পহেলা বৈশাখ নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা

পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি বিখ্যাত কবিতা রয়েছে। এই কবিতাটি প্রতিটি মানুষের হৃদয় জুড়ে রয়েছে। যারা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা অনুসন্ধান করে থাকেন তাদের জন্য এই কবিতাটি এখানে সংযুক্ত করা হলো।
সুতরাং আপনি যদি পহেলা বৈশাখ নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা সংগ্রহ করতে চান বা পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার নাম কালবৈশাখী।
কাজী নজরুলের পহেলা বৈশাখী কবিতা
কালবৈশাখী
কাজী নজরুল ইসলাম
১
বারেবারে যথা কালবৈশাখী ব্যর্থ হল রে পুব-হাওয়ায়,
দধীচি-হাড়ের বজ্র-বহ্নি বারেবারে যথা নিভিয়া যায়,
কে পাগল সেথা যাস হাঁকি –
‘বৈশাখী কালবৈশাখী!’
হেথা বৈশাখী-জ্বালা আছে শুধু, নাই বৈশাখী-ঝড় হেথায়।
সে জ্বালায় শুধু নিজে পুড়ে মরি, পোড়াতে কারেও পারি নে, হায়।।
২
কালবৈশাখী আসিলে হেথায় ভাঙিয়া পড়িত কোন সকাল
ঘুণ-ধরা বাঁশে ঠেকা দেওয়া ওই সনাতন দাওয়া, ভগ্ন চাল।
এলে হেথা কালবৈশাখী
মরা গাঙে যেত বান ডাকি,
বদ্ধ জাঙাল যাইত ভাঙিয়া, দুলিত এ দেশ টালমাটাল।
শ্মশানের বুকে নাচিত তাথই জীবন-রঙ্গে তাল-বেতাল।।
৩
কালবৈশাখী আসেনি হেথায়, আসিলে মোদের তরু-শিরে
সিন্ধু-শকুন বসিত না আসি ভিড় করে আজ নদীতীরে।
জানি না কবে সে আসিবে ঝড়
ধুলায় লুটাবে শত্রুগড়,
আজিও মোদের কাটেনিকো শীত, আসেনি ফাগুন বন ঘিরে।
আজিও বলির কাঁসর-ঘন্টা বাজিয়া ওঠেনি মন্দিরে।।
৪
জাগেনি রুদ্র, জাগিয়াছে শুধু অন্ধকারের প্রমথ-দল,
ললাট-অগ্নি নিবেছে শিবের ঝরিয়া জটার গঙ্গাজল।
জাগেনি শিবানী – জাগিয়াছে শিবা,
আঁধার সৃষ্টি – আসেনিকো দিবা,
এরই মাঝে হায়, কালবৈশাখী স্বপ্ন দেখিলি কে তোরা বল!
আসে যদি ঝড়, আসুক, কুলোর বাতাস কে দিবি অগ্রে চল।
পরিশেষে বলা যায় কাজী নজরুল ইসলাম কর্তৃক প্রদত্ত কবিতাটি আমরা এখানে সংযুক্ত করেছে যা আপনি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করতে পারবেন এবং আপনার প্রিয় বন্ধু বান্ধব সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে কালবৈশাখী বিখ্যাত পহেলা বৈশাখের কবিতা সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন।