উক্তি

হুমায়ূন আহমেদের কষ্টের উক্তি ও বাণী

পৃথিবীতে যতগুলো জ্ঞানী স্মরণীয় মনো যুক্তি প্রদান করেন তাদের মধ্যে হুমায়ুন আহমেদ অন্যতম। হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ উপন্যাসিক। তিনি অসংখ্য উপন্যাস এবং বই লেখেন। তার প্রত্যেকটা বইতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণী রয়েছে এবং কিছু জনপ্রিয় উক্তি রয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের কষ্টের কিছু উক্তি রয়েছে যেগুলো খুব জানা প্রয়োজন। একটু উক্তি গুলোর মধ্যে অনেক অর্থ নিহিত রয়েছে।

সুতরাং তাই অনেকে হুমায়ূন আহমেদের সেই কষ্টের উক্তি গুলো সংগ্রহ করতে চান এবং সেই উক্তিগুলো পড়ে যথার্থ অর্থ বুঝতে চান। তাই আজ আমরা প্রত্যেকটি এগুলো আমরা নিচে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছি। আশা রাখি হুমায়ূন আহমেদের সকল কষ্টের উক্তিগুলো এখান থেকে জানতে পারবেন।

হুমায়ূন আহমেদ এর কষ্টের উক্তি

  • সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে!”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মাঝে মাঝে তুচ্ছ বিষয় চোরাকাঁটার মত মনে লেগে থাকেব্যথা দেয় না,অস্বস্তি দেয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া কাজের কথা না। অতি রূপবতীদের কারও প্রেমে পড়তে নেই। অন্যেরা তাদের প্রেমে পড়বে, তা নিয়ম।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মেয়েদের অনেক গুণের মধ্যে বড় গুণ হলো এরা খুব সুন্দর করে চিঠি লিখতে পারে। কথাবার্তায় নিতান্ত এলোমেলো মেয়েও চিঠি লেখায় গোছানো। মেয়েদের চিঠিতে আরেকটা ব্যাপার থাকেবিষাদময়তা। নিতান্ত আনন্দের সংবাদ দিয়ে লেখা চিঠির মধ্যেও তারা জানি কী করে সামান্য হলেও দুঃখ মিশিয়ে দেয়। কাজটা যে তারা ইচ্ছা করে করে তা না। প্রকৃতি তাদের চরিত্রে যে বিষাদময়তা দিয়ে রেখেছে তাই হয়তো চিঠিতে উঠে আসে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মিথ্যা হলো শয়তানের বিয়ের মন্ত্র। মিথ্যা বললেই শয়তানের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়া মানেই সন্তানসন্ততি হওয়া। একটা মিথ্যার পর আরো অনেকগুলি মিথ্যা বলতে হয় এই কারণেই। পরের মিথ্যাগুলি শয়তানের সন্তান।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মানুষ খুবই স্বাধীন প্রাণী কিন্তু অদ্ভুদ কারণে সে ভালবাসে শিকল পরে থাকতে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায়.. তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা, ব্যথা বেদনা গুলো বলার মত কেউ থাকে না.. তাদের কিছু অবাক্ত কথা মনের গভীরেই রয়ে যায় .. আর কিছু কিছু স্মৃতিএক সময় পরিনত হয় দীর্ঘ শ্বাসে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.

হুমায়ূন আহমেদের কষ্টের বাণী

  • প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে সুসংবাদ থাকে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল !” “-হুমায়ূন আহমেদ.
  • সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ারভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • যে সব মানুষের নাক সেনসেটিভ হয় তাদের কান কম সেনসেটিভ হয়। প্রকৃতি একটা বেশী দিলে অন্যটা কমিয়ে দেয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা রূপবতী তরুণীদের অগ্রাহ্য করে একধরনের আনন্দ পায়। সচরাচর এরা নিঃসঙ্গ ধরনের পুরুষ হয়, এবং নারী সঙ্গের জন্যে তীব্র বাসনা বুকে পুষে রাখে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • সব মানুষকেই বিনয়কে এদেশে দুর্বলতা মনে করা হয়, বদমেজাজকে ব্যক্তিত্ব ভাবা হয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • যে মানব সন্তান ক্ষুদ্র কামনা জয় করতে পারে সে বৃহৎ কামনাও জয় করতে পারে।

হুমায়ূন আহমেদের কষ্টের স্ট্যাটাস

  • হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায়। সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • বড় বোকামিগুলি বুদ্ধিমান মানুষরাই করে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • বিপদ যখন আসে একটার পর একটা আসে। বিপদরা পাঁচ ভাইবোন। এদের মধ্যে খুব মিল। এই ভাইবোনরা কখনো একা কারো কাছে যায় না। প্রথম একজন যায়, তারপর তার অন্য ভাইবোনরা উপস্থিত হয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • আমার খুব শখ বড় রকমের ঝামলায় পড়লে সে কি করে। কাজেই হিমুর জন্য বড় ধরনের একটা সমস্যা আমি তৈরি করেছি। এবং খুব আগ্রহ নিয়ে তার কান্ডকারখানা দেখেছি।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • হিমু কখনও জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে না। ছোটখাট ঝামেলায় সে পড়ে। সেই সব ঝামেলা তাকে স্পর্শও করে না। সে অনেকটা হাসেঁর মত। ঝাড়া দিল গা থেকে ঝামেলা পানির মত ঝরে পড়ল।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • দিনকাল পাল্টে গেছে, এখন আর মানুষ আগের মতো নাই।মওলানা ধরনের মানুষের দিকে এখন আর আগের মতো ভয়মিশ্রিত শ্রদ্ধার চোখে কেউ তাকায় না। মওলানাও যে বিবেচনায় রাখার মতো একজন, কেউ তাও বোধহয় মনে করে না। ছল্টুফল্টু ভাবে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • লাজুক ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারেনা। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই। পাগলরা মনে হয় সেই কারণেই সুখী।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মায়ের গায়ে কোন দোষ লাগে না। ছেলেমেয়ে মায়ের ত্রুটি দেখবে না। অন্যেরা হয়ত দেখবে, সন্তান কখনও না।”“-হুমায়ূন আহমেদ.

হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় কষ্টের বাণী

  • যে একদিন পড়িয়েছে সে শিক্ষক। সারাজীবনই শিক্ষক। আবার যে একদিন চুরি করেছে সে কিন্তু আজীবনই চোর না, তাহলে পৃথিবীর সব মানুষই চোর হত।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে। অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে অতি দুঃখের সঙ্গে তার অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না শুধু বড় বড় সাধক মহা পুরুষদের।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • কেও কারও মত হতে পারে না। সবাই হয় তার নিজের মত। তুমি হাজার চেষ্টা করেও তোমার চাচার বা বাবার মত হতে পারবে না। সব মানুষই আলাদা।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে, ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক, একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  • বড় বড় ব্যাপারগুলি সহজেই ঝেড়ে ফেলা যায় কিন্তু তুচ্ছ ব্যাপারগুলি চোরকাঁটার মত কিছুতেই তাড়ানো যায় না !” “-হুমায়ূন আহমেদ.
  • পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়, মানসিক কষ্ট।”“-হুমায়ূন আহমেদ.

 হুমায়ূন আহমেদ এর প্রেমের উক্তি

  1. কাউকে প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  2. সবাই তোমাকে কষ্ট দেবে, তোমাকে শুধু এমন একজনকে খুঁজে নিতে হবে যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  3. .”ভালোবাসা একটা পাখি। যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মুক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দী করতে চায়।” – হুমায়ূন আহমেদের
  4. ভালোবাসা যদি তরল পানির মতো কোনো বস্তু হতো, তাহলে সেই ভালোবাসায় সব পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমনকি হিমালয় পর্বতও!“-হুমায়ূন আহমেদ.
  5. ভালোবাসা ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লেখা থাকে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  6. ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  7. ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভালো। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালোবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়তো বা ভালোবাসাটা থাকে, শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালোবাসা দুয়ের মধ্যে ভালোবাসাই হয়তো বেশি প্রিয়।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  8. অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গণ্ডারের মতো। শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, আদর দিয়ে গণ্ডারকে সামলানো যায় না।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  9. কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  10. প্রেমিকাবিহীন তরুণের পৃথিবীতে বেঁচে থাকা, ঘাসবিহীন মাঠে গরুর পায়চারির মতো।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  11. যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  12. ভালোলাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  13. ভালোবাসাবাসির জন্য অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট।“-হুমায়ূন আহমেদ.
  14. গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয় দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশী তার হাতেই পুতুলের সুতা।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  15. এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  16. চট করে কারও প্রেমে পড়ে যাওয়া কোনো কাজের কথা না।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  17. মেয়েদের তৃতীয় নয়ন থাকে। এই নয়নে সে প্রেমে পড়া বিষয়টি চট করে বুঝে ফেলে।”“-হুমায়ূন আহমেদ.
  18. যার রাগ বেশি সে নীরবে অনেক ভালোবাসতে জানে, যে নীরবে ভালোবাসতে জানে তার ভালোবাসার গভীরতা বেশি, আর যার ভালোবাসার গভীরতা বেশি তার কষ্টও অনেক বেশি।”“-হুমায়ূন আহমেদ.

Related Articles

Back to top button