জমজ মেয়ে শিশুর নাম অর্থসহ/ জমজ কন্যা সন্তানের নাম অর্থসহ
অনেক কন্যা সন্তান রয়েছে যারা জমজ হয়ে জন্মগ্রহণ করেন এবং পৃথিবীতে জমজ শিশু হয়ে আবির্ভাব ঘটে. যে পিতা–মাতার জমজ কন্যা সন্তান রয়েছে তারা নাম রাখার জন্য ভাবতে থাকেন এবং কি নাম রাখলে ইসলামভিত্তিক হবে এবং সে নামের অর্থ ইসলাম অনুযায়ী হবে তা নিয়ে চিন্তিত দয়া করেন. ইসলামে জমজ শিশু সন্তানদের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে এবং অনেক নামের সুন্দর সুন্দর অর্থ রয়েছে. আমরা সে নাম গুলো সংগ্রহ করেছি এবং নিচে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছি এখান থেকে আপনি আপনার বাচ্চাদের নাম পছন্দ করতে পারবেন.
জমজ মেয়ে শিশুর নাম অর্থসহ
যারা জমজ মেয়ে শিশুর ইসলাম ভিত্তিক রাখতে চান কিংবা জমজ মেয়ে শিশুর নাম অর্থসহ রাখতে বেশি পছন্দ করেন তাদের জন্য আছে নিচে সুন্দর সুন্দর জমজ মেয়ে শিশুর নাম রয়েছে. নিচে ধারাবাহিকভাবে নামের তালিকাটি দেখতে পাবেন–
কন্যা– শিশুর নাম | নামের অর্থ |
আরিয়া | এটি দেবী পার্বতীর নাম;’সম্মানিত‘,’মহৎ‘এবং ‘জ্ঞানী ‘ |
আশা | ‘কামনা‘ অথবা ‘ইচ্ছে‘ |
আড়ুশি | প্রথম সূর্য কিরণ |
আশি | সুখ |
অভিনয়া | অভিনয় বা অভিব্যক্তি |
অধিরা | চাঁদ |
আলেখ্যা | একটা সুন্দর ছবি অথবা একটি সূক্ষ্ম চিত্র |
অমলা | দেবী লক্ষ্মীর আরেক নাম;একজন শুদ্ধ ব্যক্তি |
অমনি | বসন্ত ঋতুর আগমনকে চিহ্ণিত করতে ব্যবহার হয় |
অম্বর | আকাশ |
আমুদা | ‘ঐশ্বরিক অমৃত‘,যা অমরত্ব দান করে |
অলীনা | আলো |
অনিতা | যে সবসময় আনন্দে থাকে |
আঞ্জলি | সম্মানীয় অথবা ঐশ্বরিক |
অঞ্জনা | ভগবান হনুমানের মা |
অংশা | অংশ বিশেষ বা ভাগ |
অনুপমা | সংস্কৃতে ‘ অনন্য‘ |
অপর্ণা | দেবী দূর্গা বা দেবী পার্বতীর আরেক নাম |
আর্চণা | ভগবানের উদ্দেশ্যে প্রদান |
আশা | সংস্কৃতে‘ইচ্ছে‘ বা ‘আশা‘ |
আদেন | শক্তিশালী |
অশিতা | যমুনা নদীর আরেক নাম |
অস্মিতা | আত্ম–সম্মান বা গর্ব |
আস্থা | সুন্দর |
বিন্দু | একফোটা অথবা এক বিন্দু |
চন্দনা | একজন সুপ্রসন্ন ব্যক্তি;চন্দনের ন্যায় সুগন্ধ ছড়ায় এমন একজন ব্যক্তি |
দীপাঞ্জলি | আলোর সহিত ভগবানকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন |
কাবানা | কবিতা |
দিব্যা | ঐশ্বরিক জ্যোতির্ময় ব্যক্তি |
গঙ্গা | গঙ্গা নদী যেটি অনেক জীবনকে সাহায্য করে চলে |
গিরিজা | হিমালয় পর্বতের কন্যা |
গীতা | ধর্মীয় গ্রন্থ, ভগবত গীতা |
গৌরী | দেবী পার্বতীর আরেক নাম |
হারিকা | প্রভু ভেঙ্কটেশের একটি রূপ |
হরিপ্রিয়া | ভগবান বিষ্ণুর প্রিয় |
