বাস

চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, টিকিটের মূল্য, বিরতি স্থান ও সাপ্তাহিক ছুটি

আজকে আমরা জানবো বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা টু চট্টগ্রাম চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা টিকিটের মূল্য, বিরতি স্থান ও সাপ্তাহিক ছুটি: চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল করে চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেন তার মধ্যে অন্যতম. চট্রলা এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিষেবার আন্তঃনগর ট্রেন রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচল করে. ঢাকা টু চট্টগ্রাম এর সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন.

২০১০ সালের পয়লা নভেম্বর ট্রেনটির উদ্বোধন করা হয় এবং ২০২০ সালের ২৭ শে আগস্ট এইটি আন্তঃনগর এ রূপান্তরিত হয়. চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নাম্বার ৮০১/৮০২. সুতরাং এই ট্রেনটির বিস্তারিত তথ্য নিয়ে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো.

চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা সময়সূচী

আপনি যদি ট্রেনের এর মাধ্যমে নির্মিত ভ্রমণ করেন এবং এর সময়সূচী সম্পর্কে জানতে চান. এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করেন দুপুর ১ টা এবং চট্টগ্রামে পৌঁছান রাত ৮ টা ৫০ মিনিটে. আবার চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করে সকাল ৮:৩০ এবং ঢাকায় পৌঁছান দুপুর ০৩:৫০.

গন্তব্যস্থান ট্রেন যাত্রার সময় ট্রেন পৌছানোর সময়
চট্টগ্রাম টু ঢাকা সকালঃ ০৮.৩০ দুপুরঃ ০৩:৫০.
ঢাকা টু চট্টগ্রাম দুপুরঃ ১.০০ রাতঃ ০৮.৫০

চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন

চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে ছয়দিন পরিষেবা প্রদান করেন এবং সপ্তাহে একদিন রোজ মঙ্গলবার বন্ধ থাকেন

চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা

চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে আপনি যদি নতুন যাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে ভাড়ার বিষয়টা জানা রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী. কারণ এখানেই ট্রেনের ভাড়া কম, তারপরও রয়েছে আসন বিভাগ. এখানে তিন ধরনের আসন রয়েছে যেমন শোভন, শোভন চেয়ার ও প্রথম সিট. আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রিকেট করে করবেন. তবে প্রতিটি আসনের টিকিটের মূল্য নিচে প্রদান করা হলো:

আসন নাম টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট)
শোভন ২৮৫ টাকা
শোভন চেয়ার ৩৪৫ টাকা
প্রথম সিট ৪৬০ টাকা

চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনের অন্যান্য স্টেশনের সময়সূচী

চট্রলা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাত্রাকালে যে সকল স্থানে বিরতি প্রদান করেন সেই সকল স্থানে কত সময় বিরতি প্রদান করেন তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা নিচে প্রদান করা হলো স্টেশন নাম সহ.

বিরতি স্টেশন নাম চট্টগ্রাম থেকে (৬৭) ঢাকা থেকে (৬৮)
কুমিরা ০৮ঃ৫৮ ১৯ঃ৫৯
ফেনী ১০ঃ১০ ১৮ঃ৫০
হাসানপুর ১০ঃ৩৮ ১৮ঃ২৫
নাঙ্গলকোট ১০ঃ৪৮ ১৮ঃ১৬
লাকসাম ১১ঃ০৭ ১৭ঃ৫৫
কুমিল্লা ১১ঃ৫২ ১৭ঃ০৫
শশীদল ১২ঃ২০ ১৬ঃ৪১
কসবা ১২ঃ৩৮ ১৬ঃ২৫
আখাউড়া ১৩ঃ০২ ১৫;৫০
বি- বাড়িয়া ১৩ঃ২৫ ১৫ঃ২০
ভৈরব ১৩ঃ৪৮ ১৪ঃ৫৮
মেথিকান্দা ১৪ঃ০৭ ১৪ঃ৪০
নরসিংদী ১৪ঃ২৬ ১৪ঃ১৫
বিমান বন্দর ১৫ঃ১০ ১৩ঃ২৭

চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটির বিরতির স্থান

চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা নিয়মিত চলাচল করেন সপ্তাহে মঙ্গলবার বাদে. এই ট্রেনটি চলাচলে মাঝপথে কতিপয় রেলস্টেশনে বিরতি প্রদান করেন আর এই বিরতির স্থানগুলো নিচে ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরা হলো.

চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি সংখ্যা

চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনের মোট সিট সংখ্যা আছে দশটি. তারমধ্যে:

  • একটি খাবার বগি রয়েছে
  • একটি পাওয়ার কার বগি রয়েছে.
  • খাবারের বগিতে নামাজের জন্য আলাদা ঘর রয়েছে
  • খাবারের বগিটি ট্রেনটির মাঝামাঝি স্থানে রয়েছে

চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত একটি আন্তঃনগর ট্রেন. এই ট্রেনটির বর্তমান চালক বাংলাদেশ রেলওয়. ট্রেনটি যাত্রা শুরু করেন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে এবং শেষ করেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন. কমলাপুর থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এর দূরত্ব ভ্রমণ 386 কিলোমিটার বা 215 মাইল যার গড় যাত্রা সময় লাগে 7 ঘন্টা 30 মিনিট. ট্রেনটি সপ্তাহের ছয়দিন পরিষেবা প্রদান করে মঙ্গলবার বাদে. ট্রেনটিতে ননএসি ও শোভন চেয়ার রয়েছে. তাছাড়াও আরও সুবিধা রয়েছে আসুন ব্যবস্থা, ঘুমানোর ব্যবস্থা, খাদ্য সরবরাহের সুবিধা ও অপারেটিং ৬৫ কিলোমিটার

খাওয়ার ব্যবস্থা

এই আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাওয়ার ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে. সুতরাং ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি খাবারের কেবিন রেখেছেন যেখানে যাত্রীগণ সহজে খেতে পারবেন. তবে যে সমস্ত খাওয়ার এই ট্রেনের কেবিনে পাওয়া যায় তা হল: বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, পেটিস, রোল, পারুটি, চা-কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, চিকেন কাবাব, নানা ধরনের পানি ও মিনারেল ওয়াটার. সুতরাং এখান থেকে আপনি এছাড়াও আরও সুবিধা পাবেন দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন.

চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটার স্থান

আন্তঃনগর ট্রেনটির ট্রেনের টিকিট যেখান থেকে পাওয়া যাবে তার একটি বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:

  • দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে
  • টেনের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে (www.esheba.cnsbd.com)
  • *১৩১# নম্বরে ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যাবে.
  • টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে, তা যাত্রা ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে
  • তবে যাত্রা দশদিন পূর্ব থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দেশের যেকোন কম্পিউটারাইজড টিকিট কাউন্টারে এবং ওয়েবসাইটে.

উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ  ও জনপ্রিয় ট্রেন যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী কিডনির মাধ্যমে যাতায়াত করে থাকে. তবে তারাও কম এবং অন্যান্য সুবিধা বেশি. সুতরাং যাত্রীদের সুবিধার্থে আজ আমরা ট্রেনের সময়সূচী,  ভাড়ার তালিকা বিরতি স্থান, সাপ্তাহিক ছুটি  এবং টিকিটের মূল্য সহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি রাতে যাত্রীগণ সহজেই এখান থেকে শুরু করে সঠিক সময়ে নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button