তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, টিকিটের মূল্য, বিরতি স্থান ও সাপ্তাহিক ছুটি

বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা টু চট্টগ্রাম তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা ও বিস্তারিত এখানে উপলব্ধ: তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেসের বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিষেবার একটি আন্তঃনগর ট্রেন যা রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচল করে. এটি বাংলাদেশে দ্রুত ও বিলাসবহুল ট্রেন গুলোর মধ্যে একটি. এই ট্রেনটি রাতে চলাচল করে. তূর্ণা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটির প্রতিরাতে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং পরের দিন ভোর ছয়টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছান. আন্তঃনগর ট্রেনটির নাম নাম্বার ৭৪১/৭৪২ যার যাত্রার গড় সময় পৌনে ৭ ঘন্টা. আবার অপরদিকে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং ঢাকা রেল স্টেশনে পৌঁছান. সময় লাগে 7 ঘণ্টা এবং রেলপথে যাত্রার দূরত্ব ২৪৫ কিলোমিটার বা ১৫২.০২ মাইল.
আজ আমরা জানব তূর্ণা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটির সময়সূচি, ভাড়ার তালিকা, টিকিটের মূল্য, বিরতি স্থান ও সাপ্তাহিক ছুটি. আপনি যদি একজন নিয়মিত ট্রেন ভ্রমণকারী হয়ে থাকেন তাহলে এগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা আপনার জন্য খুবই জরুরী. সুতরাং আজ আমরা এই ট্রেনটির বিস্তারিত তথ্য এখানে সংযুক্ত করব নিচে থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন.
তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি একটি আন্তঃনগর ট্রেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়. এই ট্রেনটি প্রতিদিন রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন চলাচল করে. এই তিনটি প্রথম যাত্রা শুরু করেন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে এবং শেষ করেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন. যার গড় দূরত্ব ভ্রমণ ৩৪৬ কিলোমিটার বা ২১৫ মাইল এবং সময় লাগে ৬ ঘণ্টা ৫০ মিনিট. ট্রেনটি প্রতিদিন পরিষেবা প্রদান করে থাকেন, যার ট্রেন নাম্বার হচ্ছে ৭৪১/৭৪২. ট্রেনটি এসি সিট, নন এসি সিট ও শোভন চেয়ার রয়েছে. তাছাড়া আরও সুবিধা রয়েছে আসনবিন্যাস ব্যবস্থা, ঘুমানোর ব্যবস্থা, খাদ্য সরবরাহের সুবিধা এবং অপারেটিং গতি ৭৬ কিলোমিটার ঘন্টা.
তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা সময়সূচী
তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় রাত ১১.৩০ মিনিটে এবং চট্টগ্রামে পৌঁছেছে সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে. আবার অপরদিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় প্রতিদিন রাত ১১.০০টায় এবং ঢাকায় পৌঁছে সকাল ০৫:২৫ মিনিটে.
গন্তব্যস্থান | ট্রেন যাত্রার সময় | ট্রেন পৌছানোর সময় |
ঢাকা টু চট্রগ্রাম | রাতঃ ১১.৩০ | সকালঃ ৬.২০ |
চট্রগ্রাম টু ঢাকা | রাতঃ ১১.০০ | সকালঃ০৫.২৫ |
তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি
তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেন সপ্তাহে ৭ দিন ঢাকা টু চট্টগ্রাম চলাচল করে থাকেন এবং এর কোন সাপ্তাহিক ছুটির দিন নাই.
তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্থান
তুম এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন. ট্রেনটি যাত্রাকালে বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে বিরতি প্রদান করেন. আর এই সকল বিরতি স্টেশনের নাম ও সময়সূচী সারণিতে ধারাবাহিকভাবে প্রদান করা হল. সুতরাং এখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন.
বিরতি স্টেশন | চট্রগ্রাম থেকে (৭৪১) | ঢাকা থেকে (৭৪২) |
ফেনী | ০০ঃ২৯ | ০৪ঃ৩৫ |
লাকসাম | ০১ঃ১৭ | ০৩ঃ৫১ |
কুমিল্লা | ০১ঃ৪৫ | ০৩ঃ২০ |
আখাউড়া | ০২ঃ৪০ | ০২ঃ১৫ |
বি-বাড়িয়া | ০৩;০২ | ০১ঃ৪০ |
ভৈরব বাজার | ০৩ঃ২৭ | ০১ঃ১৫ |
বিমান বন্দর | ০৪ঃ৩৯ | ২৩ঃ৫৭ |
তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি সংখ্যা
আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব এই ট্রেনের মোট বগি সংখ্যা এবং কি কি বগি রয়েছে.
- এই ট্রেনটিতে মোট বগি রয়েছে ১৬টি.
- একটি খাবার বগি রয়েছে
- একটি পাওয়ার কার বগি রয়েছে
- ট্রেনটিতে খাবারের বগির মধ্যে নামাজের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ রয়েছে
- এবং ট্রেনের মাঝামাঝি জায়গায় খাবারের বগিটি রয়েছে
তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভাড়া অন্যান্য দিনের তুলনায় কম এবং এই ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি ভাড়া নির্ধারণ করেছেন. আপনি যদি ট্রেনের টিকিটের মূল্য এবং প্রতি আসনের ভাড়া জানতে চান তাহলে নিচে টেবিলে থেকে জানতে পারবেন. তবেই দুন এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের করার জন্য কাউন্টারের অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই করতে পারবেন. এই ট্রেনের চারটি আসন রয়েছে যেমন: শোভন চেয়ার প্রথম বার্থ, স্নিকধা এবং এসি বার্থ. প্রতিটা আসনের মূল্য নিচে প্রদান করা হলো এখান থেকে জেনে নিন.
আসন নাম | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার | ৩৬৫/= (টাকা) |
প্রথম বার্থ | ৭৫৫/= (টাকা) |
স্নিগ্ধা | ৬৭৬/= (টাকা) |
এসি বার্থ | ১২৪৯/= (টাকা) |
তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের অন্যান্য গন্তব্যস্থান ভাড়ার তালিকা
এই ট্রেনটি নিয়মিত ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করেন এবং নিম্ন গন্তব্য স্থল গুলোর ভাড়ার তালিকা প্রদান করা হলো, এখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন.
তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের খাওয়ার ব্যবস্থা
এই আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাওয়ার ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে. সুতরাং ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি খাবারের কেবিন রেখেছেন যেখানে যাত্রীগণ সহজে খেতে পারবেন. তবে যে সমস্ত খাওয়ার এই ট্রেনের কেবিনে পাওয়া যায় তা হল: বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, পেটিস, রোল, পারুটি, চা-কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, চিকেন কাবাব, নানা ধরনের পানি ও মিনারেল ওয়াটার. সুতরাং এখান থেকে আপনি এছাড়াও আরও সুবিধা পাবেন দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন.
তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের টিকিট কাটার স্থান
আন্তঃনগর ট্রেনটির ট্রেনের টিকিট যেখান থেকে পাওয়া যাবে তার একটি বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
- দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে
- টেনের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে (www.esheba.cnsbd.com)
- *১৩১# নম্বরে ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যাবে.
- টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে, তা যাত্রা ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে
- তবে যাত্রা দশদিন পূর্ব থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দেশের যেকোন কম্পিউটারাইজড টিকিট কাউন্টারে এবং ওয়েবসাইটে.
উপসংহারে বলা যায় এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী সকল ছাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় ট্রেন যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী ট্রেনের এর মাধ্যমে গন্তব্যস্থানে যাত্রা করেন এবং এই ট্রেনের মধ্যে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে. ট্রেনটি সময়মতো গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং বিভিন্ন স্টেশনে বিরতি প্রদান করেন. সুতরাং অনেক নতুন এবং পুরাতন যাত্রী রয়েছেন যারা এই ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, বিরতি স্থান, সাপ্তাহিক ছুটি ও টিকিটের মূল্য সম্পর্কে সঠিক জানেন না. সুতরাং আজ আমরা সেই সমস্ত যাত্রীদের সুবিধার্থে সকল তথ্য এখানে সংযুক্ত করেছি যাতে যাত্রীগণ সহজেই সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন এবং নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে এই ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করতে পারেন.