ঢাকা থেকে কুমারখালী বাসের সময়সূচী, টিকিটের মূল্য ও অনলাইন টিকিট
আপনি কি ঢাকা থেকে কুমারখালী পর্যন্ত বাসে যাতায়াত করতে চান এবং আপনি নিয়মিত একজন যাত্রী। ধরুন আপনি প্রত্যেকটি বাসের নাম ওভারাত তালিকা অনুসন্ধান করেন যাতে আমি সহজে টিকিটের মূল্য ও সময়সূচি জানতে পারেন। তাহলে আপনি এই পোস্ট থেকে সকল বাঁচেন নাম ও ভাড়ার তালিকা সহ বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
আসুন তাহলে আজ আমরা ঢাকা থেকে কুমারখালী পর্যন্ত কোন কোন বাস চলাচল করে এবং প্রত্যেকটি পাজের ছাড়ার সময়সূচী ও টিকিটের মূল্য কত তা বিস্তারিত আপনাদের সাথে তুলে ধরব এবং আপনি এখান থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
ঢাকা থেকে কুমারখালী বাসের সময়সূচী ও টিকিটে
ঢাকা থেকে কুমারখালী দুই ধরনের বাস চলাচল করেন এবং নির্দিষ্ট সময়ে অনুযায়ী বাসগুলি ঢাকা থেকে হাতীবান্ধা চলাচল করেন।
- এসি বাস রয়েছে এবং
- নন এসি বাস রয়েছে
ঢাকা থেকে কুমারখালী বাসের ভাড়ার তালিকা
ঢাকা থেকে কুমারখালী বাসে যারা ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য ভাড়ার তালিকা প্রদান করা হলো। এখান থেকে আপনি প্রত্যেকটি নাম, নন এসি এবং এসি বাসের ভাড়া তালিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বাসের নাম | নন–এসি | এসি | কাউন্টার |
হানিফ | ৮০০ | – | |
রাবেয়া পরিবহন | ৮০০ | – | |
শোহার্দো পরিবহন | ৮০০ | – | |
রাজবাড়ী পরিবহন | ৮০০ | – | |
জামান পরিবহন | ৮০০ | – | |
এস বি সুপার ডিলক্স | বিজনেস ১৩০০ টাকা
আরএম৮ ১০০০ টাকা |
ঢাকা থেকে কুমারখালী কত কিলোমিটার?
- ঢাকা থেকে কুমারখালী মোট দূরত্ব ১৯৪ কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে কুমারখালী যেতে সময় লাগে ৪ ঘন্টা এক মিনিট। সুতরাং আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকা থেকে কুমারখালী যেতে পারবেন।
ঢাকা থেকে কুমারখালী যেতে কত সময় লাগে?
- ঢাকা থেকে কুমারখালী দূরত্ব মোড ১৯৪ কিলোমিটার এবং যেতে সময় লাগে চার ঘন্টা এক মিনিট প্রায়। সুতরাং আপনি বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা দিয়ে কুমারখালী যেতে পারবেন
ঢাকা থেকে কুমারখালী পরিবহনে নিয়মাবলী:
এই পরিবহনের কিছু নিয়মাবলী রয়েছে যা যাত্রীদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে এবং তার নিম্নে তুলে ধরা হলো:
- গাড়ি কাউন্টার থেকে ছাড়ার ১৫ মিনিট পূর্বে যাত্রীকে কাউন্টারে উপস্থিত হতে হবে
- প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিট সাথে রাখতে হবে
- যাত্রীকে নিজের ও মালামাল লকার রাখতে হবে এবং প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।
- যাত্রীগণকে অবশ্যই তাদের মালামাল ও ব্যাগ নিজ দায়িত্বে বহন করতে হবে।
- গাড়িতে কোন ধরনের মাদক জাতীয় বা বেআইনি অস্ত্র বহন করা যাবে না
- যাত্রীকে যাত্রাপথে বিরতিকালে সময়সূচী মেনে গাড়িতে উঠতে হবে।
- সম্মানিত যাত্রীকে ফিরতি টিকিট আগাম গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হয়ে থাকে
- যদি কোন যাত্রী টিকিট বাতিল করতে চান তাহলে কাউন্টার কর্তৃপক্ষকে ছয় ঘন্টা জানাতে হবে এবং টিকিটের ১০% কর্তন করা হবে।
পরিবহনের বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি:
এই পরিবহনটি সঠিক সময় কাউন্টার থেকে ত্যাগ করেন এবং সঠিক সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছায়। যাত্রা পথে যাত্রীদের বিরতি প্রদান করে খাওয়ার জন্য। গাড়িটি আধুনিক মডেলের, ঝকঝকে প্রকৃতির, চমৎকার ফিনিশিং, পর্যাপ্ত আরামদায়ক সিট ব্যবস্থা, লাক্সেরিয়াস ও সুন্দর প্রকৃতির গাড়িটি দেখতে আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর।
