বাংলাদেশের সকল টপ মোবাইল ব্যাংকিং নাম ও তালিকা ( All Mobile Banking Name in Bangladesh)
বাংলাদেশি মোবাইল ব্যাংকিং একটি নতুন ব্যাংকিং হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং ২০১১ সালের ৩১ শে মার্চ প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু হয়. প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করেন ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং পর্যায়ক্রমিক অনেক ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং চালু করেন. বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং ডাচ বাংলা ব্যাংক রকেট ও ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ.
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০১২ সালে প্রায় ১৫১.৪২ মিলিয়ন মানুষ রয়েছে যার মধ্যে ১৩% ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং বাকি ৯৫% এর বেশি মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছেন. এজন্য বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মোবাইল ব্যাংকিং জনপ্রিয়তা বাড়ছে. মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনেক সুবিধা হয়েছে. সুতরাং আপনি যদি মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা এবং বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে পুরো কন্টেন্টই মনোযোগ সহকারে পড়ুন.
বাংলাদেশের ব্যাংকের নাম ও মোবাইল ব্যাংকিং নাম
SL# | ব্যাংকের নাম | পণ্যের নাম |
ঘ। | ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড | রকেট |
2। | ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড | বিকাশ |
3। | ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক | নিশ্চিত নগদ |
4। | ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। | MCash |
5। | ট্রাস্ট ব্যাংক | টি-ক্যাশ |
6। | ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড। | নিশ্চিত নগদ |
7। | মার্কেন্টাইল ব্যাংক | আমার নগদ টাকা |
8। | বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক | নিশ্চিত নগদ |
9। | প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড | সহজ নগদ |
10 | সোনালী ব্যাংক লিমিটেড | সোনালী শেবা |
11 | ইউসিবি ব্যাংক লিমিটেড | ইউ ক্যাশ |
12 | ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড | মোবাইল ব্যাংকিং |
13। | Dhakaাকা ব্যাংক | এসএমসি ব্যাংকিং |
14। | এবি ব্যাংক | এসএমসি ব্যাংকিং |
15। | সাউথ ইস্ট ব্যাংক | টেলি ক্যাশ |
16। | স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক | স্পট ক্যাশ |
17। | ইউনাইটেড কমার্স ব্যাংক | এসএমসি ব্যাংকিং |
18। | বাংলাদেশ ডাকঘর | নাগাত |
19। | এক ব্যাংক | ঠিক আছে মানিব্যাগ |
মোবাইল ব্যাংকিং কি
মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে মোবাইল সিমের মাধ্যমে একজন গ্রাহক তার ছবি এনআইডি দিয়ে সকল তথ্য পূরণ করে একটি একাউন্ট খুলবেন এবং এই একাউন্টের একটি পিন নাম্বার থাকবে যার মাধ্যমে গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন করতে পারবেন. মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকরা প্রতিটি ব্যাংকের প্রতিটি জায়গায় কাজ রয়েছে. এদের কাছ থেকে টাকা জমা, উত্তোলন, একাউন্ট খোলার সহ আরো অনেক কাজ করতে পারবেন. মোবাইল ব্যাংকিং এর সেবা মোবাইলের মাধ্যমে প্রদান করা হয় বলেই এর নাম মোবাইল ব্যাংকিং. তবে মোবাইল ব্যাংকিংকে এম ব্যাঙ্কিং এবং এসএমএস ব্যাংকিং ও বলা হয়. ১৯৯৯ সালে ইউরোপের ব্যাংকগুলো প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করেন. তবে বাংলাদেশি মোবাইল ব্যাংকিং প্রথম চালু হয় ৩১ শে মার্চ ২০১১ সাল থেকে.
মোবাইল ব্যাংকিং এর সেবা সমূহ
গ্রাহকরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যে সকল সেবা গ্রহণ করতে পারেন তার একটি বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
- টাকা জমা
- টাকা তোলা ও পাঠানো
- সেন্ড মানি করা
- বিভিন্ন ধরনের বিল প্রদান করা যেমন: বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল
- কেনাকাটা করা যায়
- বেতন ভাতা প্রদান ও গ্রহণ করা যায়
- মোবাইল ফোনের টপ আপ করা যায়
- স্কুল-কলেজের টিউশন ফি প্রদান করা যায়
বাংলাদেশি মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে
বাংলাদেশ ২০১০ সালে প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হয় এবং বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করেছে ১৫ টি ব্যাংক. প্রথম ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড তাদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে এবং তাদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নাম রকেট. রকেট সেবা চালুর পর এই দুই হাজার এগারো সালে ব্র্যাক ব্যাংকের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে দ্বিতীয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ যার বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটির উপরে এবং দেশের সর্বত্র গ্রামগঞ্জ বিকাশের সেবা পাওয়া যাচ্ছে. তারপরও আরও অনেক মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় যুক্ত হয়. ২০১৯ সালে বাংলাদেশের নতুন একটা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হয় যার নাম নগদ. এই নগদ মোবাইল ব্যাংকিং টি বাংলাদেশের ডাক বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বর্তমানে যার গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটির উপরে এবং এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে. দেশের সর্বশেষ ২০২১ সালে আরো একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হয় যা ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস ট্রাস্ট আজিয়াটা বা টেপ নামে পরিচিত.
মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা সমূহ:
- মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে একজন গ্রাহক যে যে সকল সুবিধা ভোগ করতে পারেন তা নিম্নে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো:
- ২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন একাউন্টে লগইন করার সুবিধা। গ্রাহক চাইলে যেকোনো মুহূর্তে একাউন্টে লগইন করতে পারবে।
- একাউন্টের ব্যালেন্স জানা।
- এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে টাকা পাঠানো। তবে বাংলাদেশে এ সুবিধা শুধু একই ব্যাংকের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
- নিজের একাধিক একাউন্টের মধ্যে টাকা পাঠানো যায়।
- ইউটিলিটি বিল। যেমন– বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফোন, পানি ইত্যাদি পরিশোধ করা যায়।
- একাউন্টের আয়-ব্যয়, উত্তোলন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারা।
- চেক বই এর জন্য আবেদন ও চেক এর পেমেন্ট বাতিল করা যায়।
- সুদের হার, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার ইত্যাদি জানা যায়।
উপসংহারে বলা যেতে পারে যে মোবাইল ব্যাংকিং বাংলাদেশ একটি নতুন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা যার মাধ্যমে গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবায় মানুষকে নিয়ে আসা. এই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে যে কারণে মোবাইল ব্যাংকিং বাংলাদেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে. বাংলাদেশে অনেক মোবাইল ব্যাংকিং রয়েছে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের রকেট এবং ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ. তাছাড়াও যে সমস্ত ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং রয়েছে তার একটি পূর্ণ তালিকা ও মোবাইল ব্যাংকিং এর নাম আমরা উপরে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছি আপনারা এখান থেকে সবগুলো ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে জানতে পারবেন