পহেলা বৈশাখের 2026 ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা

পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী খাবার : বাঙালি ভাষা গোষ্ঠী পহেলা বৈশাখে ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার খেয়ে থাকেন। এই সকল খাবার বাঙালি সংস্কৃতির পরিচয়ক এবং শুভ বাংলা নববর্ষ উদযাপনের আনন্দকে আর আকর্ষণীয় এবং কে বাড়িয়ে তোলে। তাই অনেকে জানতে চান বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাঙালিগণ কি কি এবং এই সকল খাবারের একটি তালিকা নিচে ধারাবাহিকভাবে করা হলো।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা
নিচের তালিকা গুলো থেকে জানতে পারবেন বাঙালি ভাষা গোষ্ঠী গণ পয়লা বৈশ্য উদযাপনের পাশাপাশি কি কি খাবার খেয়ে পয়লা বৈশাখ কে আকর্ষণীয় করে তোলেন এবং বেশি আনন্দ উপভোগ করেন।
১. পান্তা ভাত ও ইলিশ মাছ খাবার
- পহেলা বৈশাখের সকাল বেলা ঠান্ডা ভাত, পানি ও সাবান্য লবণ মিশিয়ে পান্তা ভাত খেতে বেশি ভালোবাসেন।
- পান্তা ভাতের সাথে থাকে ইলিশ ভাজা, শুকনা মরিচ,আলু ভর্তা, সরষে ইলিশ, বেগুন ভর্তা, ডাল সবজি সহ বিপন্ন আকর্ষণীয় গ্রামীন খাবার।
- পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাঙ্গালীদের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রত্যেককে খাবার এগুলি।
২. পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের পিঠা উৎসব
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাঙালি ভাষা জাতিগণ ঐদিন বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে ভালোবাসেন এবং কি কি পিঠা খেতে ভালবাসেন এবং বিবর্ণভাবে তৈরি করেন তার একটি তালিকা নিজে প্রদান করা হলো।
- চিতই পিঠা
- পাটিসাপটা পিঠা
- ভাপা পিঠা
- দুধ চিতই পিঠা
- নকশি পিঠা
- তেল পিঠা
- মুড়ি পিঠা
- পিঠাগুলো সাধারণত গুড়, নারকেল, দুধ ও চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি হয়।
৩. পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মিষ্টি ও মিষ্টান্ন খাবার
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি ও মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারগুলি বাঙালি ভাষা গোষ্ঠীগণ খেয়ে থাকেন।
- মিষ্টি ও মিষ্টান্ন
- রসগোল্লা
- চমচম
- দই (বিশেষ করে বগুড়ার দই)
- সন্দেশ
- লালমোহন ও গুলাব জামুন
- মালপোয়া
৪. ভাতটাও ভাজির আয়োজন
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ধরনের ভর্তা তৈরি করা হয়।
- আলু ভর্তা
- বেগুন ভর্তা
- টমেটো ভর্তা
- শুঁটকি ভর্তা
- সরিষা ইলিশ ভর্তা
- শাক ভাজি (পুঁইশাক, পালং শাক, কলমি শাক)
৫. মাছ ও মাংসের আইটেম
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের মাছ ও মাংসের আইটেম করে খাওয়ার আয়োজন করা হয় এবং এই দিনে উৎসবমুখর পরিবেশের সবাই মাছ-মাংস খেতে ভালোবাসেন।
- সরষে ইলিশ
- রুই মাছের কোরমা
- চিংড়ি মালাইকারি
- গরুর রেজালা
- মুরগির রোস্ট
৬. মুড়ি, চিড়া ও খই পয়লা বৈশাখী খাবার
এই দিনে বুড়ো কলার সাথে মুড়ি ছেঁড়া খই খেতে অনেকে ভালোবাসেন।
- গুড় ও কলার সাথে চিড়া-মুড়ি
- দুধ-চিড়া
- মুড়ি ও বাদাম ভাজা
- মাখা খই ও নারকেল
৭. পানি জাতীয় খাবার
এই দিনে ভিন্ন ধরনের শরবত বিভিন্ন ধরনের পানি জাতীয় খাবার খেতে অনেকে ভালোবাসেন
- বেল শরবত
- আম পান্না
- দুধ-গুড়ের শরবত
- লাচ্ছি
- বোরহানি
পহেলা বৈশাখের বৈশিষ্ট্য
পহেলা বৈশাখ বাঙালি ভাষাভাষীগণ বা বাংলা ভাষা গোষ্ঠীর জনগণ অত্যান্ত সাদাসিধ ভাবে পাঞ্জাবী ও পায়জামা পরে জনগোষ্ঠীর আকার ধারণ করে পালন করেছে। যেমন :
পহেলা বৈশাখের দিনে মানুষ নতুন জামা পরে, মেলায় ঘোরাফেরা করে, সংস্কৃতি অনুষ্ঠান আয়োজন করে এবং দেখে ও খাওয়া দাওয়া পান্তা ভাতের আয়োজন এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
বাঙালি ভাষা গোষ্ঠীর ঐতিহ্য সংস্কৃতির সকল ধরনের এই দিনই উদযাপন করা হয়ে থাকে।
১. মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা
- পয়লা বৈশাখের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় এবং পহেলা বৈশাখের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।
- পহেলা বৈশা ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু করা হয় এবং বিভিন্ন বর্ণের মুখোশ, পুতুল, হাতি ও ঘোড়ার প্রত্যেকটি ও ব্যানার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- পহেলা বৈশাখ কে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে এবং সাংস্কৃত ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
২. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়
- পহেলা বৈশাখের দিন সকালবেলা রমনার বট বলে এর ঐতিহ্যবাহী পরিবেশন এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
- রবীন্দ্র সংগীত লোকসংগীত বাউল গান জারি সারি গান নাটক ও নিত্য পরিবেশন করা হয়ে থাকে।
- এই দিনে টেলিভিশন রেডিওতে দিনব্যাপী বিশেষ পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়ে থাকে।
৩. বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়
- পয়লা বৈশাখের দিন শহর ও গ্রামে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয় যেখানে মাটির খেলনা, পুতুল, লোকজ সামগ্রী সহ বিভিন্ন ধরনের পহেলা বৈশাখের উপকরণ পাওয়া যায়।
- পয়লা বৈশাখের দিন মেলায় নাগরদোলা, পুতুল নাচ, সার্কাস ও লাঠি খেলা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়েছে।
- মেলায় জনগোষ্ঠীর দ্বারা পিঠাপুলি মিষ্টি ও দেশে খাবারের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
৪. পান্তা ভাত ইলিশ খাওয়ার আয়োজন
এই দিনে পহেলা বৈশাখের প্রধান আকর্ষণ পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ও আলুর ভর্তা আর ওর সবজি সবই বিবর্ণ খাবার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
৫. নতুন পোশাক পরিধান করা হয়
- এই দিনে সকল বাঙ্গালীর মধ্যে ধানের করা যায় এবং লাল সাদা রংয়ের পোশাক পরিধান করে।
- মেয়েরা সাদা শাড়ি ও লাল কাপড় এবং কপালের টিপ পরে এবং ছেলেরা সাদা পাঞ্জাবি ও ফতুয়া পরে উৎসবের আয়োজন করে থাকে।
৬. হালখাতার আয়োজন করা হয়
- পহেলা বৈশাখের দিন ব্যবসায়ীরা পুরাতন হিসেব বন্ধ করার জন্য পুরাতন বকেয়াকে হিসাব খোলার জন্য হালখাতার আয়োজন করে থাকে।
- পহেলা বৈশাখের দিন দোকানে দোকানে ক্রেতাদের মিষ্টি বিতরণ ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
- এই দিনে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের সূচনার প্রতি হিসাব উদযাপন করে।
৭. গ্রামীণ খেলাধুলা ও বিনোদনের আয়োজন
পয়লা বৈশাখের দিনে গ্রামের গরুর দৌড, নৌকা বাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তি ও মোরগ লড়াই বশির খেলা সবই খেলার আয়োজন করে উৎসবমুখর ভাবে দিনটি পালন করা হয় তাকে।
পয়লা বৈশাখের খাবারের পিক
পহেলা বৈশাখের বিভিন্ন খাবারের পিক গুলো খুবই আকর্ষণীয় এবং দেখার মত।