অনলাইন

পাসপোর্ট অফিসের হেল্প লাইন নাম্বার, ফোন নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, ঠিকানা ও পাসপোর্ট ফি

আপনি যদি বাংলাদেশে নাগরিক হয়ে থাকেন এবং পাসপোর্ট অফিসের হেল্প লাইন নাম্বার ইমেইল ঠিকানা ও যোগাযোগ থেকে না অনুসন্ধান করে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গায় রয়েছেন এবং এই পোস্টটি আপনার জন্য প্রযোজ্য। আজ আমরা বাংলাদেশী নাগরিকদের সুবিধার্থে এবং সঠিকভাবে পাসপোর্ট করার লক্ষে পাসপোর্ট অফিসের খবর নেওয়ার জন্য সকল প্রকার হেল্পলাইন নাম্বার ঠিকানা ইমেইল এড্রেস বিস্তারিত তথ্য আপনাদের অবগত করব।

পাসপোর্ট হচ্ছে এক ধরনের ভ্রমণ নথি, যা সাধারণত একটি দেশের সরকার কর্তৃক জারি করা হয়ে থাকে। সাধারণত এইটে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সময় বাহকের জাতীয়তাবাদ পরিচয় হিসেবে কাজ করে। পাসপোর্ট এর বহুৎ প্রকার কাজ রয়েছে। আপনি যদি বিদেশে ভ্রমণ অথবা যেকোনো কাজে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এর মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রদান করে থাকেন। যারা যে কোন প্রকার হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য পাসপোর্ট অফিসের হটলাইন নাম্বার, হেল্পলাইন নাম্বার, ফোন নাম্বার, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস ও যোগাযোগের ঠিকানা অনুসন্ধান করছেন তাদের জন্য নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

পাসপোর্ট কি?

স্পোর্ট বলতে বুঝায় এক ধরনের ভ্রমণ নথি যা একটি দৃশ্যের সরকার কর্তৃক প্রদান করা হয়। সাধারণত এইটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সময় বাহকের জাতীয়তা ও পরিচয় পত্র হিসেবে কাজ করেন। একটি পাসপোর্টে সাধারণত বাহকের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ ও স্থান ছবি স্বাক্ষর ও অন্যান্য সকল তথ্য সংযুক্ত থাকে।

পাসপোর্ট সম্পর্কে তথ্য

সাধারণত পাসপোর্ট বলতে বোঝায় একেক ধরনের ভ্রমণ নথি, যা একটি দেশের সরকার কর্তৃক নাগরিককে প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে পাসপোর্ট আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সময় বাহকের জাতীয়তা পরিচয়পত্র হিসেবে কাজ করে থাকেন। একটি পাসপোর্টে নাগরিকের নাম পিতার নাম মাতার নাম জন্ম তারিখসহ বিস্তারিত তথ্য সংযোজন থাকে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ৬০টি দেশ বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট প্রচলন করেন এবং ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ৯৬ পাসপোর্ট চালু করেন। মধ্যযুগীয় ইসলামী খেলাফতের সময় শুল্ক প্রদানের ছিল এক ধরনের পাসপোর্ট. যারা যাকাত ও জিজিয়া কর প্রদান করত শুধু সেই সমস্ত মানুষ খেলাফতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারত. এইভাবে শুষ্ক প্রদানের রশিদ হিসাবে প্রমাণ কারীদের পাসপোর্ট চালু ছিল. প্রথম পাসপোর্ট চালু হয় ১৮৬৬ সালে জাপানি.

