মোটরসাইকেলের জ্বালানি সাশ্রয়ে অনুসরণ করুন এই সকল কৌশল
আজকের আলোচনা মোটরসাইকেলে কিভাবে চালালে জ্বালানি ছাড়া করা যাবে এবং আপনি কম জ্বালানি ব্যবহার করে বেশি কিলো যেতে পারবেন. বর্তমানে বাংলাদেশে জ্বালানের মূল্য খুবই বেশি এবং জ্বালানির সংকট রয়েছে. দিন দিন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মোটরসাইকেল ব্যবহারই কারী কম বেশি খরচের ভয়ে মোটরসাইকেল বেশি চালাচ্ছে না. আজকে কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করব যে কিভাবে মোটরসাইকেল চালালে জ্বালানি সাতরা করা যাবে এবং কম জ্বালানি ব্যবহার করে বেশি মোটরসাইকেল চালানো সম্ভব হবে. এই সকল কৌশল নিয়ে আজকের আলোচনা এবং নিচে ধারাবাহিকভাবে সকল কৌশল গ্রুপ দেখতে পাবেন.
মোটরসাইকেলের জ্বালানি সাশ্রায়ে দশটি কৌশল নিচে তুলে দেওয়া হল
মোটরসাইকেল কিভাবে চালালে এবং কোন কৌশল অবলম্বন করলে জ্বালানি খরচ কম হবে এই সকল কৌশল নিয়ে আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে এবং এখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয় সম্ভব.
প্রত্যেকদিন মোটরসাইকেল চালানো যে কাজটি করবেন
আপনি প্রত্যেকদিন বাইক ঘর থেকে বের করে দুই থেকে এক মিনিট স্টার্ট করে রাখুন এবং তারপর আপনি বাইক নিয়ে যাতায়াত শুরু করুন. তবে প্রথমে আপনি আস্তে আস্তে বাইক চালাবেন এবং বাইকের গিয়ার আস্তে আস্তে ফেলাবেন. এভাবে ধীরে ধীরে বাইকের গতি বাড়াবেন এবং তাড়াহুড়া করে কিংবা জোরে হঠাৎ করে ভাই চালাবেন না. ধীরে ধীরে বাইকের প্রতি বাড়াবেন তাহলে আপনার মাইলেজ বাড়বে এবং আপনি জ্বালানি সাশ্রয় পাবেন.
গিয়ার সঠিক রেখে বাইক চালাবেন
মোটরসাইকেল প্রথম স্টার্ট করার পর গিয়ার সঠিকভাবে দিতে হবে অর্থাৎ প্রথম গিয়ারে বেশি চালানো যাবে না কারণ মোটরসাইকেলের উপরে চাপ হয়. ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে এবং গতি বাড়াতে হবে. যে রাস্তায় চলবেন সে রাস্তার পজিশন অনুযায়ী কি আর চালাবেন এবং গিয়ার ধীরে ধীরে পরিবর্তন করবেন. তাই অনেকেই গিয়ার সঠিক না চলার কারণে মাইলেজ কোম্পানি এবং মোটরসাইকেলের উপর প্রেসার হয়.
শান্তভাবে গাড়ি চালাবেন
যখন আপনি রাস্তায় গাড়ি স্টার্ট করে খেলা শুরু করবেন তখন ধীরে ধীরে গাড়ি চালাবেন এবং আস্তে আস্তে গাড়ির গতি বাড়াবেন. তারপর আপনি কি আর পরিবর্তন করবেন ধীরে ধীরে এবং রাস্তার পজিশন অনুযায়ী গাড়ি চালাবেন. অনেকের হয়েছে যারা হুট করে গাড়ি স্টার্ট করেন এবং তাড়াহুড়া করে গাড়ি গতি বাড়ান সে ক্ষেত্রে আপনার মাইলেজ কমে যাবে. তাই আপনাকে অবশ্যই গাড়ির গতি ত্রিধার বাড়াতে হবে এবং কি আর আস্তে আস্তে পরিবর্তন করতে হবে এবং সঠিক নিয়মে পরিবর্তন করতে হবে.
ধীরে ধীরে গাড়ির গতি বাড়াবেন
গাড়ি চালানোর সময় গাড়ির গতি ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে কারণ আপনার ইঞ্জিন যত বেশি ঘুরবে তত পেট্রোল খরচ হবে. যখন তখন এবং হুর হাট করে ব্রেক ধরা যাবে না এবং গাড়ির প্রতি হঠাৎ করে বাড়ানো যাবে না তাতে তেলের খরচ বেশি হবে. তাই রাস্তার পজিশন অনুযায়ী এবং সামনের গাড়ি দেখে আপনাকে গাড়ির গতি বৃদ্ধি করতে হবে তাহলে আপনি নিরাপদে এবং কম জ্বালানি ব্যবহারে বেশি রাস্তা–জাত আদায় করতে পারবেন.
বুদ্ধিমত্তার সাথে জ্বালানির অপচয় থেকে রোধ করুন
আপনি বুদ্ধিমতার সাথে জ্বালানির রোধ করতে পারেন এবং গাড়ি সঠিকভাবে চালানোর মাধ্যমে আপনি চালানির ব্যবহার কমাতে পারেন. তাই গাড়ি চালানোর সময় বেশিক্ষণ দাঁড়ানোর প্রয়োজন হলে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে রাখুন. ট্রেনের গতিবেগ খামার সময় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে রাখুন. ধরুন আপনি কোন স্থানে কোন কাজ আছে সে ক্ষেত্রে আপনি গাড়ির স্টার্ট দিয়ে রাখবেন না সে ক্ষেত্রে ইঞ্জিন বন্ধ করে রাখুন তাহলে জ্বালানি সাশ্রয় হবে এবং মাইলেজ বাড়বে.
নিয়মিত টায়ারের প্রেসার পরীক্ষা করবেন
গাড়ির জ্বালানি ড্রাইভার এর উপরে নির্ভর করবে এবং কি মাসে অন্তত একবার টায়ারের প্রেসার পরীক্ষা করবেন. তাছাড়া দীর্ঘ জার্নি করার পূর্বে টায়ারের প্রেসার পরীক্ষা করবেন. এভাবে জ্বালানির খরচ কম হবে এবং আপনার গাড়ি নিরাপদে থাকবে.
মোটরসাইকেলে কম ওজন নিয়ে নিরাপদে ব্যবহার করুন
আপনি যখন বাইক চালাবেন তখন কম ওজন পরিহার করবেন অর্থাৎ যত কম ওজন থাকবে তত জ্বালানি হবে. দুজনের বেশি বাইকে ব্যবহার পরিহার করুন. আপনি যত কম ওজন নিয়ে গাড়ি চালাবেন তত আপনার জ্বালানি শাস্ত্রেই হবে এবং আপনি নিরাপদে ও ভালোভাবে গাড়ি চালাতে পারবেন.
আপনার বাইক কে ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে
আপনি নিয়মিত বাইককে রক্ষণাবেক্ষণ করবেন অর্থাৎ বাইকের ছোট্ট কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক সরম থেকে সমাধান করে নিতে হবে. বাইকের কোন সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে বেতারের মাধ্যমে চেকআপ করতে হবে. গাড়ির ব্যবহার অনুযায়ী নিয়মিত গাড়ির সার্ভিস করতে হবে. গাড়িকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন এবং প্রতিনিয়তকারীর সার্ভিসিং ভালো রাখবেন.
অযথা মোটরসাইকেলের ব্যবহার রোধ করুন
যেখানে গাড়ির ব্যবহারের প্রয়োজন নাই সেখানে আপনি গাড়ি ব্যবহার করবেন না এবং আপনার নিকটবর্তী স্থানে পায়ে হেঁটে চলাচল করুন এবং আপনি অপ্রয়োজনে গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন তাহলে আপনার জ্বালানি সাশ্রয় হবে এবং আপনি গাড়ি ভালো রাখতে পারবেন.
মোটরসাইকেল কত কিলো চালালেই জ্বালানি সাশ্রয়ই হবে
মোটরসাইকেল সব সময় ৪০ থেকে ৪৫ মধ্যে চালাতে হবে তাহলে মোটরসাইকেল ভালো থাকবে এবং মোটরসাইকেলের মাইলেজ বাড়বে. তাছাড়া নিরাপদ ভাবে আপনি চলাচল করতে পারবেন. অপ্রয়োজনে এর বেশি আপনি চালাবেন না.
ভালো জ্বালানি গাড়িতে রাখবেন
আপনি আপনার গাড়িতে ভালো মানে জ্বালানি তেল ব্যবহার করবেন. খোলা বাজার থেকে তেল ব্যবহার পরিহার করুন. আপনার কাছে যে পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভালো পাওয়া যায় সেখান থেকে তেল নিবেন এবং আপনি খবর রাখবেন বলতেন আপনার মোটরসাইকেলের জন্য ভালো সেখান থেকে তেল ব্যবহার করবেন.
মোটরসাইকেলে অকটেন ব্যবহার করুন
অকটেন সাধারণত মোটরসাইকেলের জন্য খুবই ভালো জ্বালানি তেল এবং এর ব্যবহার অনেক বেশি এবং মাইলেজ অনেক ভালো. অকটেন জ্বালানিতে ভেজাল কম হয় তাই আমি সব সময় আপনার গাড়িতে অকটেন ব্যবহার করা অভ্যাস করুন এবং নিয়মিত অকটেন ব্যবহার করুন.
উপসংহার: উপরে আলোচনা থেকে সহজে বোঝা যায় যে আপনি আপনার মোটরসাইকেল কে কিভাবে ব্যবহার করলে জ্বালানি সাতরায় হবে এবং আপনি কিভাবে মোটরসাইকেল ব্যবহার করলে মাইলেজ বেশি হবে তা বিস্তারিত আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন. তাছাড়া আরও জানতে পারবেন কিভাবে গাড়ি চালালে নিরাপদে চালানো যাবে এবং কত কিলোমিটারে গাড়ি চালালে গাড়ির মাইলেজ বাড়বে ও নিরাপদ থাকবে তা বিস্তারিত আজকে আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন