাত্রীগণ সহজে খেতে পারবেন. তবে যে সমস্ত খাওয়ার এই ট্রেনের কেবিনে পাওয়া যায় তা হল: বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, পেটিস, রোল, পারুটি, চা-কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, চিকেন কাবাব, নানা ধরনের পানি ও মিনারেল ওয়াটার. সুতরাং এখান থেকে আপনি এছাড়াও আরও সুবিধা পাবেন দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন.
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটার স্থান
আন্তঃনগর ট্রেনটির ট্রেনের টিকিট যেখান থেকে পাওয়া যাবে তার একটি বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
- দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে
- টেনের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে (www.esheba.cnsbd.com)
- *১৩১# নম্বরে ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যাবে.
- টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে, তা যাত্রা ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে
- তবে যাত্রা দশদিন পূর্ব থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দেশের যেকোন কম্পিউটারাইজড টিকিট কাউন্টারে এবং ওয়েবসাইটে.
মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি সংখ্যা
আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব এই ট্রেনের মোট বগি সংখ্যা এবং কি কি বগি রয়েছে.
- এই ট্রেনটিতে মোট বগি রয়েছে ১৬টি.
- একটি খাবার বগি রয়েছে
- একটি পাওয়ার কার বগি রয়েছে
- ট্রেনটিতে খাবারের বগির মধ্যে নামাজের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ রয়েছে
- এবং ট্রেনের মাঝামাঝি জায়গায় খাবারের বগিটি রয়েছে
অন্যান্য সুবিধাদি
- আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে নামাজের জন্য ব্যবস্থা আছে
- প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে কর্তব্যরত গার্ডের কাছে
- প্রত্যেক বগিতে একজন করে গাইড থাকার ব্যবস্থা আছে। তবে তারা যাত্রীদের সেবা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
- যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে জানালার পাশে এ্যালুমিনিয়ামের শাটার। ট্রেনে ভ্রমণকালে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন – ট্রেনের দরজা-জানালায় না বসা, ট্রেনের ছাদে না ওঠা, ইঞ্জিনে না চড়া। ঘনবসতি বা বস্তি এলাকাতে ট্রেন চলার সময় জানালার শাটার লাগিয়ে দেয়া।
- এসি কেবিন ছাড়া শোভন বগিতে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটার সুবিধা রয়েছে। মোট বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হয়। স্ট্যান্ডিং টিকিটের মূল্য সিটিং টিকেটের সমান এবং সাথে সাধারণ টিকেটের মতই পণ্য নেয়া যায়।
মালামাল পরিবহন
- একজন শীতাতপ শ্রেণীর যাত্রী ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ৩৭.৫ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি এবং সুলভ ২য় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বিনা ভাড়ায় সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
- অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তা লাগেজ হিসেবে তার নিজ গন্তব্যে নিতে পারেন। বড় স্টেশনগুলোতে লাগেজ বুকিংয়ের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
- লাগেজ বহনের জন্য ট্রলির ব্যবস্থা আছে।
- অসুস্থ ব্যাক্তিদের বহনের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা আছে
পরিশেষে বলা যায় মহানগর এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা রুটে নির্দিষ্ট সময় চলাচল করে থাকেন। ট্রেনটির সময়সূচী ও ভাড়া তালিকা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যা এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন। তাছাড়া ট্রেনটি যে সকল স্থানে বিরোধী প্রদান করে সে সকল স্থানের নাম ও বৃহৎ এর সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত সংযুক্ত করা হয়েছে। টেনটি সম্পর্কে আপডেট তথ্য পেতে এবং যে কোন খবর জানতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন।