উক্তি

ইফতার নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কিছু কথা

ইফতার নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন, স্ট্যাটাস ও কবিতা: আপনি কি ইফতার নিয়ে উক্তি অনুসন্ধান করছেন তাহলে সঠিক জায়গায় রয়েছে. আল্লাহতালার হুকুমে মুসলমান সম্প্রদায় রমজান মাসের পবিত্র রোজা পালন করে থাকেন এবং সারাদিন রোজা রেখে ইফতার করেন. শুভ ছাদের থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার বিরতি রেখে যে খাবার গ্রহণ করা হয় তাকে ইফতার বলে. সারা বিশ্বের মুসলমানরা পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন করে থাকেন এবং ইফতারের সময় ইফতার গ্রহণ করেন. তাই অনেকে ইফতার নিয়ে উক্তি ও স্ট্যাটাস অনুসন্ধান করেন.

যারা ইফতার নিয়ে উক্তি ও স্ট্যাটাস অনুসন্ধান করেন তাদের জন্য আজ আমরা ইফতার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সকল উক্তি স্ট্যাটাস ও কবিতা এখানে তুলে ধরেছি।

ইফতার বলতে কি বুঝ: ইফতার শব্দটি আরবি ভুতুর শব্দ থেকে এসেছে এবং ফতুর অর্থ নাস্তা। ইফতার অর্থ বলতে বুঝায় খোলা, উন্মুক্ত করা ও ছেড়ে দেওয়া। ইসলামী ভাষায় ইফতার হল সূর্যাস্তের পর খেজুর, পানি ও কোন খাদ্যদ্রব্য ভক্ষণের মাধ্যমে রোজা ছেড়ে দেওয়াকে ইফতার বলে।

ইফতারের আগের দোয়া

بِسْمِ الله – اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ

উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলা রিযক্বিকা আফত্বারতু।

অর্থ : ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)

ইফতারের পর বা ইফতার করাকালীন সময় এ দোয়া পড়া-

ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ

উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’

ইফতার নিয়ে উক্তি

ইফতার নিয়ে কোরআন হাদিস ও সাহাবীদের বিপন্ন উক্তি প্রদান করেন এবং এই সকল উক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উক্তি গুলোর মধ্যে তাৎপর্য রয়েছে।

  • “রোজাদার পুরুষ ও রোজাদার নারীদের জন্য আল্লাহ ক্ষমা ও চমৎকার পারিশ্রমিক প্রস্তুত করেছেন।”-কুরআন-আল-আহযাব ৩৫)
  • “রাসূল (সা.) তিনটা তাজা-পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাজা-পাকা খেজুর না পেলে তিনটা শুকনো খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। আর তাও না পেলে তিন ঢোঁক পানি পান করে ইফতার করতেন।“– আনাস ইবনে মালেক (রা.); তিরমিজী
  • “যখন কোনো রোজাদার রোজা নেই (বে-রোজাদার) এমন কাউকে আপ্যায়ন করে, তখন তার আহার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফেরেশতারা রোজাদারের ওপর রহমত বর্ষণ করতে থাকে ।“– উম্মে আমাবাহ আল আনসারিয়া (রা); তিরমিজী
  • “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর দিয়ে ইফতার করা পছন্দ করতেন, আর কিছু না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করতেন।-আল হাদিস
  • “রোজা এমন একটি ঢাল যা দিয়ে একজন বান্দা নিজেকে আগুন থেকে রক্ষা করে।”-ইমাম আহমদ,
  • “যখন রাত পূর্ব দিগন্তে ঘনিয়ে আসে ও দিন চলে যায় এবং পশ্চিমে সূর্য ডুবে, তখন রোজাদার ইফতার করবে|”– বুখারি, হাদিস: ১৮৩০
  • “ইফতার করো খেজুর দিয়ে কারণ খেজুরে রয়েছে প্রচুর বরকত। খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করো কেননা পানি উত্তম পরিষ্কারক।“– আনাস ইবনে মালেক (রা.); তিরমিজী

ইফতার নিয়ে হাদিসে উক্তি

ইফতারের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে উক্তি রয়েছে এবং বিপন্ন হাদীসভিত্তিক এই উক্তিগুলো নিচে জানা যাবে।

  • “একজন রোজাদারকে ইফতারের সময় যে আহার করান, রোজা রাখার সমান সওয়াব সে ব্যক্তি পাবে, কিন্তু তাতে রোজাদারের সওয়াবে কোনো কমতি হবে না।“– জায়েদ ইবনে খালেদ (রা.); তিরমিজী
  • “ইবনে সা’দ (রাঃ) বলেন যে, রাসূল (সা.) বলেছেন, লোকেরা যতদিন দ্রুত ইফতার করবে ততদিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে। কেননা দেরীতে ইফতার করা ইহুদি খ্রিষ্টানদের স্বভাব ।“– (বুখারী ও মুসলিম)
  • “রমজান মাস শুরু হলে বেহেশতের দুয়ার খুলে দেওয়া হয় আর দোযখের দুয়ার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবং এসময় শয়তানকে শিকলে বেঁধে রাখা হয় ।“– রাসূল (সা.) (ইমাম বুখারী)
  • “আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সা.) বলেন, হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, আমার বান্দাদের মধ্যে তারা আমার বেশি প্রিয়, যারা দ্রুত ইফতার করে।“– তিরমিজি: ৫৬০
  • “রাসূল (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার করা পছন্দ করতেন, আর কোনো কিছু না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করে নিতেন।“– আল হাদিস
  • আল্লাহর রসুল সা. বলেন: লোকেরা ততক্ষণ কল্যাণে থাকবে যতক্ষণ তারা ইফতার জলদি করবে। (বুখারী, মুসলিম ১ খণ্ড-৩২১ পৃঃ মিশকাত ১৭৫ পৃঃ)
  • আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন: আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় সেই বান্দা যে ইফতার সঠিক সময়ে করে। (তিরমিযী ১ম খণ্ড, ৮৮ পৃঃ, মেশকাত ১৭৫ পৃঃ) । এ হাদীসগুলো প্রমাণ করে যে, ইফতারের নির্দিষ্ট সময় থেকে দেরী করা মোটেই উচিত নয়।
  • হাদিসে আছে, হযরত সালমান ইবনে আমের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ রোজায় ইফতার করে, সে যেন খেজুর কিংবা খোরমা দিয়ে ইফতার করে। কারণ, তা হচ্ছে বরকত। আর তা না হলে পানি দিয়ে করবে, তা পবিত্রকারী।’ (জামে তিরমিজি, ২য় খণ্ড, হাদিস- ৬৯৫)।
  • হযরত সাহল ইবন সাদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, লোকেরা যতদিন যাবত ওয়াক্ত হওয়া মাত্রই ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।(সহিহ বুখারী)
  • রমজানের ইফতার রোজাদারদের জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় নেয়ামত। হাদিসে আছে, হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, রোজাদারের জন্য দুটি বড় খুশি রয়েছে। একটি প্রভুর সাক্ষাত আরেকটি ইফতারের সময়।(সহিহ বুখারি)

ইফতার নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের উক্তি

ইফতারে গুরুত্ব এবং সঠিক সময় ইফতার করার নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু সালাম যে সকল উক্তি প্রদান করেন তা নিম্নরূপ।

  • “যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। এবং ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে।“– হযরত মুহাম্মদ (সা.)
  • “পানি মিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি খেজুর অথবা এক ঢোঁক পানি দ্বারাও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব ওই ব্যক্তি পাবেন।“– হযরত মুহাম্মদ (সা.)
  • “রোযাদারকে তৃপ্তি সহকারে ইফতার করালে আল্লাহ তায়ালা আমার হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত পিপাসার্ত হবে না।“– হযরত মুহাম্মদ (সা.)
  • হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই রোজাদারের জন্য ইফতারের সময় এমন একটি দোয়া থাকে যা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ২য় খণ্ড, হাদিস- ২৯)।আরেক হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি রোজাদারকে পানি পান করাবে আল্লাহ তা’আলা তাকে পান করাবেন। সে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত কখনও পিপাসার্ত হবে না। (কানযুল উম্মাল, ৮ম খণ্ড, হাদিস- ২৩৬৫৩)।

ইফতার নিয়ে স্ট্যাটাস

ইফতার নিয়ে সুন্দর ও রোমান্টিক স্ট্যাটাস অনেকে প্রদান করেন এবং সেই সকল স্ট্যাটাস গুলি কি এবং তাদের স্ট্যাটাসের মধ্যে ইফতারের কি গুরুত্ব বহন করে তা জানতে নিচে বলে দেখুন।

