১৬ ডিসেম্বর

বিজয় দিবসের কবিতা। বিজয় দিবসের কবিতা সমগ্র বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বিজয় দিবস হচ্ছে 16 ডিসেম্বর। ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে বিজয় দিবস পালন করে বাঙালি জাতি। এই দিনটা বাঙালি জাতির কাছে অত্যন্ত গৌরবৃত্তিম এবং উৎসবের দিন। তাই বাংলাদেশের অনেক কবি সাহিত্যিক এবং করণী গুণী যারা বিজয় দিবসকে উপলব্ধ করে অনেক কবিতা লিখেছেন। আবার বাংলাদেশের অনেক মানুষ কবিতাকে বেশি ভালোবাসে। আবার অনেকে চান বিজয় দিবসের কবিতা গুলি সংগ্রহ করতে, আবার অনেকে চান কবিতা গুলি পড়তে। আবার কেউ কেউ কবিতাগুলিকে সংগ্রহ করে প্রিয়জনদের মাঝে শেয়ার করতে যাতে বিজয় দিবসের গুরুত্ব কবিতার মাঝে উপলব্ধি করা সম্ভব হয়।

সুতরাং তারা বিজয় দিবসের কবিতা ভালোবাসেন এবং অনুসন্ধান করেন তাদের জন্য আজ বিজয় দিবসের চমৎকার এবং খুব আনন্দময় কবিতা গুলি সংগ্রহ করেছি এবং আমাদের এই ওয়েবসাইটের এই পোস্টে সংযুক্ত করেছে।

বিজয় দিবসের কবিতা

৪৭-এ দেশ ভাগে, জন্ম নিলো দু'টি দেশ

তারপরও দিনগুলো বেশ আনন্দের ছিলো

৭১ মার্চের ৭ তারিখে মুজিব দিলেন ভাষণ

নড়ে উঠোলো, কেঁপে উঠলো সমস্ত বিশ্ব।




কি ঘটেছিল ১৯৭১ এ? আমি তো দেখিনি

বিজয়ও দেখিনি, তবে জানি ১৬ ডিসেম্বর

মানচিত্রে জায়গা নিলো নতুন বাংলাদেশ

হিংস্র হানাদার, রাজাকার, আলবদরেরা

প্রান নিলো সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।




বিজয়টা পেতে লাগলো এক সাগর রক্ত

মার্চ থেকে ডিসেম্বর ন'মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ

৫৬ হাজার বর্গমাইলের স্বাধীন সীমারেখা

বৈষম্য, অর্থনৈতিক মুক্তি মিলেনি আজও




আমি স্বপ্নের কথা বলতে চাই-

আমি সুন্দরের কথা বলতে চাই-

আমি মানুষের কথা বলতে চাই-

আমি কণ্ঠ উঁচু করে বলতে চাই-

বিজয় হয়েছে, আমাদের বিজয়।




দিন শেষে লিখতে লিখতে যা হলো

সম্ভবত সেটি একটি কবিতা ।

মহান বিজয় দিবস

– আবু জাফর বিঃ

মহান বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর, জাতির অহঙ্কার,

এ বিজয়কে রাখবো সমুন্নত, এই হোক অঙ্গীকার।

একাত্তরে সাড়ে সাতকোটি বাঙালি হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ,

২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ।




ত্রিশলক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল বিসর্জন,

অবশেষে হানাদার পাকিস্তানবাহিনী করলো আত্মসমর্পণ।

বীর বাঙালিদের কাছে তারা করেছিল শির অবনত,

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালাভ করেছে, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব।




মুক্তিকামী জনতা প্রায় খালি হাতে, দাঁড়িয়েছিল রুখে!

জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাষাণ বেঁধে বুকে।

যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা;

ভুলবো না সেই দুঃসাহসী বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের কথা।




জীবন উৎসর্গ করে উপহার দিয়েছে লাল-সবুজের পতাকা,

এনেছে ৫৬হাজার বর্গ মাইলের স্বাধীন বাংলার সীমারেখা।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ;

এত বছর পরেও কি করতে পেরেছি তাদের স্বপ্ন পূরণ?




দূর করতে হবে বৈষম্য বিভাজন, চাই অর্থনৈতিক মুক্তি,

রুখতে হবে সকল বঞ্চনা, আছে ষোল কোটি জনশক্তি।

লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত গৌরবময় এ বিজয়,

সকলে মিলে গড়বো দেশ, মানবো না কোনো পরাজয়।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার

(সুর) আনোয়ার পারভেজ

জয় বাংলা, বাংলার জয়

জয় বাংলা, বাংলার জয়,

হবে হবে হবে, হবে নিশ্চয়

কোটি প্রাণ একসাথে জেগেছে অন্ধরাতে

নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়।।




বাংলার প্রতি ঘরে ভরে দিতে চাই মোরা অন্নে

আমাদের রক্ত টগবগ দুলছে মুক্তির দৃপ্ত তারুণ্যে

নেই ভয়, হয় হোক রক্তের প্রচ্ছদ পট

তবু করিনা করিনা করিনা ভয়।।




অশোকের ছায়ে যেন রাখালের বাঁশরী

হয়ে গেছে একেবারে স্তদ্ধ

চারিদিকে শুনি আজ নিদারুণ হাহাকার

আর ওই কান্নার শব্দ।




শাসনের নামে চলে শোষণের সুকঠিন যন্ত্র

বজ্রের হুঙ্কারে শৃঙ্খল ভাঙ্গতে সংগ্রামী জনতা অতন্দ্র

আর নয়, তিলে তিলে বাঙালীর এই পরাজয়

আমি করিনা করিনা করিনা ভয়।।




ভূখা আর বেকারের মিছিলটাকে যেন ওই

দিন দিন শুধু বেড়ে যাচ্ছে

রোদে পুড়ে জলে ভিজে অসহায় হয়ে আজ

ফুটপাতে তারা ঠাঁই পাচ্ছে।




বারবার ঘুঘু এসে খেয়ে যেত দেবনা তো আর ধান

বাংলার দুশমন তোষামুদী চাটুকার

সাবধান, সাবধান, সাবধান

এই দিন, সৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙীন

আর মানিনা, মানিনা কোন সংশয়।।




মায়েদের বুকে আজ শিশুদের দুধ নেই

অনাহারে তাই শিশু কাঁদছে

গরীবের পেটে আজ ভাত নেই ভাত নেই

দ্বারে দ্বারে তাই ছুটে যাচ্ছে।




মা-বোনেরা পরণে কাপড়ের লেশ নেই

লজ্জায় কেঁদে কেঁদে ফিরছে

ওষুধের অভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে,

রোগে শোকে ধুকে ধুকে মরছে

অন্ন চাই, বস্ত্র চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই

অত্যাচারী শোষকদের আজ

মুক্তি নাই, মুক্তি নাই , মুক্তি নাই।

Victory Day

Victory Day! Victory Day!

We celebrate it on the ninth of May!

That day was full of happiness and life was mended

After the day when the War ended!




We’re thankful to those

Who could stand that War!

We want only Peace

Don’t want War any more!




Victory Day! Victory Day!

We Will celebrate it on the ninth of May!

Our granddads and their dads

Helped that War to meet its honest end!

ষোলই ডিসেম্বর

ড. মির্জা গোলাম সারোয়ার পিপিএম

লাখো শহীদের আত্নত্যাগে

এদেশ স্বাধীন হয়,

বীর বাঙালি এদেশের জন্য

বুকের রক্ত দেয়।

মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়েই

স্বাধীন করে দেশ,

বিশ্বের মানচিত্রেই জন্ম নেয়

স্বাধীন বাংলাদেশ।

লাল সবুজের পতাকা পেয়ে

সবাই খুশি হয়,

পাকিস্তানিদের হারিয়ে দিয়ে

বিজয় এনে দেয়।

দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিসংগ্রাম

অমর এক গাঁথা,

শহীদের কথা ভাবলে আমার

হৃদয়ে আসে ব্যথা।

চুড়ান্ত বিজয় আসে আমাদের

ষোলই ডিসেম্বরে,

আনন্দের হাওয়া বইতে থাকে

প্রতিটি ঘরে ঘরে।

হর্ষ -বিষাদ (এক)




বিজয় এসেছে তিরিশ লাখ প্রাণের বিনিময়ে

পাক নরপশু, আলবদরের সীমাহীন অত্যচারে

অসংখ্য মা-বোনদের সম্ভ্রমের মূল্যে নিঃস্ব হয়ে

ঘরবাড়ি ছারখার গফুর আলীদের হত্যা করে।

সুরমার স্বজনদের হারিয়ে এখনো মন কাঁদে

রাজাকার সেনাপতি নাকি প্রধান চর

সুযোগ খুঁজে অদ্যাবদি আঘাত হানার

প্রিয় স্বদেশ নিয়ে মরণ খেলা খেলছে কারা

ঘৃণ্যসব সাহেব তারা অন্ধকারে খেলছে তারা।

সাহেব বাড়ী, পীরের বাড়ী খেলোয়াড় সব পাক্কা

ধর্মের বেসাতি এতেই মেলে সব ধরনের মওকা

ডিসেম্বর চৌদ্দ একাত্তর তারিখের খুনী সব পাক্কা।


হর্ষ-বিষাদ (দুই)

কণ্ঠে আনন্দ ধ্বনি অবিরাম স্লোগান সুখ সীৎকার

ম্লান হয়ে যায় দুদিন আগের হত্যাযজ্ঞের নীল ব্যাথায়

এ বিয়োগে হারানো এরা ও দেশ মাতৃকার সেরা সেনা

হারানোর ব্যাথায় মনকে প্রবোধ কিছুতেই দিতে পারিনা।

নয়শ একানব্বই জনের পুরোধা গোবিন্দ দেব দার্শনিক

প্রগতির সমার্থক কবর খ্যাত অধ্যাপক মুনির চৌধুরী

কথায় সদা অমায়িক শ্রেণীকক্ষে এক পরিশুদ্ধ বক্তা

আমার, সকলের প্রিয় গিয়াস স্যার কেতাদুরস্ত মানুষ।

এমনি অনেকেই নেই তারা, উনপঞ্চাশ জন চিকিৎসক,

আইনজীবী আর সাংবাদিক ষাটের ঘরে , আছেন শ্রমিক

পথচারী শহীদ সবাই সাকুল্যে এক হাজার একচল্লিশ জন।

বিজয় এসেছে সুকঠিন ত্যাগে হর্ষ আর বিষাদে।

বিজয় দিবসের অঙ্গীকার

– মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান

বছর ঘুরিয়া আসিল আবার

বাঙালির বিজয়ের মাস

পথে-প্রান্তরে তাই করিছে সবাই

বিজয়ের উল্লাস।

আনন্দ আজ বাধ ভাঙ্গিয়াছে

আসিয়াছে খুশির জোয়ার

আশার আলোয় ভরিয়াছে জীবন

কাটিয়া গিয়াছে আঁধার।

মনের আকাশে ঝরিছে আজ

জোছনা রাশি রাশি

বেদনা ভুলিয়া সবার মুখে

ফুটিয়াছে বিজয়ের হাসি।

এই হাসি আর আনন্দের

না হয় যেন শেষ

বিজয়ের গৌরব রাখিতে সমুজ্জ্বল

গড়িতে হইবে দেশ।

স্বাধীনতা আনিয়াছি, থাকিব স্বাধীন

এই হোক আজকের অঙ্গীকার

শহিদের রক্তের বদলা নিব

বধ করিয়া সব রাজাকার।

Related Articles

Back to top button