3rd week Class 9 Assignment Agriculture Answer
|

3rd week Class 9 Assignment Agriculture Answer 2022

As always, the Department of Secondary Education has published the class 9 syllabus of Class 9 for the third week of agriculture. You can also easily collect the syllabus by visiting our website. We have realized the details of the third-week assignment syllabus and answer sheets in this container class 9 agriculture.

Third Week Class 9 Agriculture Assignment Notice and Routine 2021

March 31, 2021, the second-week assignment notice and routine of Class 9 students have been published. And we’ve linked these notifications and routines to our website so you can easily collect them.

Class 9 Agriculture assignment answer (3rd week)

Are you a Class 9? So you have to make an assignment on agriculture in a week but how do you know? If you don’t know, visit our website and find out how to create an assignment and collect answer sheets for each question so that you can submit the assignment.

প্রশ্ন: তোমার এলাকার প্রধান প্রধান ফসলের নাম উল্লেখপূর্বক ফসল সমূহ চাষের কারন ও সেগুলোর জন্য জমি প্রুস্থতির বিবরণ উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

আমাদের এলাকায় কি কি ফসল চাষ করা হয় এবং চাষ করার কারণ:

বেঁচে থাকার জন্য মানুষের পুষ্টির প্রয়ােজন। আর এই পুষ্টি উপাদান আসে বিভিন্ন প্রকার খাবার থেকে। ফসল , পশুপাখি ও মাছ থেকে আমরা আমাদের খাবার পেয়ে থাকি। জীবনকে সুস্থ, সবল, সচল, কর্মক্ষম ও দেহের বৃদ্ধিসাধনের জন্য যে সব উদ্ভিদজাত দ্রব্য প্রয়াজেন হয় সেগুলােকে উদ্ভিদজাত খাদ্য বলা হয়।

ফসল হলাে মানুষের খাদ্যের প্রধান উৎস। বিভিন্ন প্রকার ফসলের মধ্যে ধান আমাদের প্রধান। কারণভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। বাংলাদেশে মোট আবাদি জমির প্রায় ৮০% জমিতেই ধান চাষ করা হয়। ধান প্রধানত শর্করা জাতীয় খাবারের চাহিদা মিটিয়ে থাকে তবে এতে ৮% আমিষও রয়েছে। ব্রাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ নিরাপদে এ খাবার খেতে পারে। ধানের পাশাপাশি চাষ হয় গম এবং আলু। মাসকালাই। ডালজাতীয় ফসল মাঠে চাষ করা হয়। এ ফসল আমিষ সমৃদ্ধ ও মাংসের তুলনায় সস্তা বিধায় একে গরীবের মাংস বলা হয়। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে ভূমির উর্বরতা রক্ষায় এজাতীয় ফসল অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। নিবিড়শস্য চাষ করলে জমিতে জৈব পদার্থ ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। জৈব পদার্থ হলাে মাটির প্রাণ। ডালজাতীয় শস্য চাষ করলে মাটিতে প্রচুর পরিমাণ জৈব পদার্থ ও নাইট্রোজেন সার যােগ হয়। এ জাতীয় ফসল মানুষের পুষ্টির পাশাপাশি আমিষ সমৃদ্ধ পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এছাড়া তৈলবীজ (সরিষা) ফসল আমাদের স্নেহজাতীয় পদার্থের যােগান দিয়ে থাকে। আঁশজাতীয় (পাট) ফসল চাষ করে আমরা আমাদের দৈনন্দিন অনেক চাহিদাই মিটিয়ে থাকি। কিছু আঁশ ফসল আছে যেগুলাে রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হয়। এছাড়া চাষ করা হয় বিভিন্ন প্রকারের সবজি। মােদ্দা কথা ফসলের চাষাবাদ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং পুষ্টিহীনতা দূর করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর পুষ্টির যােগান দিতে এদের অবদান অনস্বীকার্য।

