রাসুলের প্রতি ভালোবাসার কবিতা। রাসুলের স্যার সকল রোমান্টিক কবিতা
সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ সকল মুসলমান তথা মানবজাতি আমি খুবই ভালবাসেন এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু সালামকে ভালোবাসার প্রতি এটি সুন্দর সুন্দর কবিতা রচনা করেছেন তাদের সেই কবিতাগুলো নিজে দেখুন।
নবীর প্রেমের কবিতা
স্বপ্নে তুমি ছন্দে তুমি (গীতি কবিতা)
ইখতিয়ার হোসাইন
স্বপ্নে তুমি ছন্দে তুমি
তুমি প্রেমিক দিলে
আঁধারঘেরা বিশ্বে প্রদীপ
তুমি জ্বেলে দিলে
ছন্দকবি তোমার ছবি
আঁকছে প্রেমের পাতায়
তুমি আমায় হৃদয় জুড়ে
মনের গভীর খাতায়!!
সালাম নিও ওগো প্রাণের নবী
সালাম নিও ওগো বিশ্বনবী!!!
তুমি প্রেমী তুমি প্রেমিক
রহমাতুল্লিল আলামিন
তোমায় পেয়ে কুল মাখলুকে
ফুঁকে সুরে সুখের বীণ
প্রাণের নবী প্রেমের নবী
তুমি তুমি তুমি সব
সকাল সাঁঝে হৃদয় মাঝে
তুমি তুমি অনুভব!!
সালাম নিও ওগো প্রাণের নবী
সালাম নিও ওগো বিশ্বনবী!!!
রাসেলের প্রতি ভালোবাসার কবিতা
আরব্য প্রান্তর
ওয়াসিম রহমান সানী
যে প্রান্তরে আদম হতে হযরত
বেহেস্তের সওগাত ফাতেমা আলী ইমামদ্বয়
রক্তে রক্তাক্ত আজো সেই কারবালার প্রান্তর।
অতঃপর তায়েফের বুকে সন্ধ্যা নেমে আসে
কালো পাথরের পাহাড় অকপটে ইতিহাস লিখে।
কালের সাক্ষী হয়ে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে
সগৌরবে পৃথিবীর আদি–অন্ত নিয়ে পাহাড়ে নূর ।
ঠোঁটে প্রস্তর নিয়ে যে পাখি নিক্ষেপ করেছিল
দ্বীন বিরোধী জালিমদের মাথায় বক্ষে,
দিনমান প্রদক্ষিন করছে কালো ক্বাবার চারদিক
সে আবাবীলের সাক্ষাৎ পেয়ে ধন্য হিযরতে ক্বাবা।
উন্মুখ হয়ে কার পায়ের চিহ্ন খোঁজে ধূলির মর্ত্যে ?
উত্তপ্ত ধূসর ধূলোমাঠ চারদিক জনশূন্য সুনসান ।
আজিজিয়া হতে মেষপাল,আর কতোদূর বাকি ক্বাবা !
ক্বাবার পাথরে মিশকাতের কী সুবাস …
যেনো ইব্রাহীম, ইসমাইল, প্রিয় মোহাম্মদের গায়ের সুঘ্রাণ।
রাসুলের প্রতি মহব্বতের কবিতা
ওগো প্রিয় নবী (গীতি কবিতা)
শাহনূর শাহীন
ওগো প্রিয় নবী
দেখা দাও তুমি যদি
ধন্য হবে এ জীবন…
স্বপ্নে তোমারি ছবি
যতনে আঁকি আমি
হৃদয় ও মনন…
ওগো প্রিয় রাসুল তুমি আমার প্রিয়জন
ওগো প্রিয় হাবীব তুমি মোদের প্রিয়জন–ঐ
আরবের মরুভুমি
তোমার ছোঁয়াতে দামি
সেবার সেরা এ ভূমে…
আরশের ছায়াতলে
মক্কার উদয়াচলে
মা আমেনারি কোলে…
তুমি এলে সৌরভ হয়ে, আলোকময় হলো এ ভুবন–ঐ
কেটে ঘোর অমানিষা
ফুটিলো আলোর শিখা
স্বপ্নরাঙা প্রভাতে…
দূর প্রাচ্য কায়সার কিসরা
ভূপিত জালিম বাদশা
মুক্তি পেলো সকলে…
ছড়ালো খুশি ভবে তোমায় পেয়ে, স্বপ্নিল হলো এ ভুবন–ঐ
তোমার আগমনে
পুলকিত সর্বজনে
মদিনায় খুশিরও জোয়ার…
সবাই দলে দলে
ছুটিলো তোমার পানে
ভুলে ভয় দ্বিধা ও সংঘাত…
সাম্যের পয়গাম নিয়ে তুমি এল, তুমি শান্তির মেহমান–ঐ
নবীর প্রতি মুসলমানদের কবিতা
শানে খাইরুল বাসার
আব্দুল্লাহ আল আমিন
অতুল এক শান নিয়ে গো তুমি, প্রেরিত এ ধরায়
আধাঁরেও সুচ হতো উদ্ধার তোমারি রূপের আভায়।
খুলুকে আযিম উপাধি যাহার, তুমিই হে প্রিয় রাসূল
দিদারে তোমার অমিও সুধা পায় যেন জাহানকুল।
সৃজিত তুমি হয়ে রহমত সৃষ্টি কুলের তরে
চন্দ্রকিরণ হয় অম্লান মুচকি হাসির ঝড়ে।
শিষ্টাচারের আধার তুমি তবিব সকল ব্যধির
তোমারি ছোঁয়ায় পরশপাথর হতো কাট্টা কাফির।
মরুআরবের উষর ভূমি তোমারি রক্তে রাঙা
পাপাচারের জাহালত ঠেলে দ্বীনকে করেছ চাঙা।
আপন লোকের শত আঘাতেও নিরব রয়েছ তুমি।
তাদেরই তরে চেয়েছো ক্ষমা প্রভুর চরণ চুমি।
তোমারি শান কেমনে বর্ণিব আমি যে অধম হীন
কুল কায়েনাতের শ্রেষ্ঠ রসুল রহমাতুল্লিল আলামিন।
অবিরাম এক নিরব বেদনায় ব্যথাতুর এ হৃদয়।
এ ব্যথা আছে থাকবেও জানি হবে নাকো কভু ক্ষয়।
তামান্না বে–হদ হরদম ঐ মহা মহিমের তরে।
শেষ জমিয়তের অন্তিমক্ষণে সুপারিশ যেন তিনি করে।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর প্রতি মানবজাতির কবিতা
মাটির নবী
ফকির শাহজাহান সাজু
মাটির দেহে মুহাম্মাদ নবী,
রাসুল রূপে নূরের আবির
পরম সত্য কোরআনের দাবি
এক পয়গম্বর দীনের তরি
মুহাম্মদ, আদম মাটির গাড়ি,
প্রত্যাদেশ দিয়ে পার্থক্য গড়ি
অন্ধকারে নূরের জ্যোতি।
দেহমোবারক হয় যদি নূরের সৃষ্টি
কেন মানবে মানব প্রজাতি?
মাটি দিয়ে আদম তৈরি
মানবের নেতা হবে স্বজাতির।
মেষের পালে আরব দেশে– উদয়,
দেহ মোবারক নূর দিয়ে সৃষ্টি নয়?
হাসি কান্না দুঃখ বেদনা কি অভিনয়?
মানব ভূমে মাটির নির্যাসের অবয়ব
রাখাল রাজা সত্যের ধারক
বিশ্বাস অন্তরে বিশ্বাসীদের হয়।
মাটির দেহে নূরের রোপণ,
বানাইল আল্লাহ শ্রেষ্ঠ ভুবন
বালুকাময় মরুতে ললিত কমল
ফুটলো যে ফুল কুসুম ও কানন।
রাসুলের প্রতি মহব্বতের উক্তি
- যে ব্যাক্তি আমার নামে মন গড়া কথা রচনা করলো, যা আমি বলিনি, সে যেন তার
- বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধা রণর্ধা করলো। – হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
- মানুষ যদি মুত্যু ব্যাক্তির আর্তনা র্ত দ দেখতে এবং শুনতে পেত তাহলে মানুষ মুত্যু
- ব্যাক্তির জন্য কান্না না করে নিজের জন্য কাঁদতকাঁ ! – হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
- যে ব্যক্তি জুমজু ‘আর দিন গোসল করে সুগন্ধি মেখে মসজিদে এল ও সাধ্যমত নফল
- ছালাত আদায় করল। অতঃপর চুপচাপ ইমামের খুৎবা শ্রবণ করল ও জামা‘আতে ছালাত
- আদায় করল, তার পরবর্তী জুমজু ‘আ পর্যন্তর্য এবং আরও তিনদিনের গোনাহ মাফ করা হয়। –হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
- যারা রাতে আরামের বিছানা থেকে নিজেদের পার্শ্বদের্শ্ব শকে দূরেদূ রেখেছিল, এমন
- অল্প সংখ্যক লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অবশিষ্ট সকল মানুষ হতে হিসেব নেয়ার নির্দেশ করা হবে। – বায়হাকি– আসমা (রা.)
- জান্নাতের স্তর হবে ১০০টি এবং জান্নাতের সর্বো চ্চর্বো স্তর জান্নাতুল ফেরদাউস। যখন
- তোমরা আল্লাহর কাছে জান্নাত চাইবে তখন জান্নাতুল ফেরদাউস চাইবে। – তিরমিজী ওবাই ইবনে সামেত (রা.)
- যে অন্যের বাবা মাকে গালি দিল, সে যেন নিজের বাবা মাকেই গালি দিল। – হযরতমুহাম্মদ (সাঃ)
- মৃত্যুমৃ ত্যুর পর সেই সব লোকদের জিহবা আগুনের কাঁচিকাঁ দিয়ে কাঁটা কাঁ হবে, যারা অন্য কে
- উপদেশ দেয়, কিন্তু , সেই উপদেশ নিজেই মানে না। – হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
রাসুলের প্রতি মহব্বতের বাণী
- যে মহিলা গর্ভ অবস্থায় ১ খতম কোরআন পাঠ করবে, তার গর্ভেরর্ভে ঐ সন্তান ১ জন নেককার বান্দা হিসেবে দুনিয়াতে আগমণ করবে! – হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)
- কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী বিখ্যাত নবীপ্রেমের বাণী
- সিয়াম পালনকারীর পূর্বেকা র্বে র গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। – হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)
- যে ব্যক্তি কোনও জ্যোতিষীর কাছে গেলো ও তাকে কিছু জিজ্ঞেস করলো, (ভবিষ্যৎ
- জানতে চাইলো) চল্লিশ দিন ও রাতের জন্য তার সালাত কবুল হবে না। – হযরত মোহাম্মদ(সঃ)
- যদি জান্নাতী রমনীদের মধ্যে থেকে কোন রমনী পৃথিপৃ বীতে উঁকি দিত তাহলে পূর্ব
- থেকে পশ্চিমের মাঝে যা কিছু আছে সব আলোক উজ্জ্বল হয়ে যেত। – হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)
- ঘুমানোর আগে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিও, হতে পারে, এটাই তোমার
- জীবনের শেষ ঘুম। – হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
- সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ লোক হল সেই, যার হৃদয় হল পরিস্কার এবং জিভ হল সত্যবাদী। –হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
- বান্দা যতক্ষণ নামাজে থাকে তার মাথার উপর ততক্ষণ নেকী ঝড়তে থাকে। –হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
- যখন কিছু প্রার্থনার্থ করবে , আল্লাহর কাছে করবে। – মিশকাতদু’আ ইবাদত। – তিরমিযী
রাসুলের প্রতি মহব্বতের স্ট্যাটাস
- জামাদের প্রতি আল্লাহর রহমত থাকে । যে জামাত ত্যাগ করে , সে জাহান্নামেনিক্ষিপ্ত হয়। – তিরমিযী
- মতভেদ কারোনা। তোমাদের পূর্বে যা র্বে রা মতভেদ করেছিল , তারা ধ্বংস হয়েছে। –সহীহ বুখারী আমি প্রেরিত হয়েছি রহমত হিসেবে। – সহীহ মুসলিম
- সুখবর তার জন্যে , যে আমাকে দেখেছে। সাতবার সুখবর ঐ ব্যক্তির জন্যে যেআমাকে দেখেনি , অথচ আমার প্রতি ঈমান এনেছে। – আহমদ
- আমার সাহাবীদের সম্মান দান করো , কারণ তারা তোমাদের মধ্যে সর্বো ত্তর্বো ম। –মিশকাত
- আমি যদি আমার প্রভুকে ছাড়া আর কাউকেও বন্ধু বানাতাম , তবে অবশ্যি আবুবকরকে বন্ধু বানাতাম ।সহীহ বুখারী
- হে আবুবকর ! আমার উম্মতের মধ্যে তুমিই সর্বপ্রর্বথম জান্নাতে প্রবেশ করবে। –আবুদাউদ
- আমার পরে যদি কেউ নবী হতো , তবে অবশ্যি উমর বিন খাত্তাব হতো। – তিরমিযী পৃথিপৃ বীর সর্বো ত্তর্বো ম নারী ইমরানের কন্যা মরিয়ম আর খুয়াইলিদের কন্যা খাদীজা। –সহীহ
- মুমিন এক পাথরে দুইবার হোঁচটহোঁ খায়না। – সহীহ বুখারী
- অধিক হাসাহাসি অন্তরকে মেরে ফেলে। – তিবরানী
- তোমাদের সন্তানদের মর্যা দা র্যা দান করো এবং তাদের সুন্দর আচার ব্যবহার শিখাও।–ইবনে হিব্বান
- শক্তিশালী সে , যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। – সহীহ মুসলিম
- যার কর্ম তা র্ম কে ডুবায় , তার বংশ তাকে উঠাতে পারেনা। – সহীহ মুসলিম
রাসুলের প্রতি ভালোবাসার ক্যাপশন
- যে যুবক একজন যুবতী নারীকে একা পেয়েও আল্লাহর ভয়ে তার ইজ্জতের উপর আঘাত
- করে না, তার জন্য অপেক্ষা করছে জান্নাতুল ফেরদাউস। __হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)
- জান্নাতের চাবি হলো – ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই ’ এ সাক্ষ্য দেয়া । (আহমদ)
- যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, তার জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট। [ইবনে মাজাহ
- আল্লাহ সুন্দর ! তিনি সৌন্দর্যকের্য ই পছন্দ করেন। [সহীহ মুসলিম]
- তোমাদের মধ্যে ভালো মানুষ তারা , যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। [ইবনে মাজাহ]
- রাত্রে ঘন্টাখানেক জ্ঞান চর্চা করা সারা রাত জেগে ( ইবাদতে নিরত ) থাকার চেয়ে উত্তম।[দারমী]
- বান্দাহর উপর আল্লাহর অধিকার হলো , তারা কেবল তাঁরইতাঁ আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং
- তাঁরতাঁ সাথে কোনো অংশীদার বানাবেনা । [সহীহ বুখারী]
উপসংহার : উপরোক্ত আলোচনা থেকে খুব সহজে জানতে পারবেন যে তারা ভালোবাসা দিয়ে সুন্দর সুন্দর রচনা করেছেন এবং সেই সকল কবিতাগুলো আজ আমরা এখানে তুলে ধরেছি এবং এগুলো পড়ে নবীর প্রতি ভালোবাসা অনুভূতি অর্জন করতে পারবেন।