একতা এক্সপ্রেস (Ekota Express Train) ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, টিকিট ও বন্ধের দিন

একতা এক্সপ্রেস ট্রেন টি বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিষেবার একটি আন্তঃনগর ট্রেন যেটি ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের জেলা পঞ্চগড় পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করে. তবে ট্রেনটি প্রথমে দিনাজপুর থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করলেও বর্তমানে পঞ্চগড় পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়. একতা এক্সপ্রেস ট্রেন নং ৭০৫/৭০৬. বাংলাদেশের দ্রুত বিলাসবহুল ট্রেন গুলোর মধ্যে এটি একটি অন্যতম. তবে এই তিনটি বগি সংখ্যা ১২ টি এবং যাত্রী বহনকারী ১২০০. একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথম চালু হয় হাজার ১৯৮৬ সালের উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর থেকে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত চলাচল. এটি ট্রেনটিতে ১২ টি বগি রয়েছে তার মধ্যে একটি এসি চেয়ার, একটি এসি স্লিপার, একটি পাওয়ার কার, দুইটি খাওয়ার বগি ও সাতটি শোভন চেয়ার.

সুতরাং আজ আমরা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটির ভাড়ার তালিকা, ট্রেন ছাড়ার সময়সূচী, টিকিট কাটার নিয়ম ও সাপ্তাহিক বন্ধের দিন সহ সমস্ত তথ্য জানবো এই নিবন্ধ থেকে. সুতরাং আপনি যদি ট্রেনটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে পুরো কোন ট্রেনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন.

আপনি কি একজন ট্রেন ভ্রমণকারী এবং নিয়মিত এই ট্রেনের এর মাধ্যমে ভ্রমণ করে থাকেন. তবে যদি আপনি ট্রেনের যাত্রা ও গন্তব্যে পৌঁছার সময়সূচী সম্পর্কে জানতে চান তাই এখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন. ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় সকাল ১০.০০টায়, দিনাজপুরে পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬.৫৫, পঞ্চগড়ে রাত ৮.৫৫ এবং পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে যায় রাত ৯.০০টায়, দিনাজপুরে পৌঁছাবে রাত এগারোটা পৌঁছে, ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল 8 টা 10 মিনিটে.

একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা

এখানে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধাকা থেকে দিনাজপুর ভাড়ার তালিকা জানতে পারবেন. ট্রেনটি শোভন চেয়ার প্রতি আসন ৪৮৫ টাকা, স্নিগ্ধ ৭৭৫ টাকা, প্রথম  সিট ৬২০, প্রথম বার্থ ৮৭০, এসি সিট ৮৭০ ও এসি বার্থ ১৩০৫ টাকা.

একতা এক্সপ্রেস বিরতির স্থান ও সময় সূচি

এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে পঞ্চগড় যাত্রাকালীন স্টেশনে বিরতি প্রদান করে এবং কতটুকু সময় সূচি প্রদান করে তা সহ নিম্নে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হলো এবং চিত্রের সাহায্যে বিরতির স্থান ও সময়সূচী দেখানো হয়েছে যেখান থেকে বিস্তারিত দেখতে পাবেন.

 ট্রেনের টিকিট কাটার স্থানসমূহ (একতা এক্সপ্রেস)

আপনি যদি একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে নিয়মিত যাতায়াত করেন এবং টিকিট কাটার স্থান গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এখান থেকে সহজে জানতে পারবেন. আপনি ট্রেনে ভ্রমণের জন্য টিকিট কার্টুন এবং এই টিকিটগুলো কোথায় থেকে কাটবেন তা এখানে জানানো হলো.

• দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে পারবেন
• আপনি এসএমএসের মাধ্যমেও টিকিট বুক করতে পারবেন. তবে আপনাকে ডায়াল করতে হবে *১৩১# এবং টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাবেন, যাত্রার ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে সংশ্লিষ্ট কাউন্টার এ দেখিয়ে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে.
• তাছাড়া আপনি অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট বুক করতে পারবেন এবং প্রিন্ট কপি বের করতে পারবেন
• তবেই যাত্রা দশদিন পূর্ব থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দেশের সকল কম্পিউটারাইজড টিকিট কাউন্টার এবং ওয়েবসাইটে.

একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ.

একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের একটি আন্তঃনগর ট্রেন যেটি ঢাকা থেকে দিনাজপুর থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করেন. বর্তমানে এটি বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল ট্রেন. ট্রেনটি পথচলা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে শেষ যাত্রা পঞ্চগড় রেলওয়ে. এই তিনটি প্রথম পরিষেবা শুরু করেন ঢাকা  থেকে দিনাজপুর পর্যন্তও ১৯৮৬ সাল থেকে. তবে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের দূরত্ব ৫২৬ কিলোমিটার এবং যাত্রার সময় ১১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট. ট্রেনটি সপ্তাহে ছয়দিন পরিষেবা প্রদান করে এবং ট্রেন গাড়ি নং ৭০৫/৭০৬. এই ট্রেনটির গাড়ির সংখ্যা ১৩ টি এবং অপারেটিং গতি ৮৫ কিলোমিটার.

ট্রেনটি খাবার ব্যবস্থা (একতা এক্সপ্রেস)

একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রীদের সুবিধার্থে খাবার ব্যবস্থা রেখেছেন এবং যাত্রীগণ যাত্রাকালে নিম্নোক্ত খাবারগুলো সেবা পেতে পারেন. আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাবারের গাড়ি সংযোজন করা থাকে এবং এখানে যে খাবারগুলো পাওয়া যায় তা হচ্ছে: বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, পিটিশ, পারুটি, চা-কফি, কাটলেট, ডিম, সিঙ্গারা, সমুচা এবং নানা ধরনের জাতীয় পানীয় মিনারেল ওয়াটার. এছাড়াও পাওয়া যায় দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন.

একতা ট্রেনের বগি ও সিট সংখ্যা

একতা ট্রেনটি একটি জনপ্রিয় ট্রেন জেটিতে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী চলাচল করে থাকেন. তবে ট্রেনের বগি ও সিট সম্পর্কে অনেকের অজানা এবং জানতে চায়, তাই আমরা তাদের উদ্দেশ্যে নিচে বিস্তারিত জানাবো. এই ট্রেনের বগি ও সংখ্যা রয়েছে ১৩টি তার মধ্যে একটি সিনিকদা, একটি এসি সিট,  একটি এসি বার্থ, নয়টি শোভন চেয়ার এবং ট্রেনটির মাঝামাঝি স্থানে একটি পাওয়ার কার বগি রয়েছে. ট্রেনটিতে আরো রয়েছে ৪ থেকে ৫ টি ক্যান্টিন এবং ট্রেনের মোট আসন ১২০০০ টি. তবে বিভিন্ন দিবসে ট্রেনটি অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হয়ে থাকে. তাছাড়া আরও প্রধান সুবিধা রয়েছে ট্রেনটিতে নামাজের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা রয়েছে. তবে মালামাল পরিবহনের জন্য বড়ই স্টেশনগুলোতে কুলির ব্যবস্থাও রয়েছে.