উক্তি

শবে কদর রাতের উক্তি, বাণী, শুভেচ্ছা, স্ট্যাটাস, গুরুত্ব, ক্যাপশন ও ছবি

আজকের আলোচনা শবে কদর রাতের উক্তি বাণী গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। সারা বিশ্বের মুসলমান পবিত্র মাহে রমজানের রোজা পালন করেন এবং ২৭ শে রাতকে অর্থাৎ ২৬ শে রোজার পালং শেষে রাত্রি যাপনকে শবে কদরের রাত বলা হয়। মুসলমানদের জন্য এই রাতটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ। এজন্য রাত থেকে হাজার রাতের চেয়ে উত্তম বলা হয় এবং এই রাতের ইবাদত হাজার বছরের ইবাদতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব। শবে কদর রাত যা লায়লাতুল কদর নামে পরিচিত এবং ইসলামী একটি অন্যতম পবিত্র রাত।

শবে কত রাতকে পবিত্র রাত এবং কোরআন শরীফের প্রথম আয়াত নবী করীম সাল্লাল্লাহু ইসলামের উপর অবতীর্ণ হয়েছিল। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ শবে কদরাতকে অত্যন্ত গুরুত্ব সাথে পালন করতে চায় এবং শবে কদর রাতের গুরুত্ব উক্তি বাণী শুভেচ্ছা সব বিস্তারিত অনুসন্ধান করেন এবং এগুলো তাদের ফেসবুক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করে অন্যকে বোঝাতে চান।

শবে কদর রাতের শুভেচ্ছা

আপনি যদি শবে কদর রাতের গুরুত্ব এবং শুভেচ্ছা অনুসন্ধান করেন এবং সেই ছোট্ট ছোট্ট গুরুত্বপূর্ণ শুভেচ্ছা গুলি আপনার প্রিয়জন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করে শবে কদর রাতের গুরুত্ব বোঝাতে চান তাহলে নিচের শুভেচ্ছা গুলো সংগ্রহ করুন।

  • শবে কত রাত পবিত্রতম রাত এবং ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাজার বছরের উত্তম রাতশুভ শবে কদর।
  • জীবনের ভুলগুলি এবং পাপগুলি মোচন করার জন্য এই রাতের আল্লাহর কাছে প্রার্থনার উত্তম সময়শবে কত রাতের শুভেচ্ছা.
  • পবিত্র মাহে রমজানের শবে গত রাতের শুভেচ্ছা সবাইকে।
  • রমজান মাসের শবে কদর রাতের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য অত্যান্ত বেশি এবং বচনের জন্য এই রাতে গুরুত্ব অনেকশুভ কতার আদর্শ শুভেচ্ছা।
  • শবে কত রাত আপনার জীবনের আনন্দ সুখ সৌভাগিনা নিয়ে আসুক এই কামনা করি শবে কদরাতের শুভেচ্ছা।
  • শবে কত রাতের ইবাদত আল্লাহ কবুল করুক এই কামনা করি শুভাগত রাতের শুভেচ্ছা।
  • শবে কদরাতের ইবাদত আল্লাহর কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হোক এবং আল্লাহ জীবনের সকল গুনাহ মাফ করুক শুভ শবেকতার শুভেচ্ছা।
  • এই রাতে সকল বন্ধুবান্ধব এবং আব্বাজানকে শবেকথা রাতের ইবাদত করার তৌফিক দান করুকশুভ শবে কদরাত

শবে কদর রাত নিয়ে উক্তি

শবে কত রাত নিয়ে হাদিসে এবং পবিত্র কোরআনে গুরুত্বপূর্ণ উক্তি এবং হাদিস রয়েছে যা নিচে প্রদান করা হলো।

  1. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি কেউ লাইলাতুল কদর খুঁজতে চায় তবে সে যেন তা রমজনের শেষ দশ রাত্রিতে খোঁজ করে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৮২৩)
  2. যদি সারা বছরের মধ্যে কদরের রাত হয়, তবে তা পাওয়ার জন্য আমি সারা বছর রাতের নামাজে দাঁড়িয়ে থাকতাম। তাহলে আপনি কি মনে করেন মাত্র দশ রাতের জন্য কি করা উচিত? – ইবনুল কাইয়িম বলেন:
  3. যদি কেউ বছরের লাইল তুল কদর মিস করে, সে এক হাজার মাসের ইবাদাত মিস করে! আর কে জানে এটাই হতে পারে শেষ রমজান***
  4. আয়েশা বর্ণনা করেছেন: রমজানের শেষ দশ দিন শুরু হওয়ার সাথে সাথে, নবী (সাঃ) তার কোমরের বেল্ট শক্ত করতেন (অর্থাৎ কঠোর পরিশ্রম করতেন) এবং সারা রাত নামাজ পড়তেন এবং তার পরিবারকে নামাজের জন্য জাগিয়ে রাখতেন। [বুখারী]
  5. একদা হযরত উবায়দা (রা.) নবী করীম (সা.) কে লাইলাতুল কদরের রাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তখন নবীজী সেই সাহাবিকে বললেন রমজানের বেজোড় শেষের দশ দিনের রাতগুলোকে তালাশ করো। (বুখারি, হাদিস নং: ২০১৭)

শবে কদর রাত নিয়ে মহানবী সাঃ এর বাণী

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সবে কত রাতের গুরুত্ব তাৎপর্য উপলক্ষে হাদিস কোরআন অনুযায়ী যে সকল বাণী প্রদান করেন তা নিম্নর।

  • রাসূল (সা.) আরও বলেন, ‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর। (মুসলিম, হাদিস নং: ১১৬৯)
  • একদা হযরত উবায়দা (রা.) নবী করীম (সা.) কে লাইলাতুল কদরের রাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তখন নবীজী সেই সাহাবিকে বললেন রমজানের বেজোড় শেষের দশ দিনের রাতগুলোকে তালাশ করো। (বুখারি, হাদিস নং: ২০১৭)
  • হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি কেউ লাইলাতুল কদর খুঁজতে চায় তবে সে যেন তা রমজনের শেষ দশ রাত্রিতে খোঁজ করে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৮২৩) তাই ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমজানের রাতগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
  • ইবনে মাজাহ শরিফে উল্লেখ রয়েছে, হযরত রাসূল (সা.) বলেন, যে লোক শবে কদর থেকে বঞ্চিত হয় সে যেন সমগ্র কল্যাণ থেকে পরিপূর্ণ বঞ্চিত হল। আবু দাউদ শরিফে উল্লেখ রয়েছে, হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর পেলো কিন্তু ইবাদতবন্দেগীর মাধ্যমে কাটাতে পারলো না, তার মতো হতভাগা দুনিয়াতে আর কেউ নেই। কদরের রাতের ইবাদতের সুযোগ যাতে হাতছাড়া হয়ে না যায় সেজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ দশদিনের পুরো সময়টাতে ইতেকাফরত থাকতেন। (মুসলিম, হাদিস নং : ১১৬৭)
  • রাসূল (সা.) বলেন, শবে কদরকে নির্দিষ্ট না করার কারণ হচ্ছে যাতে বান্দা কেবল একটি রাত জাগরণ কিয়াম করেই যেন ক্ষ্যান্ত না হয়ে যায় এবং সেই রাতের ফজিলতের উপর নির্ভর করে অন্য রাতের ইবাদত ত্যাগ করে না বসে। তাই বান্দার উচিত শেষ দশকের কোন রাতকেই কম গুরুত্ব না দেয়া এবং পুরোটাই ইবাদাতের মাধ্যমে শবে কদর অন্বেষণ করা।
  • হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমি রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসূল আমি যদি কদরের রাত সম্পর্কে অবহিত হতে পারি তবে আমি কি করব? তখন রাসূল (সা.) আমাকে এই দুয়া পাঠ করার জন্য বললেন।আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৫১)

শবে কদর রাত নিয়ে স্ট্যাটাস

পবিত্র কোরআন হাদিসের শবেবরাতের রাতকে হাজার বছরের উত্তম এবং মুসলমানদের একটি ফজিলতপূর্ণ রাত বলা হয়। তাই যারা শবে কত রাত নিয়ে স্ট্যাটাস দিতে চান কিংবা স্ট্যাটাস পড়তে চান তাদের জন্য নিচের স্ট্যাটাস গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।

  • শবে কদর রাতের ইবাদত হাজার বছরের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।
  • লাইলাতুল কদরের রাতের ইবাদত হাজার রাতের ইবাদতের চেয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ।
  • রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের সাতাশ তম রাতকে শবে কদর রাত বলা হয়।
  • শবে কত রাতে ইবাদতের মাধ্যমে জীবনের গুনাহ মাফ করার সুযোগ থাকে।
  • শবেক তো রাত্রি দিতে কোরআন তেলাওয়াত নফল ইবাদত বেশি বেশি করে জীবনের গুনাহ মাফ করার সুযোগ থাকে।
  • শবে কত রাতের দোয়া আল্লাহর কাছে বেশি কবুল হয় এবং মনের আশা আল্লাহর কাছে চাওয়ার সুযোগ থাকে।
  • শবে কদরাতের গুরুত্ব ফজিলত অত্যন্ত বেশি এবং আল্লাহ পাক এই রাতকে সর্বশ্রেষ্ঠ রাত হিসেবে মুসলমানদের প্রদান করেন।

শবে কদর রাত নিয়ে এসএমএস

ছবি কত রাত নিয়ে কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ এসএমএস রয়েছে এবং কোরআন হাদিসের আলোকে এই রাতের গুরুত্ব অনেক বেশি এবং জীবনের গুনাহ মাফ করার উত্তম সময়।

কার্ড হলে ঈমান, বোনাস হলো রমজান, রিচার্জ হলো নামাজ, আর আমাদের হেল্পলাইন হল আল কোরআন।

  • সামনে আছে রোজা

হালকা করবো মোদের গুনাহের বোঝা

মোরা যদি করি অনেক পাপ চেয়ে নেব মাপ

এসো বন্ধু নিয়ত করি

আজ থেকে সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি

 

  • রোজাদারদের মুখের দুর্গ আল্লাহতালার কাছে মেশকের চেয়ে বেশি ঘ্রাণযুক্ত আল হাদিস
  • নামাজ পড়ো রোজা রাখো, কলমা পড় ভাই,

তোর আখেরের কাজ করে নিয়ে, সময় যে আর নাই।

  • রোজার পুরস্কার আল্লাহ নিজ হাতে প্রদান করবেনআল হাদিস.
  • রোজার মাধ্যমে আচার আচরণ চরিত্র সুন্দর হয়আল হাদিস
  • রোজা মানুষকে আখিরান মুখে করেআল হাদিস
  • রমজান সামাজিক সহমর্মিতা ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি করে আল হাদিস।

Related Articles

Back to top button