অনলাইন

ই পাসপোর্ট ফি বাংলাদেশ | ই পাসপোর্ট ফি প্রদানের পদ্ধতি

ই-পাসপোর্ট হল ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট। সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিকদের ই পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের নাগরিকগণ ভ্রমণের স্বার্থে বিদেশে যাওয়ার জন্য 21 দিন, দশ দিন ও দুই দিনের জন্য ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট করতে পারেন। ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট তিন ধরনের হয়ে থাকে। পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায় এবং অনলাইনের মাধ্যমে প্রদান করা যায়। দান করার পর ই পাসপোর্টের ফি প্রদান করতে হয় এবং ই-পাসপোর্ট এর জন্য বিভিন্ন প্রকার ফ্রী রয়েছে এবং এই ফ্রিজ গুলো নিচে প্রদান করা হলো:

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ই পাসপোর্ট ফি:

নিচে পৃষ্ঠা এবং বছর পেতে পাসপোর্ট এর  ফি আলাদা হয়ে থাকে। সুতরাং নিচে ধারাবাহিকভাবে প্রদান করা হলো এখান থেকে জেনে নিতে পারেন।

48 পৃষ্ঠা এবং 5 বছরের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট

  • 21 দিনের মধ্যে নিয়মিত ডেলিভারি: 4,025 টাকা
  • 10 দিনের মধ্যে এক্সপ্রেস ডেলিভারি: 6,325 টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস 2 দিনের মধ্যে ডেলিভারি: 8,625 টাকা

48 পৃষ্ঠা এবং 10 বছরের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট

  • 21 দিনের মধ্যে নিয়মিত ডেলিভারি: 5,750 টাকা
  • 10 দিনের মধ্যে এক্সপ্রেস ডেলিভারি: 8,050 টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস 2 দিনের মধ্যে ডেলিভারি: 10,350 টাকা

64 পৃষ্ঠা এবং 5 বছরের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট

  • 21 দিনের মধ্যে নিয়মিত ডেলিভারি: 6,325 টাকা
  • 10 দিনের মধ্যে এক্সপ্রেস ডেলিভারি: 8,625 টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস 2 দিনের মধ্যে ডেলিভারি: 12,075 টাকা

 64 পৃষ্ঠা এবং 10 বছরের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট

  • 21 দিনের মধ্যে নিয়মিত ডেলিভারি: 8,050 টাকা
  • 10 দিনের মধ্যে এক্সপ্রেস ডেলিভারি: 10,350 টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস 2 দিনের মধ্যে ডেলিভারি: 13,800 টাকা

ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার পদ্ধতি

ই পাসপোর্ট আবেদন অনলাইনে সম্পন্ন করার পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করতে হবে তারপর রিসিভ কপি পাসপোর্ট সংগ্রহের তারেক প্রদান করা হবে। কিন্তু ই-পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করার পর ই পাসপোর্ট ফি কিভাবে জমা দিবেন সে পদ্ধতি জানা দরকার। সুতরাং নিচে ই পাসপোর্ট প্রদান করার ফি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী তুলে ধরা হলো:

প্রথম ধাপ: অনলাইনে চালান করার পর অটোমেটিক চালানোর সিস্টেম বাংলাদেশ (Automated challan System Bangladesh) ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

দ্বিতীয় ধাপঃ পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট ফি তে ক্লিক করুন। আপনার সামনে একটি উইন্ডো চলে আসবে।

তৃতীয় ধাপঃ এখান থেকে প্রথমে পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যা বাছাই করতে হবে. তারপর পাসপোর্ট এর মেয়াদ ও ডেলিভারি ধরন বাছাই করুন. স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকার পরিমাণ দেখাবে. তারপর নিচে থেকে ওকে বাটনে ক্লিক করুন.

চতুর্থ ধাপঃ এবার পাসপোর্টধারীর ফি পরিশোধ করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনাক্তকরণ নাম্বার, নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার লিখুন। যদি ইমেইল নাম্বার থাকে তাহলে লিখতে পারেন

এছাড়াও মনে রাখতে হবে যে, জাতীয় পরিচয় পত্র দ্বারা পাসপোর্ট এর আবেদন করা হয় অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিবেন। যাদের বয়স 18 বছরের নিচে অর্থাৎ এনআইডি কার্ড হয়নি তাদেরকে জন্ম সনদের সঠিক নাম্বারটা দিতে হবে।

সরকার কর্তৃক অর্থাত্ পাসপোর্ট অফিস কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা যাবে।

রকেট, বিকাশ ও নগদ এর মাধ্যমে টাকা দিতে সোনালী ব্যাংকের সিলেট করুন। তাছাড়াও সোনালী ব্যাংকের অনলাইন একাউন্ট, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থেকে পেমেন্ট করা যাবে।

এখন সেভ বাটনে ক্লিক করুন এবং আপনাকে সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয় এতে নিয়ে যাবে।

ধাপ 5: এখান থেকেই একাউন্ট অথবা ভিসা অথবা মাস্টার কার্ড অথবা আমেক্স কার্ড অথবা মোবাইল ব্যাংকিং অপশনে সিলেট করে পেমেন্ট করুন।

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) ফি (বাংলাদেশ)

আপনি যদি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ফি সংক্রান্ত তথ্যাবলী জানতে চান তাহলে নিচের সারণিতে বিস্তারিত ভীষণ ক্লান্ত তথ্যাবলী তুলে ধরা হয়েছে এখান থেকে জানতে পারবেন.

পাসপোর্ট ফিস সংক্রান্ত তথ্যাবলী

আবেদনের প্রকৃতি বিতরণের ধরণ পাসপোর্ট ফিস (টাকা)
নতুন আবেদনকারী/ হাতে লেখা পাসপোর্ট সমর্পণকৃতদের (সারেন্ডার) জন্য জরুরি ফিস (৭ দিন) ৬০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৬৯০০.০০ টাকা
সাধারণ ফিস (২১ দিন) ৩০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫০.০০ টাকা
অনাপত্তি সনদ (NOC) এর ভিত্তিতে (জরুরি সুবিধাসহ) ৩০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫০.০০ টাকা
সরকারি আদেশ (GO) এর ভিত্তিতে চিকিৎসা, হজ্জ্ব পালন, তীর্থস্থান ভ্রমণের ক্ষেত্রে (জরুরি সুবিধাসহ) ৩০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫০.০০ টাকা
সরকারি আদেশ (GO) এর ভিত্তিতে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে (জরুরি সুবিধাসহ) বিনামূল্যে
রি-ইস্যু জরুরি ফিস (৭ দিন) (NOC/GO ব্যতীত) ৬০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৬৯০০.০০ টাকা
সাধারণ ফিস (২১ দিন) ৩০০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫০.০০ টাকা
মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফিস (মেয়াদ পরবর্তি প্রতি বছরের জন্য) সাধারণ ফিস ৩০০.০০ + ১৫% ভ্যাট = ৩৪৫.০০ টাকা

>অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবি ও তাদের স্বামী/স্ত্রী (নতুন আবেদন ও রি-ইস্যু উভয় ক্ষেত্রে) সাধারণ ফি প্রদান করে জরুরি সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে অবসর গ্রহণের সনদ দাখিল করতে হবে।

> সোনালী ব্যাংকের পাশাপাশি আরও ৫টি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারবেন।

১) ওয়ান ব্যাংক
২) ট্রাস্ট ব্যাংক
৩) ব্যাংক এশিয়া
৪) প্রিমিয়ার ব্যাংক
৫) ঢাকা ব্যাংক।

Related Articles

Back to top button