রমজানের সময়সূচী ২০২৪ | রমজানের তারিখ

মাহে রমজান মুসলমানদের একটি পবিত্র মাস এবং এই মাসে কোরআন নাজিল হয়. এজন্যই এই মাসটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আরবি শাবান মাস. দেড় বছরে একমাস রমজান মাস শুরু হয় এবং ৩০ টি রোজার মধ্য দিয়ে রমজান মাস শেষ হয়. রমজান মাসের ফজিলত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই মাসের সবচেয়ে বেশি ফজিলত পূর্ণ মাস. কবে থেকে ২০২৪ সালের রমজান মাস শুরু হবে এ নিয়ে অনেক জানতে চেয়েছেন এবং অনেকে জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই পোস্টটি লেখা.

বাংলাদেশ রমজানের সময়সূচী 2024

 বাংলাদেশের রমজান মাস শুরু হবে 12 মাস দিবাগত রাত থেকে এবং পহেলা রমজান রোজ মঙ্গলবার থেকে. তাই অনেকে অনুসন্ধান করেন কবে থেকে রমজান মাস শুরু হবে এবং রমজান মাসের ৩০ টি রোজা কত তারিখ থেকে শুরু হয় কত তারিখে শেষ হবে এবং ত্রিশটা রোজা কে কত ভাগে ভাগ করা হয়েছে তা বিস্তারিত জানতে আমাদের এই পোস্টটি দেখুন.

 রমজানের সময়সূচি ২০২৪

পহেলা রমজান শুরু হবে ইংরেজি মাসের 12 ই মার্চ এবং ২৮ শে ফাল্গুন মঙ্গলবার রাত থেকে. এইটি রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং রমজানের প্রথম দিন. রোজা পালন মুসলমানদের জন্য ফরজ এবং প্রথম দশ দিন রহমতের দ্বিতীয় দশদিন  এবং তৃতীয় দশ দিন নাজাতের মাস. 

রমজান মাসের সময়সূচি আরবি আরবি কত তারিখ

২০২৪ সালের রমজান মাস শুরু হবে আরবি রমাদান পহেলা তারিখে এবং ইংরেজি তারিখ হচ্ছে 12ই মার্চ ২০২৪. এই তারিখ থেকে ২০২৪ সালের রমাদান মাস শুরু এবং পহেলা রমজান. ৩০ টি রোজা মুসলমানদের উপর করা হয়েছে এবং ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে এটি একটি মূল স্তম্ভ. ধর্ম প্রাণ মুসলমানগণ পয়লা রমজান থেকে ৩০শে রমজান পর্যন্ত পুরো দেশব্যাপী আল্লাহকে হুকুম পালন করার জন্য এ রোজা পালন করে থাকে.

রমজান মাস সমন্ধে কিছু প্রশ্ন উত্তর পর্ব:

2024 সালের রমজান মাস কত তারিখে শুরু হবে?

• ২০২৪ সালের রমজান মাস শুরু হবে 12 ই মার্চ থেকে.

 ২০২৪ সালের রমজান মাস আরবি কোন মাসের তারিখে শুরু হবে?

• ২০২৪ সালের রমজান মাস পহেলা রমজান থেকে শুরু হবে

 ২০২৪ সালের রমজান মাস বাংলা কত তারিখ এবং কি বার

• 2024 সালের রমজান মাস বাংলা ২৮ শে ফাল্গুন রোজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে

৩০ টি রোজা রাখা মুসলমানদের উপর কি করা হয়েছে?

• ৩০ টি রোজা রাখা মুসলমানের উপর ফরজ করা হয়েছে এবং পাঁচটি ফরজের মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ.

 মুসলমানরা কবে থেকে বাংলাদেশে রোজা শুরু করতে পারবেন

• ২০২৪ সালের ১২ মাস থেকে মুসলমানরা রোজা পালন করতে পারবেন

রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ:

নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম। نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম।

রোজার অর্থ কি?

রোজার আরবি শব্দ সাওম। এর আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। ইবাদতের নিয়মে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ে পানাহার ও কোনো পাপকার্য থেকে বিরত থাকাই সিয়াম সাধনা।

সেহরীর অর্থ কি এবং সেহরির নিয়ত কি?

 সেহরির আলাদা কোন নিয়ত নাই,  তবে সুবে সাদিকের সময় সেহরি খাওয়ার সময় হলে ইসলামের ভাষায়  সেহরি বলা হয়। তবে  সেহরি খাওয়ার সময় অন্যান্য যে দোয়া রয়েছে তা পালন করা সুন্নত.

খাবারের আগের দোয়া:

খাওয়া শুরু করার সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়া পড়তেন,

بسم الله وعلى بركةالله بعالى

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারকাতিল্লাহ

অর্থ: আল্লাহ তায়ালার নামে খানা খাওয়া শুরু করছি এবং আল্লাহ তায়ালার বরকত প্রার্থনা করছি। (সাআলাবী)।

 ইফতারের দোয়া :

اللهم لك صمت و على رزقك افطرتاللهم لك صمت و على رزقك افطرت

উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আ’লা রিজক্বিকা ওয়া আফতারতু বি রাহমাতিকা ইয়া আর্ হামার রা-হিমীন।

অর্থ- হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।

 রোজার ফজিলত:

 ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে এবং তাদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হচ্ছে রোজা| রোজা রাখা প্রত্যেকটি প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর জন্য  ফরজ. ইসলামে রয়েছে রোজা কি যে অস্বীকার করবে সে ইসলাম থেকে কিংবা মুসলমান থেকে বের হয়ে যায়.

এছাড়াও শরিয়ত সমর্থিত ওজর (অপারগতা) ছাড়া ইচ্ছাকৃত রোজা ভঙ্গকারী— মৌলিক ফরজ লংঘনকারী ও ইসলামের ভিত্তি বিনষ্টকারীরূপে গণ্য। নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ওজর বা অসুস্থতা ছাড়া রমজানের একটি রোজা পরিত্যাগ করবে— সে যদি ওই রোজার পরিবর্তে আজীবন রোজা রাখে তবু ওই এক রোজার ক্ষতিপূরণ হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭২৩)

রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘…সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস (রমজান) পাবে, সে যেন অবশ্যই রোজা রাখে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য সময় সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)