বঙ্গবন্ধু ছাত্র বৃত্তি ২০২৪ বিজ্ঞপ্তি, আবেদনের যোগ্যতা, ফলাফল ও বিস্তারিত
বঙ্গবন্ধু ছাত্র বৃত্তি ২০২৪ ইতিমধ্যে সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। গত কয়েক বছরের ন্যায় এ বছরও বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তি ২০২৪ প্রদান করা হবে। এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং পরবর্তী প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাবৃত্তি ২০২৪ আবেদন করতে পারবেন। তবে ২০২৩ সালের জন্য মন 883 জন শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হবে। যারাই শিক্ষা বৃত্তির জন্য আবেদন করবেন তারা আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে সকল নির্দেশনা অনুসরণ করে আবেদন করতে পারবেন.
বঙ্গবন্ধু স্কলার্শিপ এ আবেদনের যোগ্যতা / কারা আবেদন করতে পারবেন
এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং উচ্চশিক্ষায় অধ্যায়নরত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং পরবর্তী প্রজন্মের শিক্ষার্থী তারা বঙ্গবন্ধু ছাত্র বৃত্তি ২০২৩ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কতজন শিক্ষা বৃত্তি পাবেন
বঙ্গবন্ধু ছাত্র বৃত্তি ২০২৩ এ পর্যায়ে ২০২২ এর জন্য মোট 443 জন শিক্ষা বৃত্তি পাবেন।
বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি প্রদানের উদ্দেশ্য:
- মুক্তিযোদ্ধাদের মেধাবী সন্তান, পরবর্তী প্রজন্মদেরকে লেখা-পড়ায় সহায়তা ও উৎসাহ প্রদান।
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রবাহ নতুন প্রজন্মের মধ্যে জাগ্রত এবং শক্তিশালীকরণ।
- বঙ্গবন্ধু বৃত্তি আবেদনের যোগ্যতা
- যারা বঙ্গবন্ধু বৃত্তি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে চান তাদের আবেদন করার যোগ্যতা থাকতে হবে এবং এর যোগ্যতা কি কি হতে হবে তা নিচে থেকে দেখে নিতে পারেন
- উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চতর শিক্ষায় অধ্যয়নরত ছাত্র/ছাত্রী বৃত্তির জন্য দরখাস্ত করতে পারবে। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার দুই বৎসর অতিক্রান্তের পূর্বেই এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে।
- মুক্তিযোদ্ধার মেধাবী পুত্র কন্যা, পুত্র কন্যার পুত্র কন্যা ও পরবর্তী প্রজন্ম ।
- যে সকল ছাত্র/ছাত্রীর পিতা/মাতা/অভিভাবকের মাসিক আয় ত্রিশহাজার টাকার নিম্নে বা ১০ বিঘার নিম্নে কৃষি জমির মালিক বা বিভাগীয় শহরে যার নিজস্ব বাড়ী/ফ্ল্যাট নাই।
বঙ্গবন্ধু বৃত্তি আবেদনের অযোগ্যতা:
বঙ্গবন্ধু স্কলার্শিপ 2022 এর জন্য যারা আবেদন করতে পারবেন না অর্থাৎ যাদের আবেদন করার যোগ্যতা নাই। যে সকল কারণে আবেদন করতে পারবেন না তা জানতে নিচের তালিকাটি অনুসরণ করুন এবং বিস্তারিত পড়ে নিন
- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার দুই বত্সর অতিক্রান্ত হলে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে না।
- বৃত্তির জন্য দুইবার অকৃতকার্য আবেদনকারী আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
- কোন ছাত্র/ছাত্রীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোন কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার প্রমান পাওয়া গেলে বা নৈতিকভাবে অধ:পতন হলে বা ফৌজদারী অপরাধে দন্ডিত হলে (দেশে/দেশের বাইরে) আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
- যে সকল ছাত্র/ছাত্রীর পিতা-মাতা/অভিভাবকের মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকার উর্দ্ধে বা ১০ বিঘা বা তদুর্দ্ধ কৃষি জমির মালিক বা বিভাগীয় শহরে যার নিজস্ব বাড়ী/ফ্ল্যাট রয়েছে।
- সরকারের অন্য কোনো উৎস হতে আবেদনকারি বৃত্তি প্রাপ্ত হলে।
- মুক্তিযোদ্ধার পুত্র কন্যা, পুত্র কন্যার পুত্র কন্যা ও পরবর্তি প্রজন্ম না হলে।
- নির্ধারিত আবেদন ফরমে আবেদন করা না হলে।
বঙ্গবন্ধু স্কলার্শিপ প্রদান পদ্ধতি
যে সকল পদ্ধতি অনুসরণ করে বা মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ছাত্র বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে সকল পদ্ধতি গুলো নিচে প্রদান করা হলো
১)বৃত্তি পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃত্তি প্রদানের প্রতি বৎসর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে মেধা তালিকা প্রস্তুত করণের জন্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি (বাংলা ১টা ও ইংরেজী ১টা) দিয়ে দরখাস্ত আহবান করা হবে।