বাংলাদেশ পাসপোর্ট সম্পর্কে

বাংলাদেশী পাসপোর্ট বলতে বুঝায় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃক আই সি এ ও অনুগামী  ও মেশিন রিডেবল এবং বায়োমেট্রিক ই-পাসপোর্ট পাসপোর্টধারীদের দ্বারা বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এটি পরিচয় বহনকারী হিসাবে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম দেশ বাংলাদেশ সমস্ত নাগরিকের জন্য ই-পাসপোর্ট চালু করেন। ই-পাসপোর্ট পত্রিকাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এর মাধ্যমে বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রদান করা হয়। ই-পাসপোর্টে বৈদ্যুতিক মাইক্রো-প্রসেসর সিপ সংযুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশি পাসপোর্টে 31 টি আলাদা সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যযুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশি যোগ্য নাগরিকরা এই পাসপোর্ট এর মাধ্যমে ইসরাইল ব্যতীত পৃথিবীর যেকোন দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। ই পাসপোর্ট করার সময় নাগরিকদের আঙুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, আইরিশ-স্ক্যান, মুখের রঙ্গিন ছবি এবং ডিজিটাল স্বাক্ষর সংরক্ষণ করা হয়। বাংলাদেশী ই-পাসপোর্ট নাগরিকদের বয়স অনুযায়ী পাঁচ বছর বা দশ বছর মেয়াদি করা হয়। বাংলাদেশী তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। যেমন: প্রথমটি হচ্ছে: লাল মলাট কূটনৈতিক পাসপোর্ট, দ্বিতীয়টি হচ্ছে: লীলা দাপ্তরিক পাসপোর্ট এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে: সবুজ নিয়মিত সাধারণ পাসপোর্ট। তবে পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা নম্বর দ্বিভাষিক বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ক্ষেত্রেই লেখা হয়.

  • প্রচলন শুরুর তারিখ: ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩
  • ১ এপ্রিল ২০১০: (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট)
  • ২২ জানুয়ারি ২০২০: (ই-পাসপোর্ট)
  • প্রদানকারী সংস্থা: বাংলাদেশ
  • ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর
  • প্রদানের যোগ্যতা: বাংলাদেশী নাগরিকত্ব
  • মেয়াদ : ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের জন্য ১০ বছর মেয়াদী।

১৮ বছরের কম বয়সী বা ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ৫ বছর মেয়াদী।

পাসপোর্ট এর প্রকারভেদ:

বাংলাদেশি যোগ্য নাগরিক দের কোন ধরনের পাসপোর্ট প্রদান করা হয় এবং বাংলাদেশ সরকার তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করেন। এগুলো হলো কূটনীতিক, দাপ্তরিক এবং সাধারণ পাসপোর্ট।

 সাধারণ পাসপোর্ট সবুজ মলাট )এটা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ নিয়মিত নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়। যেমন ছুটি, অধ্যয়ন, ব্যবসা ভ্রমণ ইত্যাদি।

দাপ্তরিক পাসপোর্ট, নীল মলাট) সরকারী কর্মচারী, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারী ব্যবসায়ের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের জারি করা হয়েছে।

কূটনৈতিক পাসপোর্ট লাল মলাট ) বাংলাদেশি কূটনীতিকদের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক কুরিয়ার জারি করা হয়।

পাসপোর্ট অফিসের হেল্প লাইন নাম্বার

আপনি কি পাসপোর্ট অফিসের হেল্প লাইন নাম্বার অনুশীলন করছেন?. পাসপোর্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বা পাসপোর্ট অফিস পাসপোর্ট সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য বা পাসপোর্ট সংক্রান্ত যেকোন তথ্য সংগ্রহের জন্য আপনি পাসপোর্ট অফিসের নাম্বারে কল দিতে পারেন. এজন্য আপনার পাসপোর্ট অফিসের হেল্প লাইন নাম্বার প্রয়োজন হবে. সুতরাং আপনি যদি পাসপোর্ট অফিসের নাম্বার চান তাহলে নিচের নাম্বারটিতে কল দিতে পারেন. তবে পাসপোর্ট অফিসে সকাল 10 টা থেকে চারটার মধ্যে কল দিতে হবে.

পাসপোর্ট অফিস হেল্প লাইন নাম্বার: ০২-৮১২৩৭৮৮

পাসপোর্ট অফিসের সদর দপ্তর ঠিকানা

বাংলাদেশের নাগরিক ছাড়া পাসপোর্ট অফিসের সদর দপ্তর থিকানা পেতে চান এবং যারা সদ্য তিরিশের ঠিকানা পাওয়ার জন্য তাদের জন্য নিচে পাসপোর্ট অফিসের সদর থানা প্রদান করা হলো। শুধু তাই নয় পাসপোর্ট অফিসের ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত করা হয়েছে যা আপনি যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতে পারবেন।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ঢাকা

ঠিকানা: ই-৭, আগারগাও সেরে-ই-বাংলা নগর, ঢাকা, বাংলাদেশ ১২০৭ ।

মোবাইল: ০১৭৩৩-৩৯৩৩২৩ ।

ইমেইল এড্রেস পাসপোর্ট অফিস

যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে পাসপোর্ট অফিসের একটি ইমেইল নাম্বার রয়েছে। সুতরাং আপনি যদি টেলিফোন নাম্বার ছাড়াও ইমেইল নাম্বার এর মাধ্যমেও যেকোনো তথ্য পাঠাতে বা সংগ্রহ করতে পারেন। আপনার যেকোন সমস্যা বিস্তারিত লিখে নিজের ইমেইল ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে পারেন। নিচের ইমেইল নাম্বারটি পাসপোর্ট অফিসের ইমেইল নাম্বার।

