উৎসব

সেহরি নিয়ে কবিতা

আপনি কি রমজানের সেহরি নিয়ে কবিতা অনুসন্ধান করেছেন?. কবি সাহিত্যিকগণ রমজানের সেহরি নিয়ে বেশকিছু কবিতা রচনা করেছেন যা আপনার মন জুড়িয়ে. পবিত্র রমজান মাসের রমজানের রোজা পালনের উদ্দেশ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের আঁখেন এবং রোজা পালন শেষে ইফতার করেন এবং রোজা শুরু করার জন্য সেহরি গ্রহণ করেন। মাহে রমজানের শিহরি অনেক কবি সাহিত্যিক মধুর কবিতা লিখেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হৃদয় জুড়িয়ে যায়। আপনি যদি এই কবিতাগুলি অনুসন্ধান করে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে শুরু করতে পারবেন।

সুতরাং যারা সিউড়ি নিয়ে কবিতা অনুসন্ধান করেন এবং সংগ্রহ করতে চান তাদের জন্য আমরা বেশ কিছু কবিতা সংগ্রহ করেছি এগুলো আপনি যেখান থেকে সংগ্রম করতে পারবেন।

সেহরি নিয়ে কবিতা

আপনি যদি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হয়ে থাকেনএবং রমজান মাসের সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করেন। তাহলে শিড়ির গুরুত্ব এবং ফজিলত অনেক বেশি তা আপনার জানা আছে। তাই কিছু ইসলামিক কবিদের নিয়ে কবিতা রচনা করেছেন। আপনি যদি এই সকল কবিতা জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ভিজিট করুন সম্মান করুন.

সেহরি

– হাবিব রাশেদ

মিনার হতে ডাক দিয়েছে,

জাগলো ঘুমের পাড়া।

প্রভুর হকুম করতে পালন,

মুমিনেরা দিলো সাড়া।




ঘরে ঘরে যেনো ধুম পড়েছে,

আয়োজন করে খাবার।

থাকে যদি কেউ ঘুমের ঘোরে,

ডেকে দেয় যে আবার।




প্রভুর তরে রাখবে রোজা,

তবে কেন আর দেরি।

সময় শেষের আগেই খাবো,

বরকতময় সেহরি।


সেহরির ডাক

– প্রকৃতি – অন্য মনা

__________সেহরির ডাক________

______________________________

________________^_____________

রমজান এল, রমজান এল,

_________আল্লাহর আরজ ছেদিয়া।

উঠিবে বেলা, উঠিবে বেলা,

__________তিমির নক্ষত্র যাবে

মিশিয়া।



ওঠো, ওঠো, জেগে ওঠো,

___________ ওরে মুমিন মুসলমান।

যথা সাধ্য তোম আয়ে,

______________কর সেহরি পান।



গৃহহীন নিকটস্থ অনাহারে মুখে,

____________দিয়ে এসো একটু অন্ন।

তারাও মোদের কাতারে আসুক,

___________________হয় সবাই ধন্য।।

সেকালের সেহরী

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আগের দিনে আমরা যখন

সেহরী খেতে উঠতাম

বিজলী ছাড়াই অন্ধকারে

এঘর ওঘর ছুটতাম।




ঘড়ি ছিল না মাইক ছিল না

ছিল আকাশ তারা

মধ্য তারার দিক নির্নয়ে

সেহরী হতো সারা।




তিন প্রহরে মোরগগুলো

পাখা ঝাপটিয়ে ডাকতো

কুক-কুরু-কু শব্দ শুনে

পাড়াশুদ্ধ জাগতো।




"জাগো জাগো, জাগো সবাই"

কেউবা ধরতো গান

গভীর রাতে গ্রামগুলো যে

পেত নতুন প্রাণ।




বুড়োগুলোর কাশির শব্দে

শিশুরা উঠতো জেগে

কান্নাকাটি করলে মায়ে

ধমকে দিত রেগে।




শীতের রাতে বাসি তরকারী

জমাট বাধা ঝোল

বোয়াল মাছের পেটি দেখে

ছাড়তাম মায়ের কোল।




গরম ভাতে ঝোল মাখিয়ে

খেতে কি যে স্বাদ!

