পহেলা বৈশাখ 

পহেলা বৈশাখ ২০২৫ পান্তা ইলিশ ঐতিহ্য, পিক, পিকচার ও ইমেজ

পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ পান্তা ইলিশ এবং পহেলা বৈশাখের জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিচিত। এই দিন সকালে বাঙালি ভাষা গোষ্ঠী এর আয়োজন করে থাকি এবং ঘরের সংস্কৃতিতে সব জায়গায় পান্তা ইলিশের খাওয়ার এক্স পরে। আসুন আজ আমরা পান্তা ইলিশের সেই ঐতিহ্যবাহী বিশিষ্ট গুলো তুলে ধরব এবং পান্তা ইলিশ সম্বলিত সকল একে সংগ্রহ করতে পারবেন।

পান্তা ইলিশের উৎসাহ ও ঐতিহ্য

গ্রামের কৃষক সমাজের পান্তা ইলিশের ঐতিহ্য : প্রতিটি গ্রামের কৃষকরা রাতের বেঁচে যাওয়া ভাত পানি দিয়ে সংরক্ষণ করতেন এবং পরের দিন সকালে সেই ভাতগুলি লবণ কাঁচা মরিচ পেঁয়াজ দিয়ে খেতে ভালবাসতেন। এটি ছিল পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী খাবার।

ইলিশের সংযোগ ও জনপ্রিয়তা: ইলিশের জনপ্রিয়তা এবং ইলিশের মজাদার খাবার বিশেষ করে বোঝা যায় বাঙালির পয়লা বৈশাখের দিনে। এই দিনে প্রত্যেকটি চায় হাতের সঙ্গে ভাজা ইলিশ মাছ এই খাবারটি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে খুবই জনপ্রিয় বাঙ্গালীদের মাঝে।

বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সামাজিক রীতি : বাঙালি ভাষা গোষ্ঠী নববর্ষ অর্থাৎ পহেলা বৈশাখের দিন ব্যবসায়িক হালখাতা বাড়ি গ আয়োজন মেলা উপলক্ষে পান্তা প্লিজ বাঁশের আয়োজন করে থাকেন। এই আয়োজনে কেউবা ইলিশের মূল্য নেই আবার কেউবা ফ্রি খাওয়ান। 

পান্তা ইলিশ তৈরির উপাদান এবং পরিবেশন পদ্ধতি ও উপকরণ

কিভাবে পান্তা ইলিশ তৈরি করা হয় এবং কি কি উপকরণ লাগে নিচের তালিকা থেকে সহজে জানতে পারবেন।

মূল উপকরণ:

  • পান্তা ভাত (একদিনের পুরনো ভাত পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা)
  • ভাজা ইলিশ মাছ
  • পেঁয়াজ কুচি
  • কাঁচা মরিচ
  • সরিষার তেল
  • লবণ ও লেবু
  • বেগুন ভর্তা, আলু ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা ইত্যাদি সাথে পরিবেশন করা হয়।

পহেলা বৈশাখের পান্তা ইলিশের পিক

পহেলা বৈশাখের পান্তা ইলিশের পিকচার

পহেলা বৈশাখের পান্তা ইলিশের

নববর্ষের পান্তা ইলিশের পিক

নববর্ষের পান্তা ইলিশের পিকচার

বৈশাখের পান্তা ইলিশের পিক

পহেলা বৈশাখের পান্তা ইলিশের ছবি

পহেলা বৈশাখের বৈশিষ্ট্য

পহেলা বৈশাখ বাঙালি ভাষাভাষীগণ বা বাংলা ভাষা গোষ্ঠীর জনগণ অত্যান্ত সাদাসিধ ভাবে পাঞ্জাবী পায়জামা পরে জনগোষ্ঠীর আকার ধারণ করে পালন করেছে। যেমন :

পহেলা বৈশাখের দিনে মানুষ নতুন জামা পরে, মেলায় ঘোরাফেরা করে, সংস্কৃতি অনুষ্ঠান আয়োজন করে এবং দেখে খাওয়া দাওয়া পান্তা ভাতের আয়োজন এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

বাঙালি ভাষা গোষ্ঠীর ঐতিহ্য সংস্কৃতির সকল ধরনের এই দিনই উদযাপন করা হয়ে থাকে।

. মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা

  • পয়লা বৈশাখের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় এবং পহেলা বৈশাখের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।
  • পহেলা বৈশা ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু করা হয় এবং বিভিন্ন বর্ণের মুখোশ, পুতুল, হাতি ঘোড়ার প্রত্যেকটি ব্যানার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • পহেলা বৈশাখ কে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে এবং সাংস্কৃত ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি প্রদান করে।

. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়

  • পহেলা বৈশাখের দিন সকালবেলা রমনার বট বলে এর ঐতিহ্যবাহী পরিবেশন এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
  • রবীন্দ্র সংগীত লোকসংগীত বাউল গান জারি সারি গান নাটক নিত্য পরিবেশন করা হয়ে থাকে।
  • এই দিনে টেলিভিশন রেডিওতে দিনব্যাপী বিশেষ পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়ে থাকে।

. বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়

  • পয়লা বৈশাখের দিন শহর গ্রামে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয় যেখানে মাটির খেলনা, পুতুল, লোকজ সামগ্রী সহ বিভিন্ন ধরনের পহেলা বৈশাখের উপকরণ পাওয়া যায়।
  • পয়লা বৈশাখের দিন মেলায় নাগরদোলা, পুতুল নাচ, সার্কাস লাঠি খেলা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়েছে।
  • মেলায় জনগোষ্ঠীর দ্বারা পিঠাপুলি মিষ্টি দেশে খাবারের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

. পান্তা ভাত ইলিশ খাওয়ার আয়োজন

এই দিনে পহেলা বৈশাখের প্রধান আকর্ষণ পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ আলুর ভর্তা আর ওর সবজি সবই বিবর্ণ খাবার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

. নতুন পোশাক পরিধান করা হয়

  • এই দিনে সকল বাঙ্গালীর মধ্যে ধানের করা যায় এবং লাল সাদা রংয়ের পোশাক পরিধান করে।
  • মেয়েরা সাদা শাড়ি লাল কাপড় এবং কপালের টিপ পরে এবং ছেলেরা সাদা পাঞ্জাবি ফতুয়া পরে উৎসবের আয়োজন করে থাকে।

. হালখাতার আয়োজন করা হয়

  • পহেলা বৈশাখের দিন ব্যবসায়ীরা পুরাতন হিসেব বন্ধ করার জন্য পুরাতন বকেয়াকে হিসাব খোলার জন্য হালখাতার আয়োজন করে থাকে।
  • পহেলা বৈশাখের দিন দোকানে দোকানে ক্রেতাদের মিষ্টি বিতরণ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
  • এই দিনে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের সূচনার প্রতি হিসাব উদযাপন করে।

. গ্রামীণ খেলাধুলা বিনোদনের আয়োজন

পয়লা বৈশাখের দিনে গ্রামের গরুর দৌড, নৌকা বাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তি মোরগ লড়াই বশির খেলা সবই খেলার আয়োজন করে উৎসবমুখর ভাবে দিনটি পালন করা হয় তাকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button