ট্রেন

তিস্তা এক্সপ্রেস (Tista Express) ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, বিরতি স্থান ও অনলাইন টিকিট

তিস্তা এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশের একটি বৃহৎ আন্তঃনগর যার ট্রেন নং 757 ও 708। এটি নিয়মিত ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেল স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে থাকেন। এটি দেখতে আন্তঃনগর ট্রেন। সপ্তাহে ছয়দিন সোমবার বাদে ঢাকা টু দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করেন। ঢাকা টু দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করে মানুষের একমাত্র যাতায়াতকারী ট্রেন। যাত্রাকালে ট্রেনটি ঢাকা থেকে রওনা হয়ে জয়দেবপুর রেল স্টেশন গফরগাঁও, ময়মনসিংহ, পিয়ারপুর, জামালপুর-মেলান্দহ ও ইসলামপুর দেওয়ানগঞ্জে পৌঁছায়।

এই আন্তঃনগর ট্রেনটির কমলাপুর থেকে সকাল 7 টা 30 মিনিটে দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেয় এবং 10 বছর থেকে 15 টায় কমলাপুর রেলস্টেশন উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আপনি যদি এটিএম এর বিস্তারিত তথ্য এবং সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, সাপ্তাহিক ছুটি, অনলাইন টিকিট কাটার পদ্ধতি ও বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেল এ প্রবেশ করে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ

তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি একটি আন্তঃনগর ট্রেন যেটি নিয়মিত ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ রেল স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে থাকেন। তবে ট্রেনটির আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে নিচে তাকান

  • পরিষেবা ধরন:               আন্তঃনগর
  • বর্তমান পরিচালক; বাংলাদেশ রেলওয়ে
  • যাত্রাপথশুরু:               কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
  • বিরতি: ৮টি
  • শেষ:                            দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশন
  • ভ্রমণ দূরত্ব:                    ১৭০ কিমি (১১০ মা) [১]
  • যাত্রার গড় সময়: ৫ ঘণ্টা ১৮ মিনিট
  • পরিষেবার হার:            সপ্তাহে ৬ দিন (সোমবার বন্ধ)
  • রেল নং:             ৭০৭−৭০৮
  • যাত্রাপথের সেবা শ্রেণী: তাপানুকুল স্লিপার, তাপানুকুল চেয়ার, শোভন চেয়ার
  • আসন বিন্যাস; আছে
  • ঘুমানোর ব্যবস্থা: আছে
  • খাদ্য সুবিধা:                    অন-বোর্ড
  • মালপত্রের সুবিধা: ওভারহেড রেক
  • কারিগরি ট্র্যাক গেজ: ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি)
  • ট্র্যাকের মালিক: বাংলাদেশ রেলওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ   ঢাকা

তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী

তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ রুটি নিয়মিত চলাচল করেন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে সময়সূচি অনুযায়ী 2020 সালের জানুয়ারী নিম্নোক্ত সময় কার্যকর হয়। তিনটি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে 7:30 এ ছাড়ে দেওয়ানগঞ্জ বাজারে 12:40 এ পৌছায় অপরদিকে ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে 15 টায় ত্যাগ করেন এবং কমলাপুর রেলস্টেশনে 20:25 গমন করেন।

ট্রেন নাম্বার উৎস স্থান ছাড়ার সময় পৌঁছানোর স্থান পৌঁছানোর সময় সাপ্তাহিক ছুটি

 

৭০৭ কমলাপুর ০৭:৩০ দেওয়ানগঞ্জ বাজার ১২:৪০ সোমবার
৭০৮ দেওয়ানগঞ্জ বাজার ১৫:০০ কমলাপুর ২০:২৫

তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা

তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের মূল্য তুলনামূলক কম। এই ট্রেনটি শোভন, সুলভ, শোভন চেয়ার ও প্রথম শিট কয়েক ধরনের আসনবিন্যাস রয়েছে। প্রত্যেকটি আসনের ভাড়া ভিন্ন ভিন্ন। তাই আপনি যে আসন করে আয় করতে চান এবং যাতায়াত করতে চান সেই আসনের নাম ও ভাড়ার তালিকা নিচে থেকে জেনে নিতে পারেন