ধান চাষের জন্য জমির প্রস্তুতি:
বাংলাদেশে দানাজাতীয় ফসলের মধ্যে ধানের চাষ ও উৎপাদন সবচেয়ে বেশি। কারণ মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য হলাে ভাত। ধানের ফলন সব জমিতে ভালাে হয় না। মাঝারি নিচু ও নিচু জমিতে ধানের ফলন বেশি ভালাে হয়। মাঝারি উঁচু জমিতেও ধান চাষ করা হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে পানি সেচের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হয়। এঁটেল ও পলি দোআঁশ মাটি ধান চাষের জন্য উপযােগী।

ধানের চারা তৈরির জন্য সাধারণত চার ধরনের বীজতলা তৈরি করা হয়। যথা।

ক) শুকনা বীজতলা

খ) ভেজা বীজতলা

গ) ভাসমান বীজতলা

ঘ) দাপােগ বীজতলা

উঁচু ও দোআঁশ মাটিসম্পন্ন জমিতে শুকনাে বীজতলা এবং নিচু ও এঁটেল মাটি সম্পন্ন জমিতে ভেজা বীজতলা তৈরি করা হয়। আর বন্যাকবলিত এলাকায় ভাসমান ও দাপােগ বীজতলা তৈরি করা হয়। প্রচুর আলাে বাতাস থাকে এবং বৃষ্টি বা বন্যার পানিতে ডুবে যাবে না এমন জমি বীজতলার জন্য নির্বাচন করতে হয়। মাটিতে অবশ্যই রস থাকতে হবে। প্রয়ােজনে সেচ দিতে হবে। এর আগে জমি থেকে আগাছা বেছেসরিয়ে ফেলতে হবে। জমি যদি অনুর্বর হয় জমিতে জৈব সার দিতে হবে। বীজতলায় রাসায়নিক সার ব্যবহার না করাই উত্তম।

চারা রােপণের জমি তৈরি: ৪-৫ টি আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে জমি ভালােভাবে কাদাময় ও সমান করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোদাল দিয়ে জমির চারদিক ঘেঁটে দিতে হবে।

চারা রােপণের জমিতে সার ব্যবস্থাপনা:

ভালাে ফলন পেতে হলে অবশ্যই জমিতে সার দিতে হবে। এছাড়া উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত মাটি থেকে বেশি পরিমাণে খাদ্যোপাদান গ্রহণ করে বিধায় সার প্রয়ােগ অত্যাবশ্যক। গােবর বা আবর্জনা পচা জাতীয় জৈব সার জমি তৈরির | সময় মাটির সাথেমিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া ব্যতীত সকল রাসায়নিক সার যেমন- টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, দস্তা প্রভৃতি জমিতে শেষ চাষ দেওয়ার আগে প্রয়ােগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। চারা রােপণ করার পর ইউরিয়া সার ৩ কিস্তিতে ছিটিয়ে প্রয়ােগ করতে হয়। ১ম কিস্তি চারা রােপণের ১৫-২০ দিন পর ২য় কিস্তি ৩০-৩৫ দিন পর | অর্থাৎ চারার গােছায় ৪-৫টি কুশি আসা অবস্থায় এবং শেষ কিস্তি ৪৫. | ৫০ দিন পর অর্থাৎ কাইচ থােড় আসার ৫-৭ দিন আগে প্রয়ােগ করতে নিচে শতক প্রতি জৈব সার, ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও দস্তা সারের পরিমাণ দেওয়া হলাে:

সারের নাম পরিমাণ
পচা গােবর বা কমপােষ্ট ২০ কেজি।
এমওপি ১৬০-২৮০ গ্রাম
ইউরিয়া ৩৬০-৮৪০ গ্রাম
টিএসপি ৩০০-৫০০ গ্রাম
জিপসাম ২৪০-২৮০ গ্রাম
দস্তা ৪০ গ্রাম

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *