খুলনা থেকে বিমানবন্দর ট্রেনের সময়সূচী, টিকিটের মূল্য ও ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
খুলনা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ট্রেনের সময়সূচী এখানে উপলব্ধ এবং ট্রেন হচ্ছে সাধারণ মানুষের চলাচলের একমাত্র বাহন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে চলাচলের উপায়. তাই সাধারণ মানুষ আরাম আয়েশ ভাবে এবং কম টাকায় চলাচলের জন্য ট্রেনের মাধ্যম বেছে নেয়. কিন্তু অনেকে জানেন না ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে সেজন্য বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় এবং সমস্যার মোকাবিলা করেন. আবার অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান এবং ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারেন না. তাই আজ আমরা সাধারণ মানুষের অবগতির জন্য জানাচ্ছি খুলনা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রতিটি ট্রেনের ভাড়ার তালিকা এবং টিকিটের সময়সূচী সম্পর্কে.
খুলনা থেকে বিমানবন্দর ট্রেনের সময়সূচি আপডেট
খুলনা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রত্যেকদিন দুইটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করেন এবং ট্রেন দুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে অন্যান্য দিন সঠিক সময় চলাচল করে থাকেন এবং কোন সময় ট্রেন দুইটি গন্তব্যস্থান ছেড়ে চলে যান এবং গন্তব্য স্থানে পৌঁছান তা বিস্তারিত নিচে টেবিলে দেখুন.
| ট্রেনের নাম | সাপ্তাহিকঅফ ডে | কখন ছাড়ার সময় | কখন পৌছানোর সময় |
| সুন্দরবন এক্সপ্রেস(৭২৫) | মঙ্গলবার | ২২ঃ১৫ | ০৬ঃ২৫ |
| চিত্রা এক্সপ্রেস(৭৬৩) | সোমবার | ০৯ঃ০০ | ১৭ঃ২২ |
খুলনা থেকে বিমানবন্দর ট্রেনের ভাড়ার তালিকা আপডেট
খুলনা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রত্যেকদিন আন্তঃনগর চলাচল করেন এবং প্রত্যেকটি ট্রেনের চেয়ার, প্রথম শ্রেণি ,স্নিগ্ধ আলাদা ভাড়ার তালিকা রয়েছে. সুতরাং যারা ট্রেনগুলোর ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে অবগত হতে চান তারা নিচের সারণী থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন.
| আসন | টিকিটের মূল্য(ভ্যাটসহ) | |
| 1 | শোভন | ৪২০ |
| 2 | শোভন চেয়ার | ৫০৫ |
| 3 | ১ম শ্রেণি | ৬৭০ |
| 4 | ১ম বার্থ | ১০০৫ |
| 5 | স্নিগ্ধা | ৮৪০ |
| 6 | এসি সিট | ১০০৫ |
| 7 | এসি বার্থ | ১৫০৫ |
আন্তঃনগর ট্রেন দুইটির সাপ্তাহিক ছুটির দিন
সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে আন্তঃনগর ট্রেন দুইটি প্রত্যেকদিন চলাচল করেন এবং সুন্দরবন এক্সপ্রেস এর সাপ্তাহিক ছুটির দিন মঙ্গলবার এবং চিত্রা এক্সপ্রেস এর সাপ্তাহিক ছুটির দিন সোমবার. তাই যারা সাপ্তাহিক ছুটির দিন জানেন না তাদের জন্য আজকে তথ্য প্রদান করা হলো.
অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নতুন নিয়ম
অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য Rail Sheba apps রয়েছে এবং আপনাকে আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর আপনি অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন পদ্ধতিতে ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন।
কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে অনলাইনে রেলস্টেশন করবেন?
আপনি যদি অনলাইন কিংবা অ্যাপস এর মাধ্যমে টেনের টিকিট কিনতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া নিচে ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন।
| প্রথম ধাপ: | রেলওয়ে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন (www.eticket.railway.gov.bd) |
| দ্বিতীয় ধাপ: | **সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো **Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
|
| তৃতীয় ধাপ | **ই–টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই–মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে। |
| ফাইনালি | **Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে। |
অনলাইনে টিকিট কাটার প্রক্রিয়া:
অনলাইনের রেলস্টেশন করার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন.
| প্রথম স্টেপ | এজন্য প্রথমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে (www.eticket.railway.gov.bd) |
| দ্বিতীয় স্টেপ | সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই–মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে। |
| তৃতীয় স্টেপ | পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা। |
| চতুর্থ স্টেট | পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। |
| পঞ্চম স্টেপ | ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই–মেইলে ই–টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল। |
| ফাইনালি
|
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই–টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন। |
মেসেজের মাধ্যমে বা অফলাইন পদ্ধতিতে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
যারা অনলাইনের মাধ্যমে ছাড়াও অফলাইন কিংবা মেসেজের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে ইচ্ছুক তারা নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে এবং এসএমএস পাঠিয়ে ট্রেনের টিকিট কনফার্ম করতে পারবেন. নিচে পদ্ধতি তুলে ধরা
হলো :
মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে BR<space>NID নম্বর <space> জন্ম তারিখ (জন্ম তারিখের ফরম্যাট-জন্মের সাল/মাস/দিন) এসএমএস পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে কি না, তা জানিয়ে দেওয়া হবে
অনলাইন রেলওয়ে টিকিট কাটার ওয়েবসাইট
https://eticket.railway.gov.bd/
শেষবাক্য: উপরোক্ত আলোচনা থেকে সহজে জানা গেল যে খুলনা থেকে বিরামপুর পর্যন্ত দুটি ট্রেন সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে নিয়মিত চলাচল করেন এবং প্রত্যেকটি ট্রেনের আসন সংখ্যা ভেদে ভাড়ার তালিকা আলাদা আলাদা রয়েছে এবং কোন ট্রেন কখন কাউন্টার থেকে ছেড়ে যান এবং গন্তব্যে পৌঁছান বিস্তারিত তথ্য আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন এবং এখানে সঠিক সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকার সব বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ থাকবে.
