উক্তি

হুমায়ূন আহমেদের উক্তি ও বিখ্যাত বানীগুলো

হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ এবং জনপ্রিয় উপন্যাসিক ছোট গল্পের নাট্যকার গীতিকার। অন্যদিকে তিনি একজন চিত্রনাট্যকার চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা কথা সাহিত্যের নতুন শারীরিক জনক বৈজ্ঞানিক কল্পক কাহিনীর পথিকৃৎ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করে অধ্যাপক পেশায় দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি লেখালেখির কাজে অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে মনোযোগ দেন।

তিনি অসংখ্য উপন্যাস গল্প চলচ্চিত্র রূপকার। তিনি একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশে পরিচিত। তিনি বিষয় নিয়ে উক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ বাণী প্রদান করেন। হুমায়ূন আহমেদের গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রিয় সেই উক্তি এবং বাণী গুলো অনেকে অনুসন্ধান করেন এবং জানতে চান। তাই আজ আমরা এই পোস্টে হুমায়ূন আহমেদের সকল গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় বাণী গুলো লিপিবদ্ধ করেছি।

হুমায়ূন আহমেদের উক্তি

  • জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বাস করতে যেও না। কারন,যাকেই তুমি বিশ্বাস করবে সেই তোমাকে ঠকাবে।–“হুমায়ূন আহমেদ
  • পিথাগোরাস বলে গেছেন, তিন খুব শক্তিশালী সংখ্যা। তিনে আছে আমি, তুমি এবং সর্বশক্তিমান তিনি। সেজন্যই ত্রিভুবন, ত্রিকাল এবং ত্রিসত্যি। কবুল বলতে হয় তিনবার। তালাক বলতে হয় তিনবার। পৃথিবীতে রঙও মাত্র তিনটা। লাল, নীল এবং হলুদ। বাকি সব রং এই তিনের মিশ্রণ।হুমায়ূন আহমেদ.
  • সেই বেশী হাসে, যে গোপনে কাঁদে সেই বেশী নিজেকে হ্যাপি দেখায়, যে নীরবে একা থাকে। সেই বলে সুখের কোন অভাব নেই, যার জীবনে কষ্ট ছাড়া আর কিছু নাই।-“হুমায়ূন আহমেদ.
  • সাধারন হওয়াটা একটা অসাধারন বিষয়, সবাই সাধারন হতে পারে না।-“হুমায়ূন আহমেদ.
  • তুমি দশটি সত্য এর মাঝে একটি মিথ্যা মিশিয়ে দাও, সেই মিথ্যাটিও সত্য হয়ে যাবে কিন্তু তুমি দশটি মিথ্যার মাঝে একটি সত্য মিশাও, সত্য সত্যই থেকে যাবে আর মিথ্যা হবে না। সত্য আসলেই সুন্দর।
  • আবেগ প্রবণ মানুষ খুব বোকা হয়ে থাকে। তারা খুব সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলে। তাই তারা প্রতারিত হয় বেশি, কষ্টও পায় বেশি।-“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • পৃথিবীতে নিজে ভালো থাকতে চাইলে স্বার্থপর হয়ে যাও, আর মানুষের কাছে ভালো হয়ে থাকতে চাইলে নিঃস্বার্থ হও-“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • বাবামা প্রথম সন্তান হচ্ছে চমৎকার একটি জীবন্ত খেলনা। এই খেলনার সবই ভালো। খেলনা যখন হাসে, বামা হাসে। খেলনা যখন কাঁদে বাবামা মুখ অন্ধকার হয়ে যায়“-হুমায়ূন আহমেদ.

হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত উক্তি

  • খুব বুদ্ধিমান মানুষদের এটা একটা সমস্যা। নিজেদের তৈরি কথা ছোট ছোট ফাঁদে তারা নিজেরা ধরা পড়ে।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মানুষের মন বিচিত্র জিনিস। সমস্ত নক্ষত্রপূঞ্জে যে জটিলতা রহস্য তার থেকেও রহস্যময় মানুষের মন।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • শিকল দিয়ে কাউকেই বেঁধে রাখা হয় না তারপরেও সব মানুষই কোনওনাকোনও সময় অনুভব করে তার হাতপায়ে কঠিন শিকল শিকল ভাঙতে গিয়ে সংসারবিরাগী গভীর রাতে গৃহত্যাগ করে ভাবে ,মুক্তি পাওয়া গেল দশতলা বাড়ির ছাদ থেকে গৃহী মানুষ লাফিয়ে পরে ফুটপাতে এরা ক্ষণিকের জন্য শিকল ভাঙার তৃপ্তি পায়।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • জগতে যুক্তিহীন কিছু ঘটে না। অযুক্তি হল অবিদ্যা। পৃথিবীতে অবিদ্যার স্থান নেই।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • অনুপস্থিতিকে অন্ধকার বলে। তেমনি কষ্ট বলেও কিছু নেই, সুখের সাময়িক অনুপস্থিতিকে কষ্ট বলে।” – হুমায়ূন আহমেদের
  • রূপবতী নারীদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে নেই প্রত্যাখ্যান করলে অভিশাপ লাগে। রূপের অভিশাপ রূপ তখন ধরা দেয় না রূপের অভিশাপে পরা ভয়াবহ ব্যাপার।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।“ – হুমায়ূন আহমেদের
  • কল্পনা শক্তি আছে বলেই সে মিথ্যা বলতে পারে যে মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না, সে সৃষ্টিশীল মানুষ না, রোবট টাইপ মানুষ।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দূর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ।“-হুমায়ূন আহমেদ.

হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত বাণী সমূহ

  • আয়না দেখলে আয়নার সামনে দাড়াতে ইচ্ছা করে খুবই ক্ষুদ্র ইচ্ছা এবং নির্দোষ ইচ্ছা তবু অতি ক্ষুদ্র ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে নেই। একবার প্রশ্রয় দিলে সব ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে মন চাইবে।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • অনেক কিছুই বই পড়ে শেখা যায় না। যে কোনোদিন মিষ্টি খায় নাই, সে কি কোনো বই পড়ে বুঝতে পারবে মিষ্টির স্বাদ কী ! যে কোনোদিন লাল রঙ দেখে নাই, বই পড়ে সে কি বুঝবে লাল রঙ কী?”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।” – হুমায়ূন আহমেদের
  • প্রতিটা মানুষের জীবনে কষ্ট আছে শুধুতা প্রকাশ করার পদ্ধতি ভিন্ন। নির্বোধরা প্রকাশ করে চোখের পানি দিয়ে আর বুদ্ধিমানরা প্রকাশ করে মৃদু হাসি দিয়ে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • কাজল ছাড়া মেয়ে, দুধ ছাড়া চায়ের মত ” – হুমায়ূন আহমেদের উক্তি
  • সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, কিন্ত তোমাকে এমন একজনকে খুজে নিতে হবে, যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার জন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।““-হুমায়ূন আহমেদ.
  • তুমি যখন ভাল করতে থাকবে, মানুষ তোমাকে হিংসা করতে শুরু করবে। না চাইলেও তোমার শত্রু জন্মাবে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • বেঁচে থাকার মত আনন্দ আর কিছুই নেই। কত অপূর্ব দৃশ্য চারিদিকে। মন দিয়ে আমরা কখনো তা দেখি না। যখন সময় শেষ হয়ে যায়, তখনি শুধু হাহাকারে হৃদয় পূর্ণ হয়।““-হুমায়ূন আহমেদ.

 হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় বাণী সমূহ

  • মনে রেখো, আজকের দিনটিই তোমার সেই ভবিষ্যৎ যা নিয়ে তুমি গতকাল চিন্তিত ছিলে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • প্রত্যেক ভালবাসায় দুইজন সুখী হলেও তৃতীয় একজন অবশ্যই কষ্ট পাবেই, এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • একটি ছেলে যখন মিথ্যা বলে তখন বোঝা যায় ছেলেটি মিথ্যা বলছে। কিন্তু একটি মেয়ে যখন মিথ্যা বলে তখন বোঝার উপায় নেই মেয়েটি মিথ্যা বলছে।” – হুমায়ূন আহমেদের
  • তুমি একটা খারাপ কাজ করেছো তার মানে তুমি একজন মানুষ, তুমি সেই খারাপ কাজটার জন্য অনুতপ্ত তার মানে তুমি একজন ভাল মানুষ।““-হুমায়ূন আহমেদ.
  • এই পৃথিবীতে চোখের জলের মতো পবিত্র আর কিছু নেই এই পবিত্র জলের স্পর্শে সব গ্লানিসব মালিন্য কেটে যায়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতাপাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসেকিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে।“-হুমায়ূন আহমেদ.