  • যে ব্যক্তি কোন রোজাদার কে ইফতার করাবে, সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ ছোয়াব লাভ করবে, এতে রোজাদারের সওয়াব একটু কমবে না।
  • ইফতার খেজুর দিয়ে করা উত্তম এবং নবী করীম সাঃ খেজুর দিয়ে ইফতার করাতে বেশি পছন্দ করতেন।
  • ইফতারির সময় সবচেয়ে বরকতময় সময় গুলোর মধ্যে একটি এবং এটি চলে যাওয়ার আগে এই সময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন।
  • ইফতারের সময় যখন আপনি রোজা ভঙ্গ করবেন তখন আল্লাহ আপনার গুনাহ মাফ করবেন।
  • যদি সত্যিকারের প্রতিদান পেতে চাও তাহলে রোজা রাখো, ইফতারের সময় ইফতার করো এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো।

ইফতার নিয়ে হাদিস

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয় পানি পবিত্র (তিরমিজি ও আবু দাউদ, আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬২, পৃষ্ঠা: ১৩১-১৩২)। ‘ পানিমিশ্রিত দুধ দিয়ে ইফতার করার কথাও বর্ণিত আছে। মাগরিবের নামাজের আগে ইফতার করা মুস্তাহাব বা উত্তম।

ইফতার নিয়ে কবিতা

আজকের ইফতার

– আজকের হক

অনেক আশা আজকে মনে, খুশির বাতাস বইছে প্রাণে

সারা দিনের রোজার শেষে, ইফতার করব মিলে সবে।

নিজের হাতে ইফতারি আজ, নিজেই বুঝব নিজের কি কাজ।

দুনিয়া শেষে হাশর মাঠে, নিজের বিচার করতে হবে।

সারাদিনের ভূল ত্রুটির মাপ, চাইতে হবে আল্লাহর কাছে।

প্রতিদিনের রোজা যেন আগের চেয়ে ভাল লাগে।

কাজ গুলোও তেমনি করে, ভাল করব আমরা সবে।

চলে যাওয়ার পরেও যেন, প্রাণভরে লোকে দোওয়া করে।

ইফতার নিয়ে ক্যাপশন

  • প্রতিটি রোজাদার বান্দাকে আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে তাদের পুরস্কার তুলে দিবেন।
    • আল হাদিস
  • রোজার মাস শুরু হলে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।
    • আল হাদিস
  • মানুষের কাছে গুনাহ মোচনের সবথেকে বড় মাধ্যম হচ্ছে রোজা।
    • আল হাদিস

ইফতার নিয়ে কিছু কথা

আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম সতেজ খেজুর দিয়ে সাওম ভঙ্গ করে সালাতে যেতেন। যখন সতেজ খেজুর পাওয়া যেতনা, তখন তিনি শুকনো খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। যখন শুকনো খেজুরও পাওয়া যেতনা, তখন তিনি কয়েক ঢোক পানি দিয়ে ইফতার করতেন [ সুনান আবু দাউদ (২৫৩৬) ]

তিনি ইফতারের সময় নিম্নের দোয়া পড়তেনঃ “ আল্লাহর রহমতে তৃষ্ণা নিবারন হয়েছে, রক্ত পরিশুদ্ধ হয়েছে এবং পুরস্কার মঞ্জুর করা হয়েছে” [ সুনান আবু দাউদ (২৩৫৭), আলবানি সহীহ সুনান আবু দাউদে একে হাসান হাদীস বলেছেন ]

রসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর অভ্যাস ছিলো, তিনি খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, যেমন আমরা আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসে দেখতে পেয়েছি। এটা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি যে, বিজোড় সংখ্যক খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত।

মাগরিবের আগে ইফতারে খাদ্যের ধরণ এবং পরিমান নিয়ে কোনো কঠিন কোনো বিধি- নিষেধ নেই, যদিও এটা পরিস্কার যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম সেই সময় অল্পই খেতেন।

কিছু মানুষের কাছে এটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, সালাতের আগে, খেজুরের সাথে সাথে ফাস্ট ফুডের মত আরো কিছু খাবার যেমন, সিঙ্গাড়া, সামোচা কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য খাওয়া। এই খাদ্য গুলো খেজুরের সাথে নানা মসজিদে, এমনকি মদীনায় নবীর মসজিদেও ইফতারে পরিবেশন করা হয়। এই রীতিতে কোনো সমস্যা নেই। মূল কথা হলো একজন মুসলিম সময় সম্পর্কে সচেতন হবে। তারা পানাহারে নিজেদের এতটাই মশগুল করে রাখবে না যে, সালাত পরে আদায় করতে হয় কিংবা এর প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করা হয়। পুরুষদের জন্য এটা একটি ভুল যে, শুধু মাত্র ইফতার খেতে ব্যাস্ত থাকার কারণে মসজিদে জামাতে সালাত আদায় না করা। ইফতার হলো তা যা মুসলিমদের সালাতের পূর্বে সাওম ভঙ্গের জন্য খাওয়া উচিৎ। সালাতের পর সুবহে সাদিক পর্যন্ত তারা যে কোনো হালাল খাদ্য ভক্ষন করার ব্যাপারে স্বাধীন।

আল্লাহ বলেনঃ

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَآئِكُمْ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ عَلِمَ اللّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ فَالآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُواْ مَا كَتَبَ اللّهُ لَكُمْ وَكُلُواْ وَاشْرَبُواْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّواْ الصِّيَامَ إِلَى الَّليْلِ وَلاَ تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ تِلْكَ حُدُودُ اللّهِ فَلاَ تَقْرَبُوهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

অর্থঃ রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে।

[সুরা বাকারাঃ আয়াত নং-১৮৭]

খাবার গ্রহণের অগ্রাধিকার ভিত্তিক কোনো সময় নেই, শুধু মাত্র সেহরী খাওয়ার সময় ব্যাতিত। অন্যথায় রাতের যে কোনো সময় মুসলিমরা খাবার গ্রহণ করতে পারে। কিছু মানুষ মাগরিব এর সালাত এর পর পেট পুরে খেতে পছন্দ করে। আবার অনেকে তারাবী পড়ার পর মূল খাবার খায়। মানুষের নানা রকম ব্যাক্তিগত পছন্দ থাকে। এ ব্যাপারে পরিবার ও সংস্কৃতি ভেদে নানা রকম রীতি পরিলক্ষিত হয়। তবে একজন মুসলিম রমজানে খাবার ব্যাপারে নুন্যতম সেই পরিমিতি বোধ দেখাবে যা সে, বছরের অন্য সময় দেখিয়ে থাকে, যদি সে এর চেয়ে বেশী পরিমিতি বোধ দেখাতে না পারে। তারা রমজানের রাত্রী গুলোতে খাবার নিয়ে অধিক ব্যস্ত থাকা পরিহার করবে।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আদম সন্তান পেটের চেয়ে এমন কোনো পাত্র নাই, যা তারা জঘন্য ভাবে পূর্ণ করে। আদম সন্তানের পিঠ সোজা রাখার জন্য কয়েকটি দানায় যথেষ্ঠ। তাকে যদি বেশী খেতেই হয়, তাহলে পেটের এক তৃতীয়াংশ তার খাদ্যের জন্য, এক তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং এক তৃতীয়াংশ বাতাসের জন্য নির্ধারণ করে নেয়। [ সুনানে তিরমিযী (২৩৮০) এবং মুসনাদে আহমদ (১৭১৮৬)। আলবানী তার সহীহ আল জামীতে হাদিস দুটিকে সহীহ বলেছেন ]

ইফতার নিয়ে ছন্দ

রোজার ইফতারি নিয়ে ছন্দ

বিধান মেনে পালন করুন

পবিত্র মাহে রমজান।
পাপ থেকে মুক্তি পাবেন,

পরকালে সম্মান।
পবিত্র ধর্মের পাবত্র মাস,সে যে মাহে রমজান মাস

বেশি বেশি দান করে ,

দানের সওয়াব নিও তুলে।
তাহাজ্জুদের পুণ্য টুকু নিতে মন যেন না যায় ভুলে।

পড়বে কোরান প্রতিদিন সুরের দরজা খুলে,

সেই কোরানের মধুর সুরে সবার মন ভরে উঠুক আনন্দে।

জাহান্নামের দরজা বন্ধ ও জান্নাতের দরজা খোলার মাস

হল একমাত্র রমজান মাস

রমজান মাস শুরু হলে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়,

জাহান্নামের দরজা বন্ধ হয়ে যায় এবং

শয়তানদের বেঁধে ফেলা হয়।
জাহান্নাম থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য মানুষের

সবথেকে বড় ঢাল হলাে রােজা।

সামনে রোজার দিন।

আগে থেকে শপথ নিন।

রাখবেন রোজা ৩০ দিন।

পড়বেন নামাজ প্রতিদিন।

আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিন।
আযানেরই পুণ্যে আমি তুমি হতে চাই যে ধনবান

সেই ধনের বিনিময়ে পাব রোজাদারের পুরষ্কার,রাইয়্যান!

আল্লাহ্‌ তায়ালার দান, মোবারক হো..মোবারক হো..মাহে রমজান !
রমজানে কম ঘুমান।

বেশী প্রার্থনা করুন ।

আসিতেছে রমজান। পড়ি সবাই কোরান।

একটা হরফে দশটা নেকী।

ঘোষণা করেছেন আল্লাহ মহান।

পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

Related Articles

Back to top button