হরিতা | প্রকৃতি, অথবা সবুজায়ন |
হাসিনি | যে সবসময় হাসে বা আনন্দে থাকে |
ইন্দ্রানী | ভগবান বিষ্ণুর সহযোগী |
ঐশ্বর্য্য | একজন সুখী ব্যক্তি |
জলজা | দেবী লক্ষ্মীর আরেক নাম, এছাড়াও ‘পদ্ম‘-এর আরেক নাম |
জয়া | একজন জয়ী ব্যক্তি বা দেবী দূর্গার অপর নাম |
জয়দা | বিজয় মিছিল |
জয়তি | সর্বক্ষণের উজ্জ্বল আলো অথবা শিখা |
কল্যান | একজন ধনী ব্যক্তি;আরেকটি অর্থ আনন্দদায়ক |
কমলা | যে যেকোনো ভাবে সঠিক |
কন্যা | সংস্কৃতে ‘মেয়ে‘ |
কবিতা | একটা সুন্দর কবিতা |
কীর্তনা | ভগবানের উদ্দেশ্যে গাওয়া গান |
কীর্তি | মহান খ্যাতিসম্পন্না |
কির্তি | কীর্তির বৈচিত্র |
কৃতি | শিল্পের একটা সুন্দর কাজ |
লক্ষ্মী | ভাগ্যের দেবতা দেবীলক্ষ্মী |
লাবণ্য | সুন্দর একজন |
লীলাবতী | দূর্গা ঠাকুরের আরেক নাম |
লেখা | একটি ‘রেখা‘ অথবা অর্ধচন্দ্রাকৃতি সীমারেখা |
মায়া | সংস্কৃতে ‘বিভ্রম বা মায়া‘ অথবা ‘অবাস্তব‘ |
মায়াবতী | মায়ালু একজন |
মীনা | মণি বা দুষ্প্রাপ্য পাথর |
মীনাক্ষি | সুন্দর চোখবিশিষ্ট একজন |
মুক্তি | সংস্কৃতে ‘উদ্ধার‘ |
মূল্য | যার অনেক দাম |
লাস্য | দেবী পার্বতীর দ্বারা সঞ্চালিত আনন্দদায়ক নৃত্য |
নব্য | যে প্রশংসার যোগ্য |
নয়না | সুন্দর চোখ–বিশিষ্ট একজন |
নীলা | চাঁদের মত পুলকিত |
নিখিলা | একজন সম্পূর্ণ ব্যক্তি |
নিকিতা | গঙ্গানদী ;আরেকটি অর্থ ‘প্রবাহ‘ |
নীলাম্বরী | আকাশের মত নীল |
নিশা | সংস্কৃতে ‘রাত্রি‘ |
পদ্ম | পদ্ম ফুলের রঙ |
পল্লবী | ‘তরুণ‘ অথবা উদ্ভিদের অঙ্কুর |
পবিত্রা | বিশুদ্ধ খাঁটি ব্যক্তি |
পুজিতা | যাকে পূজা করা যায় |
পূর্ণা | সম্পূর্ণ একজন |
প্রীতি | ‘স্নেহ‘ অথবা ‘প্রেম‘ |
রাধা | সংস্কৃতে ‘ধনসম্পত্তি‘ বা ‘ বজ্র‘ |
রাধিকা | রাধার অন্য আরেক নাম |
রজনী | সংস্কৃতে ‘রাত্রি‘ |
রাজেশ্বরী | ‘রাজকুমারী‘ অথবা ‘রাজদেবী‘ |
রম্য | সংস্কৃতে ‘চিত্তাকর্ষক‘ অথবা ‘আনন্দদায়ক‘ |
রানী | সংস্কৃতে ‘রানী‘ |
রেখা | সংস্কৃতে ‘লাইন‘ অথবা ‘সীমা‘ |
রেশমা | সংস্কৃতে ‘রেশমী‘ |
রীতি | স্মৃতি,মঙ্গল |
রূপালি | গঠনগত বা সুন্দর |
সাগরী | সমুদ্রজাত |
শৈলা | দেবী পার্বতীর আরেক নাম |
সজ্জিতা | ‘সুরক্ষিত‘ অথবা ‘অলংকৃত‘ |
সঞ্চিতা | শ্লোকের একটি সংগ্রহ |
সাবিত্রী | দেবী লক্ষ্মীর আরেক রূপ |
শোভা | অপরিমেয় সুন্দর |
শ্রীমতি | লক্ষ্মী ঠাকুরের আরেক নাম |
শ্রুতি | গানের ‘তাল‘ স্পষ্টভাবে গাওয়া |
সুষমা | ভীষণ সুন্দর একজন মহিলা |
তারা | সংস্কৃতে ‘সুগন্ধ‘ অথবা ‘নক্ষত্র‘ |
উদয়া | প্রত্যুষ |
ঊর্মিলা | নম্র, বুদ্ধিমতী |
উষা | দিনের প্রথম সূর্যরশ্মি |
