ট্রাভেলট্রেন

চিত্রা এক্সপ্রেস (Chitra Express) ট্রেন এর ভাড়ার তালিকা,সময়সূচী, টিকেট, সাপ্তাহিক বন্ধ এবং অনলাইন টিকিট

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ঢাকা টু খুলনা চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা সময়সূচী ও বিস্তারিত তথ্য. চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি হল ঢাকা টু খুলনা রুটে ব্রডগেজ পদ্ধতিতে চলাচল কারি এতে আন্তঃনগর সুতরাং বাংলাদেশের চিত্রা নদীর নাম অনুসারে এই ট্রেনটি নামকরণ করা হয় চিত্রা এক্সপ্রেস. আজ আমরা এখানে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটির বিস্তারিত তথ্য নিম্নে তুলে ধরব ধারাবাহিকভাবে. আপনি যদি মনোযোগ সরকারের পুরো পোস্টটি পড়েন তাহলে ট্রেনটির পুরো তথ্য জানতে পারবেন.

চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

আজ আমরা এখানে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরব যাতে আপনি ট্রেনটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন. চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রেলওয়ে পরিষেবার একটি আন্তঃনগর ট্রেন. বর্তমান চালক বাংলাদেশ রেলওয়ে, পশ্চিমাঞ্চল. এটি কমলাপুর স্টেশন থেকে চলাচল করে. ট্রেনের যাত্রা খুলনা রেলওয়ে স্টেশন প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল ৭ অক্টোবর 2007. ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব 449 কিলোমিটার এবং যাত্রাপথে সময় লাগে 10 ঘণ্টা 10 মিনিট. ট্রেনটি সপ্তাহে ছয়দিন চলাচল করে. আরো কিছু তথ্য আমরা নিম্নে প্রদান করেছি যেগুলো আপনি দেখে নেবেন.

  • পরিষেবা ধরন – আন্তঃনগর ট্রেন (বাংলাদেশ রেলওয়ে)
  • বর্তমান পরিচালক – বাংলাদেশ রেলওয়ে, পশ্চিমাঞ্চল
  • পথ যাত্রা – কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
  • শেষ যাত্রা – খুলনা  রেলওয়ে স্টেশন
  • দূরত্ব – ৪৪৯ কিলোমিটার.
  • গড় যাত্রার সময় – ১০ ঘণ্টা ১০ মিনিট
  • পরিষেবা ফ্রিকোয়েন্সি – ৬ দিন
  • অপারেটিং গতি – ৮৫ কিলোমিটার পার ঘন্টা
  • গাড়ির সংখ্যা: ১২টি
  • অনলাইন পরিষেবা: ক্লাস শোভন চেয়ার, এসি চেয়ার, এসি বার্থ, স্নিগদা

চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী

চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের নাম্বার 763 ও 764. এটি কমলাপুর স্টেশন থেকে যাত্রাপথে 763 হয় খুলনায় পৌঁছায়. আবার 764 হয় খুলনা স্টেশন থেকে ঢাকা কমলাপুর স্টেশনে উদ্দেশ্যে রওনা দেয়. খুলনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে সাড়ে সন্ধ্যা ৭.০০টায় এবং খুলনা পৌঁছে ভোর ৫ টা ১০ মিনিটে. আবার ট্রেঞ্চে খুলনা থেকে ছাড়ে সকাল ৪ টায় এবং ঢাকা পৌঁছায় বিকাল ৬.৪0 মিনিটে. সপ্তাহে ছয়দিন রুটে চলাচল করে এবং সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার.

আপনি যদি ঢাকা টু খুলনা পথের একজন ট্রেন ভ্রমণকারী যাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টে প্রযোজ্য হবে এবং এখানে ঢাকা টু খুলনা পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী প্রদান করা হয়েছে যাতে আপনি সঠিক সময়সূচী জানতে পারবে এবং ভ্রমণ করতে পারেন.

স্টেশনের নাম ছুটির দিন ছাড়ায় সময় পৌছানোর সময়
ঢাকা টু খুলনা সোমবার ১৯ঃ০০ ০৩ঃ৪০
খুলনা টু ঢাকা সোমবার ০৯ঃ০০ ১৭ঃ৫৫

চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা

আপনি কি চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে জানতে চান?. তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য প্রযোজ্য থাকবে. ট্রেন কর্তৃপক্ষ প্রতিটি সিটের জন্য একটি ভাড়া নির্ধারণ করেছেন এবং প্রকাশ করেছেন. ট্রেনটিতে চার ধরনের সিট আছে যেমন:

  • শোভন চেয়ার: ৫০৫ টাকা (প্রতি আসন)
  • স্নিগদা: ৮৪০ টাকা (প্রতি আসন) + ১৫% ভ্যাট
  • এসি সিট:১০০৫ টাকা (প্রতি আসন + ১৫% ভ্যাট
  • এসি বার্থ: ১৫০৫ টাকা (প্রতি আসন + ১৫% ভ্যাট
আসন বিভাগ টিকেটের মূল্য (১৫ভ্যাট)
শোভন চেয়ার ৫০৫ টাকা
প্রথম সিট ৬৭০ টাকা
প্রথম বার্থ ১০০৫  টাকা
স্নিগ্ধা ৮৪০ টাকা
এসি সিট ১০০৫ টাকা
এসি বার্থ ১৫০৫ টাকা

অন্যান্য যাত্রা বিরতীর স্থান ও ভাড়ার তালিকা

গন্তব্যস্থল

শো: চেয়ার

স্নিগ্ধা

এসি বার্থ

খুলনা/নওয়াপড়া

৪৬৫

৭৭৫

১৩৯০

যশোর

৪২০

৭০০

১২৬০

কোটচাঁদপুর

৪০৫

৬৭০

১২০৫

দর্শনাহলট

৩৭০

৬১৫

১১১০

চুয়াডাঙ্গা

৩৬০

৬০০

১০৭৫

আলমডাঙ্গা

৩৪৫

৫৭৫

১০৩৫

পোড়াদহ

৩৩৫

৫৫৫

৯৯৫

মীরপুর

৩২৫

৫৪০

৯৭৫

ভেড়ামারা

৩২০

৫৩০

৯৫৫

ঈশ্বরদী

২৭০

৪৫০

৮১০

চাটমোহর

২৫০

৪১৫

৭৫০

বড়ালব্রীজ

২৪৫

৪০৫

৭২৫

উল্লাপাড়া

২২৫

৩৭৫

৬৭০

শহীদ এম মনসুর আলী

২১০

৩৪৫

৬২০

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব

১২৫

২১০

৩৭৫

টাঙ্গাইল

১০৫

১৭৫

৩১৫

মির্জাপুর

৮০

১৩০

২৩৫

জয়দেবপুর

৪০

৯০

১২০

চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী বিরতি স্থান ও বিরতিস্থান

আপনি কি চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রতিস্থান সময়সূচী সঠিকভাবে জানতে চান? তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন. আসুন আমরা নিম্নে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোন কোন জায়গায় বিরতি প্রদান করে এবং কতটুকু সময় থাকে তা বিস্তারিত তুলে ধরব.

বিরতি স্টেশন নাম খুলনা থেকে (৭৬৩) ঢাকা থেকে (৭৬৪)
নওয়াপাড়া ০৯ঃ৩১ ০২ঃ৫২
যশোর ১০ঃ০২ ০২ঃ২০
মোবারকগঞ্জ ১০ঃ৪৭
কোটচাদপুর ১১ঃ০০ ০১ঃ৪১
দর্শনা হাট ১১ঃ২৫
চুয়াডাঙ্গা ১১ঃ৪৬ ০০ঃ৫৫
আলমডাঙ্গা ১২ঃ০৭ ০০ঃ৩৫
পোড়াদহ ১২ঃ২৪ ০০ঃ১৬
মিরপুর ১২ঃ৩৭
ভেড়ামারা ১২ঃ৪৯ ২৩ঃ৫৫
ঈশ্বরদী ১৩ঃ১৫ ২৩ঃ১৫
চাট্মোহর ১৩ঃ৪৮ ২২ঃ৪৪
বড়াল্ব্রীজ ১৪ঃ০৯ ২২ঃ২৯
উল্লাপাড়া ১৪ঃ৩০ ২২ঃ০৯
শ,এম,ম,আলী ১৪ঃ৪৯ ২১ঃ৫১
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ১৫ঃ৪৫ ২১ঃ১৫
বিমানবন্দর ১৭ঃ২২

চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের খাবার ব্যবস্থা

আপনি কি চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন?. তাহলে আপনার জন্য কোন চিন্তা নাই কারণ এই ট্রেনটিতে খাবারের ব্যবস্থা সংযোজন রয়েছে. আপনি যখন বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করবেন খাবার নিয়ে আপনার কোন চিন্তা থাকবে না. এখানে বিভিন্ন প্রকার বার্গারকে, সানরাইজ, চা, কফি, কাটলেট, ডিম, কাবাবসহ নানা ধরনের কোমল ও মিনারেল ওয়াটার পাওয়া যায়. তাছাড়াও দৈনিক পত্র পত্রিকা ও ম্যাগাজিন পাওয়া যেগুলো ভ্রমণের সময় সময় কাটানোর উপযোগী থাকবে.

চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সিট সংখ্যা

চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিভিন্ন ধরনের সিট রয়েছে আপনার সিট গুলো সম্পর্কে জানতে হবে কারণ আপনি কোন ধরনের শীতে ভ্রমণ করতে আগ্রহী এবং কোন প্রকার সিট কেমন তা জানতে হবে. চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকাগামী 763 এর আসন সংখ্যা রয়েছে তিনটি যথা: শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা শ্রেণি ও এসি সিট.
খুলনাগামী 764 এর আসন ফেনী রয়েছে তিনটি যথা:শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা শ্রেণীর ও এসি বার্থ.

চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বগি সংখ্যা

আমরা আর জানব চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি সংখ্যা কত রয়েছে. বর্তমানে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি সংখ্যা রয়েছে বারোটি. দুই প্রান্তের দুইটি পাওরার কার রয়েছে. চার থেকে পাঁচটি ক্যান্টিন রয়েছে এবং মোট আসন সংখ্যা ৮৮১ রয়েছে. তবে ট্রেনটিতে বিভিন্ন দিবস অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হয়ে থাকে.

চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটার স্থানসমূহ

আপনি যদি চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনাকে টিকিট কাটতে হবে তারপর ট্রেনে ভ্রমণ করতে হবে. তবে আপনি বিভিন্নভাবে টিকিট কাটতে পারেন যেমন: 3 উপায়ে টিকিট কাটা যায়.

এক:সরাসরি বিভিন্ন কাউন্টার থেকে.

দুই: ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
তৃতীয়: *১৩১# ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করতে পারেন.

চিত্রা এক্সপ্রেস প্রধান স্টেশনের ঠিকানা ও যোগাযোগ

আপনি কি চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রধান স্টেশন এর ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার খুঁজছেন?. আসুন আমাদের এই নিবন্ধে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রধান স্টেশনের ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার প্রদান করেছি যাতে আপনি যেকোনো প্রয়োজনে সহজেই পেতে পারেন এবং প্রধান স্টেশন এর ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে যেকোনো সভা গ্রহণ করতে পারেন বা আপনার মতামত বা অভিযোগ জানাতে পারেন

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন

  • ফোন নম্বর: +৮৮-০২-৯৩৫৮৬৩৪,৯৩৩১৮২২
  • মোবাইল নম্বর: +৮৮-০১৭১১৬৯১৬১২

বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন

  • ফোন নম্বর:+৮৮-০২- ৮৯২৪২৩৯
  • ওয়েবসাইট: www.railway.gov.bd

যাত্রী মালামাল পরিবহন করতে পারবেন

  • একজন শীতাতপ শ্রেণীর যাত্রী মালামাল বহন করতে পারবেন ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী বহন করতে পারবেন ৩৭.৫ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি বহন করতে পারবেন এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বহন করতে পারবেন
  • তবে আরও সুবিধা রয়েছে অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তার লাগেজ হিসেবে তার নিজ গন্তব্যে নিতে পারবেন. সুতরাং স্টেশনগুলোতে লাগোজ বুকিং এর জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে আপনি এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন
  • আপনি যদি লাগেজ বহন করতে চান তাহলে টলের ব্যবস্থা রয়েছে
  • যদি কোন অসুস্থ ব্যক্তি তাকে তা বহনের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে.

যাত্রীর মালামাল বহনে কুলির চাজ

লাগেজের পরিমাণ

চার্জ (টাকা)

অনধিক ২৮ কেজি (টি ব্যাগ)

৩০/-

অনধিক ২৮ কেজি (টি ব্যাগ)

৪০/-

অনধিক ৩৭ কেজি (টি ব্যাগ)

৪০/-

অনধিক ৩৭ কেজি (টি ব্যাগ)

৫০/-

অনধিক ৫৬ কেজি (টি ব্যাগ)

৬০/-

অনধিক ৫৬ কেজি (টি ব্যাগ)

৮০/-

Related Articles

Back to top button