২১(একুশে) ফেব্রুয়ারি কবিতা 2025 | মাতৃভাষা দিবসের কবিতা
একুশে ফেব্রুয়ারীর কবিতা এখন উপলব্ধ: একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির মাতৃভাষা দিবস এবং একুশে ওমর দিবস। একুশে ওমর দিবস প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের 21 তারিখে পালন করা হয়। এই দিবসটি বাঙালি জাতির জীবনে একটি গৌরবময় দিবস। বাংলা ভাষা কে অক্ষুন্ন রাখতে বাঙালি জাতি পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে যুদ্ধ করে নিজের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেন। আর মাতৃভাষাকে রক্ষা করার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সম্মানে তাদের স্মৃতির মাগফেরাত কামনা করার জন্য প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়ে থাকে।
আসুন একুশে ফেব্রুয়ারি দিবস অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ করার জন্য এবং শহীদদের মাত্রা কেমন করার জন্য আমরা কবিতার সাথে সাথে একুশে ফেব্রুয়ারিকে উদযাপন করে এবং কবিতার মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের মনে একুশে ফেব্রুয়ারির জাগ্রন গড়ে তুলি। কবিতার মাধ্যমে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক ভাবে জানান জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। তাই একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান কবিতা সংযুক্ত করা হলো।
আরো পড়ুন: ২১ শে ফেব্রুয়ারি উক্তি
আরো পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি বাণী, ছন্দ ও স্লোগান
আরো পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি উক্তি, শুভেচ্ছা, মেসেজ, এসএমএস, বার্তা, ও ফেসবুক স্ট্যাটাস
আরো পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি পোস্টার ডিজাইন ও ব্যানার ডিজাইন 2023 এইচডি ডাউনলোড
আরো পড়ুন: ২১ শে ফেব্রুয়ারি ছবি আঁকা
আরো পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি বাণী
আরো পড়ুন: অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ছবি
আরো পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারির পোস্টার ব্যাকগ্রাউন্ড
মাতৃভাষা দিবসের কবিতা
নিজের মায়ের ভাষাকে রক্ষা করার জন্য বাঙালিরা যুদ্ধ করে মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছিল সেই মাতৃভাষাকে উপলক্ষ করে অনেক কবি কবিতা লিখেছেন। আমরা সেই সকল কবিতা পড়ে এবং লিখে তাদের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখি। সুতরাং এই সকল মাতৃভাষার কবিতা এখান থেকে সহজেই করতে পারবেন এবং সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করতে পারবেন
মনে পড়ে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারী, লাখো বাঙালির কাতর চিত্তে করুন আহাজারি. একুশ তুমি বাংলার মানুষের হৃদয় ভরা আশা, তোমার কারণে পেয়েছি আজ কাঙ্খিত মাতৃভাষা. রক্ত ঝরালো সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার, বায়ান্নর সেই করুন কাহিনী মনে পড়ে বারবার. স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে সেই বিষন্ন দিনের কথা, যত ভাবি ততই যেন মনে পাই বড় ব্যথা. প্রতিবাদে মুখর দৃঢ় চিত্তে বাংলার দামাল ছেলে, আরো আছে কত শ্রমিক, যুবক, নারী, কৃষক ও জেলে. অবশেষে দাবি মেনে নিতে বাধ্য হলো সরকার, বাঙালিরা পেল মাতৃভাষার সোনালী দিবাকর. রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি আজ কাঙ্খিত মাতৃভাষা, একুশ তুমি চির অমর তুমি আমাদের ভালবাসা…
সেতো
মিবুলি প্রাণের প্রিয় আমি
যে ভাষাতে প্রাণঘাতী হতে চেয়েছি
সবার সুখের তৃষ্ণা মিঠালো
সেই মধুর
ভাষা বাংলা ভাষা
সেলোগান মুখের পছন্দের
যে ভাষাতে সলোগানের ভাষা সে ভাষা
সে ভাষা কোন দূলা আজকে
তারা বাঁধা ভঙ্গ করে ধারা
হায়জন গর্জন লঙ্গিয়ে দেয়।
হুংকারে হয় ধনি পুষ্প ধনি
রাষ্ট্র ভাষা
বাংলা চাই
ভাষা সেতো রক্তে ভেজা ২১শের দুপুর
রক্ত! সেতো নতুন সূর্য
যে ভাষা লাগি দিয়া মতিয়া বাঙ্গালী জাতী
জ্বলে বেজে রক্তে বাঙ্গালী সাম্যের
গীতি আমাদের মানুষ অভাব রয়
ভাষা জয়।
একুশের কবিতা আবৃতি
বাংলা ভাষার জন্য যারা দিয়েছে প্রাণ
শহীদ হয়েছে তারা, অক্ষয় অমর অম্লান,
ভুলিনি আজো, তাদের রক্ত বৃথা যায়নি
স্মরণে তব শহীদ মিনার গড়েছি জানি।
বায়ান্ন সালের একুশের এমন এক দিনে
সালাম রফিক জব্বার আর কত কত জনে
মায়ের কোলে শহীদ হয়েছে ভাষার কারণে।
বিল ঝিল হাওড় নদী কলকল তানে
আমারে বাংলা ভাষায় সুখে দুঃখে ডাকে।
পাখির গানে ভোরের শিশিরে আকাশের চাঁদ
রাতের জোনাকী ফুল ফল, খুশি মানেনা বাধ
মায়ের হাসি সবুজ শ্যামলে ফসলের মাঠ
এইতো আমারই বাংলা ভাষার প্রথম পাঠ।
ভালবাসি বাংলা আর ভালবাসি ভাষা
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা ভাষা, মায়েরই ভাষা ।
শোন বিশ্ব, নাই এমন ইতিহাস আর নাই
কোন কালে বাংলা ভাষার নাই মৃত্যু নাই।
ছোটদের একুশের কবিতা
আগুন ঝরা ফাগুন দিনে মাতৃভাষা আনলো কিনে প্রাণের বিনিময়ে, রক্তস্রোত যায় যে বয়ে রয় ইতিহাস সাক্ষী হয়ে অপার এক বিস্ময়ে! এই কাহিনি কল্পনা নয় রূপকথারই গল্প ও নয় শুনতে কি চাও আরো? কৃষ্ণচূড়া রঙিন ডালে লাল হলো সেই রক্ত লালে নয় অজানা কারো। একে একে দিন বয়ে যায় বন্দি ইতিহাসের পাতায় সোনার সে নাম গুলো, হায় কী ছিল এই ললাটে ইতিহাসের সেই মলাটে জমছে দেখ ধূলো! এখন শুধু একুশ এলে সব মমতা উঠছে ঠেলে অন্যদিনে নয়, আপন ভাষা মাতৃভাষা জীবন দিয়ে ভালোবাসা এভাবে কি হয়? সময় যে আর নেইতো বেশি হতে হবে বাংলাদেশী তাই তোমাকে বলি, দেশকে এসো ভালোবাসি বাংলাভাষায় কাঁদি-হাসি স্বপ্ন দেখে চলি…।
জহিরের একুশে ফেব্রুয়ারি কবিতা
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে অনেক কবি মূল্যবান কবিতা লিখেছেন যা বাঙ্গালীদের হৃদয় কে স্পর্শ করে। আসুন এই সকল কবিতা এখান থেকে সংগ্রহ করে পরি এবং অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দেই।
জহিরের কথাগুলো দৈববাণী হয়।
আরেক ফাল্গুনে দেখো, জনতার স্রোত,
সত্যিই দ্বিগুণ হয় –
রাজপথে নেমে আসে, গলিত লাভার মত;
স্ফুলিঙ্গ অনল হয়ে দাবানল হয়।
বাংলার ঘরে ঘরে গাফফার গেয়ে উঠে,
আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো …….. একুশের গান।
আমাদের অন্তর্গত হৃদয়ের বাণী,
ছড়ায় সমগ্র বিশ্বে – গানে গানে, কবিতা কথায়।
সুদূর টরেন্টো হয়ে, চেরিদের বনে,
পৌছে যায় বাংলার প্রতিবাদী সুর।
ঝংকারে মথিত হয়, লাল রং ক্যাঙ্গারুর ভূমি।
মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধ, মাথা তোলে দেশে দেশে,
মায়ের ভাষার দাবী প্রতিষ্ঠিত করে।
শুন হে বরকত শুন, শুন হে সালাম,
তোমাদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হয় নাই।
তোমরা দিয়েছ প্রাণ, তাই –
আমরা মায়ের বোলে, কথা বলি, গান গেয়ে যাই।
একুশে ফেব্রুয়ারি কবিতা কার লেখা
একুশে ফেব্রুয়ারি আসবে বছর ঘুরে ছালাম বরকত রফিক জব্বার আসবে না তো ফিরে তারা- আসবে না তো ফিরে। বাংলা মায়ের জন্য তারা জীবন দিয়েছে রক্ত দিয়ে রাজপথ রাঙা করেছে সৃতির মাঝে আছে তারা থাকবে হৃদয় জুরে। তাদের জন্য পেয়েছি আজ মোদের বাংলা ভাষা স্বাধীন ভাবে পথ চলে যাই মিটাই মনের আশা রক্তভেজা তাদের সৃতি আজও মনে পরে। বাংলা ভাষায় বাংলা মায়ে ডকছে তোরা আয় রক্ত তোদের যায়নি বৃথা দেখবি বলে আয় সবাই আসে ওদের আসায় ওরা আসে না তো ফিরে।
অমর একুশ নিয়ে কবিতা
ও মা তোর মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়
ওই হায়ানার দল ।
আমার চৌদ্দ পুরুষ বাপ-দাদাদের আঁখড়ে ধরা
আপন বুলি কেমনে ভুলি বল ?
জারি –সারি-ভাটিয়ালী –নকশি কাঁথার গান
এসব আমার বাংলা ভাষার অমূল্য উপাদান।
মাগো ওরা কয়, উর্দু হইব দুই বাংলার কথা,
সয়নায় তোর সন্তানেরা এ অন্যায়ের ব্যাথা ।
ছাত্র-শিক্ষক,স্রমিক-মজুর উঠেছিল ফেঁপে
সারা বাংলা আন্দোলনে উঠেছিল কেঁপে ।
একতার মুঠো হাত – বিক্ষোভের স্বর
আকাশে –বাতাসে তোলে প্রতিবাদের ঝড় ।
জয় বাংলা, বাংলার জয়-
হবে হবে হবে –হবে নিশ্চয়
কোটি বাঙ্গালী একসাথে , জেগেছে অরুনপ্রাতে
মায়ের ভাষা রবে সুরক্ষিত –অক্ষয় ।
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই,রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই
সকলের প্রানে বাজে এক সুরের সানাই ।
থামবে না প্রতিবাদ চলবে লড়াই
ছাড়বনা নিজ মায়ের বুলি –মরে হবো ছাই ।
বজ্র মুষ্টি,জোর প্রতিবাদ চলে বারংবার
পাক পুলিশের গুলিতে মিছিলে উঠে হাহাকার,
লুটে পড়ে সালাম,বরকত,রফিক,জব্বার।
দিনটি ২১, মাস ফেব্রুয়ারী
আমার ভাইয়ের রক্ত মাখা শার্ট ভুলতে কি পারি ?
নাম নাজানা কত ভাষা শহীদ গন
ছিনিয়ে এনেছিল মাগো তোর চির আসন ।
বিশ্বের দরবারে আজ কত সম্মান,
মায়ের তরে রেখে গেলো যারা অবদান
তাদের জানাই সস্রদ্ধ কোটি কোটি সালাম।
একুশের কবিতা খুরশীদ আলমের
আজ সেই দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারি
– মোঃ খোরশেদ আলম
আজ ইতিহাসের সেই দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারি যেদিন ভাষার দাবিতে জড় হয়েছিল শহরের অলিগলি থেকে ছুটে আসা এক ঝাঁক তরুণ ছাত্র জনতা । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ছাত্র জনতার জোড়াল মিছিল, ব্যানার, পোষ্টার, প্রতিবাদী চিৎকারে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই ধ্বনির প্রতিধ্বনিতে কেঁপে উঠেছিল ঢাকার শহর, আজ সেই দিন। আজ ইতিহাসের সেই দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারি যেদিন তরুণ, নবীন, প্রবীণ মানেনি বর্বরতার আইন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আফিস আদালত সরকারী বেসরকারি সকল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান , রাজ পথে নেমে এসেছিল হাজারো সাধারণ জনতা ভঙ্গ করে পাকিস্তানের ১৪৪ ধারা । আজ ইতিহাসের সেই দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারি যেদিন বাঙালী স্তব্দ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের বর্বর ব্যবহারে ভাষা সৈনিকের রক্তে লাল হয়েছিল রাজ পথ আমরা হারিয়েছি আমাদের সংগ্রামী ভাই রফিক শফিক সালাম বরকত জব্বার নাম না জানা কত গুলো তাজা প্রাণ । আজ ইতিহাসের সেই দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারি যেদিনটিতে আমরা শ্রদ্ধা জানাই তাঁদের , যাদের কারণে পেয়েছি আমাদের অর্জিত ভাষা, মায়ের ভাষা, নবজাতক শিশুর ভাষা, আমার ভাষা বাংলা ভাষা , আজ সেই দিন, আজ ইতিহাসের সেই দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারি ।
একুশে ফেব্রুয়ারি কবিতা আবৃতি
একুশ মানে আশার আলো
হাসি মুখে জীবন দিলো।
একটি ফুলের জন্য।
একুশ হলো স্বাধীনতার।
বিশ্ব বাসীর মানবতার ।
বাংলা হলো ধন্য ।
একুশ এলো স্মৃতির কথায়।
বাংলা মায়ের বুকের ব্যথায়
শহীদ দিবসে গণ্য।
একুশ আসে জীবন থেকে,
মাতৃভাষার মর্যাদা রেখে।
একুশ নয়তো পণ্য।
একুশ ডাকে আপন করে
রফিক, বরকত ভাইকে ধরে
দূর করে শত্রুর অরগ্য
একুশের সেরা কবিতা
একুশ, একুশ শত একুশ
অনেক একুশ পাই
ফেব্রুয়ারীর একুশের মত
কোনো একুশ নাই
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই,
একুশের মিছিলে খুঁজে যে পাই
বুকের ভেতর কোনো ভয় নাই,
শহীদ হলেন হাজারো ভাই ।
মিছিলে মিছিলে ভরেছে ঢাকা
শহীদ ভাষা ভাইয়ের রক্তে আঁকা।
ভাষা যে সোনার হরিণে লেখা
এই ভাষাতে জীবন দিতে শেখা
লালে লাল রাজ পথ
বুলেট বৃদ্ধ ভাই পরে আছে।
তাদের জীবন অমর হোক’
যেনো, তারা এই মনেতে সারা জনম বাঁচে।
একুশের কবিতা আশরাফ সিদ্দিকী
পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিলো।। কবেকার পাঠশালায় পড়া মন্ত্রে মতো সেই সুর সুর নয় স্মৃতির মধুভান্ডা... সেই আমার দেশ-মাঠ-নদী-- আমার দেশের জারি সারি ভাটিয়ালি মুর্শিদি আরও কত সুরের সাথে মিশে আছে আমার মায়ের মুখ আমার মায়ের গাওয়া কত না গানের কলি ! বিন্নিধানের মাঠের ধরে হঠাৎ কয়েকটি গুলির আওয়াজ... কয়েকটি পাখির গান শেষ না হতেই তারা ঝরে গেলো পড়ে গেলো মাটিতে সেই শোকে কালবৈশাখীর ঝড় উঠলো আকাশে মাঠ কাঁপলো ঘাট কাঁপলো বাট কাঁপলো হাট কাঁপলো বন কাঁপলো মন কাঁপলো ইতিহাস থমকে দাঁড়িয়ে লিখে নিলো সব... তাই তো সহস্ত্র পাখির কলতানে আজ দিগন্ত মুখর তাই তো আজ দ্যাখো এ মিছিলে এসে দাঁড়িয়েছেন আমার মা যিনি বাংলা ভাষায় কথা বলতে বড়ো ভালোবাসেন কথায় কথায় কথকতা কতো রূপকথা আর ছড়াবো ছন্দে মিষ্টি সুরের ফুল ছড়ানো যিনি এখনো এ মিছিলে গুন গুন করে গাইতে পারেন পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল। কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিলো।। রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে। শিশুগণ দেয় মন নিজ পাঠে।।
একুশের কবিতা খুরশীদ আলমের
কুশ আমার মাতৃভূমি
লাল সবুজের স্বাধীন পতাকা,
একুশ আমার বীর-বাঙালির
বাংলা ভাষার মুক্ত কবিতা।
একুশ আমার মায়ের মুখে-
শেখা বুলি; প্রথম বর্ণস্বর,
একুশ আমার মায়ের বুকে
ফিরে যাওয়া আনন্দমুখর।
একুশ আমার ন্যায় অধিকার
নীতি কথার মুক্ত বিচরণ,
একুশ আমার সবুজ ব্যানার
রক্তে রাঙা শহিদী-স্মরণ।
একুশ আমার প্রিয়ার খোঁপায়
গুজিয়ে দেওয়া রাঙা কুসুম,
একুশ আমার মায়ের দু-পা’য়
বুঝিয়ে দেওয়া শক্তি বিষম।
একুশ এলে বিভীষিকাময় রাজপথ
নিত্য নতুন আন্দোলনের স্বপ্ন দেখা,
একুশ এলে রফিক সালাম বরকত
এদের নামে নিত্য নতুন কাব্য লেখা।
একুশের কবিতা – আল মাহমুদ
ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ দুপুর বেলার অক্ত বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায় ? বরকতের রক্ত। হাজার যুগের সূর্যতাপে জ্বলবে এমন লাল যে, সেই লোহিতেই লাল হয়েছে কৃষ্ণচূড়ার ডাল যে ! প্রভাতফেরীর মিছিল যাবে ছড়াও ফুলের বন্যা বিষাদগীতি গাইছে পথে তিতুমীরের কন্যা। চিনতে না কি সোনার ছেলে ক্ষুদিরামকে চিনতে ? রুদ্ধশ্বাসে প্রাণ দিলো যে মুক্ত বাতাস কিনতে ? পাহাড়তলীর মরণ চূড়ায় ঝাঁপ দিল যে অগ্নি, ফেব্রুয়ারির শোকের বসন পরলো তারই ভগ্নী। প্রভাতফেরী, প্রভাতফেরী আমায় নেবে সঙ্গে, বাংলা আমার বচন, আমি জন্মেছি এই বঙ্গে।
অমর একুশ
অমর একুশের আরো কিছু কবিতা রয়েছে ।একুশ মানে ভাষার সাথে শব্দগুলোকে জড়িত, একুশ মানে গরমের দিন, একুশ মানে স্মৃতি বিস্মৃত দিন, একুশ মানে আত্মার মাগফেরাত দিন আসুন আমরা কবিতার মাধ্যমে তা উপলব্ধি করি।
একুশ, একুশ শত একুশ অনেক একুশ পাই ফেব্রুয়ারীর একুশের মত কোনো একুশ নাই রাষ্ট্রভাষা; বাংলা চাই, একুশের মিছি’লে খুঁজে যে পাই বুকের ভেতর কোনো ভ’য় নাই, শহী’দ হলেন হাজারো ভাই । মিছি’লে মিছি’লে ভরেছে ঢাকা শহী’দ ভাষা ভাইয়ের র’ক্তে আঁকা। ভাষা যে সোনার হরিণে লেখা এই ভাষাতে জীবন দিতে শেখা লালে লাল’ রাজ পথ বুলে’ট বৃদ্ধ ভাই পরে আছে। তাদের জীবন অমর হোক’ যেনো, তারা এই মনেতে সারা জনম বাঁচে।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ছড়া
প্রিয় পাঠক আসসালামুয়ালাইকুম, আজ আমরা আপনাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই কারণ এই দিনে রফিক শফিক জব্বার সালাম বরকত সহ আরো অনেকে ভাষাসৈনিক নিজের বুকের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষাকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিল। সেই সব সাহিত্যের মধ্যে কামনা করি এবং স্মরণ করি একুশে ফেব্রুয়ারির ছড়ার মাধ্যমে। আসুন নিম্নের ছড়াগুলো পড়ি এবং শহীদদের উপলব্ধি করি.