২)সকল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সঠিক সময়ে বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে অবগত করানোর জন্য বিজ্ঞাপন ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ডকে কাউন্সিলকে অবহিত করা হবে ।
৩)বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এর বঙ্গবন্ধু ছাত্র বৃত্তির নির্ধারিত অনলাইন ফরমে আবেদন করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু বৃত্তির তদারক পদ্ধতি
যে সকল পদ্ধতি বা মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্কলার্শিপ প্রদান করা হবে সে সকল পদ্ধতি প্রতারক নিয়মাবলী জানতে নিচে দেখুন
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীগণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এর পক্ষে পরিচালক(কল্যাণ) সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপন করবে এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরী করে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবে।
2.প্রত্যেক বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীর জন্য একটি স্বতন্ত্র ফাইল কল্যাণ বিভাগ রক্ষনাবেক্ষন করবে, শিক্ষার্থীর বৃত্তি সংক্রান্ত প্রাথমিক দরখাস্ত হতে শুরু করে সকল তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।
3.কল্যাণ বিভাগ বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি ছয় মাস অন্তর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে অধ্যয়ন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে।
4.প্রতি বৎসর কল্যাণ বিভাগ বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষার ফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে সংগ্রহ করবে এবং ফলাফল মূল্যায়ন করবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীর গড় ফল সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর ফল পর্যালোচনা করবে।
বঙ্গবন্ধু বৃত্তি বহাল রাখার শর্তাবলী
- যদি কোনো বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে বহাল রাখতে চান তাহলে নিচের তথ্যগুলি বা যোগ্যতা বলি অবশ্যই চালু থাকতে হবে
- বৃত্তি প্রাপ্ত সকল ছাত্রছাত্রীকে অবশ্যই নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে
- বৃত্তি প্রাপ্ত সকল ছাত্রছাত্রীকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রোগ্রেস রিপোর্ট এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে এই মর্মে বিভাগীয় প্রধানের প্রত্যায়ন পত্র ট্রাস্টের কল্যাণ বিভাগের জমা দিতে হবে
- তবে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে পাস হওয়া সহজ শিক্ষাবর্ষ পরবর্তী শিক্ষা বর্ষে উত্তীর্ণ না হলে বৃত্তিপ্রদান সরাসরি বন্ধ হয়ে যাবে অথবা অকার্যকর হবে
- বঙ্গবন্ধু বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিষ্ঠান অধ্যায়ন করবেন সেই প্রতিষ্ঠান শাসকশ্রেণীর মোট ছাত্রের যে গোয়ার ফলাফল তা থেকে শিক্ষার্থীর ফল খারাপ হলে বৃত্তি পাবেন না
বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি বৃত্তির পরিমানঃ
১)ছাত্র/ছাত্রী এবং শ্রেণী (বর্ষ) নির্বিশেষে বৃত্তির পরিমান মাসিক ১,০০০/-(এক হাজার) টাকা। মাসিক/ ত্রৈমাসিক (Monthly/ Quarterly) ভিত্তিতে বৃত্তির টাকা ছাত্র/ছাত্রীদের এ্যাকাউন্টে প্রেরণ করা হবে।
২)বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রী মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যয়নরত হলে মাসিক বৃত্তির হার অন্যান্যদের তুলনায় কিছুটা বেশী নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে নির্বাহী কমিটি কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। দুইজন পিএইচডি’র ছাত্র/ছাত্রীর মাসিক বৃত্তির হার গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় খরচের ভিত্তিতে নির্বাহী কমিটি নির্ধারণ করবে।
বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি ২০২৪
কোটা পদ্ধতিঃ প্রতি ব্যাচে ৮৪৩ জন ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশের প্রতি উপজেলায় অন্তত এক জনের কোটা নির্ধারিত থাকবে। এ একজন বাছাই হবে উপজেলা ভিত্তিক মেধা অনুসারে। প্রতি উপজেলায় একজন করে বৃত্তি দেওয়ার পর যত সংখ্যক বৃত্তি বাকি থাকবে তা দেশব্যাপি মেধা তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
বৃত্তির আওতা বৃদ্ধিঃ পর্যায়ক্রমে ট্রাস্টের আর্থিক উন্নতি হলে বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা এবং মাসিক বৃত্তির পরিমান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা হবে।
আবেদন লিংকঃhttps://tmis.bffwt.gov.bd/mis/