ঢাকা থেকে কুমারখালী পরিবহনের অনলাইন টিকিট বুকিং ব্যবস্থা:
এই পরিবহনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক যাত্রী রয়েছে যারা সরাসরি টিকিট কাউন্টারে টিকিট বুক করেন। আবার কিছু ভি আই পি যাত্রী রয়েছেন যারা টিকিট বুক করার জন্য কাউন্টারে যেতে পারেন না। আবার অনেকের সময়ের অভাবে টিকিট বুক করতে কাউন্টারে যাওয়া সম্ভব হয় না বিধায় অনলাইনে টিকিট বুক করতে চান। আপনি সহজ ওয়েবসাইট অনলাইন টিকিট বুক করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে একটি সহজ একাউন্ট খুলতে হবে এবং অ্যাকাউন্ট করার জন্য আপনাকে www.shohoz.com সাইটে যেতে হবে। তারপর নিচের ধাপ গুলি অনুসরণ করুন।
- প্রথমে, ‘বাস’ বিকল্পটি নির্বাচন করুন।
- তারপর, ‘থেকে’ এবং ‘থেকে’ বিভাগে আপনার শুরুর স্থান এবং গন্তব্য রাখুন
- তারপর, যাত্রার তারিখ লিখে বাস অপারেটর নির্বাচন করুন ।
- সময় এবং আসন নম্বর দিন।
- অবশেষে, পেমেন্ট করুন এবং আপনার টিকিট নিশ্চিত করুন।
ঢাকার দর্শনীয় স্থানসমূহ:
ঐতিহাসিক স্থানসমূহ: লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাঁখারিবাজার, হোসেনি দালান, ছোট কাটারা, বড় কাটরা, কার্জন হল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন (পুরাতন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবন), ঢাকেশ্বরী মন্দির, তারা মসজিদ, মীর জুমলা গেট, পরিবিবির মাজার
পার্ক, বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ রমনা পার্ক, বাহাদুর শাহ্ পার্ক– জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ঢাকা শিশু পার্ক, বুড়িগঙ্গা নদী, ঢাকা চিড়িয়াখানা, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বলধা গার্ডেন
স্মৃতিসৌধ ও স্মারকঃ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, (রায়ের বাজার), অপরাজেয় বাংলা–ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি (ভাস্কর্য) আসাদ গেইট
আধুনিক স্থাপত্যঃ জাতীয় সংসদ ভবন, বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভার, হজরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
হ্রদঃ ধানমন্ডি লেক, গুলশান লেক, বনানী লেক, দিয়াবাড়ি হ্রদ,
বনানী লেক
ঝিল হাতিরঝিল
কুমারখালী দর্শনীয় স্থান
- বৌদ্ধ মন্দির;
- বালিয়াকান্দি শাহী মসজিদ;
- কাঙাল হরিনাথ জাদুঘর
- কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের বাস্তুভিটা ও ছাপাখানা-কুমারখালী ও জাদুঘর।
- আলাউদ্দিন আহম্মেদ শিক্ষা পল্লী পার্ক।
- ইকো পার্ক – কুমারখালী;
- শিশু পার্ক – কুমারখালী;
- রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী – শিলাইদহ;
- লালন শাহ্-এর মাজার ও লালন একাডেমি – ছেউড়িয়া;
- মীর মশাররফ হোসেন সেতু – কুমালখালী টু কুষ্টিয়া হাই ওয়ে;
- মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটালাহিনীপাড়া;
- শিলাইদহ পাঁচ তলা কাঠের বাড়ি
- রানী মন্দির
- পদ্মাচর
- চরসাদীপুর
- পদ্মাঘাট
উপসংহার:
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে ঢাকা থেকে কুমারখালী মোট দূরত্ব ৩৫৪ কিলোমিটারের বেশি এবং এই রুটি অনেকবার চলাচল করেন এবং প্রত্যেকটি গাছের ভাড়ার তালিকা রয়েছে আলাদা আলাদা। তাই কোন বাস কত সময় ছেড়ে যান তা বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং বিস্তারিত জেনে যাতায়াত করুন