ওসব যারা খাইনি কভু

জীবটাই বরবাদ।




শীতের চোটে কাঁপতে কাঁপতে

খেতাম পাটিত বসে

খাওয়ার শেষে দুধমাখা ভাত

খেতাম মনের জোসে।




মাঝে মাঝে ঘুমের চোটে

উঠতে হতো দেরি

পূবাকাশে ফর্সা হতো

খাওয়া হতো না সেহরী।




ফর্সা হলেও কেউবা আবার

ঘরে দুয়ার দিয়ে

হাপুর-হুপুর ডাল-ভাত খেত

কুপির আলো নিয়ে।




খাওয়ার পরে পানি খেতে

যদি আজান দিত

ঢোক না গিলেই পানি ফেলে

নিয়ত করে নিত।




ওই অবস্থায় রাখতো রোজা

ঈমান ছিল খাঁটি

রোজা ভাঙলেই মনে করতো

পরোকালটাই মাটি।




সেহরী শেষে আজান দিলে

নামাজ পড়ার তাড়া

জল চৌকির পর দাঁড়িয়ে যেত

নামায পড়তো যারা।




মসজিদ অনেক দূরে থাকায়

নামায পড়তো ঘরে

নামায শেষে দরুদ পড়তো

গুণগুণ মধুর স্বরে।




ভোর বেলার ঐ দরুদ গুলো

শুনতে লাগতো ভালো

এসব করতেই সুর্য্য উঠতো

ছড়িয়ে দিয়ে আলো।




সেসব দিনের সেহরীর কথা

আজো মনে হলে

আধুনিক আর ভাল্লাগেনা

তাইতো মনটা দোলে।




বাপ-চাচারা রোজা রেখেই

মাঠে করতো কাজ

রোজা ছাড়লে সেই সময়ে

সবাই দিত লাজ।


সেহরির ছড়া

– মোঃ হাবিবুর রহমান সুজন

রোজার দিনে মধ্যরাতে-

পূব পাড়ার ওই মসিজিদেতে,

মোল্লা হাঁকে জোরসে ডাকে-

"মা বোনেরা উঠ ত্বরা ।

সেহরি খাওয়ার সময় হল ওই।

উনুন জ্বালাও রান্না চড়াও

নইলে যে বোন আমরা সবে

উপোষ পরে রই।"

সেই ডাকেতে দেয় না সাড়া

বাড়িসুদ্ধ ঘুমিয়ে সারা

মা আমার যে একলা জাগে

কনকনে এই শীতের রাতে

জ্বালিয়ে উনুন, শীত পোহাতে-

বাড়িয়ে চাঁদর মা আমার ওই

একলা বসে রয়।

হলদে বাটার ঝনঝনিতে

লেপের ভেতর কনকনিতে

কে জেগেছে? কেউ না কথা কয়!

রান্না শেষে ডাকছে হেসে

তোমরা সবে ঘুমিয়ে আছ হায় ।

প্রভাত ঊষা হাসল বলে

এখন উঠ তা না হলে

সেহরি খাওয়ার সময় বয়ে যায়।

বাবা উঠে দাঁতটি ঘষে

ফাটা গলায় ডাকছে কষে

কই রে তোরা উঠ।

সাদা বিড়াল পিঁড়িতে বসে,

খাবার গন্ধে পা টি ঘষে-

হেসেই কুটকুট।

ক্ষণিক পরে সবাই জাগে

ভাই বোনেরা আমার আগে

পিছেই আমি মারি ভীষণ দৌড়।

চলছে রে হাত ঘূর্ণি ধেয়ে

কার আগে কে উঠবে খেয়ে-

এই নিয়ে ভাই চলছে রে হুল্লোড়।

কবিতা : রোজা

লেখক: এম সাইফুল ইসলাম নেজামী

রোজা নয় কঠিন বোঝা

তাতে মিলবে সঠিক সোজা

পরম আরাধ্য মওলার সন

মালিকেরে ডাকো দিয়ে তনু মন।




অন্ধকার হতে অন্ধকার

আলোর ঝলকানি মাঝে আবার

নীতি বিবর্জিত কর্ম ত্যাগ

আহার পানীয় হতে থাক সজাগ।




সায়েম যবে নিয়ে ইফতার

নাড়েচাড়ে না করে আহার

আরশে বসে প্রভুর সমাচার

ফেরেশতাদের ডেকে দেখায় বার বার।




সেহরি গ্রহণে রাতের শেষ ভাগে

মুমিন যখন উঠে জেগে

ওয়াক্ত তখন রহম পাবার

আমার নয়, ঘোষণা আল্লাহর।




আলোর মাঝে অনাহার

অন্ধকারে তারাবী গোজার

যথাযথ কর সম্মান রোজার

মাধ্যম এটাই সফল হবার।




দয়াময় দয়ার সাগর

রমজানে বয়ে চলছে করুণার নহর

ক্ষমার হাত করেছে প্রসারিত

প্রভু মুক্তি দিবে অবধারিত।

শেষ কথা হল রমজানের রোজা শুরুর জন্য সেহরি বরণ করে থাকেন মুসলমানগন এবং সেহেরির গ্রহণের মাধ্যমে রোজা শুরু করেন। এইজন্য শিবিরের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং তাৎপর্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জানার জন্য কিছু কবি সাহিত্যিক কবিতা রচনা করেছেন। আরে সকল কবিতা আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করেছি

Related Articles

Back to top button