পহেলা বৈশাখের বাণী। পহেলা বৈশাখের সেরা বাণী। নববর্ষের বাণী। বাংলা নতুন বছরের বাণী

আপনি কি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন নতুন এবং পহেলা বৈশাখের গুরুত্বপূর্ণ সকল বাণী অনুসন্ধান করেছেন তাহলে আজকের পোস্টে আপনি জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন পহেলা বৈশাখ কিংবা নববর্ষের সকল বাণী। এই বাণীগুলো কবি সাহিত্যিকগণ লিখেছেন। যারা এই বাণীগুলো সংগ্রহ করতে চান এবং স্যারের মাধ্যমে কিংবা আপনার প্রিয়জনকে দিতে চান তারা আজকের আর্টিকেলটি দেখুন।
পহেলা বৈশাখের বাণী
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো
ফকির বাবার ঝাড়ফুঁক দিয়ে
রোগীদের রোগ দাও সারিয়ে
সারা বছরের গুনাহ দূর হয়ে যাক
যাক যাক
এসো এসো…
যাক দূর হয়ে কষ্টের স্মৃতি
যাক ছ্যাঁকা খাওয়া প্রেম প্রীতি
যাক মুছে চোখের পানি সুদূরে মিলাক
যাক যাক
এসো এসো…
মুছে যাক দুঃখ ঘুচে যাক খরা
বৃষ্টির পানিতে পবিত্র হোক ধরা
সুরের আবেশ রাশি
ঢেলে দাও বাসায় আসি
বাজাও বাজাও, হগলে মিলে আনন্দের ঢাক
ঝগড়াঝাটি মারামারি পরচর্চা যাক, দূরে যাক
যাক যাক
এসো এসো…
“ ফিরে ফিরে বারবার সে এসেছে
প্রতিটি বারে সেই সে নবীন
পহেলা বৈশাখ…
শুভকামনায় নববর্ষ রঙিন ”
“তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো“
পহেলা বৈশাখের সেরা বাণী
চৈত্রের রাত্রি শেষে, সূর্য আসে নতুন বেসে, সেই সূর্যের রঙ্গিন আলো, মুছে দিক তোমার জীবনের সকল কালো…!
“পুরনো যত হতাশা, দুঃখ, অবসাদ, নতুন বছর সেগুলোকে করুক ধূলিসাৎ। সুখ, আনন্দে মুছে যাক সকল যাতনা। “
@@@নতুন সূর্য, নতুন প্রাণ। নতুন সুর, নতুন গান। নতুন ঊষা, নতুন আলো। নতুন বছর কাটুক ভাল। কাটুক বিষাদ, আসুক হর্ষ। শুভ হোক নববর্ষ। @@@
@@@নতুন আশা নতুন প্রাণ, নতুন হাসি নতুন গান, নতুন সকাল নতুন আলো, নতুন দিন হোক ভালো, দুঃখকে ভুলে যাই.@@@
@@@ইলিশ মাছের ৩০ কাঁটা “বোয়াল মাছের দাড়ি, বৈশাখ মাসের ১ তারিখে” আইসো আমার বাড়ি, ছেলে হলে পাঞ্জাবি, মেয়ে হলে শাড়ি, করব বরন বন্ধু তোমায়, আইসো আমার বাড়ি.@@@
নববর্ষের বাণী
@@@ঝরে গেল আজ বসন্তের পাতা, নিয়ে যাক সঙ্গে সব মলিনতা । বৈশাখের সকালে, লাগুক প্রাণে আনন্দের এই স্পর্শ, মন থেকে আজ জানাই তোমায় “শুভ নববর্ষ” নতুন পোশাক নতুন সাঁজ। নতুন বছর শুরু আজ।মিষ্টি মন মিষ্টি হাঁসি।@@@
