ট্রেন

অগ্নিবীণা (Agnibina Express) ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, টিকিট, বিরতি স্থান ও বন্ধের দিন

অগ্নিবীণা (Agnibina Express) ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, টিকিট, বিরতি স্থান: অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে এর অধীনে পরিচালিত ঢাকা থেকে তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল কারী একটি আন্তঃনগর ট্রেন. তবেই দ্রুতগামী বিলাসবহুল ও জনপ্রিয় আন্তঃনগর ট্রেন. এই তিনটি ঢাকা-তারাকান্দি রুটিন প্রথম উদ্বোধন হয় ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ সালে. আন্তঃনগর ট্রেনটির নম্বর হচ্ছে ৭৩৫/৭৩৬. এই তিনটির ভ্রমণের দূরত্ব 208 কিলোমিটার এবং ট্রেনটি যাত্রাকালে যাত্রীদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে থাকে যেমন: খাবার ব্যবস্থা, ঘুমানোর ব্যবস্থা, নামাজের ব্যবস্থা ও বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে. এ দিনটিতে প্রতিদিন অসংখ্য লোক যাতায়াত করে এবং অধিকাংশ লোক জানতে চান ট্রেনের টিকিটের মূল্য, সময়সূচী, বন্ধের দিন ও বিরতি স্থানসমূহ.

সুতরাং আজ আমরা যাত্রীদের সুবিধার্থে এই ট্রেনটি সকল বিরতি স্থানের নাম, ভাড়ার তালিকা, ট্রেন ছাড়ার সময়সূচী, সাপ্তাহিক বন্ধের দিন সহ বিস্তারিত তথ্য সংযুক্ত করব যাতে যে কোনো যাত্রী আমাদের এই নিবন্ধের থেকে সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন এবং নিশ্চিন্তে  ও নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন

অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী

আপনি কি একজন নিয়মিত ট্রেন ভ্রমণকারী এবং অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে চান. তাহলে আপনাকে অবগত করব যে ৭ সপ্তাহে সাতদিন চলাচল করে এবং ট্রেনের স্টেশন এর নাম, ছুটির দিন, ছাড়া সময়ও পৌছানোর সময় আমাদের এখান থেকে জেনি নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারবেন. অগ্নিবীণা ট্রেন ঢাকা থেকে ছাড়ে সকাল ৯টা ৪৫, তারাকান্দিতে পৌঁছায় দুপুর ৩টায়. আবার তারাকান্দি থেকে ছাড়ে দুপুর ১.৩০ এবং ঢাকায় পৌঁছে রাত ১০ টা ৩৫ মিনিটে.

স্টেশন (অগ্নিবীণা) ছুটির দিন ছাড়ায় সময় পৌছানোর সময়
ঢাকা টু তারাকান্দি নাই ১১ঃ০০ ১৬ঃ৪৫
তারাকান্দি টু ঢাকা নাই ১৭ঃ২০ ২৩ঃ০০

 

অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা

বাংলাদেশি অনেক ট্রেন ভ্রমণকারী রয়েছেন যারা এই ট্রেনের ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে জানতে চান. তবে আপনি যদি অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন ছাত্রী হন তাহলে ভাড়ার তালিকা টা জেনে নিন. এই এই তিনটির ভাড়া খুব স্বল্প এবং এই ট্রেনটিতে ৬টি আসন বিভাগ রয়েছে যেমন: শোভন, শোভন চেয়ার, প্রথম সিট, প্রথম বার্থ,সিনিকদা ও  এসি সিট. সুতরাং প্রত্যেকটি সিটের ভাড়া নিচের সারণিতে প্রদান করা হলো এখান থেকে সহজে জেনে নিন.

আসন বিভাগ (অগ্নিবীণা) টিকেটের মূল্য (১৫ভ্যাট)
শোভন ১২৫ টাকা
শোভন চেয়ার ১৫০ টাকা
প্রথম সিট ২০০ টাকা
প্রথম বার্থ ৩০০ টাকা
স্নিগ্ধা ২৮৮ টাকা
এসি সিট ৩৪৫ টাকা
এসি বার্থ ৫১৮ টাকা

ট্রেনটির বিরতি স্থান ও সময় সূচি (অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস)

অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা টু তারাকান্দি নিয়মিত চলাচল করেন এবং যাত্রাকালে ট্রেন যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং ট্রেনে ওঠা নামার জন্য বিভিন্ন স্টেশনে বিরতি প্রদান করেন. সুতারাং যে সমস্ত স্টেশনে ট্রেনটি বিরোধী প্রদান করেন প্রত্যেকটি স্টেশনের নাম সময় আমরা নিচের সারণির মাধ্যমে তুলে ধরেছি এখান থেকে জানতে পারবেন. তাছাড়া আপনি যদি একজন নিয়মিত ট্রেন ভ্রমণকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ট্রেনের বিরতি স্থান ও সময়সূচী গুলো জানা দরকার.

বিরতি স্টেশন ঢাকা থেকে (৭৩৫) তারাকান্দি থেকে (৭৩৬)
বিমান বন্দর ১১ঃ২৭ ২২ঃ১৫
গফরগাঁও ১৩ঃ০৩ ২০ঃ৫২
ময়মনসিংহ ১৩ঃ৫০ ১৯ঃ৫২
জামাল্পুর ১৫ঃ০০ ১৮ঃ৩০
সরিষাবাড়ী ১৬ঃ১৮ ১৭ঃ৩৭

অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে তারাকান্দি রুটিন সপ্তাহের সাত দিনই চলাচল করে এবং এর গড় দূরত্ব ২০৮ কিলোমিটার. এটি বাংলাদেশ রেলওয়ে এর একটি আন্তঃনগর ট্রেন. এই তিনটি পদযাত্রা শুরু ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে এবং শেষ যাত্রা তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত. ট্রেনটি ২০৮ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সময় লাগে ৬ ঘণ্টা ১৯ মিনিট. ট্রেনটির নাম্বার হচ্ছে ৭৩৫/৭৩৬. ট্রেনটিতে ননএসি, শোভন, শোভন চেয়ার বসার ব্যবস্থা রয়েছে এবং ট্রেনটির অপারেটিং গতি ৭৫ কিলোমিটার. এই ট্রেনের মোট সংখ্যা ১২ টি. আশারাখি তিনটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ এর মধ্যে পুরো তথ্য গুলো তুলে ধরেছি এখান থেকে পূর্ণাঙ্গ একটি ধারণা নিতে পারবেন.

ট্রেনের বগি ও সিট সংখ্যা (অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস)

অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেন যার বগি ও সিট সংখ্যা অনেক. অনেক যাত্রী রয়েছেন যারা ট্রেনের বগি ও সিট সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিতে চান. যারা জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা আজ এখানে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও সিট সংখ্যা সহ বিস্তারিত তথ্য সংযুক্ত করব. এই ট্রেনের বগি সংখ্যা রয়েছে ১২টি তারমধ্যে: একটি খাবার বগি রয়েছে ও একটি পাওয়ার বগি. খাবার বগিতে নামাজের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রেখেছেন ট্রেন কর্তৃপক্ষ এবং পাওয়ার তার বগিটিতে টেন এর মাঝামাঝি স্থানে অবশিষ্ট. তবে মালামাল পরিবহনের জন্য বড় স্টেশনগুলোতে কুলের ব্যবস্থা রয়েছে.

আন্তঃনগর ট্রেনের খাবার ব্যবস্থা

অগ্নিবীণা আন্তঃনগর ট্রেনটির রেল কর্তৃপক্ষ খাবার ব্যবস্থা রেখেছেন যাতে যাত্রীগণ দীর্ঘপথ যাত্রাকালে খেতে পারেন এবং নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে যাত্রা বলতে পারেন. আন্তঃনগর ট্রেনটির খাবারের গাড়ি সংযোজন করা থাকে. আর যে সমস্ত খাবার এখানে পাওয়া যায় তাদের একটি পূর্ণ তালিকা প্রদান করা হলো যেমন: বার্গার, স্যান্ডউইচ, পারুটি, চা-কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম,  চিকেন, কাবাব সিঙ্গারা, সমুচা নানা ধরনের কোন জাতীয় মিনারেল ওয়াটার ও কোমল জাতীয় পানি পাওয়া যায়. এছাড়াও রয়েছে দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন.

Related Articles

Back to top button