বিদেশি রেমিটেন্স আনার নিয়ম | কিভাবে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠানো যায়
আজকে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠাতে হয় এবং রেমিটেন্স পাঠানোর নিয়ম কি?. যারা বিদেশে থাকে তারা প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট বেতন পায় যে বেতনটা দেশে পাঠাতে চায় এটা কি রেমিটেন্স বলা হয় কিন্তু বৈধ উপায়ে বা কিভাবে রেমিটেন্স পাঠালে সহজে পাওয়া যায় তার পদ্ধতি বা সুবিধা বিস্তারিতভাবে নিম্নে তুলে ধরবো.
রেমিটেন্স কি?
যারা বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠায় তাদেরকে রেমিটার বলা হয় এবং যে টাকাটা দেশে আসে সেটাকে রেমিটেন্স বলা হয়. ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃক স্থাপিত এজেন্সি এবং অন্যান্য বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর যেকোনো নির্বাচিত একচেঞ্জ থেকে রেমিটেন্স যে কেউ পাঠাতে পারে এবং উপকারভোগীর এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্টে স্থানান্তরিত হবে এবং সুবিধাভোগী আমানত সম্পর্কে একটি এসএমএস পাবেন.
কয় ভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো যায়
যারা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে থাকেন সেই সমস্ত রেমিটারা দেশে দুইভাবে রেমিটেন্স প্রমাণ করতে পারবেন. যেমন:
১. সরাসরি এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট নাম্বারে
২. পিন নাম্বারের মাধ্যমে
বিশেষ দ্রষ্টব্য: রেমি তারা সর্বদা রেমিটেন্স এডসেন্সের মাধ্যমে দুইটি উপায় রেমিটেন্স পাঠাতে পারে তবে রেমিটেন্স মনোনীত এক্সচেঞ্জ হাউজ এর মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠালেন ডিবিবিএল কর্তৃক বোনাস পাবে এবং দ্রুত একাউন্টে গৃহীত হবে. তবে অন্য এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে রেমিটেন্স পাঠালে একটু সময় বেশি লাগবে এবং অতিরিক্ত বোনাস পাবেন না.
কিভাবে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানো যায় বা নিয়ম
রিমিটার বিদেশে ডিবিবিএল শাখা কর্তৃক এবং বিশ্ব জুড়ে অবস্থিত অন্যান্য বাংলাদেশ ব্যাংকগুলোর যেকোনো মনোনীত এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে রেমিটেন্স পাঠাতে পারেন. এজন্য রিমিটারকে সেখানে ডেবিবিল কর্তৃক মনোনীত এক্সচেঞ্জ এবং অন্যান্য যেকোন এক্সচেঞ্জ হাউজ এ গিয়ে রেমিটেন্স পাঠাতে বলবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত রেমিটেন্স অফিসারকে. দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তাদের কাছ থেকে কয়েকটি তথ্য যাবেন এবং রেমিটেন্স প্রেম করবেন. নিম্নে তথ্যগুলো প্রদান করা হলো:
১.অ্যাকাউন্ট নাম্বার যেমন: (এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট নাম্বার ১৩ ডিজিট)
২. ব্যাংকের নাম (ডাচ বাংলা ব্যাংক)
৩. টাকার পরিমান
একাউন্টধারী কিভাবে রেমিটেন্স টাকা উত্তোলন করবেন
আপনি যদি একজন এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্টধারী হয়ে থাকেন এবং আপনার একাউন্টে বিদেশি রেমিটেন্স আসে তাহলে আপনি দুই ভাবে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন. এক: এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে. দুই: ডাচ-বাংলা ব্যাংকের যে কোন শাখা থেকে.
- অ্যাকাউন্টধারী কিভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে টাকা উত্তোলন করবেন
- একাউন্টধারী প্রথমে টাকা উত্তোলন করার জন্য যেকোনো ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃক মনোনীত আউটলেট পয়েন্টে যাবেন
- একাউন্টধারী টাকা উত্তোলনের জন্য যেকোনো ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃক আউটলেট পয়েন্টে যাবেন এবং টাকা উত্তোলনের কথা বলবেন
- আউটলেট টেলার অ্যাকাউন্টধারীর কাছ থেকে এনআইডি জমা নিবেন
- এজেন্ট ব্যাংকিং এর ট্রেলার এনআইডি বা পিন নাম্বারটি ডিবিবিল সিস্টেম এ আপলোড করবেন
- ডিবিবিএল সিস্টেম অ্যাকাউন্টধারীর তথ্য যাচাই করবেন এবং সুবিধাভোগীকে অর্থ প্রেরণের জন্য তহবিল থেকে অর্থ কেটে আউটলেট একাউন্টে স্থানান্তর করবেন
- আউটলেট টেলার সিস্টেম যাচাই পূর্বক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা প্রদান করবেন এবং স্বাক্ষর নিবেন
- তারপর একাউন্টধারী এবং আউটলেট টেলার ও ভাই মেসেজের মাধ্যমে কনফার্মেশন লেনদেন নিশ্চিত হবেন
অ্যাকাউন্টধারী কিভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে টাকা উত্তোলন করবেন
- একাউন্টধারী প্রথমে টাকা উত্তোলন করার জন্য যেকোনো ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃক মনোনীত আউটলেট পয়েন্টে যাবেন
- একাউন্টধারী টাকা উত্তোলনের জন্য যেকোনো ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃক আউটলেট পয়েন্টে যাবেন এবং টাকা উত্তোলনের কথা বলবেন
- আউটলেট টেলার অ্যাকাউন্টধারীর কাছ থেকে এনআইডি জমা নিবেন
- এজেন্ট ব্যাংকিং এর ট্রেলার এনআইডি বা পিন নাম্বারটি ডিবিবিল সিস্টেম এ আপলোড করবেন
- ডিবিবিএল সিস্টেম অ্যাকাউন্টধারীর তথ্য যাচাই করবেন এবং সুবিধাভোগীকে অর্থ প্রেরণের জন্য তহবিল থেকে অর্থ কেটে আউটলেট একাউন্টে স্থানান্তর করবেন
- আউটলেট টেলার সিস্টেম যাচাই পূর্বক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা প্রদান করবেন এবং স্বাক্ষর নিবেন
- তারপর একাউন্টধারী এবং আউটলেট টেলার ও ভাই মেসেজের মাধ্যমে কনফার্মেশন লেনদেন নিশ্চিত হবেন