ঢাকা মেট্রো রেলের টিকিটের মূল্য ও টিকিট বুকিং পদ্ধতি ২০২৩
আজকের আলোচনা শুভ উদ্বোধন এইমাত্র বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকায় ঢাকা মেট্রোরেল চালু এবং বর্তমান মূল্য এবং অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এই পোস্টে থাকবে। ঢাকা মেট্রো রেলের টিকিটের মূল্য খুবই কম এবং খুবই হস্তা। বাংলাদেশ সরকার ঢাকার যানজট নিরসন এবং যাত্রীদের কম খরচে চলাচলের জন্য এই মেট্রো চালু করেন।
তাই বর্তমান মেট্রোলের বিস্তারিত তথ্য টিকিটের মূল্য এবং বুকিং পদ্ধতিটি সহ বিস্তারিত তথ্য অনেকে অনুসন্ধান করেন তাদের জন্য আজকে এই পোস্টটি লেখা।
মেট্রোরেল বাংলাদেশ টিকিটের মূল্য
ইতিমধ্যে ঢাকার ট্রান্সপোর্ট কো–অর্ডিনেশন অথরিটি ঢাকা মেট্রোলের টিকেটের মূল্য ঘোষণা করেছেন এবং একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন। ঢাকার বিভিন্ন স্টেশন নির্ধারণ করা হয়েছে এবং প্রতিটি স্টেশনের ভাড়ার তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধরুন আপনি মিরপুর থেকে ফার্মগড় যেতে চাইলে টিকিট লাগবে ৩০ টাকা এবং মিরপুর থেকে কাওরানবাজার যেতে চাইলে ৪০ টাকা। শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫০ টাকা।
ঢাকা মেট্রো রেলের ভাড়ার তালিকা
ঢাকা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ মেট্রোলের ভাড়া তালিকা প্রকাশ করেছেন এবং এ তালিকাটি প্রত্যেকটি গন্তব্য স্থলের নাম এবং পৌঁছানোর স্থান উল্লেখ করে প্রকাশ করেছেন। সুতরাং আপনি খুব সহজেই ঢাকা শহরের যে কোন স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে যেতে পারবেন এবং অল্প খরচে যেতে পারবেন। তাই নিজের তালিকা থেকে ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি স্টেশনের ভাড়ার তালিকা জানতে পারবেন।
শুরু | গন্তব্য | ভাড়া |
উত্তরা উত্তর | উত্তরা কেন্দ্র | 20 |
উত্তরা কেন্দ্র | উত্তরা দক্ষিণ | 20 |
উত্তরা দক্ষিণ | পোলোবি | 20 |
পোলোবি | মিরপুর ১১ | 20 |
মিরপুর ১১ | মিরপুর ১০ | 20 |
মিরপুর ১০ | কাজীপাড়া | 20 |
কাজীপাড়া | শেওড়াপাড়া | 20 |
শেওড়াপাড়া | আগারগাঁও | 20 |
আগারগাঁও | বিজয়শোরনী | 20 |
বিজয়শোরনী | ফার্মগেট | 20 |
ফার্মগেট | কারওয়ানবাজার | 20 |
কারওয়ানবাজার | শাহাবাগ | 20 |
শাহাবাগ | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | 20 |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | শোচিবলয় | 20 |
শোচিবলয় | মতিঝিল | 20 |
মতিঝিল | কমলাপুর | 20 |
কমলাপুর | N/A | N/A |
ঢাকা মেট্রো রেলের সর্বনিম্ন ভাড়ার তালিকা
ঢাকা শহরে জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে এবং যানজট নিরসনে সরকার মেট্রোরেলের চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং ইতিমধ্যে শুভ উদ্বোধন শুরু করেন। তাই মেট্রোরেলে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং প্রতি কিলোমিটারে দূরত্বের নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ টাকা। নিচের তালিকা থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ মেট্রোরেলের রুট সমূহ
২৯ শে ডিসেম্বর ঢাকা শহরে মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন শুরু হবে। এজন্য ঢাকা শহরকে বারটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনে বিভক্ত করা হয়।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল ৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নোটুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল পূর্ব, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ এবং কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন।
কত উপায়ে মেট্রোলের টিকিট করে করা যাবে?
ঢাকা শহরের যাত্রীগণ মেট্রোরেল মাধ্যমে ঢাকা শহরে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবেন। দুই উপায়ে মেট্রোরেলের টিকিট কেনা যাবে।
প্রথমত সরাসরি মেট্রো রেলের কাউন্টার থেকে টিকিট কেনা যাবে
দ্বিতীয়তঃ ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট করে করা যাবে।
কিভাবে মেট্রো রেলের টিকিট কিনবেন?
মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন যে যাত্রীরা কাউন্টার থেকে টিকিট করে করতে পারবেন এবং আগামী ২৯ এটি সম্পর্কে থেকে যাত্রীরা কাউন্টার থেকে rabit পাস এবং সাধারণ টিকিট কড়া করতে পারবেন। তবে যারা রেবিট পাস টিকিট করে করতে চান তারা ১০ বছরের জন্য লাইসেন্স পাবেন। এজন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং রেবিট পাস পূরণ করতে হবে।
ঢাকার যে সকল ছাত্রীরা মেট্রোরেলের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে আগ্রহী তারা টিকিট করার জন্য দুইটি মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন যথা স্বয়ংক্রিয় এবং ম্যানুয়াল। মেনুয়াল পদ্ধতিতে যাত্রীরা কাউন্টার থেকে টিকিট করা করতে পারবেন এবং একজন যাত্রী পাঁচটি টিকিট করে করতে পারবেন। অন্যদিকে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় যাত্রীরা টিকিট করে করতে পারবেন।
তবে যে সমস্ত যাত্রী স্মার্ট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করবেন তারা ১০% ছাড় পাবেন।
ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট ক্রয় পদ্ধতি
মেট্রোরেলের যাত্রীরা ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট করে করতে পারবেন। যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের কাঠের ব্যবস্থা থাকবে একটি স্থায়ী কাঠ এবং অন্যটি একক যাত্রা কার্ড। তবে শুরুতেই মেট্রোরেলের স্টেশন গুলিকে গানগুলি পাওয়া যাবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্টেশন এর বাইরে কাঠ বিক্রির জন্য কয়েকটি সংস্থা নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
১০ বছরের জন্য স্থায়ী কার্ডের মূল্য হবে ২০০ টাকা এবং পরিষেবাটি পেতে পর্যাপ্ত রিসার্চ করতে হবে। তবে জানা যায় আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ডিএম টিসিএল ওয়েব সাইটে স্থায়ী কার্ডের নিবন্ধন শুরু হবে।
একক যাত্রার ক্ষেত্রে কাঠের কোনো প্রয়োজন হবে না এবং একজন যাত্রী স্টেশন থেকে কার্ড গ্রহণ করতে পারবেন এবং ট্রেন ছাড়ার আগে জমা দিতে পারবেন।
তবে প্রতিটি মেট্রোরেল স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় উপলব্ধ টিকিট ভেন্ডিং মেশিন ব্যবহার করে টিকিট কেনার জন্য একজন যাত্রীকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে এবং টিকিট করে করতে হবে।
ভেন্ডিং মেশিনের ধাপে ধাপে টিকিট করার নির্দেশিকা:
নির্দেশের জন্য ভাষা সেট করার পরে, একজন যাত্রীকে ‘একক যাত্রার টিকিট‘ বিকল্পে ক্লিক করতে হবে, যার পরে, স্ক্রিনে সবুজ রঙে প্রারম্ভিক স্টেশনের নাম প্রদর্শিত হবে।
একজন যাত্রীকে অবশ্যই একটি গন্তব্য নির্বাচন করতে হবে। গন্তব্য এবং ভাড়া সম্পর্কিত তথ্য স্ক্রিনের ডানদিকে প্রদর্শিত হবে।
তারপরে, যাত্রীকে স্ক্রিনের নীচে তারা যে টিকিট কিনতে চাইছেন তা লিখতে হবে। প্রতিটি যাত্রী একবারে পাঁচটি পর্যন্ত টিকিট কিনতে পারবেন।
টিকিটের সংখ্যা নির্বাচন করার পরে, তাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য ‘ওকে‘ বোতাম টিপতে হবে। নির্দেশাবলী তারপর একটি মনোনীত পোর্টে টাকা সন্নিবেশ সম্পর্কে প্রদর্শিত হবে.
মেশিনটি গ্রাহককে তাদের ঢোকানো পরিমাণ সম্পর্কে অবহিত করবে।
একবার সঠিক পরিমাণ ঢোকানো হয়ে গেলে, মেশিনটি যেকোনো পরিবর্তন সহ স্ক্রিনের নীচে–বাম দিক থেকে টিকিট প্রিন্ট করবে।
যাত্রীরা মেশিনে একটি পরিমিত ভাড়া দিতে বড় নোট ব্যবহার করতে পারবেন না। টিকিট মেশিনের স্ক্রীনটি একটি নির্দিষ্ট ভাড়া দিতে ব্যবহার করতে পারে এমন বৃহত্তম নোটটি দেখাবে।
যাত্রীদের যদি মেট্রো রেলের টিকিটের জন্য কোনও পরিবর্তন না হয় তবে তারা টিকিট কাউন্টারের কর্মীদের কাছ থেকে সহায়তা পেতে সক্ষম হবেন।
টিকিট মেশিন বাংলাদেশে ব্যবহৃত যেকোন নোট গ্রহণ করবে, তবে জীর্ণ বা ছেঁড়া নোট মেশিনে ঢোকানো উচিত নয়।
ঢাকা মেট্রো রেল প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য এক নজরে
- অবস্থান: ঢাকা, বাংলাদেশ
- পরিবহনের ধরন: দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
- লাইনের: (চক্রপথের)
- সংখ্যা: ১ (নির্মাণাধীন) ৫ (পরিকল্পিত)
- বিরতিস্থলের: (স্টেশন)
- সংখ্যা : ১৬ (নির্মাণাধীন) ৮৮ (পরিকল্পিত)
- দৈনিক যাত্রীসংখ্যা: ৬০,০০০ (প্রতি ঘণ্টায়)[১] (এমআরটি লাইন ৬)
- প্রধান কার্যালয়: ঢাকা, বাংলাদেশ
- ওয়েবসাইট: www.dmtcl.gov.bd
চলাচল - চালুর তারিখ: ২৮ ডিসেম্বর,২০২২
- পরিচালক সংস্থা : ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড
কারিগরি তথ্য - মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য: ২০.১ কিমি (নির্মাণাধীন)[২]
১০৮.৬৪১ (পরিকল্পিত) - রেলপথের গেজ: আদর্শ গজ