Pohela Boishakh famous poems in Bangla

Pohela Boishakh famous poems in Bangla |Bangla New poem

There are very few poets who have not written poems about Pohela Boishakh. No one has left out this traditional day of Bengal in his poems. All the famous poets of Bengal have composed all the famous poems. A total of 274 poems have been written about the first Boishakh. Among them, some more read poems were found.

you can also like: Pohela Boishakh Image, photo & Wallpaper

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৈশাখী কবিতা

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়তো কাজী নজরুলের মতো বৈশাখের ঝড় নিয়ে উত্তাল করা কবিতা রচিত করেননি তবে তিনিও তার ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন বৈশাখের রূপ । তিনি রচনা করেছেন সুন্দর একটি গান

এসো এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক।

যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রবাষ্প সুদূরে মিলাক।
মুছে যাক গানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।যাক।যাক।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলের পর একে একে আরোও অনেক কবিগণ রচনা করেন বিভিন্ন কবিতা ও গান । তাদের মধ্যে একজন অন্যতম ফররুখ আহমদ । তিনি বৈশাখকে অনেক সুন্দর করে সম্বোধন করে লিখেছেন :

ধ্বংসের নকীব তুমি হে দূর্বার, দুর্ধর্ষ বৈশাখ
সময়ের বালুচরে তোমার কঠোর কণ্ঠে
শুনি আজ অকুণ্ঠিত প্রলয়ের ডাক।

এবং তিনি যখন এরকম করে বলেন :

রোজ হাশরের দগ্ধ তপ্ত তাম্র মাঠ, বন, মৃত্যুপুরী, নিস্তব্ধ নির্বাক;
সূরে ইস্রাফিল কণ্ঠে পদ্মা মেঘনার তীরে
এস তুমি হে দৃপ্ত বৈশাখ।

এস তুমি সাড়া দিয়ে বিজয়ী বীরের মতো, এস স্বর্ণ শ্যেন,
বাজায়ে নাকাড়া কাড়া এস তুমি দিগি¦জয়ী জুলকারনায়েন,
আচ্ছন্ন আকাশ নীলে ওড়ায়ে বিশাল ঝা শক্তিমত্ত ও প্রাবল্যে প্রাণের
সকল প্রাকার বাধা চ‚র্ণ করি মুক্ত কর পৃথিবীতে সরণি প্রাণের,
সকল দীনতা, ক্লেদ লুপ্ত কর, জড়তার চিহ্ন মুছে যাক;
বিজয়ী বীরের মতো নির্ভীক সেনানী তুমি
এস ফিরে হে দৃপ্ত বৈশাখ।

ফররুখ আহমদ তার বিখ্যাত একটি সনেট ” বৈশাখের কালো ঘোড়া” য় অনেক সুন্দর করে কাল বৈশাখীর বর্ননা দিয়েছেন।

বৈশাখের কালো ঘোড়া উঠে এলো। বন্দর, শহর
পার হয়ে সেই ঘোড়া যাবে দূর কোকাফ মুলুকে,
অথবা চলার তালে ছুটে যাবে কেবলি সম্মুখে
প্রচন্ড আঘাতে পায়ে পিষে যাবে অরণ্য, প্রান্তর।
দূর সমুদ্রের বুকে নির্বাসিত যুগ যুগান্তর
শুনেছে ঘরের ডাক দূর দিগন্তের পার থেকে,
বাঁকায়ে বঙ্কিম গ্রীবা বজ্রের আওয়াজে উঠে ডেকে
শূন্যে ওড়ে বুকে নিয়ে সুলেমান নবীর স্বাক্ষর।

শূন্য হতে শূন্য স্তরে-আরো উর্ধ্বে পরেনদা তাজীর
পাখার ষাপট শুনে শিহরায় পল্লীপথ, গ্রাম,
শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসে আতঙ্কে বিশাল পৃথিবীর;
ভেঙে পড়ে অরণ্যানি। ছেড়ে সুখশয্যার আরাম
অচেনা গতির স্রোতে হয় বন্দী এমন অধীর;
ঝড় বেগে ওড়ে ঘোড়া (জানি না তো সে ঘোড়ার নাম)।

এভাবেই একে একে কবিরা বৈশাখকে নিয়ে লিখে গেছেন গান এবং রচনা করে গেছেন বিভিন্ন কবিতা, ছন্দ এবং গদ্য।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বৈশাখী কবিতা

পহেলা বৈশাখ গরম কবিতা:

পহেলা বৈশাখ নিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন রক্ত গরম করা একটি কবিতা :

“বারেবারে যথা কাল-বৈশাখী ব্যর্থ হল রে পুব-হাওয়ায়

দধীচি-হাড়ের বজ্র-বহ্নি বারেবারে যথা নিভিয়া যায়,

কে পাগল সেথা যাস হাঁকি

“বৈশাখী কাল-বৈশাখী!”

হেথা বৈশাখী-জ্বালা আছে শুধু, নাই বৈশাখী-ঝড় হেথায়

সে জ্বালায় শুধু নিজে পুড়ে মরি, পোড়াতে কারেও পারিনে, হায়।”

কবি কাজী নজরুল অনেকটা আক্ষেপ করেই বলে, বৈশাখ যেন তার প্রকৃত রুদ্ররূপ ধরে আবির্ভূত হয়নি সে কারণেই সারা দেশ আজও পুরাতন জং ধরা জরাজীর্ণতায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। এজন্যই তার ক্ষোভ :

কাল-বৈশাখী আসেনি হেথায়, আসিলে মোদের তরু-শিরে
সিন্ধু-শকুন বসিত না আসি’ ভিড় করে আজ নদীতীরে।
জানি না কবে সে আসিবে ঝড়
ধূলায় লুটাবে শত্রগড়,
আজিও মোদের কাটেনি ক’ শীত, আসেনি ফাগুন বন ঘিরে।
আজিও বলির কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়া উঠেনি মন্দিরে।

জাগেনি রুদ্র, জাগিয়াছে শুধু অন্ধকারের প্রমথ-দল,
ললাট-অগ্নি নিবেছে শিবের ঝরিয়া জটার গঙ্গাজল।
জাগেনি শিবানী জাগিয়াছে শিবা,
আঁধার সৃষ্টি আসেনি ক’ দিবা,
এরি মাঝে হায়, কাল-বৈশাখী স্বপ্ন দেখিলে কে তোরা বল।
আসে যদি ঝড়, আসুক, কুলোর বাতাস কে দিবি অগ্রে চল।

 

আসুন পড়ে নেওয়া যাক পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে বহু পঠিত একটি কবিতা ।

পহেলা বৈশাখ (গীতি কবিতা)- আবু জাফর বিঃ

আবার এসেছে ফিরে বাঙালির ঘরে,

নতুন পহেলা বৈশাখ।

আজ শুধুই ভালোবাসার উজানে,

বাঙালির বর্ষবরণ নানা আয়োজনে;

রমণীরা আজ সেজেছে নতুন সাজে,

পায়ের নূপুর ঘুঙ্গুর বাজে।

নাচে হেলেদুলে গায়ছে প্রাণখুলে,

দেখে সবার চোখ জুড়িয়ে যাক।

লালপেড়ে শাড়ি কানে দিয়ে দুল,

চোখে কাজল খোপায় গাঁদা ফুল।

কামার, কুমোর, জেলে, তাতি,

হিন্দু, মুসলিম, বোদ্ধ, জাতি।

আনন্দ উল্লাসে বৈশাখী মেলায় এসে;

সব ভেদাভেদ ভুলে যাক।

বটের ছায়ায় রাখালের বাঁশি,

ফসলের মাঠে কৃষাণের হাসি।

পাকা ধানের মৌ-মৌ গন্ধ,

পাখির কলকাকলি সুরের ছন্দ।

বাতাসে ছড়াল সুগন্ধ মনে আনন্দ,

কৃষ্ণচূড়ার রং হৃদয়ে ছড়াক।

রমনার বটমূলে সকল শিল্পী মিলে

গান-নৃত্য করে সারাদিন ধরে,

পান্তা-ইলিশ খেয়ে বৈশাখী মেলায় গিয়ে;

বাঙালির ঐতিহ্যকে লালন করে।

গ্রাম-অঞ্চলে বিভেদ ভুলে,

সবাই একসাথে মিলে-মিশে থাক।

মাঠে সোনার ধান, জুড়াই প্রাণ

কৃষকের মুখে বৈশাখী গান,

মনে আজ আনন্দ ভুলে সব মন্দ,

নেইতো কারো মান-অভিমান।

দুপুরের খরাই বটের ছায়ায়,

সব জরা-ক্লান্তি ধুয়ে-মুছে যাক।

আবার এসেছে ফিরে, বাঙালির ঘরে,

নতুন পহেলা বৈশাখ।

Happy Pohela Boishakh Images, Photos & Wallpaper

We have collected some romantic, important pictures, wallpapers, and images of Pohela Boishakh which you can share on various social media on the occasion of Pohela Boishakh, and welcome Pahela Boishakh as a gift to one of your loved ones.

More post:

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *