ট্রাভেলট্রেন

বনলতা এক্সপ্রেস (Banalata Express) ট্রেনটি সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, বিরতি স্টেশন, সুযোগ সুবিধা, বন্ধের দিন ও বিস্তারিত

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা: আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ঢাকা রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমি একটা আন্তঃনগর ট্রেন. একটি আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া ও বিস্তারিত. বনলতা সেন ঢাকা টু রাজশাহী গামী আন্তঃনগর, বিলাসবহুল ও বিরতিহীন ট্রেন. 2019 সালের 25 এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার বেলা 11 টার দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই দিনটিকে পালন করেন. কবি জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কবিতা বনলতা সেন এর নাম অনুসারে ট্রেনটির নাম করণ করা হয় বনলতা এক্সপ্রেস

. সুতরাং এই ট্রেনটি ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে. 2019 সালের 17 জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল বর্ধিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী. সুতরাং আজ আমরা এখানে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, স্টেশন ও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব.

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

বনলতা এক্সপ্রেস একটি আন্তঃনগর ও দ্রুতগামী ট্রেন যে ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পর্যন্ত চলাচল করে. বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী 2019 সালের 25 এপ্রিল বেলা 11 টায়. ট্রেনটির নাম করণ করা হয় কবি জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কবিতা বনলতা সেন এর নাম অনুসারে. ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছাড়ে দুপুর 1 টা 15 মিনিটে এবং রাজশাহী পৌঁছে সন্ধ্যা ছয়টায় আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পৌঁছে সন্ধ্যা 7:10 মিনিটে. অপরদিকে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সকাল 5 টা 50 মিনিটে সাড়ে রাজশাহী পৌঁছায় সকাল সাতটায় এবং ঢাকা পৌঁছায় সকাল 11 টা 40 মিনিটে. ট্রেনটি শুক্রবার বাদে সপ্তাহ ছয়দিনের ঢাকা টু রাজশাহী চলাচল করে. সুতরাং বনলতা সেন এক্সপ্রেস ট্রেনটির বিস্তারিত তথ্য জানতে আরো নিচে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো

  • পরিষেবা ধরন – আন্তঃনগর ট্রেন
  • বর্তমান পরিচালক – বাংলাদেশ রেলওয়ে
  • পথ যাত্রা – কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
  • শেষ যাত্রা – রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
  • দূরত্ব – ৩৯৪ কিলোমিটার
  • গড় যাত্রার সময় – ০৫ ঘণ্টা ৩0 মিনিট
  • পরিষেবা ফ্রিকোয়েন্সি – ৬ দিন
  • অপারেটিং গতি – ৯৫ কিলোমিটার পার ঘন্টা
  • গাড়ির সংখ্যা -১২
  • রেল নাম্বার-৭৯১/৭৯২

বনলতা সেন এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রা সময়সূচী

বনলতা সেন ট্রেনের যাত্রা সময়সূচী আলোচনা আলোচনা না করলে নয় কারণ যারাই এই ট্রেনটিতে নিয়মিত যাতায়াত করেন তাদের অবশ্যই ট্রেনটির যাত্রা সময়সূচী সম্পর্কে জানা দরকার. বনলতা সেন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় দুপুর 1 টা 15 মিনিটে, রাজশাহীতে পৌঁছায় সন্ধ্যা ছয়টায় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ  পৌঁছায় সন্ধ্যা 7 টা 10 মিনিটে. অপরদিকে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে যায় সকাল 5 টা 50 রাজশাহীতে পৌঁছায় সকাল সাতটায় ও ঢাকায় পৌঁছে দুপুর 11 টা 40 মিনিটে. আরো বিস্তারিত জানার জন্য নিম্নের চিত্রের সাহায্যে ট্রেনের সময়সূচী তুলে ধরা.

স্টেশনের নাম ছুটির দিন ছাড়ায় সময় পৌছানোর সময়
ঢাকা টু চাঁপাইনবাবগঞ্জ শুক্রবার ১৩ঃ৩০ ১৯ঃ৩০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ টু ঢাকা শুক্রবার ০৬ঃ০০ ১১ঃ৩০

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা

আপনি কি বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করেন তাহলে আপনার ট্রেনের ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকা উচিত. কারণ ট্রেনের ভাড়া জানা থাকলেই আপনি আপনার সাধ্যমত সিটের বুকিং দিতে পারেন. ট্রেনটির বিভিন্ন সিটের ভাড়া গুলো এখানে তুলে ধরা হলো যেমন শোভন চেয়ার 525 টাকা এবং স্নিগদা 875 টাকা. তাছাড়া অন্যান্য সিটের জায়গা অনুযায়ী ভাড়ার তালিকা নিম্নের চিত্রের সাহায্যে বোঝানো হয়েছে.

