স্বাস্থ্য

হবিগঞ্জ হোমিও সেরা ডাক্তার সিলেট ঠিকানা ও যোগাযোগ নাম্বার

হোমিওপ্যাথিক একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রথম জার্মান চিকিৎসাবি দ হ্যানিম্যান আবিষ্কার করেন এবং ১৯৭৬ সালে আবিষ্কার করেন। তবেই চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে ছদ্ম বৈজ্ঞানিক ভিত্তিক শিশু পদ্ধতি বলা হয়ে থাকে. এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগ কে প্রথমে নির্ণয় করা হয় তারপর ধীরে ধীরে চিকিৎসা করে নির্মূল করার চেষ্টা করা হয়. এটি একটি সময় ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি. তবে এই চিকিৎসা পদ্ধতি দিতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই. বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের জন্য এই চিকিৎসা পদ্ধতি খুবই ভালো. জার্মান তোতা বিপন্ন দেশেই চিকিৎসা পদ্ধতি বর্তমান চালু আছে.

আমাদের দেশে হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি একটি জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতিতে রূপান্তরিত হয়েছে এবং অনেকেই বিশেষ করে বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কে বেশি পছন্দ করেন। তাই আপনি যদি হোমিওপ্যাথিক সেরা ডাক্তারগুলো কে কে এবং তারা কোথায় বসেন এবং তাদের যোগাযোগের ঠিকানা অনুসন্ধান করেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং নিচে ধারাবাহিকভাবে জানতে পারবেন

হবিগঞ্জ ডাঃ মোঃ সেলিম ঠিকানা ও যোগাযোগ নাম্বার

নিচে আপনি হবিগঞ্জ সেরা ডাক্তার গুলোর মধ্যে অন্যতম এবং বিখ্যাত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের চেম্বার ও যোগাযোগ ঠিকানা সব বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

ডাক্তার নাম: ডাঃ মোঃ সেলিম

  • ডাক্তার চেম্বার ঠিকানা: কামাল হোমিও ক্লিনিক, বাণিজ্যিক এলাকা রোড, হবিগঞ্জ
  • ডাক্তার চেম্বার মোবাইল নাম্বার: 01799-463016

ডাঃ মিজানুর রহমান

  • হবিগঞ্জ হোমিও হল, হবিগঞ্জ
  • 01712-288859

ডাঃ প্রশান্ত কুমার ভৌমিক

  • শশী হোমিও হল, হবিগঞ্জ
  • 01867-258718

হোমিও মেডিসিন এর কাজ কি?

বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডাক্তার মোঃ হ্যানিম্যান তার বিখ্যাত অর্গানন অফ মেডিসিন পুস্তকে লিখেছেন যে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের কাজ দুই ধরনের হয়। যথা: প্রথমত রোদ সৃষ্টি করা ও দ্বিতীয়তঃ রোগ আরোগ্য করা. তিনি প্রথমে তার নিজের এবং 50 জন সহকর্মীর সুস্থ দেহে প্রায় একশ টির মত ওষুধ বারবার প্রয়োগ করে পরীক্ষা করেছেন যে তাদের শরীরের উপর তিরূপ লক্ষণ প্রকাশ পায়. তারপর তিনি এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে প্রয়োগ করার সুপারিশ করেন এবং পর্যায়ক্রমে চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করেন

হোমিওপ্যাথি কি বিজ্ঞান

অনেকে প্রশ্ন করেছেন যে হোমিওপ্যাথিক কি একটি বিজ্ঞান?. হোমিওপ্যাথিক হচ্ছে একটি ছদ্ম বৈজ্ঞানিক বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা. ১৯৯৬ সালের জার্মান চিকিৎসক্ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এই চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।

হোমিওপ্যাথিক কি?.

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি ১৮০৭ সালে জার্মান বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান তৈরি করেছিলেন এবং তিনি জার্মান ভাষায় এই চিকিৎসা গ্রন্থ অনুবাদ করেন। তিনি ম্যালেরিয়ান নিরাময়ের জন্য সিনকোনা ব্যবহার সম্পর্কিত একটি তত্ত্ব প্রদান করেন। তবে তিনি বলেন হোমিওপ্যাথিক হল একটি ছদ্ম বৈজ্ঞানিক বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ১৭৯৬ সালের জার্মান চিকিৎসক ্যামিয়েল হ্যানিম্যান এটা আবিষ্কার করেন।

এলোপ্যাথিক কি?

এলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি হলো প্রাচীন বিজ্ঞানভিত্তিক এবং আধুনিক চিকিৎসাকে সংজ্ঞায়িত করতে ব্যবহার করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে অস্টিওপ্যাথি ওষুধের বিপরীত এলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি।

হোমিওপ্যাথিক ও অ্যালোপ্যাথিক এর মধ্যে পার্থক্য:

হোমিওপ্যাথিক এবং অ্যালোপ্যাথিক দুইটি রোগ নিরাময়ের বাহক হলেও উভয়ের মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তা নিম্ন:

লোপ্যাথির মাধ্যমে বহু রোগের ক্ষেত্রে দ্রুত ফলাফল নিয়ে আসা যায়। অন্যদিকে, ৫০% ক্রনিক রোগই এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় নির্মূল হয় না। তরুন রোগের ক্ষেত্রে এলোপাথির চেয়েও দ্রুত ফলাফল দেয় হোমিওপ্যাথি।

এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়ার ফলে আরো দুরারোগ্য রোগের জন্ম হয়। যেমন ব্যথার ঔষধ খেলে কিডনি নষ্ট হতে থাকে। অন্যদিকে, হোমিওপ্যাথির তেমন কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। অর্থাৎ ব্যথার জন্য হোমিও ঔষধ খেলে আপনার কিডনি নষ্ট হবে না।

বহু রোগ রয়েছে যেগুলির মূলত কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। সেসব ক্ষেত্রে এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা আন্দাজ অনুমান ভিত্তিক চিকিৎসা দিয়ে থাকে. যেমন – আইবিএস, পাইলস, ফিস্টুলা, ভেরিকোসিল, স্পার্মাটোসিল ইত্যাদি ইত্যাদি। অন্যদিকে, সার্জারী বহির্ভুত ৯০% রোগের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি একাই কভার করে যা একক ভাবে অন্যকোন চিকিৎসা পদ্ধতি করতে পারে না।

এলোপ্যাথিক ঔষধ ইতর শ্রেণীর জীবজন্তুর উপর পরিক্ষিত এবং মানব শরীরে বহু পার্শপ্রতিক্রিয়া জন্ম দিয়ে থাকে। অন্যদিকে, হোমিও ঔষধ মানব শরীরে পরীক্ষিত। ফুর্মলা অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ করলে রোগ সেরে যায়।

এলোপ্যাথিক ঔষধের সংখ্যা অনেক কম। অন্যদিকে, হোমিওপ্যাথির যে পরিমান ঔষধ রয়েছে তার চার ভাগের এক ভাগ ঔষধও এলোপ্যাথি আজ পর্যন্ত আবিস্কার করতে পারেনি

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তৈরির পদ্ধতি

হোমিওপ্যাথিক ওষুধকে রেমেডি বলা হয়ে থাকে এবং হোমিওপ্যাথিক ডাইলেসন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত পদার্থ বারবার মিশ্রিত করা হয় যতক্ষণ না চূড়ান্ত পণ্যটি রাসায়নিকভাবে দ্রবণীয় থেকে আলাদা হয়।

গ্যাস্ট্রিকের হোমিও ওষুধের নাম কি?

গ্যাস্টিকের হোমিও ওষুধের নাম হচ্ছে: ক্যালকেরিয়া ফসফরিকাম

দীর্ঘ সময় সহবাস করার হোমিও ঔষধের নাম-বায়োমেনিক্স প্লাস

দীর্ঘ সময় সহবাস করার প্রাকৃতিক ঔষধ-নিশাত ট্যাবলেট /Vimax Capsule

হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

ওষুধগুলো খাবার খাওয়ার ২০ বা ৩০ মিনিট আগে বা পরে গ্রহণ করতে হবে। অনেক ডাক্তার তার রোগীদের কফি বা রসুন থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেন, কিন্তু এগুলোও একপ্রকার হোমিওপ্যাথিক ওষুধ। ওষুধ যদি জিভ এর ওপর অনেকক্ষণ রাখা যায় তাহলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এই কারণের জন্যই ডাক্তাররা তার রোগীদের ওষুধগুলো চিবিয়ে খেতে বারণ করেন।

হোমিওপ্যাথি খেলে কি কি খাওয়া নিষেধ?

ওষুধগুলো খাবার খাওয়ার ২০ বা ৩০ মিনিট আগে বা পরে গ্রহণ করতে হবে

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের তালিকা

(১) Acid Nitric (এসিড নাইট্রিক)

(২) Acid phos (এসিড ফস)

(৩) Aconit Nap (একোনাইট নেপ)

(৪) Agnus cast (এগনাস ক্যাষ্ট)

(৫) Allium Cepa (এলিয়াম সেপা)

(৬) Antim Crud (এন্টিম ক্রড)

(৭) Apis Mel (এপিস মেল)

(8) Aralia Racimosa (এরালিয়া রেসিমোসা)

(৯) Arnica Mont (আর্নিকা মন্ট)

(১০) Arsenic Album (আর্সেনিক এলবাম)

(11) Bacillinum (ব্যাসিলিনাম)

(১২) Belladona (বেলাডোনা)

(১৩) Bryonia Alb (ব্রাইওনিয়া এলব)

(১৪) Calcarea Carb (ক্যাল্কেরিয়া কার্ব)

(১৫) Calcaria Fluor (ক্যালকেরিয়া ফ্লোর)

(১৬) Calcarea phos (ক্যালকেরিয়া ফস)

(১৭) Carbo Veg (কার্বোভেজ)

(18) Carcinosin (কারসিনোসিন)

(১৯) Causticum (কষ্টিকাম)

(২০) China off (চায়না অফ)

(২১) Cimicifuga (সিমিসিফিউগা)

(22) Dulcamara (ডালকামারা)

(২৩) Graphites (গ্রাফাইটিস)

(২৪) Hepar Sulph (হিপার সালফ)

(২৫) Kali Bichrom (ক্যালি বাইক্রোম)

(২৬) Lachesis (ল্যাকেসিস)

(২৭) Ledum pal (লিডাম প্যাল)

(২৮) Lycopodium (লাইকোপোডিয়াম)

(২৯) Medorrhinum (মেডোরিনাম)

(৩০) Merc Sol (মার্কসল)

(৩১) Mezereum (মেজেরিয়াম)

(৩২) Nux vom (নাক্স ভমিকা)

(৩৩) Phosphorus (ফসফরাস)

(34) Phytolacca (ফাইটোলাক্কা)

(৩৫) Psorinum (সোরিনাম)

(৩৬) Pulsatilla (পালসেটিলা)

(৩৭) Rhus Tox (রাস টক্স)

(38) Ruta Gra(রুটা গ্র্যাভি)

(39) Sabina (স্যাবাইনা)

(৪০) Secale cor (সিকেলি কর)

(৪১) Selenium (সেলেনিয়াম)

(42) Senecio(সিনিসিও)

(৪৩) Sepia Off (সিপিয়া অফ)

(৪৪) Silicea (সাইলিসিয়া)

(৪৫) Spigelia (স্পাইজেলিয়া)

(৪৬) Staphysagria (স্ট্যাফিসেগ্রিয়া)

(৪৭) Sulphur (সালফার)

(৪৮) Syphilinum (সিফিলিনাম)

(৪৯) Thuja Occi (থুজা অক্সি)

(৫০) Tuberculinum (টিউবারকুলিনাম)

দ্বিতীয় ৫০টি ঔষধ:

(51) Abis Nigra (এবিস নাইগ্রা)

(৫২) Acid Fluor (এসিড ফ্লোরিক)

(53) Aesculus Hip (এস্কিউলাস হিপ)

(54) Agaricus (এগারিকাস)

(৫৫) Allumina (এলুমিনা)

(৫৬) Aloe Soc (এলো সক)

(৫৭) Anacardium Ori (এনাকার্ডিয়াম অরি)

(5৮) Anacardium Oxi (এনাকার্ডিয়াম অক্সি)

(৫৯) Antim tart (এন্টিম টারট)

(৬০) Argent Nit (আর্জেন্ট নাইট্রিক)

(৬১) Aurum Met (অরাম মেট)

(৬২) Baryta Carb (ব্যারাইটা কার্ব)

(৬৩) Borax (বোরাক্স)

(৬৪) Calc.sulp (ক্যাল্কে.সালফ)

(৬৫) Cantharis (ক্যান্থারিস)

(66) Carbo Anim (কার্বো এনিম)

(৬৭) Chelidonium (চেলিডোনিয়াম)

(৬৮) Cina Maritima (সিনা ম্যারিটিমা)

(৬৯) Colocynthis (কলোসিন্থিস)

(৭০) Conium Mac (কোনিয়াম মেক)

(৭১) Dioscorea (ডায়োস্কোরিয়া)

(৭২) Drosera Rot (ড্রসেরা বোটা)

(73) Elaps Cor (ইলাপস কর)

(74) Formica Rufa (ফরমিকা রুফা)

(75) Fraxinus Am (ফ্যাক্সিনাস এম)

(76) Guaiacum (গুয়েকাম)

(77) H.B.S. Agtibe (এইচবিএস এজটিভ)

(৭৮) Hamamelis (হেমামেলিস)

(৭৯) Hypericum (হাইপেরিকাম)

(৮০) Ignatia (ইগ্নেশিয়া)

(81) Insulinum (ইনসুলিনাম)

(৮২) Ipecac (ইপিকাক)

(83) Irish Ver (আইরিশ ভার)

(84) Jaborandi (জাবরান্ডি)

(85) Kali Brom (ক্যালি ব্রোম)

(86) Kalmia Lat (ক্যালমিয়া ল্যাট)

(৮৭) Kreosotum (ক্রিয়োজটাম)

(88) Lachnanthes (ল্যাকনান্থিস)

(89) Lobelia Erinus (লোবেলিয়া ইরিনাস)

(90) Lobelia Inflata (লোবেলিয়া ইনফ্লাটা)

(৯১) Mag Phos (ম্যাগ ফস)

(92) Malandrinum (ম্যালেন্ড্রিনাম)

(৯৩) Opium (ওপিয়াম)

(৯৪) Petroleum (পেট্রোলিয়াম)

(95) Petroselinum (পেট্রোসেলিনিয়াম)

(৯৬) Podophylum (পডোফাইলাম)

(97) Sanguinaria Nitric(স্যাঙ্গুনেরিয়া নাইট্রিক)

(98) Thyroidinum (থাইরোডিনাম)

(99) Uranium Nit (ইউরেনিয়াম নাইট্রিক)

(১০০) Zincum Met (জিংকাম মেট)

Related Articles

Back to top button