১. আসন বিভাগ টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট)
২. সূলভ ৭০ টাকা
৩. শোভন ৯০ টাকা
৪. শোভন চেয়ার ১২৫ টাকা
৫. প্রথম সিট ১৮৫টাকা

ট্রেনটির যাত্রাবিরতির স্থান ও ভাড়ার তালিকা

ট্রেনটি যে সকল স্থানের ডান্স যাত্রা বিরতি প্রদান করেন এবং সেই সকল প্রতিষ্ঠান নাম এবং ভাড়ার তালিকা নিচে সারণিতে প্রদান করা হলো:

গন্তব্যস্থল শো: সাধারণ শো: চেয়ার ১ম সিট
বাহাদুরাবাদ ১৮০ ২১০ ২৮০
দেওয়ানগঞ্জ ১৭৫ ২০৫ ২৭৫
ইসলামপুর ১৬৫ ২০০ ২৬৫
মেলান্দহ ১৫৫ ১৮৫ ২৫০
জামালপুর ১৫০ ১৭৫ ২৩৫
ময়মনসিংহ ১১০ ১৩০ ১৭৫
গফরগাঁও ৮০ ৯৫ ১২৫

তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং বিরতি স্থান

তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ রুটি নিয়মিত চলাচল করার সময় বিভিন্ন স্থানে বিরোধী প্রদান করে থাকেন। সুতাং তিনটি কোন কোন স্থানে বিরোধী প্রদান করেন সেই সকল বিরোধী স্থানের নাম এবং কতটুকু সময় প্রদান করেন তা নিচে সারণিতে ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হলো.

বিরতি স্টেশন নাম ঢাকা থেকে (৭০৭) দেওয়ানগঞ্জ থেকে (৭০৮)
বিমানবন্দর ০৭:৫৭ ১৯:৪২
জয়দেবপুর ০৮:২৬
গফরগাঁও ০৯:২৮ ১৭:৫৭
ময়মনসিংহ ১০:২০ ১৭:০৭
পিয়ারপুর ১০:৫৫ ১৬:২৭
জামালপুর ১১:২৯ ১৫:৫২
মেলান্দহ বাজার
ইসলামপুর ১২:১৩ ১৫:১৩

তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ঠিকানা ও যোগাযোগ নাম্বার

যদি কোনো যাত্রী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ঠিকানা জানতে চান এবং ট্রেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান তাহলে নিচে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর প্রদান করা হলো।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন

  • ফোন নম্বর: ৯৩৫৮৬৩৪,৯৩৩১৮২২
  • মোবাইল নম্বর: ০১৭১১৬৯১৬১২

বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন

  • ফোন নম্বর: ৮৯২৪২৩৯
  • ওয়েবসাইট: railway.gov.bd

ট্রেনে মালামাল বহনে কুলির চাজ তালিকা

ট্রেনটিতে মালামাল বহনের জন্য অর্থাৎ স্টেশন থেকে বগিতে কিংবা বগি থেকে স্টেশনের বাইরে মালামাল বহনের জন্য কুলের ব্যবস্থা রয়েছে। মালামালের পরিমাণ অনুযায়ী তারা চাঁদ গ্রহণ করেন এবং বর্তমানে মালামালের চার্জের একটি তালিকা নিচে প্রদান করা হলো। তাছাড়াও দরকষাকষির মাধ্যমেও চার্জ নির্ধারিত হন।

লাগেজের পরিমাণ চার্জ (টাকা)
অনধিক ২৮ কেজি (১টি ব্যাগ) ৩০/-
অনধিক ২৮ কেজি (২টি ব্যাগ) ৪০/-
অনধিক ৩৭ কেজি (১টি ব্যাগ) ৪০/-
অনধিক ৩৭ কেজি (২টি ব্যাগ) ৫০/-
অনধিক ৫৬ কেজি (১টি ব্যাগ) ৬০/-
অনধিক ৫৬ কেজি (২টি ব্যাগ) ৮০/-