সবার মাথার তাজ
শরিফ আহমাদ
রাতের শেষে ভোর হয়েছে
আলোকিত দোর হয়েছে
ফুল ফুটেছে ওই ,
পাখ-পাখালি আনন্দে হইচই ।
শহীদ মিনার ছেয়ে আছে
হলুদ গাঁদা ফুলে
আজ ছুটে যায় ছেলে-মেয়ে
ইশকুলে- ইশকুলে ।
বাংলা ভাষার গান শোনা যায়
ভাটিয়ালি টান শোনা যায়
ভালো লাগে খুব,
চারপাশে হয় ঝলমলানো রূপ ।
ফেব্রুয়ারীর একুশ তারিখ
ভাষা দিবস আজ
রফিক সালাম বরকতেরা
সবার মাথার তাজ ।
ছোটদের একুশে ফেব্রুয়ারির কবিতা
ছোট বাচ্চাদের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারীর কবিতা রয়েছে। আপনি আপনার সন্তানদের এসকল কবিতা শোনাতে পারেন এবং একুশে ফেব্রুয়ারির গুরুত্ব বোঝাতে পারেন। ছোট কবিতার মাধ্যমে বাচ্চারা একুশে ফেব্রুয়ারি নাম জানবে এবং আস্তে আস্তে একুশে ফেব্রুয়ারির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবে।
ইতিহাসের পোকা
শরিফ আহমাদ
একুশ এলো মনের ভেতর
দিচ্ছে উঁকি কারা?
তারা–
ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে যারা ।
ওরা ছিল খুব সাহসী
মায়ের বুকের গর্ব
খর্ব–
হয় না যেন ওদের বিজয় পর্ব ।
ইতিহাসের পোকা হয়ে
সবাই রেখো খেয়াল
দেয়াল–
গড়তে হবে রুখতে শকুন শেয়াল ।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা কবিতা
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে একটি বাংলা কবিতা এখানে সংযুক্ত করা হলো। আপনি এই কবিতাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে 21 ফেব্রুয়ারিকে উপলব্ধি করতে পারবেন। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা এবং বাংলায় কবিতা বলতে আমাদের মধুর লাগে।
বাংলা ভাষা
শরিফ আহমাদ
ইংরেজি আজ শিখতে হবে
এটাই বিশ্বে চলে
মানুষ কথা বলে ।
আরবী ভাষা শিখতে হবে
কুরআন জানার জন্য
করতে জীবন ধন্য ।
উর্দু-ফার্সি জানা ভালো
হবে অনেক ফায়দা
জ্ঞানী হওয়ার কায়দা ।
কিন্তু আমার বাংলা ভাষা
জন্মসূত্রে পাওয়া
সুখ নদীতে নাওয়া ।
বাংলা ভাষায় তৃপ্তি আছে
যেন মধু মাখা
বুকের ভেতর রাখা ।
আরো পড়ুন: আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আরো পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি শুভেচ্ছা ব্যানার
আরো পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারীর পিক
আরো পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারির পোস্টার
আরো পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের ছবি
আরো পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি ব্যানার