স্বাধীনতার প্রথম কবিতা | স্বাধীনতা নিয়ে প্রথম কবিতা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য, যুদ্ধের বর্ণনা, যুদ্ধের ব্যানার, যুদ্ধের পটভূমি নিয়ে যে কবি কবিতা প্রথম রচনা করেন সেটাকে স্বাধীনতার প্রথম কবিতা বলা হয়। অনেক কবি সাহিত্যিক রয়েছেন যারা স্বাধীনতার প্রথম কবিতা রচনা করেছেন। আপনি কি স্বাধীনতার প্রথম কবিতা অনুসন্ধান করেছেন?. তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করুন এবং আমরা স্বাধীনতার প্রথম কবিতা খুব সুন্দর করে সংযুক্ত করেছে যা আপনি খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন.
আসুন যারা স্বাধীনতাকে উপলব্ধি করার জন্য এবং স্বাধীনতার প্রথম কবিতা কে ভালোবাসেন তাদের সঙ্গীর জন্য আমরা স্বাধীনতার প্রথম কবিতা এখানে উপস্থাপন করেছি এখান থেকে সহজে করতে পারবেন এবং সম্মান করতে পারবে
স্বাধীনতার প্রথম কবিতা
স্বাধীনতার প্রথম কবিতাটি একটি হৃদয় বিচারক এবং স্বাধীনতা ইতিহাসকে বহন করে থাকে। যারা কবিতাকে ভালোবাসেন এবং স্বাধীনতার প্রথম কবিতা খুঁজছেন তাদের জন্য এই কবিতাগুলি প্রদান করা হলো
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
শামসুর রাহমান, স্বাধীনতার কবিতা
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ? আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ? তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা, সাকিনা বিবির কপাল ভাঙলো, সিঁথির সিঁদুর গেল হরিদাসীর। তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা, শহরের বুকে জলপাইয়ের রঙের ট্যাঙ্ক এলো দানবের মত চিৎকার করতে করতে তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা, ছাত্রাবাস বস্তি উজাড হলো। রিকয়েললেস রাইফেল আর মেশিনগান খই ফোটালো যত্রতত্র। তুমি আসবে ব’লে, ছাই হলো গ্রামের পর গ্রাম। তুমি আসবে ব’লে, বিধ্বস্ত পাডায় প্রভূর বাস্তুভিটার ভগ্নস্তূপে দাঁডিয়ে একটানা আর্তনাদ করলো একটা কুকুর। তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা, অবুঝ শিশু হামাগুডি দিলো পিতামাতার লাশের উপর। তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ? আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ? স্বাধীনতা, তোমার জন্যে এক থুত্থুরে বুডো উদাস দাওয়ায় ব’সে আছেন – তাঁর চোখের নিচে অপরাহ্ণের দুর্বল আলোর ঝিলিক, বাতাসে নডছে চুল। স্বাধীনতা, তোমার জন্যে মোল্লাবাডির এক বিধবা দাঁডিয়ে আছে নডবডে খুঁটি ধ’রে দগ্ধ ঘরের। স্বাধীনতা, তোমার জন্যে হাড্ডিসার এক অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে বসে আছে পথের ধারে। তোমার জন্যে, সগীর আলী, শাহবাজপুরের সেই জোয়ান কৃষক, কেষ্ট দাস, জেলেপাডার সবচেয়ে সাহসী লোকটা, মতলব মিয়া, মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি, গাজী গাজী ব’লে নৌকা চালায় উদ্দান ঝডে রুস্তম শেখ, ঢাকার রিকশাওয়ালা, যার ফুসফুস এখন পোকার দখলে আর রাইফেল কাঁধে বনে জঙ্গলে ঘুডে বেডানো সেই তেজী তরুণ যার পদভারে একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হ’তে চলেছে – সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জ্বলন্ত ঘোষণার ধ্বনিপ্রতিধ্বনি তুলে, মতুন নিশান উডিয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক এই বাংলায় তোমাকেই আসতে হবে, হে স্বাধীনতা।
স্বাধীনতার ৪৯ বছর
রাকিবুল হায়দার, স্বাধীনতার কবিতা
ভাত না পেয়ে যে কৃষক মরে যায় মহাজনের ধানের গোলায়,
তার জন্য কেবল গোরখোদকরাই কাঁদে,
রাষ্ট্রপ্রধান কেবল এঁটো হাতে শোকবার্তায় সাক্ষর করেন,
দাতের ফাঁকে আটকে থাকা মাংস কাঠি দিয়ে খোঁচাতে খোঁচাতে-
জাতির উদ্দেশ্যে সান্ধ্যকালীন রসালাপে মাতেন।
অনেক দেখেছি, একের পর এক মানুষ মরেছে ক্ষুধায়, চিকিৎসার অভাবে,
বাসস্থানের অভাবে ফুটপাতে ঘুমিয়ে পড়েছে,
শিক্ষা আর বস্ত্রের অভাবে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে!
অথচ মৌলিক অধিকার চাইতে গেলেই নেমে আসে পেটোয়া বাহিনী,
তুলে নেয় প্রিজন ভ্যানে,
তারপর একের পর এক মিথ্যে মামলা আর বিচার বিভাগীয় রসরসিকতা!
অনেক সহ্য করেছি, আর না!
আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন নাগরিক,
মোঃ রাকিবুল হায়দার, পেশায় একজন কবি,
স্বাধীনতার ৪৯তম দিবসে দাঁড়িয়ে এই মর্মে কবিতায় বলছি যে-
যে দেশের জনগণ রাষ্ট্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে শেখে না,
তাদের জন্য স্বাধীনতার কোনো প্রয়োজন নেই,
তাদের জন্য ফিরিয়ে আনুন মধ্যযুগের দাসপ্রথা,
যেখানে বারবার আঘাত পেয়েও-
নতুন করে বাঁচার, স্বপ্ন দেখার বদভ্যাসটা যায় না কিছুতেই!