 হুমায়ূন আহমেদের রোমান্টিক বাণী সমূহ

  • মানুষ ট্রেনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মানুষ হবার অনেক যন্ত্রণার একটি হচ্ছে, যা বলতে প্রাণ কাঁদে তা কখনো বলা হয় না।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকে না। কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায় সবই হয়তো ঠিক থাকে কিন্তু কি যেন নাই, কি যেন নাই।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে চায় অন্যরা তাকে খুঁজে বের করুক।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • অতিরিক্ত রূপবতীরা বোকা হয়, এটা জগতের স্বঃতসিদ্ধ নিয়ম।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মিথ্যা বলা মানে আত্মার ক্ষয়। জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মার ক্ষয় হতে থাকে। বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মার পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • প্রতিটা মেয়ে হয়ত তার স্বামীর কাছে রানী হয়ে থাকতে পারে না। কিন্তু প্রতিটা মেয়েই তার বাবার কাছে রাজকন্যা হয়ে থাকে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • যদি আপনি অন্তর থেকে কাউকে চান, জেনে রাখুন সেই মানুষটিও আপনাকে ভেবেই ঘুমাতে যায়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • আমাদের মধ্যে সম্মান করা এবং অসম্মান করার দুটি প্রবণতাই প্রবলভাবে আছে। কাউকে পায়ের নীচে চেপে ধরতে আমাদের ভালো লাগে, আবার মাথায় নিয়ে নাচানাচি করতেও ভালো লাগে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • কাউকে ভালোবাসলে বেশি কাছে যাবার চেষ্টা করতে নাই।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • যে ভালবাসা যত গোপন,সেই ভালবাসা তত গভীর।“-হুমায়ূন আহমেদ.

হুমায়ূন আহমেদ এর প্রেমের উক্তি

  1. কাউকে প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  2. সবাই তোমাকে কষ্ট দেবে, তোমাকে শুধু এমন একজনকে খুঁজে নিতে হবে যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  3. .”ভালোবাসা একটা পাখি। যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মুক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দী করতে চায়।” – হুমায়ূন আহমেদের
  4. ভালোবাসা যদি তরল পানির মতো কোনো বস্তু হতো, তাহলে সেই ভালোবাসায় সব পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমনকি হিমালয় পর্বতও!“-হুমায়ূন আহমেদ.
  5. ভালোবাসা ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লেখা থাকে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  6. ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  7. ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভালো। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালোবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়তো বা ভালোবাসাটা থাকে, শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালোবাসা দুয়ের মধ্যে ভালোবাসাই হয়তো বেশি প্রিয়।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  8. অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গণ্ডারের মতো। শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, আদর দিয়ে গণ্ডারকে সামলানো যায় না।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  9. কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  10. প্রেমিকাবিহীন তরুণের পৃথিবীতে বেঁচে থাকা, ঘাসবিহীন মাঠে গরুর পায়চারির মতো।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  11. যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  12. ভালোলাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  13. ভালোবাসাবাসির জন্য অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  14. গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয় দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশী তার হাতেই পুতুলের সুতা।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  15. এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  16. চট করে কারও প্রেমে পড়ে যাওয়া কোনো কাজের কথা না।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  17. মেয়েদের তৃতীয় নয়ন থাকে। এই নয়নে সে প্রেমে পড়া বিষয়টি চট করে বুঝে ফেলে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  18. যার রাগ বেশি সে নীরবে অনেক ভালোবাসতে জানে, যে নীরবে ভালোবাসতে জানে তার ভালোবাসার গভীরতা বেশি, আর যার ভালোবাসার গভীরতা বেশি তার কষ্টও অনেক বেশি।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  19. ভালোবাসার মাঝে হালকা ভয় থাকলে, সেই ভালোবাসা মধূর হয়। কেননা, হারানোর ভয়ে প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  20. করুণাও এক ধরনের ভালোবাসা, তবে তা ক্ষতিকারক ভালোবাসা। এই ভালোবাসা মানুষকে অসুস্থ করে দেয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  21. যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালোবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে। তার কথা আমাদের মনে থাকে না…. মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালোবাসার কথা।”“-হুমায়ূন আহমেদ.

