ট্রেন

কসবা থেকে কুমিল্লা ট্রেনের সময়সূচি ও টিকেটের মূল্য ২০২৫

আপনি কি কসবা থেকে কুমিল্লার উঠে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর সময়সূচী টিকিটের মূল্য অনুসন্ধান করছেন। আপনি আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন কসবাট কুমিল্লা কিংবা কুমিল্লা থেকে কসবা রুটে কতগুলি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে তাদের প্রত্যেকটি ট্রেনের সঠিক সময়সূচী এবং বিন্যাসহ বিস্তারিত তথ্য। এখানে আন্তঃনগর ট্রেন ছুটি দিন বাদে প্রত্যেকদিন চলাচল করে।

কসবা থেকে কুমিল্লা সময়সূচি

আন্তঃনগর ট্রেনটি হল উপকূল এক্সপ্রেসপাহাড়ি এক্সপ্রেস মহানগর এক্সপ্রেস। এই ট্রেন তিনটির ছাড়ার সময়সূচি এবং পৌঁছানোর সময় সূচি নিচের তালিকা থেকে জানতে পারবেন।

ট্রেনের নাম ছাড়ার সময় পৌঁছানোর সময়
উপকূল এক্সপ্রেস (৭১২) ১৮:২২ ১৯:০১
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭২০) ১৫:৪২ ১৬:৩২
মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২) ০০:৩৭ ০১:৪৭

 কসবা থেকে কুমিল্লা রুটি আন্তঃনগর ট্রেন গুলি টিকিটের মূল্য

কসবা থেকে কুমিল্লা গামী আন্তঃনগর ট্রেন গুলির এবং প্রত্যেকটি আসনের জন্য আলাদা আলাদা ভাড়া রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আসনের ভাড়ার তালিকা নিচে থেকে সহজে জানতে পারবেন।

S/L আসন বিভাগ টিকিটের মূল্য (১৫% ভ্যাটসহ)
1 শোভন ৪৫ টাকা
2 শোভন চেয়ার ৫০ টাকা
3 প্রথম সিট ৯০ টাকা
4 প্রথম বার্থ ১১০ টাকা
5 স্নিগ্ধা ১১৫ টাকা
6 এসি সিট ১২৭ টাকা
7 এসি বার্থ ১৫০ টাকা

 কসবা থেকে কুমিল্লা রুটে আন্তঃনগর ট্রেনগুলি সাপ্তাহিক ছুটির দিন

আপনি যদি ট্রেনের মাধ্যমে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন তাহলে আপনাকে জানতে হবে গুলির সাথে ছুটির দিন কবে। এখানে উপকূল এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক ছুটির দিন মঙ্গলবার এবং পাহাড়ি এক্সপ্রেসের শনিবার এবং মহানগর এক্সপ্রেস এর রবিবার।

ট্রেনের নাম ছুটির দিন
উপকূল এক্সপ্রেস (৭১২) মঙ্গলবার
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭২০) শনিবার
মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২) রবিবার

 কসবা থেকে কুমিল্লা ট্রেনের বিরতি স্থান

কসবা থেকে কুমিল্লা রূপে চলাচল কারি আন্তর্জাতিক ট্রেনগুলোর বিবর্ণ স্থানে বিরোধী প্রদান করে এবং কখন কোন ট্রেন হে বিরতি প্রদান করে তাদের একটি তালিকা আপনি জানতে পারবেন এবং নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারবেন।

কসবা থেকে কুমিল্লার ট্রেনের আসন সংখ্যা

কসবা থেকে কুমিল্লা আন্তঃনগর ট্রেনের প্রত্যেকটি আসন সংখ্যা রয়েছে এবং করা হয়েছে এবং আসন সংখ্যা গুলোর নাম সহ বিস্তারিত নিজে দেখুন

  • শোভন চেয়ার কোচ: প্রায় ৬০৭০টি আসন
  • প্রথম শ্রেণির কোচ: প্রায় ৪০৫০টি আসন
  • স্নিগ্ধা কোচ: প্রায় ৫০৬০টি আসন
  • এসি কোচ: প্রায় ৪০৫০টি আসন

কসবা থেকে কুমিল্লা ট্রেনটি এখন কোথায়

আপনি যদি একটু চটলাই এক্সপ্রেস ট্রেন যার নাম্বার 712/720/722 অবস্থান জানতে চান তাহলে এসএমএস করে ট্র্যাকিং সেবা ব্যবহার করতে পারেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ট্রাকিং পদ্ধতি অনুসরণ করে জানতে পারেন। নিচে ট্রেনের অবস্থান জানার জন্য নো লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে ট্রাকিং করতে পারেন।

  • মোবাইলের মেসেজ অপশনে যান।
  • নতুন মেসেজে টাইপ করুন: TR 712/720/722
  • মেসেজটি পাঠান 16318 নম্বরে।

কসবা থেকে কুমিল্লা ট্রেনের টিকেট কাটার স্থান

কসবা থেকে কুমিল্লা ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনি নিচের স্থানগুলো থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন:

. অনলাইন টিকিট কাটার পদ্ধতি (E-Ticketing)

আপনি সহজেই অনলাইনে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ থেকে টিকিট কিনতে পারেন।

  • ওয়েবসাইট: https://eticket.railway.gov.bd/
  • মোবাইল অ্যাপ: “Rail Sheba” (অ্যান্ড্রয়েড iOS- উপলব্ধ)

. রেলওয়ে স্টেশন থেকে টিকিট কেনার স্থান

আপনি সরাসরি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে পারেন।

  • চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ঠিকানা: স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম
  • কাউন্টার সময়: সকাল :০০রাত ১০:০০ (সময় পরিবর্তিত হতে পারে)

. মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট পয়েন্ট থেকে টিকিট

  • কিছু নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস যেমন bKash, Nagad, Rocket এর মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট করে টিকিট কাটা যায়।

 কসবা থেকে কুমিল্লা ট্রেনের অনলাইনে টিকিট কাটার নিয়ম

কসবা থেকে কুমিল্লা গামী ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট:

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেটিং সিস্টেম:

  • https://eticket.railway.gov.bd/

অনলাইনে টিকিট কাটার ধাপ:

Firstly: ওয়েবসাইটে যান → eticket.railway.gov.bd

Secondly: একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন (যদি আগে না করে থাকেন)

Thirdly:  লগইন করুন এবং ট্রেন অনুসন্ধান করুন

Fourthly: আপনার পছন্দের ট্রেন, আসন ক্যাটাগরি সংখ্যা নির্বাচন করুন

Fifthly: মূল্য পরিশোধ করুন (bKash, Nagad, Rocket বা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে)

Finally:  টিকিট ডাউনলোড করুন এবং যাত্রার দিন স্টেশনে গিয়ে হার্ডকপি সংগ্রহ করুন (যদি প্রয়োজন হয়)

 গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • টিকিট কাটা শুরু হয় যাত্রার ১০ দিন আগে
  • প্রতিদিন সকাল :০০ থেকে রাত ১১:০০ পর্যন্ত অনলাইনে টিকিট কেনা যায়
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রয়োজন হতে পারে

আরও বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://railway.gov.bd/ ভিজিট করতে পারেন।

কসবা থেকে কুমিল্লা  ট্রেনের অন্যান্য সুবিধা  

ট্রেনে যাত্রীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। এখানে কিছু সাধারণ সুবিধার তালিকা দেওয়া হলো:

বিশাল সীট: ট্রেনে আরামদায়ক এবং প্রশস্ত সীট ব্যবস্থা থাকে, বিশেষ করে এসি কোচে যেখানে যাত্রীরা আরও বেশি আরামদায়ক পরিবেশে বসতে পারেন।
এসি এবং ননএসি কোচ: এসি এবং ননএসি কোচ: যাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী এসি (এয়ার কন্ডিশনড) এবং ননএসি (পানির বগি) কোচ রয়েছে।
খাবারের ব্যবস্থা: খাবারের ব্যবস্থা: বেশ কিছু ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থা থাকে, যেখানে যাত্রীরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে খাবার পানীয় সেবা নিতে পারেন।
অনলাইন টিকিট বুকিং: বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের সুবিধা প্রদান করে, যার মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই টিকিট কিনতে পারেন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ট্রেনের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সিকিউরিটি গার্ড থাকেন, যারা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
পরিষ্কার এবং সুস্থ পরিবেশ: ট্রেনের বগিগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখা হয়, যাতে যাত্রীরা সুস্থ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে যাত্রা করতে পারেন।

 কসবা থেকে কুমিল্লা  ট্রেনের মালামালের পরিমাণ

কাঁচামাল: কয়লা, সিমেন্ট, লোহা, রড, তেল, সার, খনিজ এবং অন্যান্য শিল্পকর্মের কাঁচামাল।
কৃষিপণ্য: ধান, চাল, গম, ফলমূল, সবজি, মিষ্টি পাট, শাকসবজি ইত্যাদি।
ভোগ্যপণ্য: গার্মেন্টস পণ্য, তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, গাড়ি, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, প্লাস্টিক পণ্য ইত্যাদি।
ডাক এবং চিঠি: দেশের ভেতরে ডাক প্যাকেজ সরবরাহ।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button