বনজাক্ষী | বনের রানী |
যশস্বিনী | সকল বিষয়ে সফল যশ– সম্পন্না নারী |
জমজ কন্যা সন্তানের নাম অর্থসহ
আপনি কি আপনার যমজ কন্যা সন্তানের নাম রাখতে চান এবং সে নামের অর্থ যাতে ইসলামভিত্তিক হয় সেজন্য অনুসন্ধান করছেন. আসুন তাহলে নিচের তালিকা থেকে আপনি আপনার পছন্দের নাম গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন.
যমজ কন্যা– শিশুর নাম | নামের অর্থ |
শৌরিয়া | ‘শক্তি‘অথবা ‘বীরত্ব‘ |
আশিতা | ‘যে ইচ্ছে প্রকাশ করে‘ |
আহনা | সকালের প্রথম রশ্মি |
রাশি | একটি সংগ্রহ;লক্ষণ |
অভিন্যা | একজন অভিনেত্রী অথবা প্রকাশিকা |
আভা | ডাক অথবা পিছন থেকে ডাকা |
লেখ্যা | পৃথিবী,অথবা সমগ্র বিশ্ব |
কমলা | যে পদ্মে জন্মেছে অথবা ‘ খুব সুন্দর একজন‘ |
পবনি | হনুমান ঠাকুরের আরেক নাম;পবিত্র,সত্য। |
দিব্য | ঐশ্বরিক |
কুমুদা | এটা ‘জলজ লীলী‘ অথবা ‘পদ্মের‘ সংস্কৃত শব্দ |
লীনা | লক্ষ্মী ঠাকুরের আরেক নাম,এছাড়াও ‘দূর্দান্ত‘ |
সুনিতা | যার জ্ঞান আছে এবং সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে। |
গীতাঞ্জলি | একটি ভক্তি গীতি |
অপর্ণা | দেবী দূর্গার অপর নাম |
ঈশা | একজন ব্যক্তি যে সবকিছুই খুব ভালোভাবে করতে পারে |
নিরুপমা | ‘অনন্য‘ এর আরেকটি প্রতিশব্দ, অথবা ‘ভয়শূণ্য‘ |
সুবর্ণা | চকচকে বা সোনার সমতুল্য |
অপর্ণা | দেবী দূর্গার নাম |
জিশা | মাহান সহানুভূতির সাথে একজন ন্যায়বান ব্যক্তি |
উষা | ভোরের প্রথম আলো |
অস্মিতা | ‘প্রকৃতি‘ এর আরেক নাম, এছাড়াও আরেকটি অর্থ হল ‘গর্ব‘ |
সুস্মিতা | একজন মহিলার উজ্জ্বল হাসি |
সিতা | ভগবান রামের স্ত্রী |
সিন্ধু | নদীর ন্যায় বিরাট জলাশয় |
বন্দনা | রাত্রের একটা উজ্জ্বল নক্ষত্র, অথবা ‘পূজা‘ |
নভঞ্জলি | সুতনু |
কাব্য | একজন ব্যক্তি যিনি সুন্দর কবিতার উদ্ভব করেন |
নব্যা | ‘তরুণ‘ অথবা ‘যে প্রশংসার যোগ্য‘ |
গৌরী | ‘ধরিত্রী মাতা‘ |
বনজা | প্রকৃতি এবং জঙ্গল কন্যা |
গীতিকা | গীতার একটা ছোট শ্লোক অথবা স্তুতি |
সৌরী | রাতের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র |
বিহারীকা | ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি |
জয়াপ্রিয়া | যিনি সর্বদা জয়ী হতে ভালোবাসেন |
হরীকা | দেবী পার্বতীর আরেক নাম |
সুহাসিনি | যে অনবরত হাসে |
চন্দ্রানি | চাঁদের ন্যায় অথবা চাঁদের সহযোগী |
সৌন্দর্য | খুব সুন্দর একজন |
বনজা | বন বা জঙ্গল–কন্যা |
বিজয়া | যে কখনো হেরে যায় না |
জয়িদিন | বিজয়ী দেবীর অপর এক নাম |
জয়তিকা | শিখা অথবা আলো থেকে জন্ম যার |
কর্থিকা | ভগবান মুরুগানের আরেক নাম |
বিমলা | সংস্কৃতে ‘সাদা‘ অথবা ‘শুদ্ধ‘ |
কর্থিকা | উৎসাহী একজন |
সবিতা | সূর্যের আরেক নাম ;এছাড়াও আরেকটি অর্থ হল উজ্জ্বল |
সংকীর্তনা | প্রতিটি ভক্তিমূলক গানের অংশ বিশেষ |
সমকীর্তি | যে সর্বদা প্রসিদ্ধা |
ভারতী | ভারত মাতা;এবং দেবী সরস্বতীর আরেক নাম |
কৃষি | সংস্কৃতে ‘চাষবাস‘ |
পার্বতী | মহাদেবের স্ত্রী দেবী পার্বতী |
কারুন্য | দয়ালু একজন অথবা সকলের প্রতি দয়াশীল |
কলাবতী | দেবী পার্বতীর আরেক নাম |
সুলেখা | একজন ভাগ্যবতী,অথবা বিশিষ্ট একজন |
ছায়া | সংস্কৃতে ‘ছায়া‘ |
লীলাবতী | সংস্কৃতে ‘সুন্দর‘ অথবা ‘কমনীয়‘ |
বীণা | একটি বাদ্যযন্ত্র যেটি দেবী সরস্বতীর হাতে থাকে |
কামাক্ষি | দেবী পার্বতী ও লক্ষীর আরেক নাম |
যুক্তি | কৌশলগত মন আছে যার |
অমূল্য | মূল্যহীন বস্তু |
ভাব্য | দেবী পার্বতীর আরেক নাম ;’প্রতিভা‘ অথবা ‘জাঁকজমক পূর্ণ‘ |
রম্য | ‘চিত্তাকর্ষক‘ অথবা ‘সুন্দর‘ |
সুনয়না | ভীষণ সুন্দর চোখ–বিশিষ্ট একজন |
লীলা | ঈশ্বরের নিজের একটি যোগ্য সৃষ্টি |
নির্মলা | কোনও সন্দেহ ছাড়াই খাঁটি একজন |
নিশিতা | যে যেকোনো কাজ মন দিয়ে করে |
কাদম্বরী | সংস্কৃতে ‘দেবী‘ |
লিসা | খ্যাতি সম্পন্না মহিলা |
সদমা | ভাগ্যে বাধা |
অনুপল্লবী | ভক্তিগীতির শ্লোক |
সুমিত্রা | সকলের সাথে বন্ধু যে |
প্রেমিতা | যে সকলকে ভালোবাসে |
সম্পূর্ণা | ‘পূর্ণ‘ অথবা ‘সম্পূর্ণ‘ |
স্বাতি | বিদ্যার দেবী সরস্বতী |
অনুরাধা | রাতের আকাশে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র |
রেণুকা | ভগবান বিষ্ণুর মা |
সজনি | মনোরম,অথবা সহজে যায় |
কামেশ্বরী | দেবী পার্বতীর আরেকটি নাম |
গম্য | খুব সুন্দর একজন |
বাণী | একটি অহংকার–পূর্ণ বক্তৃতা |
সুরেখা | খুব সুন্দর ভাবে নির্মিত ব্যক্তি |
করিশ্মা | অলৌকিক কিছু অথবা ঈশ্বরের উপহার |
আকৃতি | গঠন, আকার |
সোনালী | সোনা দিয়ে তৈরী সোনালী একজন |
সাগরিকা | সাগর ও মহাসাগরের ঢেউ |
শৈলজা | পর্বতের সন্তান;এছাড়াও দেবী পার্বতীর আরেক নাম |
সরিতা | প্রবাহমান জলধারার আরেকটি প্রতিশব্দ |
সঙ্গীতা | যিনি সঙ্গীতে অসাধারণ প্রতিভাধারী |
গায়েত্রী | একটি পবিত্র শ্লোক এবং দেবাদীদের জন্য উচ্চারিত অন্য মন্ত্র |
শোভনা | সংস্কৃতে ‘চমৎকার অথবা ‘ চিকন‘ |
চারুমতী | খুব সুন্দর মনের মানুষ |
প্রীতি | ভালোবাসা,অথবা সকলের স্নেহভাজন |
সুস্মিতা | চমৎকার হাস্যময়ী একজন |
মীরা | ‘সীমানা‘; ভগবান কৃষ্ণের একজন ভক্ত |
হৃদয়া | সংস্কৃতে ‘হৃদয়‘ |
উজ্জ্বলা | উজ্জ্বল এবং চকচকে |
উমা | দেবী পার্বতীর নাম এছাড়াও অন্য অর্থ হল– ‘শিখা‘,’জাঁকজমক‘ অথবা ‘আলো‘ |