হুমায়ূন আহমেদ এর কষ্টের উক্তি

  1. সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে!”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  2. কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  3. মাঝে মাঝে তুচ্ছ বিষয় চোরাকাঁটার মত মনে লেগে থাকেব্যথা দেয় না,অস্বস্তি দেয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  4. চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া কাজের কথা না। অতি রূপবতীদের কারও প্রেমে পড়তে নেই। অন্যেরা তাদের প্রেমে পড়বে, তা নিয়ম।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  5. মেয়েদের অনেক গুণের মধ্যে বড় গুণ হলো এরা খুব সুন্দর করে চিঠি লিখতে পারে। কথাবার্তায় নিতান্ত এলোমেলো মেয়েও চিঠি লেখায় গোছানো। মেয়েদের চিঠিতে আরেকটা ব্যাপার থাকেবিষাদময়তা। নিতান্ত আনন্দের সংবাদ দিয়ে লেখা চিঠির মধ্যেও তারা জানি কী করে সামান্য হলেও দুঃখ মিশিয়ে দেয়। কাজটা যে তারা ইচ্ছা করে করে তা না। প্রকৃতি তাদের চরিত্রে যে বিষাদময়তা দিয়ে রেখেছে তাই হয়তো চিঠিতে উঠে আসে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  6. মিথ্যা হলো শয়তানের বিয়ের মন্ত্র। মিথ্যা বললেই শয়তানের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়া মানেই সন্তানসন্ততি হওয়া। একটা মিথ্যার পর আরো অনেকগুলি মিথ্যা বলতে হয় এই কারণেই। পরের মিথ্যাগুলি শয়তানের সন্তান।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  7. মানুষ খুবই স্বাধীন প্রাণী কিন্তু অদ্ভুদ কারণে সে ভালবাসে শিকল পরে থাকতে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  8. কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায়.. তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা, ব্যথা বেদনা গুলো বলার মত কেউ থাকে না.. তাদের কিছু অবাক্ত কথা মনের গভীরেই রয়ে যায় .. আর কিছু কিছু স্মৃতিএক সময় পরিনত হয় দীর্ঘ শ্বাসে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  9. প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে সুসংবাদ থাকে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  10. বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল !” “-হুমায়ূন আহমেদ.
  11. সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ারভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  12. যে সব মানুষের নাক সেনসেটিভ হয় তাদের কান কম সেনসেটিভ হয়। প্রকৃতি একটা বেশী দিলে অন্যটা কমিয়ে দেয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  13. কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা রূপবতী তরুণীদের অগ্রাহ্য করে একধরনের আনন্দ পায়। সচরাচর এরা নিঃসঙ্গ ধরনের পুরুষ হয়, এবং নারী সঙ্গের জন্যে তীব্র বাসনা বুকে পুষে রাখে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  14. সব মানুষকেই বিনয়কে এদেশে দুর্বলতা মনে করা হয়, বদমেজাজকে ব্যক্তিত্ব ভাবা হয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  15. দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  16. যে মানব সন্তান ক্ষুদ্র কামনা জয় করতে পারে সে বৃহৎ কামনাও জয় করতে পারে।
  17. হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায়। সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  18. বড় বোকামিগুলি বুদ্ধিমান মানুষরাই করে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  19. বিপদ যখন আসে একটার পর একটা আসে। বিপদরা পাঁচ ভাইবোন। এদের মধ্যে খুব মিল। এই ভাইবোনরা কখনো একা কারো কাছে যায় না। প্রথম একজন যায়, তারপর তার অন্য ভাইবোনরা উপস্থিত হয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  20. আমার খুব শখ বড় রকমের ঝামলায় পড়লে সে কি করে। কাজেই হিমুর জন্য বড় ধরনের একটা সমস্যা আমি তৈরি করেছি। এবং খুব আগ্রহ নিয়ে তার কান্ডকারখানা দেখেছি।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  21. হিমু কখনও জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে না। ছোটখাট ঝামেলায় সে পড়ে। সেই সব ঝামেলা তাকে স্পর্শও করে না। সে অনেকটা হাসেঁর মত। ঝাড়া দিল গা থেকে ঝামেলা পানির মত ঝরে পড়ল।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  22. ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  23. দিনকাল পাল্টে গেছে, এখন আর মানুষ আগের মতো নাই।মওলানা ধরনের মানুষের দিকে এখন আর আগের মতো ভয়মিশ্রিত শ্রদ্ধার চোখে কেউ তাকায় না। মওলানাও যে বিবেচনায় রাখার মতো একজন, কেউ তাও বোধহয় মনে করে না। ছল্টুফল্টু ভাবে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  24. লাজুক ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারেনা। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই। পাগলরা মনে হয় সেই কারণেই সুখী।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  25. মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  26. মায়ের গায়ে কোন দোষ লাগে না। ছেলেমেয়ে মায়ের ত্রুটি দেখবে না। অন্যেরা হয়ত দেখবে, সন্তান কখনও না।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  27. যে একদিন পড়িয়েছে সে শিক্ষক। সারাজীবনই শিক্ষক। আবার যে একদিন চুরি করেছে সে কিন্তু আজীবনই চোর না, তাহলে পৃথিবীর সব মানুষই চোর হত।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  28. যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  29. মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  30. মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  31. সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে। অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে অতি দুঃখের সঙ্গে তার অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না শুধু বড় বড় সাধক মহা পুরুষদের।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  32. কেও কারও মত হতে পারে না। সবাই হয় তার নিজের মত। তুমি হাজার চেষ্টা করেও তোমার চাচার বা বাবার মত হতে পারবে না। সব মানুষই আলাদা।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  33. চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে, ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক, একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  34. বড় বড় ব্যাপারগুলি সহজেই ঝেড়ে ফেলা যায় কিন্তু তুচ্ছ ব্যাপারগুলি চোরকাঁটার মত কিছুতেই তাড়ানো যায় না !” “-হুমায়ূন আহমেদ.
  35. পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়, মানসিক কষ্ট।”“-হুমায়ূন আহমেদ.

Related Articles

Back to top button