ইমেল ঠিকানা:  [email protected]

পাসপোর্ট হেড অফিসের ঠিকানা

আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হোন এবং পাসপোর্ট সংক্রান্ত কোন সমস্যা আঞ্চলিক অফিসে সমাধান না পান তাহলে আপনি হেড অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনি যেকোন সমস্যা লিখে হেড অফিসের ঠিকানা পত্র মারফত পাঠাতে পারেন।

ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট বিভাগ

7-ই আগারগাঁও

শেরে-ই-বাংলা নাগর

ঢাকা-1207, বাংলাদেশ

পাসপোর্ট অফিসের হটলাইন নাম্বার গুলি

পাসপোর্ট অফিসের আরো কিছু হট লাইন নাম্বার হয়েছে. আপনি যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্যে নিচের নাম্বার গুলো তে কল দিতে পারেন. যারা এখনো জানেন না যে পাসপোর্ট অফিসের হটলাইন নাম্বার কি তারা নিচের এই নাম্বার গুলো সংগ্রহ করতে পারেন.

তথ্য সেবা-৩৩৩

জরুরি সেবা-৯৯৯

দুদক-১০৬

হেল্প ডেস্ক-০১৭৩৩৩৯৩৩৯৯

ই পাসপোর্ট করার ফি

ই-পাসপোর্ট অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যায় এবং অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনের ফি প্রদান করা যায়। অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদনের ফি বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দেওয়া যায়। যেমন:

ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং ঢাকা ঢাকা ব্যাংকে ফি জমা দেওয়া যাবে।

তাছাড়াও বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া যায়

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ই পাসপোর্ট ফি:

নিচে পৃষ্ঠা এবং বছর পেতে পাসপোর্ট এর  ফি আলাদা হয়ে থাকে। সুতরাং নিচে ধারাবাহিকভাবে প্রদান করা হলো এখান থেকে জেনে নিতে পারেন।

48 পৃষ্ঠা এবং 5 বছরের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট

  • 21 দিনের মধ্যে নিয়মিত ডেলিভারি: 4,025 টাকা
  • 10 দিনের মধ্যে এক্সপ্রেস ডেলিভারি: 6,325 টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস 2 দিনের মধ্যে ডেলিভারি: 8,625 টাকা

48 পৃষ্ঠা এবং 10 বছরের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট

  • 21 দিনের মধ্যে নিয়মিত ডেলিভারি: 5,750 টাকা
  • 10 দিনের মধ্যে এক্সপ্রেস ডেলিভারি: 8,050 টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস 2 দিনের মধ্যে ডেলিভারি: 10,350 টাকা

64 পৃষ্ঠা এবং 5 বছরের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট

  • 21 দিনের মধ্যে নিয়মিত ডেলিভারি: 6,325 টাকা
  • 10 দিনের মধ্যে এক্সপ্রেস ডেলিভারি: 8,625 টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস 2 দিনের মধ্যে ডেলিভারি: 12,075 টাকা

 64 পৃষ্ঠা এবং 10 বছরের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট

  • 21 দিনের মধ্যে নিয়মিত ডেলিভারি: 8,050 টাকা
  • 10 দিনের মধ্যে এক্সপ্রেস ডেলিভারি: 10,350 টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস 2 দিনের মধ্যে ডেলিভারি: 13,800 টাকা

E passport form:

 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে সহজে বুঝা যায় যে পাসপোর্ট হলো সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত একটি ভ্রমণ নথিপত্র। বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিকগণ পাসপোর্ট করতে পারেন। পাসপোর্ট সংক্রান্ত যেকোন তথ্য আমরা আমাদের পোস্টে সংযুক্ত করেছি। তাছাড়াও পাসপোর্ট করার সমস্যা সমাধানের জন্য হটলাইন নাম্বার সহ পাসপোর্ট করার ফি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি। আশারাখি পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বলি সংগ্রহ করতে পারবেন এবং পাসপোর্ট সংক্রান্ত সম্যক ধারণা বুঝতে পেরেছেন। পাসপোর্ট সংক্রান্ত আরও বেশি তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button