ভালোবাসা দিবস

ছোটদের বসন্তের কবিতা

বসন্ত আসবে ফুল ফুটবে এবং চারিদিকে মুখরিত হবেই। বসন্ত আশা মানে ফাল্গুন আশা এবং কোকিলের ডাক শুরু হওয়া। তাই পছন্দ উপলক্ষে ছোটদের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতা রয়েছে এবং যে কবিতাগুলি ছোটরা বেশি পছন্দ করেন এবং শুনতে খুব মধুর লাগে। সেই সকল কবিতার সবার হয়ে সাজিয়েছে আমাদের এই পোস্টটি।

সুতরাং আপনি যদি একজন ছোট শিশু কিংবা আপনার সন্তান যদি ছোট থাকে তাহলে আপনি সেই মধুর কবিতা গুলি বসন্ত উপলক্ষে লিখেছেন কবিরা এবং সেই কবিতা গুলি আপনি এখান থেকে সংগ্রহ করে বসন্তের উপলব্ধি করার জন্য কবিতা গুলি ছোটদের শোনাতে পারেন এবং আপনি অন্য শিশুদের শোনার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করতে পারবেন।

বসন্ত নিয়ে ছোটদের জন্য কবিতা

আপনি কি বসন্তকে নিয়ে ছোটদের জন্য কবিতা গুলি খুঁজছেন এবং সেই কবিতা গুলি আপনি কি আপনার বাচ্চাকে শুনাতে চান। তাহলে নিচের সেই পছন্দগুলোকে কবিতা বলি সংগ্রহ করুন।

বসন্তের কবিতা – হলদে , বাসন্তী

হলদে, বাসন্তী লাল আর কমলা

শাড়ী নিয়ে মাতেয়াড়া, তরুণী-চপলা ।

হাত ভরে চুড়ি বাজে-রুনঝুন, রিনিঝিনি

মাটির গয়না-গাটি , জম্পেশ বিকি-কিনি ।

 

এক পায়ে মল আর গোল টিপ কপালে

সাজু গজু শুরু হয় সেই ভোর-সকালে ।

পান্জাবী,ফতুয়া-দুটোই যে চলছে

ছেলে গুলো হিমু হবে- সকলেই বলছে ।

 

সাথের জিন্সটা হলো কালচারে ফিউশন

মন্দ কি ভাবছে যে স্মার্ট জেনারেশন ।

 

ভাপা পিঠা , মোয়া-নাডু আর পাটিসাপটা

সাথে ফ্রি একদম হইচই, আড্ডা ।

প্রকৃতিতে প্রাণ জাগে, ফুলে ফুলে আগুন

শীত গেল চলে, আজ পহেলা ফাগুন ।

 বসন্তের কবিতা

বসন্ত এসে গেল

বুকে নিয়ে শিমুল , পলাশ আর কৃষ্নো চূড়া

বুকে এতো রক্তিম লাল ছিল বলেই বুঝি-

একুশ স্বাধিনতা বসন্তের অর্জন !!

 

আমি ফালগুনের বার্তা বাহক

কারন জন্ম আমার জারুল ফোটার কালে ,

বসন্তের ঝাঁপি খুলে



আসুক পুষ্পপ্লাবন,

সবার অন্তরে প্রাণে।

ফালগুন আসবেই দেশে

তুমি ভালো থাকো আর না থাকো

ফালগুন আসবেই  দেশে 

ফুল যদি ঝরে যায় , নদী যদি মরে যায়

ফালগুন আসবেই এই দেশে 

 

আলো যদি নিভে যায় , আধিঁ যদি ছেয়ে যায়

ফালগুন আসবেই এই দেশে।

তুমি যদি না- চাও , তিল-তিসি না- দাও

ফালগুন আসবেই এই দেশে।

 

তুমি বেঁচে থাকো আর না থাকো

ফালগুন আসবেই  দেশে 

রঙ যদি মুছে যায়, স্বপ্নেরা ঘুচে যায়

ফালগুন আসবেই  দেশে 

 

যদি সুর উবে যায় চাঁদ-তারা ডুবে যায়

ফালগুন আসবেই  দেশে।

হয়তো সে হাসবে না, আর ভালবাসবে না

হয়তো আসবে কেঁদে কেঁদে সে 

  

কেউ বলে ফালগুন , কেউ বলে পলাশের মাস

কেউ বলে ফালগুন , কেউ বলে পলাশের মাস,

আমি বলি আমার নতুন প্রভাত 

কেউ বলে দখিনা , কেউ বলে মাতাল বাতাস

আমি বলি আমার দীর্ঘশ্বাস 

 

কেউ বলে নদী কেউ তটিনী কেউ নাম দিয়েছে

নাম তরঙ্গিনী

আমিতো তারে কোন নামে ডাকিনিসে যে

আমার চোখের সৌন্দর্য্যদের আবাস 

 

জোনাকির নাম নাকি আধাঁর মানিক , আমি তো

দেখি আগুন জ্বলে ধিকি ধিক-

খর বৈশাখে প্রথম যেদিন মেঘের মিচিলে মেঘের মিছিলে 

 

আকাশ রঙিন…..

তৃষিত রিদয়ে বাজে আনন্দ বীণ্ আমি শুনি

ঝড়ের র্পূবাভাস !!! 

ফুল ফুটুক না ফুটুকসুভাষ মুখোপাধ্যায়

ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত। শানবাঁধানো ফুটপাথে পাথরে পা ডুবিয়ে এক কাঠখোট্টা গাছ কচি কচি পাতায় পাঁজর ফাটিয়ে হাসছে। ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত। আলোর চোখে কালো ঠুলি পরিয়ে তারপর খুলেমৃত্যুর কোলে মানুষকে শুইয়ে দিয়ে তারপর তুলেযে দিনগুলো রাস্তা দিয়ে চলে গেছে যেন না 

আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারেরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।

তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে

কোরো না বিড়ম্বিত তারে।

আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,

আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো,

এই সংগীতমুখরিত গগনে

তব গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলিয়ো।

এই বাহির ভুবনে দিশা হারায়ে

দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে।

 

অতি নিবিড় বেদনা বনমাঝে রে

আজি পল্লবে পল্লবে বাজে রে

দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া

আজি ব্যাকুল বসুন্ধরা সাজে রে।

মোর পরানে দখিন বায়ু লাগিছে,

কারে দ্বারে দ্বারে কর হানি মাগিছে,

এই সৌরভবিহ্বল রজনী

কার চরণে ধরণীতলে জাগিছে।

ওগো সুন্দর, বল্লভ, কান্ত,

তব গম্ভীর আহ্বান কারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button