ইন্দ্রাক্ষী | সুনয়না |
তেজস্বিনী | উজ্জ্বল তেজস্বী দেহ জ্যোতি–সম্পন্না নারী |
ইসলামিক নাম রাখার গুরুত্ব
একটা মানুষের পরিচয় হলো নাম দিয়ে এবং সে ক্ষেত্রে নাম রাখার গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম এবং ইসলামিক ক্ষেত্রের নাম রাখার গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম প্রত্যেকের সন্তানদের ইসলামিক নাম রাখার জন্য উপদেশ প্রদান করেন যাতে নামটি গুরুত্ব ইসলামের ক্ষেত্রে এবং আল্লাহতালার ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট অর্জন হয়.
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ও আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من حق الولد على الوالد أن يحسن اسمه ويحسن أدبه.
অর্থ : সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক। –মুসনাদে বাযযার (আলবাহরুয যাখখার), হাদীস ৮৫৪০
মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আতা বলেন, আমি আমার মেয়ের নাম রাখলাম- বাররা (নেককার, ভালো মানুষ)। তখন যয়নব বিনতে আবি সালামা বললেন-
سُمِّيتُ بَرّةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: لَا تُزَكّوا أَنْفُسَكُمْ، اللهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ فَقَالُوا: بِمَ نُسَمِّيهَا؟ قَالَ: سَمّوهَا زَيْنَبَ
যয়নাব বিনতে আবী সালামার মত উম্মুল মুমিনীন হযরত জুওয়াইরিয়া রা.-এর নামও ছিল বাররা। এ নাম পরিবর্তন করে নবীজী তার নাম রাখেন জুওয়াইরিয়া।
عَنِ ابْنِ عَبّاسٍ، قَالَ: ” كَانَتْ جُوَيْرِيَةُ اسْمُهَا بَرّةُ فَحَوّلَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ اسْمَهَا جُوَيْرِيَةَ، وَكَانَ يَكْرَهُ أَنْ يُقَالَ: خَرَجَ مِنْ عِنْدِ
নেকফালির (শুভ লক্ষণ গ্রহণের) সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার দরুন অন্য আরো কিছু নামও নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপছন্দ করেছেন।
عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: لَا تُسَمِّيَنّ غُلَامَكَ يَسَارًا، وَلَا رَبَاحًا، وَلَا نَجِيحًا، وَلَا أَفْلَحَ، فَإِنّكَ تَقُولُ: أَثَمّ هُوَ؟ فَيَقُولُ: لَا …
আছ (অবাধ্য), উতলাহ (রুঢ়), শয়তান, শিহাব (উল্কাপি-)। –মিশকাত শরীফ, ২/৪০৮
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুন্দর ও মন্দ নাম পরিবর্তন করে দিতেন।
عَنْ عَائِشَةَ، أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ يُغَيِّرُ الاِسْمَ القَبِيحَ.
