উৎসব

যুদ্ধ জয়ের কথা কবিতা

আজ আমরা আপনাদের সাথে উপস্থাপন করব যুদ্ধজয়ের কিছু কবিতা নিয়ে। যুদ্ধজয়ের কবিতা হলো সেই সমস্ত কবিতা যে কবিতায় ফুটে উঠে রাজনৈতিক হানাহানি, সংঘর্ষ, সহিংসতা ও হস্তক্ষেপ ইত্যাদি। যুদ্ধজয়ের এইসব কবিতার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সহিংস ,পটভূমি, ইতিহাস ও যুদ্ধের প্রেক্ষাপট বোঝা যায়। আসুন বাংলাদেশের স্বাধীনতার একটি করনা বহুল স্বাধীনতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার একটি রক্ত যুদ্ধের স্বাধীনতা। তাই আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে জানার জন্য যুদ্ধ জয়ের কবিতার মধ্য দিয়ে অনুসরন করি এবং বুঝতে শেখে।

সুতরাং আপনি যদি যুদ্ধ শেষের কবিতা অনুসন্ধান করে থাকেন এবং সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় রয়েছেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। এখানে আমরা কিছু যুদ্ধ শেষের কবিতা সংযুক্ত করেছি যা আপনি সহজেই করতে পারবেন সংগ্রহ করতে পারবেন এবং এখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

যুদ্ধ জয়ের কথা কবিতা

যুদ্ধ জয়ের কথা কবিতা গুলি খুবই স্বাধীনতার পর থেকে বহন করে। তাই অনেকে যুদ্ধ জয়ের কথা কবিতা অনুসন্ধান করে থাকেন। আর যারা অনুসন্ধান করেন তাদের জন্য আমরা যুদ্ধ চাই এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কবিতা সংগ্রহ করে এখানে সংযুক্ত করেছি।

যুদ্ধজয়ের কথা কবিতা গুলি

যারা যুদ্ধ কথা কবিতা গুলি সংগ্রহ করতে চান বা পড়তে চান বা অনুসন্ধান করেন তাদের জন্য নিচে ধারাবাহিকভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীনতার যুদ্ধের কবিতা সংযুক্ত করা হলো।