মালামাল পরিবহন

  • একজন শীতাতপ শ্রেণীর যাত্রী ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ৩৭.৫ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি এবং সুলভ ২য় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বিনা ভাড়ায় সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
  • অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তা লাগেজ হিসেবে তার নিজ গন্তব্যে নিতে পারেন। বড় স্টেশনগুলোতে লাগেজ বুকিংয়ের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
  • লাগেজ বহনের জন্য ট্রলির ব্যবস্থা আছে।
  • অসুস্থ ব্যাক্তিদের বহনের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা আছে

খাওয়ার ব্যবস্থা

এই আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাওয়ার ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে. সুতরাং ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি খাবারের কেবিন রেখেছেন যেখানে যাত্রীগণ সহজে খেতে পারবেন. তবে যে সমস্ত খাওয়ার এই ট্রেনের কেবিনে পাওয়া যায় তা হল: বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, পেটিস, রোল, পারুটি, চা-কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, চিকেন কাবাব, নানা ধরনের পানি ও মিনারেল ওয়াটার. সুতরাং এখান থেকে আপনি এছাড়াও আরও সুবিধা পাবেন দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন.

ট্রেনের টিকিট কাটার স্থান

আন্তঃনগর ট্রেনটির ট্রেনের টিকিট যেখান থেকে পাওয়া যাবে তার একটি বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:

  • দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে
  • টেনের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে (www.esheba.cnsbd.com)
  • *১৩১# নম্বরে ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যাবে.
  • টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে, তা যাত্রা ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে
  • তবে যাত্রা দশদিন পূর্ব থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দেশের যেকোন কম্পিউটারাইজড টিকিট কাউন্টারে এবং ওয়েবসাইটে.

ট্রেনের বগি সংখ্যা

আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব এই ট্রেনের মোট বগি সংখ্যা এবং কি কি বগি রয়েছে.

  • এই ট্রেনটিতে মোট বগি রয়েছে ১৬টি.
  • একটি খাবার বগি রয়েছে
  • একটি পাওয়ার কার বগি রয়েছে
  • ট্রেনটিতে খাবারের বগির মধ্যে নামাজের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ রয়েছে
  • এবং ট্রেনের মাঝামাঝি জায়গায় খাবারের বগিটি রয়েছে

অন্যান্য সুবিধাদি

  • আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে নামাজের জন্য ব্যবস্থা আছে
  • প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে কর্তব্যরত গার্ডের কাছে
  • প্রত্যেক বগিতে একজন করে গাইড থাকার ব্যবস্থা আছে। তবে তারা যাত্রীদের সেবা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
  • যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে জানালার পাশে এ্যালুমিনিয়ামের শাটার। ট্রেনে ভ্রমণকালে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন – ট্রেনের দরজা-জানালায় না বসা, ট্রেনের ছাদে না ওঠা, ইঞ্জিনে না চড়া। ঘনবসতি বা বস্তি এলাকাতে ট্রেন চলার সময় জানালার শাটার লাগিয়ে দেয়া।
  • এসি কেবিন ছাড়া শোভন বগিতে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটার সুবিধা রয়েছে। মোট বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হয়। স্ট্যান্ডিং টিকিটের মূল্য সিটিং টিকেটের সমান এবং সাথে সাধারণ টিকেটের মতই পণ্য নেয়া যায়।

পরিশেষে বলা যায় তিস্তা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা টু দেওয়ানগঞ্জ প্রতিবেশীর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং নিরাপদ যাতায়াতকারী ট্রেন যা প্রতিনিয়ত সপ্তাহে ছয়দিন চলাচল করে থাকেন। এইচএমটি ভাড়ার তালিকা, সময়সূচী, সাপ্তাহিক ছুটি, টিকিট কাটার পদ্ধতি, খাবারের ব্যবস্থা ও অন্যান্য সুবিধা ট্রেনের বগি সংখ্যা মালামাল পরিবহন এবং প্রতিষ্ঠানের নাম ও ভাড়ার তালিকা সহ বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন আপডেট তথ্য পেতে

Related Articles

Back to top button