আসন বিভাগ টিকেটের মূল্য (১৫ভ্যাট)
শোভন চেয়ার ৫২৫ টাকা
স্নিগ্ধা ৭৮০ টাকা
এসি সিট ৮৭৫ টাকা

 

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটির সময়সূচি ও বিরতি স্থান

অনেকের মনে ভ্রমণের সময় প্রশ্ন জাগে যে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কত জায়গায় বিরতি প্রদান করে এবং কত সময় প্রদান করে. সেই প্রশ্নের উত্তর কি জানতে চাও?. আসুন আমাদের ওয়েবসাইটে জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য ট্রেনের সময়সূচী ও বিরতি স্থান. ট্রেনটি যে সকল স্থানে বিরতি প্রদান করে তার একটি তালিকা নিম্নে প্রদান করা হইল

বিরতি স্টেশন নাম ঢাকা থেকে (৭৯১) চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে (৭৩২)
বিমান বন্দর ১৩ঃ৫৭ ১০ঃ৫৭
রাজশাহী ১৮ঃ১৫ ০৬ঃ৫০

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও সিট সংখ্যা

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি হচ্ছে সংখ্যা সম্পর্কে আপনি জানতে চান তাহলে এখান থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আপনি পেতে পারেন. এখন জানবো ট্রেনের বগি হচ্ছে বারোটি দুইটা এসি চেয়ার, সাতটি শোভন চেয়ার, গার্ড ব্রেকযুক্ত একটি পাওয়ার, ট্রেনের দুই প্রান্তে দুইটি ডাইনিং, ট্রেনের মোট আসন 928 তার মধ্যে রয়েছে. বিস্তারিত তথ্য নিচের চিত্রের সাহায্যে তুলে ধরা হয়েছে

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন খাবার ব্যবস্থা

অনেকে ভাবেন যে ট্রেনে যেহেতু দীর্ঘসময় জার্নি করতে হয় তাহলে কিভাবে ও কোথায় খাব. বন্ধুরা আর কোন চিন্তা নয় কারণ আজ এখানে তুলে ধরব ট্রেনে কি কি খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে. সুতরাং বনলতা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন খাবার গাড়ির ব্যবস্থা সংযোজন রয়েছে. সুতরাং যে সমস্ত খাওয়ার এখানে পাওয়া যায় তার একটি বর্ণনা তুলে ধরা হলো যেমন কেক, পেটিস, বার্গার, কাবাব, ডিম, কাটলেট, সিঙ্গারা, সমুচা, রোল সহ বিভিন্ন কোমল পানীয় মিনারেল ওয়াটার পাওয়া যায়. তাছাড়াও আপনি সময় অতিবাহিত করার জন্য ও জ্ঞান অর্জনের জন্য এখানে পত্রিকা ও ম্যাগাজিন ও পাবেন.

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটার জায়গা সমূহ

বনলতা এক্সপ্রেস একটি জনপ্রিয় ট্রেন বিদায় টিকিট সব সময় পাওয়া যায় না. সুতরাং এজন্য আপনাকে আগাম টিকিট ও স্থানসমূহ জানা দরকার. বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট 3 উপায়ে কাটা যেতে.
আপনি দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন
ওয়েবসাইট বা অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যায়
* 131# নাম্বারে ডায়াল করিও এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যায়

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিশেষ আকর্ষণ বা বৈশিষ্ট্য

  • বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বায়োটয়লেট সংযোজন
  • ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য রয়েছে হুইল চেয়ারসহ চলাচলের সুবিধা
  • ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য রয়েছে প্রশস্ত দরজা ও নির্ধারিত আসন এর সুবিধা
  • আধুনিক মানসম্মত চেয়ার, বার্থ, পার্সেল রেট,
  • 2:46 PM
  • খাবার গাড়ি অত্যাধুনিক ডাইনিং সুবিধা ব্যবস্থা
  • অনাকাঙ্ক্ষিত ট্রেন থামানোর বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত এলার্ম চেইন কুলিং সিস্টেম
  • প্রতিটি কোষ স্টেনলেস স্টিলের তৈরি এবং অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা সম্বলিত
  • মোবাইল চার্জার এর ব্যবস্থা রয়েছে
  • ট্রেনটিতে রয়েছে অজুখানাসহ নামাজ ঘর
  • বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি লাইট ব্যবহার করা হয়েছে
  • আধুনিক অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে

Related Articles

Back to top button