বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিসা করার নিয়ম । ভিসার প্রকারভেদ, ভিসার খরচ ও আবেদন এর নিয়মাবলী
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসার খরচ ভিসার এস স্থায়িত্ব ও আবেদনের নিয়মাবলী সহ সকল তথ্য এই কনটেন্ট থেকে জানতে পারবেন। প্রতিদিন কিংবা প্রতিবছর অসংখ্য বাংলাদেশি মালয়েশিয়া। অনেক জন অনেক ভাবে মালয়েশিয়া উদ্দেশ্যে যান যেমন: কেউ পড়াশোনা করার জন্য, কেউ ভ্রমন করার জন্য, কেউ কর্মসংস্থানের জন্য, আবার কেউ চিকিৎসা করার জন্য।
কাজেই মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হল ভিসা করতে হবে। এজন্য ভিসা করার জন্য কি প্রয়োজন এবং ভিসা করতে খরচ কি এবং ভিসা করা নিয়মাবলী সম্পর্কে আজকের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে। আপনি আমাদের এই কনটেন্ট থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রসেসিং ফি, নিয়মাবলী ও প্রয়োজনীয়তা সহ সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে ২০২৩
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য যারা মালয়েশিয়া ভিসা করতে চান এবং জানতে চান মালয়শি ভিসা কবে খুলবে তাদের জন্য আজ আমরা বলবো যে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি অনুযায়ী ১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখ থেকে মালয়েশিয়া ভিসার সকল কার্যক্রম খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই যারা মানুষের ভিসা করতে চান তারা মালেশিয়া কাজের ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও কৃষিবিশ্বাসহ সকল ধরনের সরকারি ও বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ভিসা করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা করার যোগাযোগ নাম্বার ও ঠিকানা
ধরুন আপনি যদি মালয়েশিয়া যেতে চান কিন্তু আপনি কিভাবে ভিসা করবেন তা জানেন না কিংবা মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রসেসিং তথ্যসহ বিস্তারিত আপনি এই নাম্বারে কল করতে পারবেন এবং এই ঠিকানায় গিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারবেন।
- 01713-289175
- অফিসের ঠিকানা: 1/1, শুক্রাবাদ, মিরপুর রোড, ঢাকা 1207
- (নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের পাশে / মেট্রো শপিং মলের বিপরীতে)
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিসার প্রকারভেদ
যারা বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে চান তাদেরকে অবশ্যই ভিসার প্রকারভেদ কিংবা ধরেন সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি কোন বিষয়ে মালয়েশিয়া যাবেন কিংবা মালয়েশিয়া গিয়ে কি করবেন তা নির্ধারণ করে ভিসা করতে হবে। নিচে মালয়েশিয়া ভিসার প্রকারভেদ তুলে ধরা হলো:
- মালয়েশিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা
- মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা
- মালয়েশিয়া কর্মসংস্থান ভিসা
- মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসা
- মালয়েশিয়া মেডিকেল ভিসা
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা: যারা মালয়েশিয়া বেড়াতে যেতে চান তারা টুরিস্ট ভিসা করতে পারবেন। এই ভিসা করতে পাঁচ থেকে সাত কার্যদিবার সময় লাগে আবার কখনো কম সময় লাগে। এই বিশ্বের মাধ্যমে আপনি তিন মাস পর্যন্ত মালয়েশিয়া বেড়াতে পারবেন।
মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা: মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা করতে ২০ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। বাংলাদেশ থেকে যারা মালয়েশিয়ায় শিক্ষার্থী হিসেবে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান তারা স্টুডেন্ট ভিসা করবেন এবং স্টুডেন্ট ভিসা করে মালয়েশিয়া গিয়ে পড়াশুনা জন্য থাকতে পারবেন এবং খন্ডকালীন চাকরি করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া কর্মসংস্থান ভিসা: প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য শ্রমিক কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। মালয়েশিয়া কর্মসংস্থানের ভিসার জন্য একমাস সময় লাগে এবং মালয়েশিয়ায় এই ভিসার মেয়াদ থাকবে দুই থেকে পাঁচ বছর। বাংলাদেশের শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় কে এই ভিসার মাধ্যমে চাকরি করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসা: যারা ব্যবসা–বাণিজ্য করার জন্য মালয়েশিয়া যেতে চান তারা বিজনেস ভিসা করতে পারবেন। মালয়েশিয়া বিজনেস করার জন্য ভিসা করতে দশ কার্যত দিবস সময় লাগে এবং আপনি ব্যবসা করার জন্য এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত মালয়েশিয়া থাকতে পারবেন।
মালয়েশিয়া মেডিকেল ভিসা: যারা চিকিৎসা করার জন্য মালয়েশিয়া যেতে চান তারা মেডিকেল ভিসা করতে পারবেন। মেডিকেল ভিসা করতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে এবং আপনি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া চিকিৎসার কাজে 30 দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় এবং এই ভিসা করতে বিভিন্ন ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। এই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সাবমিট করে আপনি মালয়েশিয়ার ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার টুরিস্ট ভিসার কাগজপত্র
যারা বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া টুরিস্ট করার জন্য কিংবা পর্যটক হিসেবে কিংবা বেড়াতে যেতে চান তাদের ভিসা করার জন্য নিজের কাগজগুলো প্রয়োজন হবে।
- আইনি ডিজিটাল পাসপোর্ট।
- প্রয়োজন অনুযায়ী পাসপোর্ট সাইজ একটি নতুন তোলা রঙিন ছবি।
- দেশীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র।
- Covid-19 ভ্যাকসিনের ডোজ ফর্ম।
- জন্ম নিবন্ধন পত্র।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- ট্রিপের কারণ উল্লেখ করে দলিলপত্র।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কাগজপত্র
ধরুন আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শিক্ষার্থী হিসেবে অর্থাৎ পড়াশোনা করার জন্য যেতে চান তাহলে নিচের প্রয়োজনের কাগজগুলো দাখিল করে ভিসা করতে হবে।
- আইনি ডিজিটাল পাসপোর্ট।
- প্রয়োজন অনুযায়ী পাসপোর্ট সাইজ একটি নতুন তোলা রঙিন ছবি।
- আপনার পছন্দের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি চিঠি অফার করুন।
- সেই পরীক্ষার জন্য সমস্ত মার্কশিট সহ পূর্ববর্তী ক্লাসের স্কুল ও কলেজের সমস্ত প্রধান শংসাপত্র প্রয়োজন হবে।
- IELTS স্কোরের সার্টিফিকেট।
- মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র।
- নিজের বা পরিবারের অভিভাবকের ব্যাঙ্ক সলভেন্সির কাগজপত্র।
- স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনপত্র
- শিক্ষার্থীদের সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা দ্বারা সঠিকভাবে যাচাই করতে হবে।
- ছাত্রের আইনি পরিচয় নথি।
- একটি সুপারিশ চিঠি বা অনুপ্রেরণামূলক চিঠি।
- ছাত্রের সিভি।
- Covid-19 ভ্যাকসিনের ডোজ ফর্ম।
- পূর্ববর্তী সমস্ত স্কুল কলেজ সার্টিফিকেটের মূল কপি এবং ফটোকপি। অবশ্যই, সমস্ত সার্টিফিকেট অবশ্যই শিক্ষা বোর্ড এবং দূতাবাস দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
কিভাবে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করবেন?
বাংলাদেশ থেকে যারা মালয়েশিয়া যেতে চান তারা কয়েকটি প্রসেসে আবেদন করতে পারবেন এবং তাদের মধ্যে সহজ এবং দ্রুত রয়েছে অনলাইন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া। সুতরাং আপনি যদি মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে নিচের ধাপ গুলি অনুসরণ করুন এবং ভিসা করার আবেদন করুন।
আপনার জন্য নির্ধারিত ভিসা নির্বাচন করুন
বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে ভ্রমণের জন্য বিচার প্রয়োজন হয় এবং আপনি কোন ধরনের ভিসা করবেন তা প্রথমে নির্বাচন করুন। যে বিষয়ে মালয়েশিয়া যেতে চান সেটা নির্বাচন করুন।
তারপর ভিসা অফিস বা তাদের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি জানতে পারবেন নির্দেশনা অনুযায়ী কাগজপত্র তৈরি করুন। ভিসা করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে এবং আপনাকে অবশ্যই মানুষের আবেদন পত্রে নথিপত্র দাগি করতে হবে।
তারপর আপনার ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া কত দিন সময় লাগবে, প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র দিতে হবে এবং ভিসার জন্য কত টাকা দিতে হবে তা খুঁজে বের করুন।
মালয়েশিয়া ভিসা করার জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু করুন
মানুষের ভিসা করার জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু করতে পারবেন। তারপর আপনি যে ফর্মটি মালয়েশিয়া ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সেটি নির্বাচন করুন এবং এটি ডাউনলোড করুন। এবার ডাউনলোড করা ফরমটি পূরণ করুন এবং কপি রাখুন। ভিসার আবেদন পত্র নিন এবং ভিসার অফিসে জমা দিবেন
আপনার জন্য একটি ইলেকট্রনিক হবার দানপত্র রাখা হবে এবং এটি আপনি সঠিকভাবে পূরণ করুন।
পরীক্ষক সঠিকভাবে রেকর্ড করবেন
আপনার ভিসা অফিসের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরে বা সাথে সাথে আপনার সদস্যকে অবশ্যই সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে ভিসার জন্য নিবন্ধন করতে হবে। বায়োমেট্রিক তত্ত্ব প্রদান করি তারই নিশ্চিত করতে হবে। তারপর আপনার আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে।
এবার আপনার রঙিন ছবি দিতে হবে এবং আপনি জানতে চাইলে একটি ভিসা লিখতে পারেন। সকল সঠিক তত্ত্ব পূরণ করার পরে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার মালয়েশিয়া ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে বুক হয়ে যাবে।
এবার ভিসা অফিস থেকে আপনার ইমেইল ঠিকানা একটি নিশ্চিতকরণ ইমেইল যাবে ।
আপনার কিসের জন্য প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করুন
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আপনাকে ভিসার জন্য কি প্রদান করতে হবে এবং আপনি পরিশোধ করুন এবং অর্থের রশিদ গ্রহণ করুন।
ভিসার জন্য সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করুন
এবার আপনি বিশ্বাস সম্পন্ন করার জন্য ভিসা অফিসকে অবশ্যই সমস্ত মূল কপি এবং ফটোকপি জমা দিতে হবে। তবে যোগদানের আগে এই তারিখে আপনার সেই অনুলিপি ভিসা অফিসে অনলাইনে জমা দেওয়া প্রয়োজন।
সমস্ত কাজ শেষ করে অর্থাৎ অনলাইনে আবেদন শেষ করার পরে সকল কাগজপত্র বিশ্বের জমা দিয়ে আপনি নিশ্চিত হবেন।
মালয়েশিয়া ভিসার জন্য ট্রাকিং নাম্বারটি সেই রশিদের মাধ্যমে প্রদান করা হবে এবং আপনি অনলাইনে গিয়ে ট্র্যাকিং নাম্বার এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভিসার অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কিভাবে ভিসা আবেদন ট্র্যাক করবেন?
আপনাকে মালয়েশিয়া ভিসা রাগ করতে আপনি একটি নিশ্চিত করুন ইভিল পাঠাবেন। মেলটি পাঠানোর পর আপনি জানতে পারবেন আপনার বিশ্বাস আবেদন কত দিনে সম্পন্ন হবে এবং আপনি কখন পাবেন।
তাছাড়া আপনি যদি মনে করেন ভিসার তথ্য নেওয়ার জন্য উক্ত অফিসের একটি মোবাইল নাম্বারের নিতে পারেন এবং বিশ্বাস আপডেট তথ্য মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারেন এবং আপনি আপনার ভিসার অ্যাপ ট্রাক করতে পারেন।
কিভাবে পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন?
আপনার ভিসার সকল কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আপনি পাসপোর্ট অফিস থেকে ভিসাটি সংগ্রহ করতে পারবেন। পাসপোর্টের রশিদ জমা দিয়ে আপনি পাসপোর্ট অফিস থেকে বিস্তারিত পারবেন কিম্বা কুরিয়ারের মাধ্যমে আপনি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা করার জন্য কত টাকা প্রয়োজন হয়
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে এবং প্রত্যেকটি ভিসার আলাদা খরচ হয়েছে। যারা স্কলারশিপের মাধ্যমে ফ্রিতে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তারা যেতে পারবেন এবং অন্যান্য ভিসার খরচ হতে পারে আরএস ৫৭২০।
- মালোয়েশিয়া এন্ট্রি ভিসা’র জন্য আপনার খরচ হতে পারে প্রায় INR 1999।
- মালোয়েশিয়া এম্প্লয়মেন্ট ভিসা’র জন্য আপনার খরচ হতে পারে, প্রতি বছর RM 200।
- মালোয়েশিয়া বিজনেস ভিসা’র জন্য খরচ হতে পারে প্রায় 5720।
- মালোয়েশিয়া মেডিকেল ভিসা’র জন্য খরচ হতে পারে,
- এই ভিসা প্রসেসিং হতে খরচ হয় প্রায় RS. 5720।
- উক্ত মালয়েশিয়া ভিসা গুলোর খরচ বিশেষ পরিবর্তন হয়ে থাকে।