উক্তি

স্বাধীনতা দিবস নিয়ে উক্তি, বাণী, কবিতা, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন

মহান স্বাধীনতা দিবসের উক্তি, শুভেচ্ছা, বার্তা, বাণী, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন এখানে উপলব্ধ। আপনি কি মহান স্বাধীনতা দিবসের উক্তি অনুসন্ধান করছেন এবং আপনি কি সেই উক্তিগুলো আপনার প্রিয়জন এবং বিশ্ব মাজারে শেয়ার করার জন্য অনুসন্ধান করেছেন। হ্যাঁ আজ আমরা স্বাধীনতা দিবসের সকল উক্তি এবং জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিদের বাণী বিস্তারিত তথ্য আমাদের এই পোস্টে সংযুক্ত করব।

সুতরাং আপনি যদি স্বাধীনতা পরিপূর্ণ অর্থে বিভিন্ন ক্যাপশন উক্তি শেয়ার করতে চান এবং আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাস হিসাবে দিতে চান তাহলে এখান থেকে স্বাধীনতা দিবসের সকল গুরুত্বপূর্ণ বাণী উক্তিগুলো সংগ্রহ করে শেয়ার করতে পারবেন।

স্বাধীনতা দিবসের উক্তি

অনেকেই রয়েছেন যারা স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিপন্ন জ্ঞানীগুণী এবং স্মরণীয় ব্যক্তিদের উক্তি সংগ্রহ করতে চান এবং সেই উক্তি গুলো পড়ে স্বাধীনতা দিবসের যথার্থ ও মর্মার্থ উপলব্ধি করতে চান এবং সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করতে চান। তাদের জন্য আজ গুরুত্বপূর্ণ সকল উক্তিগুলো এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে।

>>>আমি একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক এর চাইতে বড় গৌরব আর কিসে হতে পারে?”-জে আর লাওয়েল

 > >>ব্যক্তি জন্ম নেয় এক মুষ্টি ধুলি থেকে সরল দীন, ব্যক্তির অন্তর থেকে জন্ম নেয় এক জাতি।”-আল্লামা ইকবাল

 >>> যুদ্ধ খারাপ জিনিস, কিন্তু হয়তো সবথেকে খারাপ নয়। কিন্তু এক ক্ষয়ে যাওয়া অধঃপতিত দেশাত্ববোধ যা মনেকরে কোনো পরিস্থিতিতেই যুদ্ধ প্রয়োজন নেই – অনেক বেশি ভয়ানক ও চিন্তার।”-John Stuart Mill

> >>নিজের দেশকে ভালোবাসা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি অপরাধী।”-ঋষি অরবিন্দ ঘোষ

> >>একটি দেশের মহানতা এবং নৈতিক প্রগতি এই বিষয়ে মাপা যেতে পারে যে সেই দেশে জন্তু-জানোয়ার দের সাথে কি রকম ব্যবহার করা হয়।”-মহাত্মা গান্ধী

স্বাধীনতা একটি সুযোগর নাম যার মাধ্যমে আমরা যা কখনই হতে পারার কল্পনা করতে পারি না তা হতে পারি।”-ড্যানিয়েল যে ব্রুস্টিন)

> >>স্বাধীনতা ছাড়া একটি জীবন মানে আত্মা ছাড়া শরীর।”-কাহলিল জিব্রান

> >>স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে মৃত্যু বরণ করা পরাধীনতায় সারাজীবন কাটানোর থেকে অনেক ভালো।”-বব মার্লে

> >>তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।”-নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিদের উক্তি

স্বাধীনতার উপজ উপলক্ষে বিপন্ন জ্ঞানীগুণী এবং স্মরণীয় ব্যক্তির উক্তি প্রদান করেছেন এবং তাদের সেই উক্তিগুলো থেকে স্বাধীনতার যথার্থ গুরুত্ব উপলব্ধি করা সম্ভব।

  • দেশের স্বাধীনতা শুধু বীরত্বের মধ্যে দিয়েই অর্জন করা যায় না।”-মহাত্মা গান্ধী
  • স্বাধীনতা মানুষের প্রথম এবং মহান একটি অধিকার।”-মিল্টন
  • “তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।” -মহাত্মা গান্ধী
  • “স্বাধীনতা সে আমার স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন স্বাধীনতা আমার প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য সম্পদ।”- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের উক্তি

আবার যারা বাংলাদেশি তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন লেখক ও জ্ঞানী ব্যক্তিদের উক্তি সংগ্রহ করতে চান এবং সেই উক্তিগুলো করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পিছনে কি যথার্থ ও মর্মান্তরাইছে তা উপলব্ধি করতে চান। তাই তাদের উদ্দেশ্যে আজ আমরা এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে।

  • একবার রাজাকার মানে চিরকাল রাজাকার; কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা মানে চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা নয়। – হুমায়ূন আজাদ
  • আমি আমার নিজের দেশ নিয়ে অসম্ভব রকম আশাবাদী৷ আমাকে যদি একশোবার জন্মাবার সুযোগ দেয়া হয় আমি একশোবার এই দেশেই জন্মাতে চাইব৷ এই দেশের বৃষ্টিতে ভিজতে চাইব৷ এই দেশের বাঁশবাগানে জোছনা দেখতে চাইব- হুমায়ূন আহমেদ
  • বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর – জীবনানন্দ দাশ
  • স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন। – শামসুর রাহমান
  • যে মাঠ থেকে এসেছিল স্বাধীনতার ডাক, সেই মাঠে আজ বসে নেশার হাট – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
  • তোমার বুকের মধ্যে আমাকে লুকিয়ে রাখো আমি এই মাটি ছেড়ে, মাটির সান্নিধ্য ছেড়ে, আকাশের আত্মীয়তা ছেড়ে, চাই না কোথাও যেতে, কোথাও যেতে – মহাদেব সাহা

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর উক্তি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার কে নিয়ে বিভিন্ন উক্তি প্রদান করেছেন এবং তার সেই উক্তিগুলো আদর স্মরণীয় হয়ে রয়েছে এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উক্তি।

  • এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক। – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
  • এই স্বাধীনতা তখনি আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে, যেদিন বাংলার কৃষক-মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুঃখের অবসান হবে – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
  • ” এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।” -বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

স্বাধীনতা নিয়ে স্ট্যাটাস

অনেকে রয়েছেন যারা স্বাধীনতা দিবসের স্ট্যাটাস শেয়ার করতে চান এবং সেই স্ট্যাটাস গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই স্ট্যাটাস গুলি সবাইকে জানাতে চান। আজ আমরা ভালো লাগার মত কিছু স্ট্যাটাস নিচে প্রদান করেছি।

  • তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।
  • দেশের স্বাধীনতা শুধু বীরত্বের মধ্যে দিয়েই অর্জন করা যায় না
  • স্বাধীনতা মানুষের প্রথম এবং মহান একটি অধিকার।
  • এখন যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ করতে চায়, তাহলে সে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্যে মুজিব সর্ব প্রথম তার প্রাণ দেবে।

কবিতাঃস্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো

কবিঃ নির্মলেন্দু গুণ

একটি কবিতা লেখা হবে

তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে

লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে

ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’

এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,

এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,

এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না৷

তা হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি?

তা হলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে

ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হদৃয় মাঠখানি?

জানি, সেদিনের সব স্মৃতি, মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত

কালো হাত৷ তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ

কবির বিরুদ্ধে কবি,

মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ,

বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল,

উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান,

মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ ... ৷

হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি,

শিশু পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি

একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে

লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প৷

সেদিন এই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর৷

না পার্ক না ফুলের বাগান, — এসবের কিছুই ছিল না,

শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যেরকম, সেরকম দিগন্ত প্লাবিত

ধু ধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়৷

আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল

এই ধু ধু মাঠের সবুজে৷

কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে

এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক,

লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,

পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক৷

হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,

নিম্ন মধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ, বেশ্যা, ভবঘুরে

আর তোমাদের মত শিশু পাতা-কুড়ানীরা দল বেঁধে৷

একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল

প্রতীক্ষা মানুষের: "কখন আসবে কবি?’ "কখন আসবে কবি?’

শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,

রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে

অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন৷

তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,

হদৃয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার

সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?

গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:

‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷’

সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের৷

 

তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা

– শামসুর রহমান

তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা;

তোমাকে পাওয়ার জন্য,

আর কতবার ভাসতে হবে রক্ত গঙ্গায়।

আর কতবার দেখতে হবে এদেশের মানুষের হাহাকার,

তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা।

সকিনা বিবির কপাল ভাঙলো,

সিঁথির সিঁদুর গেল হরিদাসীর,

তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা।

শহরের বুকে জলপাইয়ের  রংয়ের ট্যাংক এল,

দানবের মতো চিৎকার করে।

তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা ছাত্রাবাস, বস্তি,

হয়ে গেল মাঠের মতো খালি।

তুমি আসবে বলে ছাই হলো গ্রামের পর গ্রাম,

তুমি আসবে বলে বিধ্বস্ত হল পাড়ার পুরো মহলটা।

তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা,

কত অবুঝ শিশু হলো পিতা-মাতার সারা।

তোমাকে পাওয়ার জন্য এ স্বাধীনতা,

পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত হলো পুড়ে ছারখার।

নতুন নিশান উড়িয়ে স্লোগান দাও,

এই বাংলায় তোমাকে আসতেই হবে স্বাধীনতা।

Related Articles

Back to top button