হযরত আয়েশা রা. বলেন, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মন্দ ও অসুন্দর নাম পরিবর্তন করে দিতেন। –জামে তিরমিযী, হাদীস ২৮৩৯
হযরত আবুদ দারদা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ، وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ، فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ.
ইয়াযীদ ইবনে নাআমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا آخَى الرّجُلُ الرّجُلَ فَلْيَسْأَلْهُ عَنْ اسْمِهِ وَاسْمِ أَبِيهِ وَمِمّنْ هُوَ، فَإِنّهُ أَوْصَلُ لِلْمَوَدّةِ.
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-
وَ رُسُلًا قَدْ قَصَصْنٰهُمْ عَلَیْكَ مِنْ قَبْلُ وَ رُسُلًا لَّمْ نَقْصُصْهُمْ عَلَیْكَ وَ كَلَّمَ اللهُ مُوْسٰی تَكْلِیْمًا.
অনেক রাসূলের বৃত্তান্ত আমি আপনাকে জানিয়েছি। আর অনেক রাসূলের বৃত্তান্ত জানাইনি। আল্লাহ তাআলা মূসার সাথে কথা বলেছেন। –সূরা নিসা (৪) : ১৬৪
আল্লাহ তাআলার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে। এর যে কোনো একটির শুরুতে ‘আব্দ’ শব্দটি যোগ করে নাম রাখা যেতে পারে। হাদীস শরীফে আছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رِوَايَةً، قَالَ: لِلهِ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ اسْمًا، مِائَةٌ إِلَّا وَاحِدًا، لاَ يَحْفَظُهَا أَحَدٌ إِلَّا دَخَلَ الجَنَّةَ، وَهُوَ وتْرٌ يُحِبُّ الوتْرَ
কেন ইসলামিক নাম রাখবেন
১. আল্লাহর নির্দেশ : নাম রাখার গুরুত্ব সম্পর্কেও ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন, `হে জাকারিয়া, আমি (আল্লাহ) তোমাকে একপুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি। তার নাম হবে ইয়াহইয়া। এই নামে এর আগে আমি কারও নামকরণ করিনি। [সূরা মারিয়াম, আয়াত : ৭ (দ্বিতীয় পর্ব)]
২. সুন্দর ও অর্থবোধক নাম রাখা : সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখার ব্যাপারে হজরত রাসূল (সা.) গুরুত্বারোপ করেছেন।
৩. ইসলামের বিধান : নাম রাখা ইসলামের অন্যতম বিধান।
৪. নবীদের নামে নাম রাখার প্রতি উৎসাহ : হজরত রাসূলে কারীম (সা.)-এর উপাধি ও উপনাম সর্বব্যাপারে পরিব্যাপ্ত ছিল।
৫. পরিচয়ের মাধ্যম : নাম মানুষের পরিচয়ের মাধ্যম।
নাম পরিবর্তন করা
কারো নাম ভালো অর্থবহ না হলে তা পরিবর্তন করে রাখা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিভিন্ন সাহাবির এরূপ নাম পরিবর্তন করে রেখেছিলেন। (তিরমিজি : ২/১১১)
নাম রাখার সময়
সপ্তম দিন নাম রাখা ভালো। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘জন্মের সপ্তম দিন নবজাতকের নাম রাখো।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৩২) আগে–পরে হলেও কোনো ক্ষতি নেই। জন্মের আগেও নাম নির্ধারণে বাধা নেই। (আবু দাউদ : ২/৪৪৬)