@@@তিনজন লোক তোমার ফোন নাম্বার চাইছে। আমি দিইনি, তবে তোমার বাড়ির ঠিকানা দিয়েছি।। তারা এই নববর্ষে তোমার বাড়ি আসবে।।তারা তিনজন হলো – সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি!!@@@
@@@নিশি অবসান প্রায় ঐ পুরাতন বর্ষ হয় গত আমি আজি ধূলি তলে জীর্ণ জীবন করিলাম নত | বন্ধু হও শত্রু হও যেখানে যে রত ক্ষমা কর আজিকের মত পুরাতন বছর সাথে পুরাতন অপরাধ যত হর্দম হৈ হৈ, বৈ এলো ঐ, কলার পাতায় ইলিশ পান্তা | ঈশান কোনে মেঘের বার্তা | @@@
@@@পানতা ইলিশ আর ভরতা বাঙ্গালীর প্রাণ… নতুন বছর সবাই গাইবো বৈশাখের গান.. এসো হে বৈশাখ এসো এসো.@@@
@@@পাখির ডানায় লিখে দিলাম নববর্ষের নাম বন্ধু তোমরা উড়ে দেখো পাবে সুখের ঘ্রাণ । পুরনো সব কষ্ট করে ফেলো নষ্ট! নতুন বছরের নতুন যাত্রা হয় যেনো সুখ আর আনন্দময় ! এই কামনায় তোমাদের জানাই .@@@
@@@বাউল গানের সন্ধ্যা তালে নতুন বছর এসেছে ঘুরে, উদাসী হাওয়ার সুরে সুরে রাঙ্গা মাটির পথটি জুড়ে । @@@
@@@যেটুকু ভুল ছিল সুধরে নিব, না পাওয়ার কষ্ট টুকু ভুলে যাব, সবারে বাসবো ভাল, এ প্রত্যয়ে শুরু হোক নতুন বছর। @@@
@@@নতুন পোশাক নতুন সাজ। নতুন বছর শুরু আজ। মিষ্টি মন, মিষ্টি হাসি, শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি। @@@
@@@তুমি সুন্দর, সুন্দর তোমার মন, তার চেয়ে সুন্দর হোক তোমার জীবন,পাশে থাকুক তোমার সকল আপনজন। @@@
@@@জাগুক হৃদয়েতে নব আনন্দ, সঙ্গীতে দাও নতুন ছ্ন্দ, দুর করে দিয়ে সকল দুঃখ, আস হে নতুন আস। @@@
@@@নীল আকাশের মেঘের ভেলায়, ঘাসের উপর শিশির কনায়, প্রজাপতির রঙ্গীন ডানায়, ফালগুনের ফুলের মেলায়.@@@
@@@আম পাতা জোড়া জোড়া, নতুন সব দিচ্ছে সাড়া , ভাল থেকো , সুখে থেকো , আর আমার কথাটি মনে রেখ।”@@@
@@@বছর শেষে ঝরা পাতা বলল উড়ে এসে, একটি বছর পেরিয়ে গেল হাওয়ার সাথে ভেসে। নতুন বছর এসেছে, তাকে যত্ন করে রেখো, স্বপ্ন গুলো সত্যি করে খুব ভাল থেকো। @@@
@@@নিশি যখন ভোর হবে। সুখ তারা নিভে যাবে, আসবে একটা নতুন দিন, দুঃখ হতাশা যাও ভুলে, হাসি আনন্দ নিও তুলে, বছরটা হোক অমলিন। @@@
বাংলা নতুন বছরের বাণী
@@@বিদায় নিল আজ পুরনো বছরের সূর্য। আসবে নতুন সকাল, নতুন দিন, নতুন স্বপ্ন, নতুন আসা। আর নতুন হোক আজকের ভালবাসা। @@@
@@@তোমার জন্য সকাল–দুপুর, তোমার জন্য সন্ধা, তোমার জন্য সকল গোলাপ এবং রজনীগন্ধা। তোমার জন্য সব সুর তোমার জন্য ছন্দ। নতুন বছর বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ। @@@
@@@কাটবে রাত, আসবে প্রভাত। যাক পুরাতন, যাক মুছে যাক সব দুঃখ। নতুন বছর, নতুন আশা, সঙ্গে থাকুক ভালবাসা। @@@
@@@নীলিমার নীলে, হেমন্তের সোনালি ধানের শীষে। সারাবেলা মাতাল হাওয়া যেমন করে ভাসে তেমনি করে সবার জীবন কাটুক আনন্দ আর উচ্ছাসে । @@@
@@@রেশমী চুরি আর রঙিন শাড়ি । ইলিশ ভাজি আর পান্তা হাড়ি । ঢাক ঢোল আর তবলা। নতুন সাজে সাজল বাংলা। এলরে পহেলা বৈশাখ। @@@
@@@আবার আসবে বৈশাখ মাস, চৈত্রের অবসানে। নববর্ষের নতুন হাওয়া, উষ্ণতা দিবে প্রানে। মনের সকল গ্লানি ভুলে, জিবন নতুন ভাবে গড়বে, আবার নতুন সপ্ন দেখবে নববর্ষের টানে। @@@
@@@নতুন পোশাক নতুন সাঁজ। নতুন বছর শুরু আজ। মিষ্টি মন মিষ্টি হাঁসি। শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি॥ @@@
@@@নতুন বছোরের নতুন দিন, অল্প কিছু শুভেচ্ছা নিন। দুঃখ গুলো ঝেড়ে ফেলুন, নতুন কিছু স্বপ্ন গড়ুন। নতুন বছর নতুন আশা, রইলো কিছু ভালোবাসা।@@@
@@@নীল আকাশের খামে ভরে, সাদা মেঘের কাগজে করে, রঃধনুর রঙে লিখে, দখিনা বাতাস কে দিয়ে আমার মনের কথা পাঠালাম@@@
@@@নতুন আলো নতুন ভোর, আসল বছর কাটল প্রহর। অতীতের হলো মরণ , নতুন কে কর বরণ !! পুরনো সব স্মৃতি করে ফেল ইতি, তোমাকে জানাই, শুভ নববর্ষ প্রীতি । @@@
@@@স্বপ্ন সাজাও রঙের মেলায়, জীবন ভাষাও রঙিন ভেলায়। ফিরে চল মাটির টানে, নতুন সুরে নতুন গানে। নতুন আশা জাগাও প্রানে, খুঁজে নাও বাচার মানে। @@@
@@@উদিত রবির প্রথম আলো দূর করবে সকল কালো। মাতবে মন আনন্দধারায় সবাই হবে বাঁধনহারা। দিনটি হোক তোমার তরে মন ভরে উঠুক খুশির ঝরে। @@@
@@@আগমনে রোদেলা দুপুর ! বর্ষার আগমনে সাদা কাঁশফুল ! @@@
@@@ঢাক ঢোল মাদলের তালে রং বেরঙের মনের দেয়ালে বাঙালি সংস্কৃতি উজ্জীবিত থাক যুগে যুগে .@@@
নতুন বছরের ফেসবুকে স্ট্যাটাস
“বছর পাল্টায়, সময় যায়…
তুমি থেকো পাশে, এটাই চাওয়া।
“নতুন বছরের নতুন সকাল,
মুছে যাক সব দুঃখ-জরাকাল।
হাসি-ভালোবাসায় কাটুক প্রতিটা দিন—
“শুভ পহেলা বৈশাখ!
আনন্দে, রঙে আর হাসিতে ভরে উঠুক আজকের দিনটি।
নতুন বছরে হোক নতুন শুরু!”
“এসো হে বৈশাখ, এসো এসো!
পুরনো গ্লানি ধুয়ে যাক, আসুক নতুনের আলোক।
“বছর পাল্টায়, সময় যায়…
তুমি থেকো পাশে, এটাই চাওয়া।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে এসএমএস
“তোমার হাসিতে রাঙিয়ে উঠুক নতুন বছর,
ভালোবাসায় ভরে উঠুক প্রতিটা মুহূর্ত।“-শুভ বাংলা নববর্ষ এবং পহেলা বৈশাখ
“পুরাতন দুঃখগুলো Delete করে,
নতুন খুশির folder Open করো!
Life-এ Refresh নাও— কারণ আজ|”-শুভ বাংলা নববর্ষ এবং পহেলা বৈশাখ
“নতুন সূর্য, নতুন আলো,
মুছে যাক সব দুঃখকালো।
আনন্দে কাটুক প্রতিটা দিন|”-শুভ বাংলা নববর্ষ এবং পহেলা বৈশাখ
“নতুন বছর, নতুন আশা,
প্রতিটি দিন হোক ভালোবাসা।
তোমার জীবন হোক সুখসমৃদ্ধ|”-শুভ বাংলা নববর্ষ এবং পহেলা বৈশাখ
পহেলা বৈশাখ নিয়ে নির্মলেন্দু গুণের কবিতা
সূর্য সত্য, চন্দ্র সত্য, সত্য নববর্ষ
আমার কবিতায় বহুরূপে বহুবার সূর্যের প্রসঙ্গ
এসেছে। তার মানে এই নয় যে, আমি খুব সূর্য-
প্রেমিক বা আমি সূর্যকে খুব ভালোবাসি।
তুলনামূলকভাবে সূর্যের চেয়ে চাঁদই বরং আমাকে
আনন্দ দিয়েছে বেশি। আমার কবিতায়, আমার
গানের মধ্যে আমি সূর্যের চেয়ে চাঁদের কথাই
বেশি বলেছি।
‘ও আমি রাগ করেছি চাঁদের সাথে,
মুখখানি সে দেয়নি ছুঁতে আমার হাতে।’
বিশেষত পূর্ণিমার রাতে আকাশের চাঁদ
আমার খুব ভালো লাগে। ভীষণ, ভীষণ।
আকাশ উন্মাদ করা চাঁদের স্নিগ্ধরূপ
আমি লুকিয়ে-লুকিয়ে দেখি, একা একা।
একদিন গভীর রাতে, বিশ্ব যখন নিদ্রামগ্ন,
গগন মেঘে ভরা, তখন চাঁদ আমাকে,
সবার সামনে বলা যায় না এমন একটা ইঙ্গিত দিয়েছে।
আমি তার ইঙ্গিতের প্রতি আস্থা স্থাপন করে
চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি ছোট্ট বাংলোবাড়ি তৈরি করেছি।
আমার মৃত্যু হলে, যদি কখনও হয়, হতেও তো পারে।
মৃত্যু কি কখনও কোনো জীবনকে ছাড়ে?
তখন আমি কোথায় যাবো?
ভাগ্যিস চাঁদ নামমাত্র মূল্যে তার আট শতাংশ জমি
আমাকে লিজ দিয়েছিল। তা না হলে ওরকম পশ এলাকায়
আমার কবিতাকুঞ্জ গড়া কখনও সম্ভব হতো না।
আমি জানি, সূর্যের চেয়ে চাঁদের ক্লাইমেটই আমার স্বাস্থ্যের
জন্য উপযোগী হবে।
তবে আপনারা ভুল বুঝবেন না আমাকে।
আমি সূর্যকেও ভালোবাসি, কম আর বেশি।
তার তেজ খুব বেশি হলেও,
তার প্রতি আস্থা আমার কম নয় মোটেও।
আমি জানি, আমি তাকে খুব প্রেমচোখে না দেখলেও,
তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা অবিচল।
আমি জানি মেঘে, ঝড়ে বা ঘন কুয়াশায় যদি ঢেকে যায়
ই সৌরজগৎ, তারপরও সূর্য উঠবেই।
তার তো অমাবস্যার ছুটি নেই,
নেই পূর্ণিমার চাঁদের মতো মাসিক-উল্লাস। কক্ষপথে ধাবমান
চঞ্চল চন্দ্রের মতো সে নয়। মহান বিজ্ঞানী
গ্যালিলিওর মতোই সে আপন অবস্থানে
এবং আপন বিশ্বাসে স্থির, দীপ্যমান।
আমি বিশ্বাস করি, যতদিন আকাশ আছে,
যতদিন চাঁদ আছে আকাশে—যতদিন রবে
পদ্মা-মেঘনা, গৌরী-গঙ্গা বহমান, ততদিন রবে
আকাশে সূর্য, মাটিতে শেখ মুজিবুর রহমান।
আর আমি? আমার গন্তব্যের কথা তো আমি
আগেই বলেছি। আমি চলে যাবো চাঁদের নদীর
তীরে তৈরি করা আমার কবিতাকুঞ্জে। সেখানে
আমার জন্য অপেক্ষা করে আছে কবিতার মতো
এক চন্দ্রমুখী নারী।
আমি বিশ্বাস করি, মহাকাশে যত বিপর্যয়ই
ঘটুক না কেন,
কাল সকালে পুবের আকাশে সূর্য উঠবেই এবং
বাঙালি সাড়ম্বরে পালন করবেই তাদের প্রিয় নববর্ষ।
আমি তাকে উঠতেও দেখি না, ডুবতেও দেখি না বহুদিন।
তবু আমি সর্বপাপঘ্ন সূর্যকে বিশ্বাস করি এবং তাকে
মহাবিশ্বের সকল শক্তির অনন্য উৎস বলে মানি।