যুদ্ধ জয়ের কথা

– কল্যাণ চন্দ্র রায়

দাদু একটা গল্প শোনাও স্বাধীনতাকে নিয়ে

কেমন করে দিন কাটিয়েছ, যুদ্ধে তোমরা গিয়ে।

সেই দিনগুলোর কথা শুনলে মনে লাগে ভয়

কেমন করে করলে দাদু, যুদ্ধ তোমরা জয়।




ওরা ছিল হিংস্র হানাদার মনে ছিলোনা দয়া

কেমন করে দাঁড়ালে তোমরা ওদের সামনে গিয়া।




কত রাত্রি পার করেছ সুখের নিদ্রা ছেড়ে

কেমন করে করলে যুদ্ধ লাঙ্গল ছেড়ে তস্ত্র ধরে।




বলোনা দাদু কষ্টে বিছানো যুদ্ধ জয়ের কথা

কেমন করে সইলে তুমি স্বজন হারানোর ব্যথা।

যুদ্ধ জয়ের মন্ত্র

শুন্যতা সংখ্যা

শরিফ উল ইসলাম পল্লব

কয়লাতে যদি না গলতো সোনা

আমার মায়ের নোলক হতোনা।

কঠিন উত্তাপে যদি না গলতো লোহা

সু-প্রাচির অট্টালিকা হতো না।

অতিত যদি নাইবা হতো

আধুনিকতার ছোঁয়া পেতাম না।

সোনার জন্য কয়লা যেমন

জ্ঞানের জন্য সাধনা তেমন।

লোহার জন্য কঠিন উত্তাপ

জয়ের জন্য অপর শ্রম।

অতিতের জীর্ণতার জন্য

ছিকল ছেড়ার সাহস হলো।

যুদ্ধ করার এই মন্ত্র

আমি প্রকৃতির কাছে শিখেছি।

আজ আমি জয় করতে জানি

তাইতো আমি বিশ্বকে চিনেছি।


ষোলকলা

বিনয় বর্মন

আমাদের ব্যর্থতা স্বপ্নভঙ্গ যতো

ষোলকলা পূর্ণ আজ চাঁদ রজনীতে

ভরা-কটালে মরার মহোৎসব

সে সুযোগ চাই না হারাতে

বঙ্গজন্ম আহা সাত পুরুষের পুণ্যি

অগ্নিগোলক আমাদের চোখে চোখে

হাতে হাতে সিঁধকাঠি আত্মলুঠের

চর্যাপদ মেঘনাদবধ বিধ্বস্ত নীলিমা

শব্দমিছিলে হত কপোতকপোতী

সংবিধান ট্রেনে কাটা লাশ

শেষকৃত্যানুষ্ঠানে সমবেত শত্রুমিত্র সব

হিমালয় আরোহনে মত্ত মাছিরা হাসে

মুখপোড়া হনুমান অভিশাপ দেয়

তুমিও একদিন সন্তানহারা হবে

সোনার অঙ্গ পুড়ে ছাই ঘৃণার আতরে

গোলাপপাঁপড়ি ভাজা গরম কড়াই

এসো এসো জোট গড়ি ভোট মৌসুমে

প্রেতের নৃত্যারতি বুকের বেদিতে

নিরাশার মোমবাতি জ্বলে রাতভর

সবুজ সমাধি ঘাস লাল ইতিহাস

নয় মাসে নবোদয় ভ্রান্তিজাতক

পদ্যভূমিতে বাড়ে গদ্যধুলিঝড়

কোথাও হৃদয়ের প্রস্রবণ নেই

যুগ যুগ প্রতীক্ষার করুণ কাহিনী

আত্মহনন শেষে পরাজয় গান।

যুদ্ধ কেন কবিতা

যুদ্ধ কেন,  স্বপঞ্জয় চৌধুরী একটা কবিতা লিখেছেন সেটি স্বাধীনতা একটি স্মরণীয় কবিতা হিসাবে ইতিহাসে স্মরণীয়। আসুন সেই যুদ্ধ জয়ের কবিতাটি আমরা আবৃত্তি করি এবং এখান থেকে সংগ্রহ করি.

বিশ্বের সব যুদ্ধ বিধ্বস্ত নিপীড়িত মানুষের জন্য নিবেদিত

এ যুদ্ধ কিসের? কেন?

কার জন্যে?

এ যুদ্ধ কিসের?

হিংসার, ক্ষুধার নাকি অস্তিত্বের

কেন? কেন?

এ যুদ্ধ কিসের?

রুটি,রুজি নাকি রক্তের

স্বাধীন হু স্বাধীন

কে বলে আমরা স্বাধীন

আমারতো রক্তে বয়ে বেড়াই

শত কোটি জারজ বীজ

লালসার ছাইদানিতে

পুড়ে গেছে স্বাধীন পতাকা,

আমরা পড়ে পড়ে মার খাই

স্বাধীনতার সিম্ফন ছড়াই সোনালী রক্তে

কিসের তোমার ভাষা,

কিসের তোমার অস্তিত্ব

তুমিতো পুড়ে শুদ্ধ হতে পারনি

তোমার হাতেই মৃত্যু হবে

তোমার ভাইয়ের, মায়ের, বাবার কিংবা বোনের

তুমি পার, তোমরা পার

ক্ষমতার উগ্র মিছিল বহাতে

সেই সে যুবক, ছাত্র, রিকশাওয়ালা,

জওয়ান, শিশুর নিস্তেজ চোখে দেখেছি

আমি পতাকার রক্তিম আভা,

তাদের স্বজনের কান্নার শব্দ

আমাকে মনে করিয়ে দেয়

মৃত্যুর সফেদ বস্ত্রে ঢাকা

কতগুলো মুখের আর্তনাদ,

মনে করিয়ে দেয়

আমার ভাষা ও অস্তিত্বের যুদ্ধকাল,

আমরা কার কাছে যাব মা,

তোমার কোলে বাস করে

নিরাপদ বাঘ,

আমরা কার কাছে যাব

ঐ সূর্যটাকে ঘিরে আছে

লালসার মেঘ,

মেঘগুলিকে এখুনি সরাতে হবে;

মেনে রেখ আমরাই সূর্যের অধিপতি

মনে রেখ ইতিহাস,

মনে রেখ রাজপথ

আমরাইতো তোমাদের মাড়িয়ে লিখেছিলাম

স্বাধীনতার কবিতা,

শুকনো পাতার মর্মর শব্দে

জানি একদিন সন্ধ্যা আসবে নেমে

আধো আলো, আধো ছায়ায়

তোমার সুহাস্য মুখখানি

দেখতে চাই মা,

পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে

ঢেকে যাক সব অশনি শব্দ,

ঢেকে যাক রক্তের দাগ।

মা, আমরা আছি

এখনো আছি

এ আকাশ আমাদের

এ সূর্য আমাদের।


যুদ্ধ নয় শান্তি চাই

যুদ্ধ নয় শান্তি চাই এই নিয়ে ছবির পান্ডিয়া কে কবিতা লিখেছেন যারা স্বাধীনতার গুরুত্বকে অনেক বহন করে থাকেন। আপনি যদি এই কবিতাটি সংগ্রহ করতে চান তাহলে এখান থেকে সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন।

যুদ্ধ নয় শান্তি চাই!

– সুবীর পাণ্ডে

ছাইলো মেঘে আকাশ সূর্য অন্তরালে

শত শত তরুণ প্রাণ যাবে বুঝি ঢলে।

বিস্তর বনানী, শস্যক্ষেত্র, বৃক্ষরাজি

ধু ধু মরু হবে সবকিছু বুঝি।

জ্বলবে আগুন চিতায় দাউ দাউ করে

কালো ধোয়া পাঁক খেয়ে উঠবে ওপরে।

বাজিবে দামামা যুদ্ধ আর হিংসার

জ্বলেপুরে খাক্ হবে সকল অঙ্গীকার।

কাঠ পোড়া খট্-খট্ শব্দ ধ্বনিত হবে

আকাশে বাতাসে কল্লোলিত হবে

যার মাঝে যাবে না শোনা

শত শত মায়ের শোকাতুর কান্না।

ভেঙে দিয়ে সকল শান্তির স্তব্ধতা

শোনা যাবে কবর খোড়া কোদালের শব্দটা।

সেই কবরে নিদ্রা যাবে শত শত তরুণ প্রাণ

যারা হবে শিকার হিংসার, খোয়াবে জান।

'যুদ্ধ' যা কাড়ে ছেলে মায়ের কোল হতে

প্রার্থনা এই যাক তা সমূলে নিপাতে।

কেনই বা মাতি মোরা এ ধ্বংসলীলায়

যা শুধু হিংসা ছড়ায় শান্তি নয়।

তাই এসো ভাই সুর মিলিয়ে গাই

যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, যুদ্ধ নয় শান্তি চাই! 

২৬ শে মার্চের কবিতা

আজকে আমি বলব শুধু, যুদ্ধ জয়ের কথা।

যার সুবাদে পেয়ে গেছি সাধের স্বাধীনতা।

দাদু বলে নয়কো মোটে নয়কো সহজ বটে,

স্বাধীনতা এল জানি , রক্তমাখা রথে।

স্বাধীনতার শত্রু যারা , তাদের পায়াভারি,

চলো সবাই মিলে ওদের , তারাই তাড়াতাড়ি।

নইলে বাগান উজাড় হবে , ফুটবেনা ফুল।

এক নিমিষেই বিরান হবে , খির নদীর কূল।

সার্থক জনম আমার , জন্মেছি এই দেশে।

সার্থক জনম মাগো , তোমায় ভালোবেসে।

জানিনা তোর ধনরতন , আছে কিনা রানীর মতন,

শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় , তোমার ছায়ায় এসে।

কোন বনেতে জানিনে ফুল , গন্ধে আমায় করে আকুল,

কোন ভুবনে ওঠেরে চাঁদ , এমন হাসি হেসে।

আঁখি মেলে তোমার আলো , প্রথম আমার চোখ জুড়ালো।

ওই আলোতে নয়ন রেখে , জুরবা সবশেষে।

সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে।

বল বীর-

বল উন্নত মম শির!

শির নেহারি আমারি,

নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!

বল বীর –

বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’

চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি’

ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া,

খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া

উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ব-বিধাত্রীর!

মম ললাটে রুদ্র-ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!

বল বীর –

আমি চির-উন্নত শির!

আমি চিরদুর্দ্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,

মহা-প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস,

আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর!

আমি দুর্ব্বার,

আমি ভেঙে করি সব চুরমার!

আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,

আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃংখল!

আমি মানি নাকো কোনো আইন,

আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম,

ভাসমান মাইন!

আমি ধূর্জ্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর!

আমি বিদ্রোহী আমি বিদ্রোহী-সূত বিশ্ব-বিধাত্রীর!

২৬ শে মার্চের কবিতা

আজকে আমি বলব শুধু, যুদ্ধ জয়ের কথা।

যার সুবাদে পেয়ে গেছি সাধের স্বাধীনতা।

দাদু বলে নয়কো মোটে নয়কো সহজ বটে,

স্বাধীনতা এল জানি , রক্তমাখা রথে।

স্বাধীনতার শত্রু যারা , তাদের পায়াভারি,

চলো সবাই মিলে ওদের , তারাই তাড়াতাড়ি।

নইলে বাগান উজাড় হবে , ফুটবেনা ফুল।

এক নিমিষেই বিরান হবে , খির নদীর কূল।

সর্বোপরি আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে যুদ্ধ মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই যুদ্ধের পিছনেই যেয়ে ইতিহাস রয়েছে যে সংগ্রাম করতে হয়েছে তার প্রেক্ষাপট অনেক বড়। তাই বর্তমান প্রজন্মকে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যুদ্ধের ইতিহাস ও ঘটনা প্রবাহ জানার জন্য কিছু কবি-সাহিত্যিক যুদ্ধ জয়ের কথা কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আসুন সে সমস্ত যুদ্ধের কবিতা গুলি আমাদের ওয়েবসাইটের সংযুক্ত আছে যা এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন.

Related Articles

Back to top button