ভাত না পেয়ে যে কৃষক মরে যায় মহাজনের ধানের গোলায়,
তার জন্য কেবল গোরখোদকরাই কাঁদে,
রাষ্ট্রপ্রধান কেবল এঁটো হাতে শোকবার্তায় সাক্ষর করেন,
দাতের ফাঁকে আটকে থাকা মাংস কাঠি দিয়ে খোঁচাতে খোঁচাতে-
জাতির উদ্দেশ্যে সান্ধ্যকালীন রসালাপে মাতেন।
অনেক দেখেছি, একের পর এক মানুষ মরেছে ক্ষুধায়, চিকিৎসার অভাবে,
বাসস্থানের অভাবে ফুটপাতে ঘুমিয়ে পড়েছে,
শিক্ষা আর বস্ত্রের অভাবে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে!
অথচ মৌলিক অধিকার চাইতে গেলেই নেমে আসে পেটোয়া বাহিনী,
তুলে নেয় প্রিজন ভ্যানে,
তারপর একের পর এক মিথ্যে মামলা আর বিচার বিভাগীয় রসরসিকতা!
অনেক সহ্য করেছি, আর না!
আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন নাগরিক,
মোঃ রাকিবুল হায়দার, পেশায় একজন কবি,
স্বাধীনতার ৪৯তম দিবসে দাঁড়িয়ে এই মর্মে কবিতায় বলছি যে-
যে দেশের জনগণ রাষ্ট্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে শেখে না,
তাদের জন্য স্বাধীনতার কোনো প্রয়োজন নেই,
তাদের জন্য ফিরিয়ে আনুন মধ্যযুগের দাসপ্রথা,
যেখানে বারবার আঘাত পেয়েও-
নতুন করে বাঁচার, স্বপ্ন দেখার বদভ্যাসটা যায় না কিছুতেই!
স্বাধীনতা
– তাপস ঠাকুর
আমাকে কবি বলো না, আমি কবিতা লিখিনি, কবিতা পড়িনি, শুধু কবিতাকে ঝড়ে পরতে দেখেছি, শুকনো পাতার মত পুড়ে মরে যেতে দেখেছি । ঐ কবিতাকে দেখেছি শ্বশানের পথে-ক্ষুধার্ত। যেন দুরবিক্ষে তলিয়ে গেছে তার ভিটে-মাটি। সেই কবিতাকে আমি, বুকে আগলে রাখতে পারিনি, অবজ্ঞা-অবহেলা আর অনাদরে সে এখন অন্ধ। সেই কবিতা আমি বুঝিনি,জানিনি কোনদিন, শুধু তার চোখে বার্তা পেয়েছি নতুন দিনের-নতুন আলোর । হ্যা, আমি সেই বার্তা বাহক । কালের খেয়ায় আবার এসেছি এই অর্ধমৃত পৃথিবীতে । ঐ পায়ে ফেসা ফুল , ডাস্টবিনের পাশে পরে থাকা অসহায় নবজাতকের চোখ, যেন হয় ধুসর অন্ধকার পৃথিবীর -ছোট ছোটআলোকময় দ্বীপ । অথবা এই অসভ্য পৃথিবীর বাগিচা। অথচ, তারা পরে আছে পথে-ধুলোয়, তাদের ভবিষ্যৎকারো মুঠোয় বন্দী। আমি কী লিখব তার প্রতি-উত্তর ? ঐ বঞ্চিত চোখ, ঐ পায়ে ফেসা ফুলগুলি কেবলই একটি কবিতা খুঁজে প্রতিদিন-প্রতিমুহূর্তে, যেন কবিতা এই অন্ধকার পৃথিবীতে মৃত, যেন কোন এক বিশেষ শ্রেণীর আলোক উজ্জ্বলরঙমহলে, অথবা বাজার অর্থনীতির লোভী চক্ষুতেবন্দী এই কবিতা । যদি আমার একক পৃথিবী ভেসে যায় কোনদিন জনতার জোয়ারে , তবে শহরের আনাচে কানাচে প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি প্রানে, বিশাল অক্ষরে । তোমাদের প্রিয় কবিতাটি আমি লিখে দিয়ে যাব !! যার নাম- স্বাধীনতা । শেয়ার করুন
একটি পতাকা পেলে
– হেলাল হাফিজ
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
ভজন গায়িকা সেই সন্ন্যাসিনী সবিতা মিস্ট্রেস
ব্যর্থ চল্লিশে বসে বলবেন,–’পেয়েছি, পেয়েছি’।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
পাতা কুড়োনির মেয়ে শীতের সকালে
ওম নেবে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
ভূমিহীন মনুমিয়া গাইবে তৃপ্তির গান জ্যৈষ্ঠে-বোশেখে,
বাঁচবে যুদ্ধের শিশু সসন্মানে সাদা দুতে-ভাতে।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে,
সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ
সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে।
উপসংহারে বলা যায় স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের অনেক বড় এবং বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীনতার ইতিহাস স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। আর যারা স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানেন না নতুবা স্বাধীনতার পটভূমি জানার জন্য কিছু কবি স্বাধীনতা সম্পর্কে কবিতা লিখেছেন। তাদের কবিতাবলী স্বাধীনতাকে স্পর্শ করে এবং স্বাধীনতার গুরুত্ব বহন করে থাকেন। আসুন আমরা কবিতার পাঠ এর মাধ্যমে স্বাধীনতাকে স্মরণ করে এবং স্বাধীনতাকে বুঝতে পারব।