ট্রেন

কসবা টু আখাউড়া আন্তঃনগর ট্রেনে সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা ২০২৫

আপনি জেনে খুশি হবেন যে পাটো আখাউড়া পর্যন্ত কয়েকটি আন্তঃনগর চলাচল করে এবং এই ট্রেনগুলি এই রুটে চলাচলের নির্দিষ্ট সময়সূচি রয়েছে। সুতরাং কোন ট্রেন কখন গন্তব্যস্থল ছেড়ে চলে যায় তা জানা দরকার। প্রত্যেকটি যাত্রীদের সুবিধার্থে তোমায় ছাড়া থাকলে এবং টিকিটের মূল্য জানা থাকলে খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবেন। তাই যারা গুগলে কিংবা অন্য কোনভাবে অনুসন্ধান করেন তারা নিশ্চিন্তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে সময়সূচী টিকিটের মূল্য জানতে পারবেন।

কসবা টু আখাউড়া আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী

কসবা টু আখাউড়া ট্রেনে অনেক যাত্রীরা করেন এবং অনেক নিয়মিত যাত্রীরা আছেন যারা চাকরি কিংবা ব্যবসায়িক কাজে নিয়ম। সেই সকল যাত্রীদের জন্ম সময়সূচি যারা খুবই প্রয়োজন এবং প্রত্যেকটি ট্রেনের সময়সূচি আজকের তালিকা থেকে জানতে পারবেন।

ট্রেনের নাম ছাড়ার সময় পৌছানোর সময়
উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১) ০৮:৩৬ ০৯:০০
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭১৯) ১২:৪৭ ১৩:২০
মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১) ১৫:৫৬ ১৬:২০

 কসবা টু আখাউড়া ট্রেনের টিকিটের মূল্য

প্রত্যেকটি ট্রেনের টিকিটের মূল্য এবং সময়সূচী সময় অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। তাই আপনি প্রতারিত না হয়ে প্রত্যেকটি আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী টিকিটের মূল্য আসন ভিত্তিক জেনে নিতে পারেন আপনাকে কেউ ঠকাতে না পারে কিংবা বেশি নিতে না পারে। সুতরাং আপনি ঘরে বসে প্রত্যেকটি টিকিটের মূল্য জানতে পারবেন।

আসন বিভাগ টিকিটের মূল্য (১৫% ভ্যাটসহ)
শোভন ৪৫ টাকা
শোভন চেয়ার ৫০ টাকা
প্রথম সিট ৯০ টাকা
প্রথম বার্থ ১১০ টাকা
স্নিগ্ধা ১১৫ টাকা
এসি সিট ১২৭ টাকা
এসি বার্থ ১৫০ টাকা

কসবা টু আখাউড়া আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন

প্রত্যেকটি আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটিতে রয়েছে এবং আখাউড়া টু কসবা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের ট্রেনের ছুটির দিন কত তা বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি অনুসরণ করুন।

ট্রেনের নাম সাপ্তাহিক বন্ধের দিন
উপকূল এক্সপ্রেস (৭১২) মঙ্গলবার
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭২০) শনিবার
মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২) রবিবার

 কসবা টু আখাউড়া আন্তঃনগর ট্রেনের বিরতি স্থান

প্রত্যেকটি আন্তঃনগর ট্রেন আখাউড়া থেকে কসবা পর্যন্ত যাতায়াত কালের বিভিন্ন স্থানে বিরতি প্রদান করেন এবং প্রত্যেকটি বিরোধী স্থানের তালিকা জানার নিচের তালিকা থেকে জানতে পারবেন।

  • ট্রেনটি সাধারণত কোনো মধ্যবর্তী স্টেশনে বিরতি দেয় না।

কসবা টু আখাউড়া আন্তঃনগর ট্রেনের নাম নাম্বার

কসবা টু আখাউড়া পর্যন্ত কোন কোন আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করেন এবং নাম্বার ছবি বিস্তারিত রেখে দেখুন।

S/L ট্রেনের নাম ট্রেন নাম্বার
1 উপকূল এক্সপ্রেস ৭১২
2 পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ৭২০
3 মহানগর এক্সপ্রেস ৭২২

 কসবা টু আখাউড়া আন্তঃনগর ট্রেনের আসন সংখ্যা

কসবা টু আখাউড়া পর্যন্ত যতগুলো আন্দোলন নগর ট্রেন করে চলাচল করে প্রত্যেকটি ট্রেনের অনেকগুলি করে আসন রয়েছে এবং বিভিন্ন আসন বেঁধে তালিকা আলাদা আলাদা রয়েছে। তবে বিভিন্ন শ্রেণীর আসনের এবং বিস্তারিত আপনি সহজে জানতে পারবেন।

  • শোভন কোচে সাধারণত ৭২টি আসন থাক
  • শোভন চেয়ার কোচে প্রায় ৬৫টি আস এবং
  • এসি সিট কোচে প্রায় ৫০টি আসন থাকতে পারে।

কসবা টু আখাউড়া পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের  বগির সংখ্যা

অনেক যাত্রী রয়েছেন যারা আন্তঃনগর ট্রেনগুলির মধ্যে বগির সংখ্যা অনুসন্ধান করেন এবং এবং জানার জন্য বগীর তালিকা সংখ্যা জানতে চাই। 

  • উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাধারণত ১৩টি বগি নিয়ে পরিচালিত হয়।

 কসবা টু আখাউড়া ট্রেনটি এখন কোথায়

আপনি যদি একটু আখাউড়া টু কসবা ট্রেন যার নাম্বার ৮০১ অবস্থান জানতে চান তাহলে এসএমএস করে ট্র্যাকিং সেবা ব্যবহার করতে পারেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ট্রাকিং পদ্ধতি অনুসরণ করে জানতে পারেন। নিচে ট্রেনের অবস্থান জানার জন্য নো লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে ট্রাকিং করতে পারেন।

  • মোবাইলের মেসেজ অপশনে যান।
  • নতুন মেসেজে টাইপ করুন: TR 801
  • মেসেজটি পাঠান 16318 নম্বরে।

কসবা টু আখাউড়া ট্রেনের টিকেট কাটার স্থান

আখাউড়া টু কসবা গামী ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনি নিচের স্থানগুলো থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন:

. অনলাইন টিকিট কাটার পদ্ধতি (E-Ticketing)

আপনি সহজেই অনলাইনে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ থেকে টিকিট কিনতে পারেন।

  • ওয়েবসাইট: https://eticket.railway.gov.bd/
  • মোবাইল অ্যাপ: “Rail Sheba” (অ্যান্ড্রয়েড iOS- উপলব্ধ)

. রেলওয়ে স্টেশন থেকে টিকিট কেনার স্থান

আপনি সরাসরি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে পারেন।

  • চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ঠিকানা: স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম
  • কাউন্টার সময়: সকাল :০০রাত ১০:০০ (সময় পরিবর্তিত হতে পারে)

. মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট পয়েন্ট থেকে টিকিট

  • কিছু নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস যেমন bKash, Nagad, Rocket এর মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট করে টিকিট কাটা যায়।

 কসবা টু আখাউড়া ট্রেনের অনলাইনে টিকিট কাটার নিয়ম

কসবা টু আখাউড়া গামী ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট:

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেটিং সিস্টেম:

  • https://eticket.railway.gov.bd/

অনলাইনে টিকিট কাটার ধাপ:

Firstly: ওয়েবসাইটে যান → eticket.railway.gov.bd

Secondly: একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন (যদি আগে না করে থাকেন)

Thirdly:  লগইন করুন এবং ট্রেন অনুসন্ধান করুন

Fourthly: আপনার পছন্দের ট্রেন, আসন ক্যাটাগরি সংখ্যা নির্বাচন করুন

Fifthly: মূল্য পরিশোধ করুন (bKash, Nagad, Rocket বা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে)

Finally:  টিকিট ডাউনলোড করুন এবং যাত্রার দিন স্টেশনে গিয়ে হার্ডকপি সংগ্রহ করুন (যদি প্রয়োজন হয়)

 গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • টিকিট কাটা শুরু হয় যাত্রার ১০ দিন আগে
  • প্রতিদিন সকাল :০০ থেকে রাত ১১:০০ পর্যন্ত অনলাইনে টিকিট কেনা যায়
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রয়োজন হতে পারে

আরও বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://railway.gov.bd/ ভিজিট করতে পারেন।

কসবা টু আখাউড়া ট্রেনের অন্যান্য সুবিধা 

ট্রেনে যাত্রীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। এখানে কিছু সাধারণ সুবিধার তালিকা দেওয়া হলো:

বিশাল সীট: ট্রেনে আরামদায়ক এবং প্রশস্ত সীট ব্যবস্থা থাকে, বিশেষ করে এসি কোচে যেখানে যাত্রীরা আরও বেশি আরামদায়ক পরিবেশে বসতে পারেন।
এসি এবং ননএসি কোচ: এসি এবং ননএসি কোচ: যাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী এসি (এয়ার কন্ডিশনড) এবং ননএসি (পানির বগি) কোচ রয়েছে।
খাবারের ব্যবস্থা: খাবারের ব্যবস্থা: বেশ কিছু ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থা থাকে, যেখানে যাত্রীরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে খাবার পানীয় সেবা নিতে পারেন।
অনলাইন টিকিট বুকিং: বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের সুবিধা প্রদান করে, যার মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই টিকিট কিনতে পারেন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ট্রেনের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সিকিউরিটি গার্ড থাকেন, যারা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
পরিষ্কার এবং সুস্থ পরিবেশ: ট্রেনের বগিগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখা হয়, যাতে যাত্রীরা সুস্থ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে যাত্রা করতে পারেন।

 কসবা টু আখাউড়া ট্রেনের মালামালের পরিমাণ

কাঁচামাল: কয়লা, সিমেন্ট, লোহা, রড, তেল, সার, খনিজ এবং অন্যান্য শিল্পকর্মের কাঁচামাল।
কৃষিপণ্য: ধান, চাল, গম, ফলমূল, সবজি, মিষ্টি পাট, শাকসবজি ইত্যাদি।
ভোগ্যপণ্য: গার্মেন্টস পণ্য, তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, গাড়ি, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, প্লাস্টিক পণ্য ইত্যাদি।
ডাক এবং চিঠি: দেশের ভেতরে ডাক প্যাকেজ সরবরাহ।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button