কসবা ও চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা,তালিকা সংখ্যা ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন 2025

কসবা থেকে চট্টগ্রাম দুইটা আন্তঃনগর ট্রেন সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে প্রত্যেকদিন চলাচল করে থাকে। ট্রেন দুইটা হল পাহাড়ি এক্সপ্রেস এবং মহানগর এক্সপ্রেস। যে সকল যাত্রী চলাচল করেন তাদের ভ্রমণের পূর্বে দুইটির সময়সূচি সম্পর্কে জানা দরকার। সুতরাং আজ আমরা প্রত্যেকটি ট্রেনের নির্দিষ্ট সময়সূচী এবং সাপ্তাহিক ছুটি ৩০০ বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।
কসবা থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী
নিচে প্রেমপাহাড় এক্সপ্রেস মহানগর এক্সপ্রেস এর ছাড়ার সময় এবং পৌঁছানোর সময় সূচি তুলে ধরা হলো।
ট্রেনের নাম | কসবা থেকে ছাড়ার সময় | চট্টগ্রাম পৌঁছানোর সময় |
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭২০) | ১৫:৪২ | ১৯:৩৫ |
মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২) | ০০:৩৭ | ০৪:৫০ |
কসবা থেকে চট্টগ্রামে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটের মূল্য
কসবা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি আন্তঃনগর ট্রেনের প্রত্যেকটি আসনের করা হয়েছে। এখানে সাতটি আসন সংখ্যা রয়েছে এবং প্রত্যেকটি আসনের আলাদা আলাদা ভাড়ার তালিকা নির্ধারিত হয়েছে। সুতরাং নিচের তালিকা থেকে জানতে পারবেন ভাড়ার তালিকা।
S/L | আসন বিভাগ | টিকিটের মূল্য (১৫% ভ্যাটসহ) |
1 | শোভন | ১৭০ টাকা |
2 | শোভন চেয়ার | ২০০ টাকা |
3 | প্রথম সিট | ২৬৫ টাকা |
4 | প্রথম বার্থ | ৪০০ টাকা |
5 | স্নিগ্ধা | ৩৮৬ টাকা |
6 | এসি সিট | ৪৬০ টাকা |
7 | এসি বার্থ | ৬৯০ টাকা |
কসবা চট্টগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন
কসবা থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর সাপ্তাহিক ছুটির দিন প্রাইসে এবং পাহাড়ে এক্সপ্রেস এর সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার এবং ছুটির দিন রবিবার।
ট্রেনের নাম | ছুটির দিন |
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭২০) | শনিবার |
মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২) | রবিবার |
কসবা থেকে চট্টগ্রামে আন্তঃনগর ট্রেনের বিরতি স্থান
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭২০):
- কুমিল্লা
- আখাউড়া
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ফেনী
- পাহাড়তলী
মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২):
- কুমিল্লা
- লাকসাম
- ফেনী
- পাহাড়তলী
কসবা ও চট্টগ্রাম ট্রেনের ট্রেনের আসন সংখ্যা
কসবা টু চট্টগ্রাম গামী আন্তঃনগর ট্রেন গুলির বিভিন্ন শ্রেণীর আসন সংখ্যা রয়েছে এবং কোন কোন আন্তঃনগর ট্রেনের আসন সংখ্যা কত তা নিম্ন জানতে পারবেন।
কসবা টু চট্টগ্রামগামী ট্রেনের বগির সংখ্যা
কসবা থেকে চট্টগ্রামগামী যতগুলো আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে প্রত্যেকটি ট্রেনের বেশি হতে পারে এবং কোন কোন ট্রেনের বগে কতটি রয়েছে তা নিম্নরূপ জানতে পারবেন।
- সাধারণত, আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে ১০ থেকে ১৫টি বগি থাকতে পারে
কসবা টু চট্টগ্রামগামী ট্রেন এখন কোথায়
আপনি যদি একটু কসবা টু চট্টগ্রামগামী ট্রেনের যার নাম্বার 720 অবস্থান জানতে চান তাহলে এসএমএস করে ট্র্যাকিং সেবা ব্যবহার করতে পারেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ট্রাকিং পদ্ধতি অনুসরণ করে জানতে পারেন। নিচে ট্রেনের অবস্থান জানার জন্য নো লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে ট্রাকিং করতে পারেন।
- মোবাইলের মেসেজ অপশনে যান।
- নতুন মেসেজে টাইপ করুন: TR 720
- মেসেজটি পাঠান 16318 নম্বরে।
কসবা টু চট্টগ্রামগামী ট্রেনের টিকেট কাটার স্থান
কসবা টু চট্টগ্রামগামী ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনি নিচের স্থানগুলো থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন:
১. অনলাইন টিকিট কাটার পদ্ধতি (E-Ticketing)
আপনি সহজেই অনলাইনে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ থেকে টিকিট কিনতে পারেন।
- ওয়েবসাইট: https://eticket.railway.gov.bd/
- মোবাইল অ্যাপ: “Rail Sheba” (অ্যান্ড্রয়েড ও iOS-এ উপলব্ধ)
২. রেলওয়ে স্টেশন থেকে টিকিট কেনার স্থান
আপনি সরাসরি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে পারেন।
- চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ঠিকানা: স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম
- কাউন্টার সময়: সকাল ৮:০০ – রাত ১০:০০ (সময় পরিবর্তিত হতে পারে)
৩. মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট পয়েন্ট থেকে টিকিট
- কিছু নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস যেমন bKash, Nagad, Rocket এর মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট করে টিকিট কাটা যায়।
ট্রেনের অনলাইনে টিকিট কাটার নিয়ম
কসবা টু চট্টগ্রামগামী ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট:
বাংলাদেশ রেলওয়ে ই–টিকেটিং সিস্টেম:
- https://eticket.railway.gov.bd/
অনলাইনে টিকিট কাটার ধাপ:
Firstly: ওয়েবসাইটে যান → eticket.railway.gov.bd
Secondly: একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন (যদি আগে না করে থাকেন)
Thirdly: লগইন করুন এবং ট্রেন অনুসন্ধান করুন
Fourthly: আপনার পছন্দের ট্রেন, আসন ক্যাটাগরি ও সংখ্যা নির্বাচন করুন
Fifthly: মূল্য পরিশোধ করুন (bKash, Nagad, Rocket বা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে)
Finally: ই–টিকিট ডাউনলোড করুন এবং যাত্রার দিন স্টেশনে গিয়ে হার্ডকপি সংগ্রহ করুন (যদি প্রয়োজন হয়)
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- টিকিট কাটা শুরু হয় যাত্রার ১০ দিন আগে
- প্রতিদিন সকাল ৮:০০ থেকে রাত ১১:০০ পর্যন্ত অনলাইনে টিকিট কেনা যায়
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রয়োজন হতে পারে
আরও বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://railway.gov.bd/ ভিজিট করতে পারেন।
কসবা টু চট্টগ্রামগামী ট্রেনের অন্যান্য সুবিধা
ট্রেনে যাত্রীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। এখানে কিছু সাধারণ সুবিধার তালিকা দেওয়া হলো:
বিশাল সীট: | ট্রেনে আরামদায়ক এবং প্রশস্ত সীট ব্যবস্থা থাকে, বিশেষ করে এসি কোচে যেখানে যাত্রীরা আরও বেশি আরামদায়ক পরিবেশে বসতে পারেন। |
এসি এবং নন–এসি কোচ: | এসি এবং নন–এসি কোচ: যাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী এসি (এয়ার কন্ডিশনড) এবং নন–এসি (পানির বগি) কোচ রয়েছে। |
খাবারের ব্যবস্থা: | খাবারের ব্যবস্থা: বেশ কিছু ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থা থাকে, যেখানে যাত্রীরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে খাবার ও পানীয় সেবা নিতে পারেন। |
অনলাইন টিকিট বুকিং: | বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের সুবিধা প্রদান করে, যার মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই টিকিট কিনতে পারেন। |
নিরাপত্তা ব্যবস্থা: | ট্রেনের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সিকিউরিটি গার্ড থাকেন, যারা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। |
পরিষ্কার এবং সুস্থ পরিবেশ: | ট্রেনের বগিগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখা হয়, যাতে যাত্রীরা সুস্থ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে যাত্রা করতে পারেন। |
কসবা টু চট্টগ্রামগামী ট্রেনের মালামালের পরিমাণ
কাঁচামাল: | কয়লা, সিমেন্ট, লোহা, রড, তেল, সার, খনিজ এবং অন্যান্য শিল্পকর্মের কাঁচামাল। |
কৃষিপণ্য: | ধান, চাল, গম, ফলমূল, সবজি, মিষ্টি পাট, শাক–সবজি ইত্যাদি। |
ভোগ্যপণ্য: | গার্মেন্টস পণ্য, তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, গাড়ি, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, প্লাস্টিক পণ্য ইত্যাদি। |
ডাক এবং চিঠি: | দেশের ভেতরে ডাক ও প্যাকেজ সরবরাহ। |