Uncategorized

রংপুরের বিখ্যাত ও সুস্বাদু হাড়িভাঙ্গা আমের ছবি, পিকচার ও দাম | রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আমের চেনার উপায় ও দাম

বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত সুস্বাদু আমের নাম হচ্ছে হাড়িভাঙ্গা। এই হাড়িয়াভাঙ্গা আমটি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় খোড়াগাছ ইউনিয়ন থেকে প্রথম শুরু হয়। হাড়িয়াভাঙ্গা আমের গুনাগুন ও সুখ্যাতি সম্পর্কে অনেকের জানা। আমের মৌসুম শুরু হলে জনগণের কাছে শুরু হয় হাড়িয়াভাঙ্গা আমের কথা। এই আমটি যারা একবার খেয়েছেন তারা বারবার খেতে যাবেন। এই আমটি উত্তরবঙ্গ শুধু নয় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই রপ্তানি হয়ে থাকে এবং সুখেতে রয়েছে। এ জন্য এই আমটি চাহিদা অনেক বেশি। তাই অনেকেই হাড়িয়াভাঙ্গা আমের ছবি, পিকচার, দাম ও চেনার উপায় সম্পর্কে অনুসন্ধান করে থাকেন এবং বিস্তারিত জানতে চান। তারপর আংটির গুনাগুন ও বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে অনুসন্ধান করে থাকেন।

আজ আমরা রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আমের ছবি, পিকচার, দাম চেনার উপায় সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত অবগত করাবো। এজন্য পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং হাড়িয়াভাঙ্গা আমি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

হাড়িয়াভাঙ্গা আমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

হাড়িয়াভাঙ্গা আমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং আংটির গুনাগুন, পিকচার, ছবি ধরন ও অঞ্চল সম্পর্কে ধারনা পাবেন।

  • বর্ণনা: হাড়িভাঙ্গা আম বাংলাদেশের আশবিহীন একপ্রকারের সুস্বাদু আম। বিশ্বখ্যাত, স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় আম।
  • ধরন: কৃষি
  • অঞ্চল: খোড়াগাছ, মিঠাপুকুর, রংপুর
  • দেশ: বাংলাদেশ
  • উপাদান: আম

হাড়িয়াভাঙ্গা আমের উৎপত্তি কোথায়

অনেকে জানতে চায় হাড়িভাঙ্গা আমের উৎপত্তি কোথায় এবং কোথায় থেকে হাড়িয়াভাঙ্গা আমের উৎপাদন হয়। হাড়িয়াভাঙ্গা আমের উৎপত্তি আছে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়ন। আমটি বিখ্যাত এবং সুস্বাদু।

হাড়িয়াভাঙ্গা আমের ইতিহাস

হাড়িয়াভাঙ্গা আমের পূর্বনাম ছিল মাল দিয়া। হাড়িয়াভাঙ্গা আমির প্রথম ইতিহাসের গোড়া পত্তন করেছিলেন নফল উদ্দিন পাইকার নামের বৃক্ষ বিলাসী মানুষ। ওই ওই বৃক্ষপ্রেমী নফল উদ্দিন আমগাছটার নিচে মাটির হাড়ি দিয়ে ফিল্ডার বাণী দিয়েছিলেন এবং একদিন রাতে কে বা কারা মাটির হাড়ি ভেঙে ফেলেন। ঠিক আছে বিপুল পরিমাণ ধরেছিল এবং সেই আম গুলো খুব সুস্বাদু ছিল। তারপর ওই মানুষ সেই আমগুলো বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং লোকজন আমগুলো সম্পর্কে জানতে চান। তখন নফল উদ্দিন লোকজনকে বলেছিলেন যে এই গাছের নিচে হাড়ি বাধা ছিল এবং সেই গাছের আম হচ্ছে এগুলো। তখন থেকেই এই আন্টির নাম হাড়িয়াভাঙ্গা নামে পরিচিত। তবে বর্তমানে রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আমের মাতৃগাছের বয়স 63 বছর।

হাড়িয়াভাঙ্গা আমেরি বিবরণ

রংপুরের বিখ্যাত, সুস্বাদু, স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় এবং আঁশবিহীন আন্টির নাম হাড়িয়াভাঙ্গা। আম গাছের ডগা পুষ্ট ও বলিষ্ঠ। ডালে জোড় কলম লাগালে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তবে চারা রোপণের পরবর্তী বছর এই আমের মুকুল আসে। হাড়িভাঙ্গা আম গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য আছে গাছের ডালপালা ঊর্ধ্বমুখী আকাশচুম্বী হওয়ার চেয়ে বেশি পাশে বিস্তৃত হয়। গাছটির উচ্চতা কম হওয়ায় ঝড় বাতাসে গাছ উপড়ে পড়ে না এবং আম কম ঝরে পড়ে।

হাড়িয়াভাঙ্গা আমের গঠন

হাড়িয়াভাঙ্গা আমের উপরিভাগ বেশি মোটা এবং চওড়া।  নিচের অংশ চিকন হয়। হামটি দেখতে সুঠাম এবং মাংসালো, গোলাকার ও একটু লম্বা। তবে আংটির শ্বাস অনেক ছোট ও আস নেই। আংটি আকারের তুলনায় ওজন অনেক বেশী এবং প্রতি কেজিতে তিনটি আম হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি আম এ 500 থেকে 700 গ্রাম হয়ে থাকে। তবে আমটির আরো প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে চামড়া কুঁচকে যায় কিন্তু পচে না।

হাড়িয়াভাঙ্গা আমের ওষুধই ও পুষ্টিগুণ

হাড়িয়াভাঙ্গা রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। এই আমের কচি পাতার রস দাঁতের ব্যথা উপশমকারী। হাড়িয়াভাঙ্গা আমের শুকনো মুখ পাতলা পায়খানা, পুরনো আমাশয় এবং প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া উপশম করে।

হাড়িয়াভাঙ্গা আম এর ব্যবহার

হাড়িয়াভাঙ্গা আম খাওয়ার পাশাপাশি চাটনি, আচার, আমসত্ত্ব, জ্যাম,, জেলি তৈরি করা হয়ে থাকে। হাড়িয়াভাঙ্গা আমি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ক্যারোটিন ও  ভিটামিন খনিজ পদার্থ ক্লোরিন।

হাড়িয়াভাঙ্গা আমি কি কি ভিটামিন পাওয়া যায়

হাড়িয়াভাঙ্গা আমি যে সকল ভিটামিন পাওয়া যায় তা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি ও খনিজ পদার্থ ও ক্যালোরি পাওয়া রয়েছে

হাড়িয়াভাঙ্গা আম পাওয়ার মৌসম বা সময়কাল

হাড়িয়াভাঙ্গা আম সরবরাহ শুরু হবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এবং 20 শে জুনের পর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহ বা পাওয়া যাবে।

হাড়িয়াভাঙ্গা আমের দাম

অনেকে হাড়িয়াভাঙ্গা আমের দাম জানতে চান। তবে হাড়িয়াভাঙ্গা আমের দাম ঢাকার ভিতরে 80 থেকে 90 টাকা এবং ঢাকার বাইরে 80 থেকে 85 টাকা হয়ে থাকে। অনেক সময় সরবরাহের কারণে কমবেশি হতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button